![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। গণসমর্থন-বঞ্চিত আন্দোলন সব সময়ই পথভ্রষ্ট হয় এবং সংশ্লিষ্ট দেশটিকে অশুভ অরাজক অবস্থার দিকে টেনে নিতে চায়। ব্রিটিশ আমলে মহাত্মা গান্ধীও যখন দেখতেন, তার কোনো আন্দোলন তেমন গণসমর্থন আদায়ের বদলে হিংসা ও রক্তপাত ঘটাচ্ছে, তখন সেই আন্দোলন বন্ধ করে দিতেন। সেই সময় চৌরিচেরিতে সহিংস ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে গান্ধীজী আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশেও বর্তমানে ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন ছোট-বড় শহরে গাড়ি দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে প্রত্যহই যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, তাতে জনসমর্থন ও জনসহানুভূতি কিছুমাত্র নেই, তা প্রমাণ হয়ে গেছে। জনসমর্থন না থাকাতেই অতীতেও জামায়াত খুন-খারাবির ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছে, শিরকাটা, রগ কাটার রাজনীতি করেছে। বর্তমানেও অনুরূপভাবে গাড়িতে, রাজপথে চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসংযোগ, পাবলিক প্রপার্টি ধ্বংস করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এবারের উদ্দেশ্য, দেশময় অরাজকতা সৃষ্টি করে '৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তিদান বানচাল করা।
এই জামায়াতি তাণ্ডবের পাশাপাশি বিএনপি'র কখনো মৌনব্রত অবলম্বন, কখনো জামায়াতের এই তথাকথিত আন্দোলনে নৈতিক সমর্থনদান বিস্ময়কর। তারা অবশ্য যুক্তি দেখাচ্ছেন, তারা সরকার কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি মেনে নেয়ার দাবিতে জামায়াতের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু যুক্তিটিকে তারা ধোপে টিকাতে পারছেন না।
এটা এখন দেশের সচেতন মহলের কাছে স্পষ্ট, বিএনপি'র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করার কথা বলা বাহানা; তারা জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার আন্দোলনে জনমতের ভয়ে প্রকাশ্য সমর্থন দিতে না পেরে পরোক্ষ সমর্থন জোগাচ্ছেন। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি অবশ্যই চান। কিন্তু এই মুহূর্তে জামায়াতের আন্দোলনে সমর্থন দানের জন্য এটা একটা বাহানা।
গণসমর্থন বঞ্চিত আন্দোলন শেষ পর্যন্ত কোনো দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের দ্বারা পরিচালিত গুন্ডামি ও নাশকতামূলক কাজে পরিণত হয়। তা সাময়িকভাবে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে, কিন্তু পরিণামে দলটির জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ, ভারতের স্বাধীনতা লাভ ও পাকিস্তান সৃষ্টির পর পরই ১৯৪৮ সালে কম্যুনিস্ট পার্টি (অবিভক্ত) কর্তৃক "ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায় আন্দোলন।" এই আন্দোলনের পেছনে জনসমর্থন ছিলো না, বরং এখানে সেখানে (পশ্চিমবঙ্গে এবং তখনকার পূর্ব পাকিস্তানেও) সশস্ত্র গুন্ডামি, থানালুট, কনস্টেবল হত্যা, জোতদার নাম দিয়ে কৃষক হত্যা ইত্যাদির ফলে কম্যুনিস্ট পার্টি সম্পূর্ণ জনপ্রিয়তা হারায়। পশ্চিমবঙ্গে ভারত সরকার এবং পূর্ববঙ্গে পাকিস্তান সরকার কম্যুনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। হিংসাত্মক নীতি পরিত্যাগের আগে পর্যন্ত কম্যুনিস্ট পার্টি ভারত ও পাকিস্তানের রাজনীতিতে আর ফিরে আসতে পারেনি।
