নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আকাশের সিকায় বিকাল

আসিবি

আকাশে সিকায় বিকাল

আসিবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকার হদিস নেই

যুগান্তর রিপোর্ট, ২৪.০১.২০১৩

গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের ৩০ হাজার কোটি টাকা গ্রামীণ টেলিকমে গেলেও তা গ্রামীণ ব্যাংকে যায়নি। ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তারা শুনতে পাচ্ছেন, পুরো টাকাটাই গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানে গেছে। গ্রামীণ টেলিকম এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট দুটির চেয়ারম্যানই হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেই গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস করছেন। বুধবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গ্রামীণ ব্যাংক ভালো আছে উল্লেখ করে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক এখন অনেক ভালো আছে। এখন টালমাটাল কোন অবস্থা নেই। ব্যাংকের ২ হাজার ৫৬৭টি শাখা আছে। আমাদের যে কর্মকাণ্ড তা খুব ভালোভাবেই চলছে। আমাদের কাজ হচ্ছে মূলধন দেয়া, পুঁজি দেয়া। আমরা এ পর্যন্ত ৮৬ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছি। মাসে ১ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করছি।

গ্রামীণ ব্যাংকের পারফরম্যান্স এখন অনেক ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, পারফরম্যান্স আগের চেয়ে অনেক ভালো। ২০১০-এর তুলনায় ২০১১-এর পারফরম্যান্স ভালো। আবার ২০১১-এর তুলনায় ২০১২-এর পারফরম্যান্স আরও ভালো। ২০১১-তে প্রফিট হয়েছিল ৮৬ কোটি টাকা। এবার ১৪০ কোটি টাকা প্রফিট হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচন ছাড়াই গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ করা হচ্ছেÑ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখানে নির্বাচনের কোন ব্যাপার নেই। বোর্ড একটি সিলেকশন কমিটি গঠন করে। সিলেকশন কমিটি তিনজনের নাম নিয়ে আসে। সেখান থেকে একজনের নাম বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সেটা অনুমোদন করলে বোর্ড ওই ব্যক্তিকে নিযুক্ত করবে। সিলেকশন কমিটি থেকে একজন নারী সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আগে দেখতে হবে যে, কমিটির দায়িত্বটা কি? গ্রামীণ ব্যাংকের স্বার্থ দেখা নাকি একজন ব্যক্তির স্বার্থ দেখা।

গ্রামীণ ব্যাংকের ৩০ হাজার কোটি টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকম থেকে গ্রামীণ ব্যাংকে ৩০ হাজার কোটি টাকা আসার কথা। এ টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের পাওয়ার কথা। তারা এ টাকার সুবিধা ভোগ করার কথা। কিন্তু তারা এ টাকা পায়নি। এখন প্রশ্ন হল, এ ৩০ হাজার কোটি টাকা গেল কোথায়? সরকার একটি কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে। ওরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ টাকা এখন কোথায় আছেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন শুনলাম, গ্রামীণ টেলিকম আরেকটি অর্গানাইজেশন করেছে যার নাম গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট। আমরা শুনেছি, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টে টাকাটা রয়েছে। তবে এটা শোনা কথা। কারণ আমরা কোন রিপোর্ট পাইনি। এটার কোন রিপোর্ট গ্রামীণ ব্যাংক পায় না। এ দুটো প্রতিষ্ঠানের (গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট) চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ব্যাপারটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার যে কমিশন করেছে, তারাই এটি অনুসন্ধান করছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে মামলা চলছে। এ মামলা সুরাহায় গ্রামীণ ব্যাংক কোন উদ্যোগ নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু বোর্ডে যে নয়জন নারী সদস্য রয়েছেন, তারা এটাতে রাজি নন। উনারা এটার পক্ষে নন। উনারাই একটা অচল অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছেন। শুধু একজন ব্যক্তির স্বার্থে, ব্যাংকের স্বার্থে নয়।

বোর্ডের এসব সদস্য কি অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে কাজ করছেন কিনা জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ওনারা আমার সঙ্গে কোন ব্যাপারেই একমত হচ্ছেন না। আমাকে কোন সহযোগিতাও করছেন না।

এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করার সব ব্যবস্থা ড. ইউনূস করে গেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূস বলেন সরকার গ্রামীণ ব্যাংক অধিগ্রহণ করেছে। সরকার নয়, তিনিই এটা দখল করে বসে আছেন নিজের ব্যবসার প্রয়োজনে। গ্রামীণ ব্যাংককে তিনি কোন কাজ করতে দেবেন না।

তিনি আরও বলেন, ইউনূস সাহেব যা কিছু করছেন ব্যাংকটাকে ধ্বংস করার সব ব্যবস্থা করে গেছেন। এর চেয়ে আরও বড় ধ্বংসাত্মক কোন পদক্ষেপ কোন ব্যক্তি নিতে পারবে না। তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনিই এটাকে ধ্বংস করার ব্যবস্থা করেছেন। ধ্বংস করার জন্য সব কিছু করে গেছেন। তিনি এটি দখল করে রেখেছেন। যাতে এটি চলতে না পারে। তার (ইউনূস) ভাবনা, তাকে ছাড়া এটি চলবে না।

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, মামলা করে সার্চ কমিটির কার্যক্রম ইউনূস সাহেব আটকে রেখেছেন, তিনি কাউকে এমডি হতে দেবেন না, তিনিই এমডি নিয়োগ দেবেন যাকে তিনি পছন্দ করেন।

প্রসঙ্গক্রমে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্রামীণ ব্যংকের ১৩ হাজার কোটি টাকার যে সেভিংস আছে, তা এখন গ্রামে নেই, সেটা বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে উচ্চহারে সুদ নেয়া হচ্ছে।

http://jugantor.us/2013/01/24/news0946.htm

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.