নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোনালি বিকাল

সোনালি বিকাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত শিবির এবং কিছু ব্রেইন ওয়াশড মানুষ

০২ রা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

আবার হরতাল ডাকল জামাতিরা। কারন তাদের নিবন্ধন বাতিল করার ব্যাপারে রায় দিল হাইকোর্ট । আবার তারা রাস্তায় ভাংচুর অগ্নি সংযোগ করবে আর ওদের জন্য কিছু নিরিহ মানুষের জান মালের ক্ষতি হবে, সাথে শিবিরের কিছু ছাগু মারা যেতে পারে।



প্রশ্ন হল, তারা আর কতকাল তারা তাণ্ডব চালাবে ? আরকত কাল বিএনপি তাদের সমর্থন দিবে ? আর কতকাল সাধারন মানুষের মৃত্যু হবে ?

তারা হরতাল দিবে তাণ্ডব চালাবে এইটা স্বাভাবিক । কারন তাদের নেতাকর্মী দের শ্রীঘরে ঢুকানো হয়েছে, তাদের নিবন্ধন বাতিলের রায় হয়েছে। কিন্তু আমার ভাবতে অবাক লাগে কিছু ধার্মিক লোক তাদেরকে অন্ধভাবে সমর্থন দিচ্ছে। আর ছাত্রশিবিরের কর্মীরা তো আছেই। তাদের মতে গাড়ি ভাংচুর করা, মানুষের রগ কাটা, দেশের সম্পদ নষ্ট করা ইসলামি জিহাদ। আর এই সংঘর্ষে তাদের কেউ মারা গেলে তারা শহিদ। সাম রাবিশ ব্রেইন ওয়াশড পিপুল।



জামাতিরা মউদুদি কে অন্ধ ভাবে অনুসরন করে। নিচে মউদুদির ইসলাম অবমাননা সম্পর্কে এক ভাইএর একটা আর্টিকেল পোস্ট করা হল।



""উত্তম খাবারের সাথে যেমন সুক্ষ পরিমাণ বিষাক্ত খাবার গ্রহন করলে বাহ্যিকভাবে তার প্রভাব তেমন অনুভূত হয়না এবং ধীরে ধীরে ঐ বিষাক্ত খাবার সহনীয় হয়ে যায় তেমনি মাওলানা মওদুদীর ত্রুটিযুক্ত কথা ও কাজগুলোকেও জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের ভাইয়েরা একসময় তাদের আক্বীদায় পরিনত করেন। ‘তাফহীমুল

কোরআন’কে আলেম সমাজ নিষিদ্ধের দাবী করায় বর্তমান

সংস্করনগুলো থেকে কিছু আপত্তিকর কথা বাদ দেওয়া হয়েছে যদিও এতটুকুই যথেষ্ট নয়। তাছাড়া মাওলানা মওদুদী জীবিত থাকাকালীন বা জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অদ্যাবধি কোন ভুল স্বীকার

করে তওবা করা হয়নি। তাই মুসলিম ভাইদের ঈমানের হেফাজতের জন্য এগুলো তুলে ধরা আমার জন্য অপরিহার্য

ছিল।) কুরআন শরীফের অনেক আয়াত শরীফে আল্লাহ পাক প্রথমে ঈমান আনার কথা এবং পরে আমলের কথা বলেছেন। ইসলাম বিদ্বেষী কাফির-মুশরিকরা তাই মুসলমানদের ঈমানী চেতনায় বিভেদ

তৈরীর জন্য সদা সক্রিয়। আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ করেনঃ “তারা পূর্ব থেকেই বিভেদ সৃষ্টির সুযোগ

সন্ধানে ছিল এবং আপনার কার্যসমূহ উলট- পালট করে দিচ্ছিল।”

(সূরা তওবা ৪৮)

এক্ষেত্রে ইসলাম বিদ্বেষী কাফির- মুশরিকরা মূলতঃ মুসলমানদের থেকেই এজেন্ট তৈরী করে। যারা মুসলমানদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসলামী আক্বীদার মধ্যে ফিৎনা তৈরী করে।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শান ও মানের

খেলাফসহ অসংখ্য কুফরী আক্বীদার বিস্তার করেছে সে।

এরপর পাক ভারত উপামহাদেশের এ ধারার অগ্রগামী হয়েছে তথাকথিত জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী।

