নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করেছেন বিমানের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এয়ারক্রাফটের ‘পাইলট’ সাদিয়া ইসলাম। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান, গণিতের মতো বিষয়ে পড়াশোনা না করে তিনি কীভাবে পাইলট হলেন, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।
সন্দেহ আছে সাদিয়ার নিয়োগ নিয়েও।
জানা গেছে, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সাদিয়া ইসলাম নিয়োগ পেয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে তার বিষয়ে তদন্ত করতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
সোমবার (৬ মার্চ) এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক বিমানের ফ্লাইট অপারেশন্স ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন সিদ্দিকুর রহমান। অপর দুই সদস্য হলেন, ফ্লাইট সেফটি বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন ইনাম তালুকদার ও ডেপুটি চিফ অব ট্রেনিং তাপস আহমেদ। তাদেরকে আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাইলট সাদিয়ার উচ্চ মাধ্যমিকের সনদ জাল কিনা, তাও যাচাই করতে বলা হয়েছে তাদের।
মানবিক বিভাগে পড়াশোনা করেছেন বিমানের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর এয়ারক্রাফটের পাইলট হয়েছেন, এ দায় ছাড়াও সাদিয়ার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ থাকায় তদন্ত কমিটিকে তা যাচাই করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমানের একটি নিয়োগে পাইলটসহ তড়িঘড়ি করে ১৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এক বছর পর তাদের মধ্যে পাঁচজন বিমান নিয়ে ওড়ার সুযোগ পান। অন্যান্যরা জাল সার্টিফিকেট, অযোগ্যতা, লাইসেন্সিং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে চাকরিচ্যুত হন।
এই এক বছরে পাইলটদের প্রশিক্ষণ ও বেতন মিলিয়ে বিপুল অর্থ খরচ করে কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থার মধ্যেই সাদিয়া ইসলামের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলো। জানা গেছে, সাদিয়া ইসলাম বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী। অভিযোগ আছে, সাজিদের চেষ্টা-তদবিরেই নিয়োগ পান তার স্ত্রী। এমনকি প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়-স্বজনদেরও বিমানে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন ক্যাপ্টেন সাজিদ।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এম মাহবুব আলী বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। একটি অভিযোগ সামনে এলে সেটার সত্য-মিথ্যা দেখতে হবে। যেকোনো কিছু হলে তো অভিযুক্তকে সুযোগ দেয়ারও বিধান আছে।
প্রতিনিয়ত বিমানের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী আরো বলেন, সমালোচনার বিষয়টাকে ইতিবাচকভাবেই দেখা উচিত। দেশবাসীও চায় বিমান ভালো চলুক। যেসব অভিযোগ আসে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থাও নিই।
সাদিয়া ও তার নিয়োগের ব্যাপারে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বাংলানিউজ। কিন্তু তিনি বিদেশে থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া তদন্ত কমিটির আহবায়ক বিমানের ফ্লাইট অপারেশন্স ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা চলে। কিন্তু তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: ব্যাপক হারে দুর্নীতি শুরু করে যান আমাদের যুবরাজ।সেই টাকায় এখনো বিদেশে যুবরাজের হালেই বসবাস করছেন।তার থেকে জাতি বেরিয়ে আসতে পারে নাই।দুর্নীতি এখন ডাল পালা বিস্তার করে বিরাট বৃক্ষে পরিনত হয়েছে।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সেদিন একজন রিলেটিভের টিকিট কাটছিলাম, রিয়াদ থেকে ঢাকা যাবার। এর মধ্যে এই নিউজ সামনে আসলো। ডরে আর বিমানের টিকিট কাটতে পারলাম না!
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: যদি মানবিকের ছাত্রী হয়ে ঠিক-ঠাক প্লেন উড়াইতে পারে তাহলে সমস্যা কি? দেশে এর থেকে কত-শত জঘন্যতম জালিয়াতি হচ্ছে।
সার্টিফিকেট ঠিক থাকলে মেয়েটাকে অন্তত ডোমেস্টিক ফ্লাইট অপারেট করার সুযোগ দেয়া হোক।
ক্যাপ্টেন সাজিদের দিনকাল মনে হয় খারাপ যাচ্ছে- ওর গড ফাদাররা নির্ঘাত চিপায় পড়ছে।
৫| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
দারাশিকো বলেছেন: শেরজা তপন ভাইয়ের সাথে বিনীতভাবে দ্বিমত প্রকাশ করছি। এই মেয়েটার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নাই - কিন্তু জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলাই উচিত। মানবিকে পড়াশোনা করলেও সায়েন্সে পড়ার জাল সনদ দিয়ে চাকরীর আবেদন করা হয়েছিল। এই নিয়োগে যা দুর্নীতি হয়েছে তার শাস্তি পাওয়ার পর কেউ যদি সত্যিই তার যোগ্যতা দিয়ে বিমান উড়ানোর চাকরী পায় তাহলে মেনে নেয়া যেতে পারে।
৬| ১০ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হায় হায় সাদিয়া তো নির্ঘাত এক্সিডেন্ট ঘটাইবো। নিয়োগ ও জালিয়াতির বিচার হোক আগে।
৭| ১১ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯
বিটপি বলেছেন: তদন্তে পর্যটন মন্ত্রীর আন্তরিকতার ব্যাপক অভাব আছে। নইলে তদন্ত কাজ সুষ্ঠুভাবে করার স্বার্থে তার অথোরিটি সাদিয়া ইসলামের নিয়োগ স্থগিত এবং তার স্বামীকে সাসপেন্ড করত। এখন তারা দুজনেই ব্যবস্তার অজুহাতে তদন্ত কমিটিকে এড়িয়ে যাবে, তদন্ত কমিটি আবোল তাবোল সময় ক্ষেপন করবে এবং এক সময় অভিযোগের সত্যতা খুঁজে না পাওয়ার বয়ান দিয়ে তদন্ত শেষ করবে।
এখন বলেন, বাংলাদেশ বিমানে কে কে ভ্রমণ করতে চান?
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হায়রে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত পাইলটেও দুর্নীতি?