নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...

মোতাব্বির কাগু

।.।

মোতাব্বির কাগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গবেষণায় চৌর্যবৃত্তিতে সামিয়া রহমানসহ ঢাবির তিন শিক্ষকের পদাবনতি

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

একাডেমিক গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের পদাবনতি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককেও একই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিন্ডিকেটের দুজন সদস্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


ওই দুজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দিয়েছে সিন্ডিকেট। আগামী দুই বছরের মধ্যে তিনি পদোন্নতির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এখন শিক্ষা ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে আছেন। ছুটি শেষে ফেরার পর তিনি পদোন্নতি পেয়ে যেতেন। কিন্তু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে আরও দুই বছর প্রভাষক পদে চাকরি করতে হবে। নিজের পিএইচডি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুককে পদাবনতি দিয়ে প্রভাষক করা হয়েছে। তাঁর নকল পিএইচডির অনুমোদনও বাতিল করে দিয়েছে সিন্ডিকেট।

সিন্ডিকেটের ওই সদস্যরা আরও জানান, সামিয়া ও মারজানের শাস্তি নির্ধারণে গঠিত ট্রাইব্যুনাল দুজনের একটি করে ইনক্রিমেন্ট বাতিলের শাস্তি প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সার্বিক দিক বিবেচনা করে সিন্ডিকেট সেই প্রস্তাব নাকচ করে দুজনকে পদাবনতি দিয়েছে। তবে ওমর ফারুকের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের প্রস্তাবই বহাল রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ ওমর ফারুককে চাকরিচ্যুত করার সুপারিশ করলেও সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের সিদ্ধান্তে ফারুককে পদাবনতি দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘আ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: আ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শীর্ষক আট পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের নিজস্ব জার্নাল সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউয়ে প্রকাশিত হয়। তখন অভিযোগ ওঠে, ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ১৯৮২ সালে প্রকাশিত ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ শীর্ষক নিবন্ধ থেকে পাঁচ পৃষ্ঠার মতো হুবহু নকল করেছেন তাঁরা৷ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানায় ওই গ্রন্থের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস৷ নিবন্ধটিতে ফুকো ছাড়াও ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন চিন্তক এডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম’ গ্রন্থের পাতার পর পাতা হুবহু কপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগটি তদন্তে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সিন্ডিকেট৷ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৯ সালে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিয়া-মারজানের চৌর্যবৃত্তির অভিযোগটির সত্যতা মিলেছে। তবে কমিটি কোনো শাস্তির সুপারিশ করেনি। সামিয়া-মারজানের শাস্তি নির্ধারণের জন্য গত বছরের অক্টোবরের সিন্ডিকেট সভায় আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল ইনক্রিমেন্ট কাটার মতো ‘লঘু শাস্তির’ সুপারিশ করলেও সিন্ডিকেট তা নাকচ করে দিয়েছে।

সামিয়া-মারজানের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি নিয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, অভিযোগ ওঠা নিবন্ধটিসহ সামিয়া-মারজানের যৌথভাবে লেখা মোট ছয়টি নিবন্ধ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিটি নিবন্ধে ৬০-৮০ শতাংশ করে চৌর্যবৃত্তি করা হয়েছে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক
মুহাম্মদ ওমর ফারুক

এদিকে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ২০১৮ সালে সিন্ডিকেটের এক সভা থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু তখন তাঁকে একাডেমিক কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাঁর শাস্তি নির্ধারণের জন্য গত বছরের অক্টোবরের সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী ও সিন্ডিকেট সদস্য এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে পদাবনতি দিয়ে প্রভাষক করে দেওয়ার সুপারিশ করে৷ সেই সুপারিশই সিন্ডিকেট বহাল রেখেছে।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের যারা ইউনিভার্সিটি ও সরকারী চাকুরী থেকে মালয়েশিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডে পিএইচডি করছে, তাদের শতকরা ৯৯ জন পড়ালেখা করে না, আগের কারো থিসিস থেকে নকল করে ডিগ্রি নিচ্ছে; তদুপরি, এদের সবাই মোটামুটি পুরানো বিষয়ের উপর থিসিস করছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: মজার ব্যপার কোথাও তাদের চোর বলতেছে না। প্লালেরিজম চৌর্যবৃত্তি এসব ভদ্র ভাষা ব্যবহার করতেছে

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

সাসুম বলেছেন: বাংলাদেশের বেশির ভাগ ইউনি টিচার ( ৯৫+) এর থিসিস আর পিএইচডি নকল আর প্লেজারিজমে জড়িত। খুব অল্প সংখ্যক রিয়েল এডুকেটর প্লাস শিক্ষক প্লাস গবেষক আছেন যারা এসব থেকে দূরে থাকেন।

সব চেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল- সামিয়া জামান এই পদাবনতির বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