স্বয়ং আল্লাহ পাক, তাঁর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম

এবং আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম,

মোদ্দাকথা ইসলামের সব অনুষঙ্গেই মিথ্যা, কুফরী ও জঘন্য সমালোচলার জাল বিস্তার করেছে এই মওদুদী।

তার সেই অসংখ্য কুফরী আক্বীদার মাত্র ৫টি ক্ষুদ্র প্রমাণ নিম্নরূপঃ

১) আল্লাহ পাক সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “যে ক্ষেত্রে নর-

নারীর অবাধ মেলামেশা, সেক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ

পাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।” (নাঊযুবিল্লাহ) (তাফহীমাত, ২য় খন্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)

২) ফেরেশতা সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “ ফেরেশতা প্রায় ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী- দেবতা স্থির করেছে।” (নাঊযুবিল্লাহ) (তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)

৩) আম্বিয়া আলাইহিমুছ ছালাত ওয়াস সালাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যক নবী গুনাহ

করেছেন।” (নাঊযুবিল্লাহ) (তাফহীমাত, ২য় খন্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)

৪) হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না।”(নাঊযুবিল্লাহ)

(তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খন্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)

৫) সাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম

সম্পর্কে কুফরী আক্বীদাঃ “সাহাবাদিগকে সত্যের

মাপকাঠি জানবে না।” (নাঊযুবিল্লাহ)

(দস্তরে জামাতে ইসলামী, ৭ পৃষ্ঠা)

উল্লেখ্য, সব মুফতী-মাওলানাদের

ইজমা তথা ঐক্যমতে উপরোক্ত

আক্বীদাধারী ব্যক্তি মুসলমান নয়

বরং মুরতাদ। আরো উল্লেখ্য যে, মওদুদী’র

মৃত্যুর পর শিয়া সম্প্রদায়ের

একটি মুখপত্রে বলা হয়েছিল, “মরহুম

(মওদুদী) তার ভিন্ন আঙ্গিকে শিয়া মতবাদ

প্রচলনেও সহায়তা করেছেন।”

(সাপ্তাহিক শিয়া, লাহোর, ১৯৭৯ ইং, ৫৭

সংখ্যা ৪০/৪১; খোমেনী ও মওদুদী দু’ভাই,

পৃষ্ঠা ১২)



প্রসিদ্ধ নবী দাউদ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত দাউদ (আ.) এর কাজের মধ্যে নফস ও আভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল

ছিল। অনুরুপভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথেও তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ,

যা হক পন্থায় শাসনকারী কোন মানুষের পক্ষেই শোভা পায়না।” [তাফহিমুল কোরআন(উর্দু):৪র্থ খন্ড, সুরা সাদ, ৩২৭পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং]



হযরত ইউসুফ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত ইউসুফ (আ.)- ‘আমাকে মিসরের রাজকোষের পরিচালক নিয়োগ করুন’- এ

কথাটি বলে শুধু অর্থমন্ত্রী হওয়ার জন্যই প্রার্থনা করেননি। কারো কারো ধারনা, বরং তিনি এ বলে ডিকটিটরীই চেয়েছিলেন মৌলিকভাবে। এরই ফলশ্রুতিতে বর্তমান ইতালীর মুসোলিনির

যে মর্যাদা তিনিও এর কাছাকাছি মর্যাদার অধিকারী হয়েছিলেন।” [তাফহীমাত : ২য় খন্ড, ১২২ পৃ. ৫ম সংস্করন এবং নির্বাচিত

রচনাবলী(বাংলা) ২য় খন্ড, ১৫১ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম সংস্করন ১৯৯১ইং] হযরত ইউনুস (আ.) সম্পর্কে:

“হযরত ইউনুস (আ.) থেকে রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু দুর্বলতা হয়ে গিয়েছিল।সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের, পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ

করে চলে গিয়েছিলেন।” [তাফহিমুল

কোরআন: ২য়খন্ড, সূরা ইউনুস

(টিকা দ্রষ্টব্য) ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং]



“মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেনএবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষন করেছেন।” [তরজমানুল কোরআন, রবিউল

আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী]""



এই হল জামাত শিবিরের আকিদা যারা নাকি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে।





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.