নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরুল গবেষক বুলবুল ইসলাম

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭


জাতীয় কবি নজরুল ও তার স্ত্রী নার্গিস আজ পৃথিবীতে নেই। নজরুল-নার্গিস ট্র্যাজেডির প্রথম সার্থক আবিষ্কারক নজরুল গবেষক বুলবুল ইসলাম। আজ নজরুলের সমাধি ঢাকায়। নার্গিসের ম্যানচেস্টারে। বুলবুল ইসলামের দৌলতপুরে। কুমিল্লার দৌলতপুরের সৌভাগ্য যে-বুলবুল ইসলামের সেখানে জন্ম হয়েছিলো। তা না হলে বাংলাসাহিত্যে নজরুলের জীবন গবেষণায় দৌলতপুরের ইতিহাস তুলে আনা আরও সময়সাপেক্ষ ছিলো। বুলবুল ইসলাম তার মৌলিক গবেষণার দ্বারা প্রমাণ করেছিলেন যে, ‘নজরুল-নার্গিস’ ট্র্যাজেডির সৃষ্টি হয়েছিলো। বুলবুল ইসলাম ‘নজরুল-নার্গিস‘ অধ্যায়কে নবজন্ম না দিলে নার্গিসকে নিয়ে আজও নানা কল্পকাহিনী রচিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো।
বর্তমানে কুমিল্লার দৌলতপুর *নজরুল তীর্থভূমি* হিসেবে স্বীকৃত হলেও কবিতীর্থ দৌলতপুর ক্ষমাহীন রূপে অবহেলিত। দরিরামপুর ও কুমিল্লা শহরের পাশাপাশি দৌলতপুরে সরকার প্রধানগণ যান না। এমনকি জাতীয় পর্যায়ে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের নামে কুমিল্লা শহরে আড়াইদিন অনুষ্ঠান হওয়ার পর শেষদিনের বিকেল বেলা দৌলতপুরের অনুষ্ঠানের জন্য বরাদ্ধ করা হয়। রেডিও, টিভি থেকে শুরু করে পত্র-পত্রিকায়ও কবিতীর্থ দৌলতপুর উপেক্ষিত। শুধু তাই নয়-কুমিল্লা শহরে শ্বেতপাথরের স্থায়ী নজরুল স্মৃতিফলক আর স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও দৌলতপুর তা থেকেও বঞ্চিত হয়। কুমিল্লা শহরে নজরুল চর্চা ও তার স্মৃতি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বুলবুল ইসলামের মনে কোনো আপত্তি ছিলো না। তার বক্তব্য ছিলো: কবিতীর্থ দৌলতপুরও যেন বঞ্চিত না হয়।
অত্যন্ত মর্মান্তিক বিষয় হলো কবিতীর্থ দৌলতপুরের মতো জীবদ্দশায় বুলবুল ইসলামও ছিলেন অনেকটা উপেক্ষিত। এমনকি যে দৌলতপুর দৌলতপুর করে তিনি তার সারা জীবন ব্যয় করলেন, সেই দৌলতপুরবাসীও-বিশেষ করে সেই ঐতিহ্যবাহী খাঁ পরিবারও তাকে মূল্যায়ন করেনি। তার জীবনের নানা তথ্য থেকে আজ এই প্রমাণ পাওয়া যায়। এও নজরুল-নার্গিস ট্র্যাজেডির মতো আরেক ট্র্যাজেডিও বটে।
নজরুল-গবেষক বুলবুল ইসলাম আজ আমাদের মধ্যে নেই। নজরুলের ভাষায়:‘হারিয়ে গেছে অন্ধকারে পাই না খুঁজে আজ আর।। আজকে তোমার-আমার মাঝে সপ্ত পারাবার।’
যখন তিনি আমাদের মধ্যে ছিলেন, তখন নানা ট্র্যাজেডি বহন করে বেড়াতেন। জীবদ্দশায় পুনর্বাসনহীন এক ছিন্নমূল শিল্পী ছিলেন তিনি, তাও কম ট্র্যাজিক নয়। তারপরও তিনি আমাদের নজরুলের মতো করেই ভালোবেসেছিলেন। তিনি আমাদের সেবা করতে গিয়ে আর নিজের সেবা করতে পারেননি। নজরুলের ভাষায় তাই তার সম্পর্কেও আজ বলতে হয়:‘ সকলেরে তুমি সেবা করে গেলে নিলে না কারো সেবা।। আলোক সবারে আলো দেয়। দেয় আলোকেরে আলো কেবা।’
অলংকরণ: জসীম অসীম
প্রথম প্রকাশ:
১৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৮: ৪ ফাল্গুন ১৪০৪: সাপ্তাহিক আমোদ: কুমিল্লা। (সম্পাদকীয়)
দ্বিতীয় প্রকাশ:
৪ মার্চ ১৯৯৯: দৈনিক রূপসী বাংলা।
কুমিল্লা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: বুলবুল ইসলামের সাথে সম্ভাবত ১৯৮৯ সালে দৈনিক দেশ পত্রিকায় আমার প্রথেম দেখা হয়েছিল। তার সাথে ছিলেন আরেক নজরুল গবেষক শেখ নুরুল ইসলাম। সেইদিন নার্গিস সম্পর্কে তাদের সাথে অনেক কথা হয়েছিল। দৈনিক দেশ পত্রিকা বন্ধ হলে আর কখনই তার দেখা পাই নাই। সেই সময়ে তাদের সাথে আলোচনা করে এবং তাদের লেখা পড়েই নজরুল সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জেনেছিলাম। তাদের মত নজরুল গবেষক আর কাউকে পেলাম না। ধন্যবাদ আপনাকে বুলবুল ভাইয়ের নামটি স্বরণ করে লেখা পোষ্ট করার জন্য।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১১