পরবর্তীকালে আমরা ভারতে নক্শাল আন্দোলন এবং পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সর্বহারা আন্দোলনের পরিণতি দেখেছি। বর্তমানের জামায়াতি সন্ত্রাস অতীতের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চাইতে অনেক বেশি সংগঠিত, অর্থ সাহায্যপুষ্ট এবং ট্রেনিংপ্রাপ্ত ক্যাডারদের দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু এরও পরিণতি তাদের জন্য শুভ হবে না। তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে না। তবে এর ফলে দেশে যে সাময়িক অরাজকতা দেখা দিতে পারে, তার সুযোগ কোনো অশুভ শক্তি গ্রহণ করতে পারে। জামায়াত এবং বিএনপি বর্তমানের গণবিচ্ছিন্ন উপদ্রব সৃষ্টি দ্বারা সেই অশুভ শক্তির অভ্যুত্থানকেই সাহায্য জোগাতে চান কিনা, তা অদূর ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে।
এখানে একটি প্রশ্ন, '৭১ এর যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের বিচার শেষে রায়দান শুরু হলে তাদের সমর্থকেরা এবং বিশেষভাবে জামায়াত যে মরিয়া হয়ে উঠবে এবং দেশময় অরাজকতা সৃষ্টির তত্পরতায় নামবে, একথা কি সরকারের জানা ছিলো না? এতোদিন জামায়াত দেশে-বিদেশে প্রচুর অর্থব্যয়ে প্রোপাগান্ডা যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলো। তাদের আশা ছিলো, এই প্রোপাগান্ডা যুদ্ধে তারা জয়ী হবে এবং বিএনপি'র মতো বড় দলের মদদে আন্দোলনে নেমে জনমতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ডদান বানচাল করতে পারবে।
তাদের এই আশা পূর্ণ হয়নি। বাচ্চু রাজাকারের প্রাণদণ্ডাদেশ ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা বুঝতে পারে, হাসিনা সরকারকে এই বিচার প্রক্রিয়া থেকে হটানো যাবে না। তখন থেকেই তারা প্রকাশ্যেই এই বিচার বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নামে। হাসিনা সরকার যুদ্ধাপরাধীদের দণ্ডদান থেকে পিছু হটবে না, এই সম্ভাবনা থেকে তারা প্রোপাগান্ডাযুদ্ধের বিকল্প ব্যবস্থারও প্রস্তুতি রেখেছিল। অর্থাত্ বিএনপিকেসহ অথবা বিএনপিকে ছাড়াই আন্দোলনে নামা। বাচ্চু রাজাকারের দণ্ডাদেশ ঘোষিত হতেই তারা যখন বুঝতে পারলো, তাদের প্রথম প্রত্যাশা পূর্ণ হয়নি, যে প্রত্যাশা ছিলো সরকারকে বিচার প্রক্রিয়া থেকে হটানো, তখন বিকল্প দ্বিতীয় পন্থা তারা গ্রহণ করে। সেটা বর্তমানের সন্ত্রাসী তত্পরতা।
এই পূর্ব পরিকল্পিত তত্পরতার কথা বর্তমান সরকারের জানা ছিলো কিনা এই প্রশ্নটি আমি তুলেছি। আমার ধারণা, নিশ্চয়ই তাদের জানা ছিলো। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আর যাই হোক 'কানা গলির কানা ঘোড়া' নয় যে, তারা জামায়াতের বর্তমান দুর্বৃত্তপনার নীল নকশার কথা জানতে পারেননি। এই ধারণা থেকেই সাম্প্রতিক স্ট্রিট ভায়োলেন্স দেখে আমার বিশ্বাস জন্মেছে, সরকারের পূর্ব প্রস্তুতির জন্যই জামায়াতিরা ব্যাপক ভাঙচুর করার যে পরিকল্পনা করেছিল, তাতে সম্পূর্ণ সফল হতে পারেনি। পুলিশ মার খেয়েছে, কিন্তু দুর্বৃত্তদের সফল হতে দেয়নি। জামায়াতিরা কয়েকদিন যাবত্ই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মূষিকের মতো পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