যেখানে অন্য দেশ হলে এই অপরাধে তার জেল, জরিমানা, সারা জীবন ফেলনি লিস্টে থাকা লাগত আর চাকরি তো ইউনি থেকে সাথে সাথেই চলে যেত, সেখানে আমাদের দেশে গুরু পাপে লঘু দন্ড দিছে এবং চোরের দল সেই লঘু দন্ড কে ও মাফ করার জন্য আপিল করছে। এরাই আমাদের টিচার, এরাই আমাদের পথ প্রদর্শক এবং এদের পথে দেখানো চলা আউটকাম আমরা দেখতে পাই, নিউজপর্টাল এর নীচে কম্মেন্ট সেকশানে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: আয়রনি হলো আমার লেখাটাও কপি। এদের জন্য মৌলিক লেখার আগ্রহ বোধ করলাম না, খামাখা সময় নষ্ট

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: এইসব পূঁতিদুর্গন্ধময় চোরদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেখে দিলে তাদের সাথে ভাল শিক্ষকেরা (যদি থাকে) একসাথে বসবেন কি করে!
সর্বোচ্চ শিক্ষার পাদপীঠেই বুঝি এমন সর্বনিম্ন স্তরের দুর্নীতি হয়ে থাকে এবং সেসব মা'ফ করে দিয়ে দুর্নীতিবাজদেরকে ধোয়া তুলসিপাতা বানানোর পাঁয়তারা চলতে থাকে!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: এদের সরালে বেশীরভাগের গোমড় বেরিয়ে আসবে।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


@খায়রুল আহসান ,

এদের সরাতে সমস্যা কেন হচ্ছে? যারা সরানোর কথা, সরালে, তাদের বেশীরভাগের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: সেটাই। একে অপরের পিঠ চুলকে সুবিধা আদায়

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। এরপরে আশা করি এই ধরণের ঘটনা ঘটবে না। সামিয়া রহমানের সাংবাদিক পেশায় প্রভাব পরবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: কিছুই হবে না, উনি আবার আপিল করবেন

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এনারা নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় বেচারারা ধরা পড়ে গেলেন। আমার এক পরিচিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে গত পাঁচ/সাত ধরে ইটবালির ব্যবসা ও বেশ কয়েকটি লরীর আয় থেকে লাগাতার খাইয়ে ও ওনার ব্যাগ বইয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে পুরুলিয়ার একটি কলেজে জয়েন করেছে। আমি কোন এক সময় তাকে বলেছিলাম,একটা গ্রুপ ডি চাকরি পাও তাহলে তোমার যোগ্যতা বুঝবো। কিন্তু ওর খবরটি পেয়ে নিজেই আজ ঢোক গিলছি। মোটের উপরে একথা বলাই যায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ক্ষয়রোগ উপমহাদেশের এক চলমান সমস্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তবুও কিছুনা স্বচ্ছতার পরিচয় রেখেছে। এটা একটা দেশ জাতির পক্ষে নিঃসন্দেহে আশার....

১০ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:১২

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: হুম

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

স্প্যানকড বলেছেন: বালের সাজা দিছে। দুঃখিত মুখ খারাপ না কইরা উপায় নাই। চিন্তায় আছি ব্লগেও এমন পি এইচ ডি বা চৌর্যবৃত্তি করার মতো পীর কামেল আছে কি না কে জানে? বহু এমন ডিগ্রীধারী পীর কামেল দেশে আরও আসে এ ধারা চলে আসছে, চলবে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: হুম

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: কষ্টকর, এরা কিভাবে প্রথম হয় সেটাও প্রশ্ন

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: এটা কোন শাস্তি? পলিটীক্যাল প্রেসারে এই কম শাস্তি দিয়েছে নিশ্চিত।
অন্য দেশে হলে এর পিএইচডি ডিগ্রিই বাতিল করে দিত।
হায়রে দেশ, চোরদেরকে আরো উতসাহিত করা হয়।

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: নাম বললে চাকরি থাকবে না

১০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: আয়রনি হলো আমার লেখাটাও কপি। এদের জন্য মৌলিক লেখার আগ্রহ বোধ করলাম না, খামাখা সময় নষ্ট

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: গবেষণা একদিনে হয়না, চৌর্যবৃত্তি ধরার দায়িত্ব ছিল সুপার ভাইজারের। তিনি দায় এড়াতে পারেন না।

উচ্চ শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে যদি শিক্ষা নিয়ে এমন চৌর্যবৃত্তি চলে, তবে জাতির ভবিষ্যৎ কি ভালো হবে!!

৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: জাতির ভবিষ্যৎ নেই

১২| ১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৫

জুন বলেছেন: একটা পেপারে পড়লাম শাস্তি পাওয়া একজন সংবাদ পাঠিকা+ ঢাবির টিচারের পক্ষ নিয়ে জনৈক মহিলা লিখেছেন ওনাকে নাকি
ইউনিভার্সিটির কতিপয় শিক্ষক নানা কারনে, হিংসা করে, তাঁর মধ্যে একটি হলো তাঁর অসাধারন চুলের স্টাইল :|
এটা পড়ার পর আমি বাক্যহারা :(

১৫ ই মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২১

মোতাব্বির কাগু বলেছেন: এই কথা শোনার পরে আমি এখন পাগল আছি। আমি বুঝতেছি না কি করা উচিৎ??? আমি আগামী সাতদিন পাগল থাকব
B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.