জসীম অসীম বলেছেন: ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই স্মৃতিচারণের জন্য। আমি ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স কমপ্লিট করি ১৯৯৬ সালে। পরীক্ষা ছিল ১৯৯৩ সালের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমরাই ছিলাম শেষ ব্যাচ। কুমিল্লায় আমার বাড়ি। ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন কারণে আমি টানা কুমিল্লায় থাকা শুরু করি। লেখালেখি করেছি ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন পত্রিকায়। কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকাতেও ১৯৮৯-৯০ সাল থেকে লেখালেখি শুরু করি। কিন্তু এই পত্রিকাতেই ১৯৯৬ সাল থেকে চাকুরি করা শুরু করি। বেতনে। সাংবাদিকতার চাকুরি।
এই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সঙ্গে নজরুল গবেষক বুলবুল ইসলামের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বুলবুল ইসলাম ফজলে রাব্বীকে পিতা সম্বোধন করতেন। বুলবুল ইসলামের বাড়ি ছিল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে। যে গ্রামের মেয়ে নার্গিসকে কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম বিয়ে করেছিলেন। নজরুল-নার্গিস অধ্যায়কে প্রথম সুনিপুণভাবে তুলে আনেন এই বুলবুল ইসলামই। ---মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মারা যান ২৮ নভেম্বর ১৯৯৪ সালে। কিন্তু বুলবুল ইসলাম তখন একটি মামলায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জেল খাটছিলেন। মুরাদনগরের একটি --- মামলায় নাকি তাঁর এ সাজা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে বুলবুল ইসলাম কারামুক্ত হয়ে কুমিল্লায় আসেন সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকা অফিসে। ‘আমোদ’ই আমাকে প্রথম বুলবুল ইসলামের সঙ্গে সরাসরি পরিচয় করিয়ে দেয়। বুলবুল ইসলাম আমাকে নিয়ে চলে যান দৌলতপুর গ্রামে। সে অন্য ইতিহাস। --- । ১৯৯৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে বুলবুল ইসলাম অকাল প্রয়াত হন। অনেক কথা। কুমিল্লা শহর থেকে একমাত্র আমিই গিয়েছিলাম তাঁর দাফন অনুষ্ঠানে। দৌলতপুরে। কত করুণ কাহিনী ঘটেছে। ফিরে এসে সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকায় লিখেছিলাম ‘‘আত্মঘাতী আত্মদ্রোহী বুলবুল ইসলাম’’ নামে একটি লেখা। কিন্তু লেখাটি আমি হারিয়ে ফেলেছি। আমোদ ফাইলে রয়েছে। কিন্তু ওই পরিবার এখন বাংলাদেশে আর থাকে না। সবাই থাকে আমেরিকায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। বুলবুল ইসলামকে নিয়ে আরও পত্রিকায় তখন আরও লেখা লিখেছিলাম। বুলবুলের সঙ্গে ঘুরে ঘরে কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত অনেক জায়গার ছবিও তুলেছিলাম। সে নিয়ে কখনো কথা বলবো আপনাদের সঙ্গে। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা। নিরন্তর।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নজরুল গবেষক বুলবুল ইসলামের
স্মৃতিচারণ করার জন্য আপনাকে
ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