সবচাইতে বড় ব্যাপার, জামায়াত সামান্য জনসমর্থন অর্জন দূরের কথা, বরং ব্যাপক জনঘৃণার সম্মুখীন হয়েছে। পলাতক বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় দেশের মানুষ বলছে, অনুপস্থিত অপরাধীর শাস্তির রায় আগে ঘোষিত হলো কেন? আগে জেলে যারা আছে, সেই পালের গোদা গোলাম আযম, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা প্রমুখের বিচারের রায় আগে কেন ঘোষণা করা হচ্ছে না? মানুষ এই রায় শোনার জন্য উদ্গ্রীব। সুতরাং দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায় ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত ও তাদের দোসরেরা আরও বড়ভাবে নাশকতা সৃষ্টির কাজে মাঠে নামতে পারবে সেই আশার গুড়ে বালি পড়েছে।
জামায়াত এখন মরিয়া হয়ে নাশকতা সৃষ্টির তত্পরতায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু জনঘৃণার মুখে তাদের কার্যকলাপ মূষিকি তত্পরতায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই তত্পরতা স্বাভাবিক নাগরিক জীবনে বিঘ্ন ও কিছুটা ভীতি সৃষ্টি করেছে একথা সত্য। কিন্তু এই দুর্বৃত্ত মূষিকেরাও এতো ভীত যে, প্রকাশ্য গণ-আন্দোলনে নামার শক্তি ও সাহস যে তাদের নেই, তার প্রমাণ তারা রোজই দিচ্ছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিচারের রায় এখন প্রকাশের অপেক্ষায়।
এই রায় প্রকাশিত হলে এবং সাঈদী একই দণ্ডাদেশ পেলে তারা দেশময় লণ্ডভণ্ড কাণ্ড ঘটাবে বলে যে হুমকি দিয়ে আসছে, তাও শেষ পর্যন্ত 'গোদা পায়ের লাথি' বলে প্রমাণিত হলে বিস্ময়ের কিছু নেই।
আমি বাংলাদেশের অনেক নিরপেক্ষ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে দেখেছি, তারা বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনৈতিক শক্তিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। তারা বলেন, বাংলাদেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করা চলে না। বাংলাদেশে জামায়াতের রাজনীতি পরগাছার রাজনীতি। বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে ফিরে আসে এবং জামায়াতি ভূতকে কাঁধ থেকে অপসারণ করে, তাহলে বাংলাদেশে জামায়াতি বিষবৃক্ষের চারা অঙ্কুরেই ধ্বংস হবে এবং বিএনপিও এই 'জাদুটোনা' থেকে মুক্ত হবে।
আমি এই পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। জামায়াত মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিক্রিয়াশীল রাজা-বাদশাদের অর্থে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে যে বিরাট অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে, তার সাহায্যে মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও একশ্রেণীর এনজিও'তে প্রাধান্য বিস্তার করে রাজনীতিতে টিকে আছে। জন্ম থেকেই তাদের রাজনীতি ধ্বংসাত্মক, গঠনমূলক নয়। মুসলিম বিশ্বে এমন অনেক ইসলামী রাজনৈতিক দল আছে, যাদের ভূমিকা আধুনিক বিশ্বে গঠনমূলক, ধ্বংসাত্মক নয়। তাদের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী একটা বড় ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের জামায়াতের তাও নেই। বরং মুখে ইসলামের নাম ভাঙিয়ে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের লেজুড়বৃত্তি তাদের পেশা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সার্টিফিকেট তাদের বড় মূলধন।