জসীম অসীম বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ। আমি কোথাও কেন যে ব্লগ ওপেনই করতে পারি না। ব্লক নই। ওয়াজেও নেই। ইন্টারনেট বা ব্রাউজার সাপোর্ট করছে না এই https://www.somewhereinblog.net/blog সাইট। আমার ভারতের বন্ধুদের বললাম, তোমাদের দেশ থেকে এই সাইট শো করে? বললো, করে। আমি এখন আবারো এক জায়গা থেকে পাচ্ছি, ওখানে এসেই ব্লগিং করে যাই কখনো কখনো। শুনেছি এই সাইট নাকি বাংলাদেশে বন্ধ রাখা হয়েছে। কী করবো। কোথাও থেকে সাইটে ঢুকতে পারলেই না কাজ করা। তাই খুবই অনিয়মিত হয়ে রয়েছি ভাই। আপনাদের দেখলে প্রাণ ভরে যায়। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা। নিরন্তর।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা আমার জানা ছিল না-
কৃতজ্ঞতা আপনাকে জানানোর জন্য

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

জসীম অসীম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা। নিরন্তর।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: গবেষক এর একটা ছবি দেন। মনে হচ্ছে তাকে আমি চিনি।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

জসীম অসীম বলেছেন: মনে হয় তাঁকে চেনেন না। কারণ তাঁর কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। কেউ তাঁর গ্রন্থ প্রকাশ করেননি। কুমিল্লার সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার ৪০ বছরের পুরনো ফাইল একবার আমি ধারাবাহিকভাবেই দেখেছিলাম। তখন বুলবুল ইসলামের অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ওই পত্রিকা প্রকাশ করেছে দেখেছিলাম। প্রায় সবই কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখা। বুলবুল ইসলামের লেখা নিয়ে পরে অনেকেই উপকৃত হয়েছেন। এমনকি --- । কোনো ‘ডক্টর’ এর নাম প্রকাশ্যে বললাম না আর। বুলবুল ইসলাম একটু ডান ধারার নজরুল গবেষক ছিলেন। আমি তখন সিরিয়াস বামপন্থী। লেখালেখি পছন্দ করলেও তাঁর আদর্শ পরিহার করেছি। তিনিও আমার বামপন্থাকে প্রাণে নেননি। তবু কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভালোবেসে আমরা একসঙ্গে তখন অনেক সময়ই ব্যয় করেছিলাম। বুলবুল ইসলামই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী নার্গিসের একটি দুর্লভ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পেরেছিলেন। সেটা লিখিত আকারে আমার সংগ্রহে কোথাও নিশ্চয়ই রয়েছে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

জসীম অসীম বলেছেন: বুলবুল ইসলামকে নিয়ে কুমিল্লার যেসব জায়গায় ঘুরেছিলাম কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত, সেসব ছবির ফিল্ম বুলবুল ইসলামকেই দিয়ে দিয়েছিলাম। বুলবুল ইসলাম কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম শতবার্ষিকীতে (১৯৯৯) ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর সম্পাদনায় ও জাতীয় নজরুল সমাজ এর প্রকাশনায় ‘‘বুলবুলি নিরব নার্গিস বনে’’ নামক একটি নজরুল-স্মারক মুদ্রণ করবেন কথা ছিল। সে জন্য। কিন্তু ১৯৯৮ সালে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁরই ছোট ভাই মুকুল ইসলাম মোসলেম আমাকে আর ফিল্মগুলো ফেরত দেননি। বুলবুল ইসলামের নিজের সংসার বা নিজস্ব তেমন বাসাও ছিল না। মোসলেম থাকতেন তখন ঢাকার জুড়াইনে। অসুস্থ অবস্থায় একবার বুলবুল ইসলামকে ওই জুড়াইনেই আমি দেখে এসেছিলাম। আমার পুরনো ফটোগ্রাফিক ফিল্ম দেখলে হয়তো এখনো বুলবুল ইসলামের ছবি পাবো। কিন্তু ফিল্ম থেকে কুমিল্লায় আর কোনো ফটো-ল্যাবে ছবি প্রিন্ট হয় না। অথচ আমি তো এখনও কুমিল্লাতেই থাকছি।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

শোভন শামস বলেছেন: নজরুল গবেষক বুলবুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

জসীম অসীম বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে বুলবুল ইসলামকে নিয়ে সিরিয়াস যদি কিছু লিখে থাকি, সেসব কিছু হারিয়েছি। বাকিগুলো পরে খুঁজে বের করে পোস্ট দেবো। যে আলী আকবর খানের সঙ্গে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় প্রথম এসেছিলেন, সেই আলী আকবর খানের সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করেছিলেন বুলবুল ইসলাম। ডক্টর আশরাফ সিদ্দিকীর সঙ্গে বুলবুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ঢাকার আরও অনেক সাহিত্যবোদ্ধাদের সঙ্গেও। কিন্তু ১৯৯৮ সালে তাঁর মৃত্যুর পর আর কেউ তেমন খোঁজ রাখেননি। একদিন আমার সঙ্গে দেখা হয়েছিল কবি আবদুল হাই শিকদারের। তিনি তখন বুলবুল ইসলামের প্রবন্ধগুলো কোথায় পাওয়া যাবে, তা জানতে চেয়েছিলেন। আমি সূত্র বলেছি। কিন্তু ওই অবধিই। জোর প্রচেষ্টা কেউ কখনো নেননি। লোকটা আর্থিকভাবে এমনই গরীব ছিলেন যে, এক বেলা খেলে তিনবেলা অনাহারেই থাকতেন। আমার কুমিল্লার বাসাতেও বেড়াতে আসতেন। কিন্তু প্রচন্ড ধূমপান করতেন বলে আমার ভালো লাগতো না। আমি তাঁকে ধূমপান ছাড়তে অনুরোধ করতাম। তিনি আমাকে বামপন্থী রাজনীতি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করতেন। কিন্তু আমরা কেউ কোনোটাই ছাড়িনি। ফাঁক দিয়ে তিনি হুট করে গেলেন মরে। কুমিল্লা শহর থেকে আমি ভিন্ন কোনো সুশীল লোক তাঁকে মাটি দিতে যাননি তাঁর গ্রামের বাড়িতেও। আরও কত কথা।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবহেলিত নজরুল গবেষক বুলবুল ইসলাম সম্পর্কে জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

জসীম অসীম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। অশেষ কৃতজ্ঞতা। কারণ আমি কোনো সিরিয়াস লেখকও নই। সাংবাদিকতা পেশা হলেও সাহিত্যধর্মী কিছু লেখা মূলত শখে বা মনের টানেই লিখে থাকি। আমার সাধারণ পোস্টেও যে আপনার মতামত দিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন, সে জন্য আমি আনন্দিত। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। শুভ কামনা। নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.