জামায়াতের অর্থনৈতিক উত্সগুলো সবই বৈধ তা নয়। এই বৈধ-অবৈধ অর্থের জোরে তারা সারা দেশে ক্যাডার তৈরি করে, ট্রেনিং দেয়, অস্ত্রসজ্জিত করে। মসজিদ, মাদ্রাসা, বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি, বেসরকারি সংস্থাগুলোতে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে শক্ত ঘাঁটি গাড়ে। জামায়াত চরিত্রে একটি রাজনৈতিক দল নয়, আসলে সন্ত্রাসী সংগঠন। কেবল দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাকে দমন করা যাবে না, কিংবা তার তত্পরতাও বন্ধ করা যাবে না। বর্তমান সরকারকে এদের অর্থনৈতিক শক্তির উত্সগুলোর মুখ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য দেশময় জনমত তৈরি এবং জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
নইলে জামায়াতি সন্দেহে সর্বত্র ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়ে বা পুলিশের লাঠি-বন্দুক দিয়ে জামায়াতের মূষিকি তত্পরতা বন্ধ করতে চাইলে সরকার সহজে সফল হবেন না। সরকার যদি জামায়াতিদের বর্তমান ধ্বংসাত্মক তত্পরতা বন্ধে গো স্লো নীতি অব্যাহত রাখেন, তাহলেও এই তত্পরতা সফল হবে না একথা সত্য, কিন্তু এই অনিশ্চিত অবস্থা ও জনমনের ভীতি ও শঙ্কার সুযোগ নিয়ে দেশি, বিদেশি অন্য কোনো অশুভ শক্তি যুক্তভাবে তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য রাজনৈতিক স্থিতিহীনতা সৃষ্টির চক্রান্ত সফল করার চেষ্টা চালাতে পারে। সেজন্যে ঢাকায় একাধিক কাশিম বাজার কুঠি তৈরি হয়েছে এবং তাতে চেনা-অচেনা নানা মুখের সমাবেশও শুরু হয়েছে।
আমার কথা, এই মূষিক দমনে সরকার শিকারী বিড়াল নিয়োগ করুন। আরও শক্ত হোন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও দণ্ডদান আরো দ্রুততর করুন। জনমত তাতে সবল হবে, জামায়াতি তত্পরতা দুর্বল হবে। দু' একজন পালের গোদা অভিযুক্তের বিচার শেষ, রায়দান ও তা কার্যকর করার ব্যবস্থা হলে এই স্ট্রিট ভায়োলেন্স অচিরেই বন্ধ হবে, মূষিকেরাও গুহায় লুকাবে। জামায়াতকে বেআইনি ঘোষণা করা নয়, তাদের যুদ্ধাপরাধের দ্রুত বিচার ও দণ্ডদানই হবে বাংলাদেশের মাটি থেকে তাদের অপরাজনীতি উচ্ছেদ করার শ্রেষ্ঠ পন্থা।
Click This Link
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
াহো বলেছেন: +
যুদ্ধাপরাধের দ্রুত বিচার ও দণ্ডদানই হবে বাংলাদেশের মাটি থেকে তাদের অপরাজনীতি উচ্ছেদ করার শ্রেষ্ঠ পন্থা।
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭
টাইটান ১ বলেছেন: জামায়াতের পকেটে টাকা হয়েছে। টাকার ইউজ করছে। আগেও করেছে। এখন ব্যাপক হারে করছে। শালা পুলিশকে মারতে পারলে যদি দুইবেলা খেতে পাওয়া যায়_মারব না হয়। আমি প্রায়ই বলি এই দলের উদ্দেশ্য খারাপ। যার উদ্দেশ্য খারাপ সে হাজার ভালো কাজ করলেও ফলাফল খারাপ হয়।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
বিডিট্রন বলেছেন: আগাচৌ কাকু, আপনি আপনার মুল্যবান গু ত্যাগ করতে একটু দেরী করে ফেলেছেন। আপনার আব্বুরা জামায়াতের সাথে আতাত করে ফেলেছেন। পরে চান্স নিয়েন, খ্যাপ মারার সুযোগ আবার পাবেন, ব্যাপারনা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
মোহাম্মেদ তারেক হোসাইন বলেছেন: আব্দুল গাফফার ছাগু ওরফে আগাছা তার পুরানা নিয়ম মেনে ল্যাদিয়ে গেল আর একবার।।