নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...........

..........।

Ashish

.................................................................

Ashish › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাতকড়া সিলেটের ঐতিয্যর একটি (আচার তৈরী করার প্রনালীসহ) :) :) :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৩৯



যে কয়েকটি জিনিসের নাম শোনামাত্র সিলেটের ছবি যে কারো মানসপটে ভেসে ওঠে, তার একটি সাতকড়া। লেবু গোত্রীয় এ ফল সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক সমাদৃত। ভিন্ন স্বাদের এ ফলের জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিশ্বময়। সারা বছর ছাড়াও কোরবানির ঈদের সময় সাতকড়ার চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।







সাতকড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Citrus macroptera var. assamensis। দেখতে চ্যাপ্টা গোলাকার, হলদে-সবুজ রঙের পুরু খোসা, শাঁসের পরিমাণ তুলনামূলক কম। দেখতে অনেকটা কমলালেবুর মতো। কিছুটা টক-তিতা স্বাদের। ভেতরে কমলালেবুর মতো সাতটি কড়া রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি 'হাতকড়া' নামে পরিচিত। এটি সাইট্রাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে এর চাষ হয়। তবে সাতকড়া ভারতের আসাম রাজ্যের পাহাড়ি এলাকার আদি ফল। প্রাচীনকাল থেকে স্থানীয় আদিবাসীরা এটি রান্না এবং ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। সাতকড়ায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি', ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস।

বিফ সাতকড়া কিভাতে তৈরি করবেন জানতে

Click This Link







সাতকড়া সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মাংস রান্নায়। মাংসের সঙ্গে রান্না করলে ভিন্ন রকম স্বাদ ও ঘ্রাণ পাওয়া যায়। সাতকড়া এবং গরুর পায়ের হাড় দিয়ে জনপ্রিয় 'খাট্টা' (টক জাতীয় রান্না) তৈরি করা হয়। তবে মাংস ছাড়াও মাছসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি রান্নায়ও সাতকড়া ব্যবহৃত হয়। সাতকড়ার খোসা দিয়ে নানা স্বাদের মুখরোচক আচার তৈরি হয়। সাতকড়ার খোসা শুকিয়ে, ভাপ দিয়ে ফ্রিজে দীর্ঘদিন রেখে খাওয়া যায়। প্রতিবছর কোরবানির ঈদের সময় সাতকড়ার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। এখন সাতকড়ার মৌসুম হলেও এবার প্রতি হালি সাতকড়া ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

একটা সময় সাতকড়ার সুবাস সিলেটে সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এখন তা দেশব্যাপী বিস্তৃত। মেহমান আপ্যায়নে সাতকড়ার এমন চাহিদা যে বাইরে থেকে সিলেটে বেড়াতে আসা ভোজনরসিকরা আগেই নিশ্চিত করে নেন খাবারে সাতকড়ার উপস্থিতি। তবে সাতকড়া রান্না করা একটু জটিল। পরিমাণে এদিক-সেদিক হলে রান্না বিস্বাদ হয়ে যায়। অভিজ্ঞতা ছাড়া সাতকড়া রান্না করা নিয়ে অনেক মজাদার ঘটনা রয়েছে।

সাতকড়ার আচার





উপকরণ: সাতকড়া-২-৩টি, সিরকা-২ কাপ, লবণ-৮ কাপ, সরিষার তেল-১ কাপ, রসুন বাটা-আড়াই চা চামচ, সরিষা বাটা-২ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া-৩ চা চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়া-দেড় চা চামচ

প্রণালি: সাতকড়া ভালোভাবে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিন। টুকরা করে কাটুন। একটি মাটির পাত্রে সাতকড়া টুকরো, লবণ ও সিরকা মিশিয়ে কড়া রোদে দিন তিন-চার দিন। একটি পাত্রে সরিষার তেল গরম করুন। তাতে রসুন বাটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। রসুন একটু ভাজা হলে তাতে একে একে বাকি মসলাগুলো দিয়ে কষান। সিরকা থেকে শুধু সাতকড়ার টুকরোগুলো নিয়ে ওই তেলে ছাড়ুন। ভালো করে কষান। লবণ মেশান। সিরকা স্বাদ অনুযায়ী মেশান। তেল ওপরে ভেসে উঠলে নামিয়ে নিন।

সূত্র: গওহর আফজা



সিলেটের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে সাতকড়া অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রবাসী সিলেটিরা বিদেশ-বিভুঁইয়ে সাতকড়াকে পরিচিত করে তুলেছেন।





তাই দিন দিন সাতকড়ার রপ্তানি বাড়ছে, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে এর বিশাল চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী আত্মীয়-স্বজনকে সিলেটের মানুষ প্রতিনিয়তই সাতকড়া পাঠিয়ে থাকেন। দেশে বেড়াতে এলে যাওয়ার সময় প্রবাসীরা সাতকড়া সঙ্গে নিতে ভোলেন না। এমন কোনো সিলেটি মা পাওয়া যাবে না, যার সন্তান বিদেশে থাকে, অথচ তাকে তিনি হাতকড়া পাঠাননি।





সূত্র : ইন্টারনেট থেকে

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৪

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সাতকড়া দিয়া গরুর মাংশ খাইয়া দেখার শখ আমার মেলা দিনের।


+++++++++++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৬

Ashish বলেছেন: চলে আসেন । এক সাথে খাওয়া যাবে । :)

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৫

নজরুল মিন্টো বলেছেন: সাতকড়া নয়; সাতকরা। সিলেটি ভাষায় 'করা' অর্থ কোষ। সাতটি কোষের ফল বলে এটাকে সাতকরা বলা হয়। সিলেটে সাতকে হাত বলা হয়। 'স' 'শ' বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে 'হ' উচ্চারিত হয়।

প্রথম ছবিটি সাতকরার নয়। এটার নাম আদা জামির। সিলেটে লেবুকে জামির বলা হয়। আদা জামির মানে অধর্েক লেবু। এর কোষগুলো লেবুর চাইতে বড় এবং জাম্বুরার চাইতে ছোট হয়ে থাকে বলে হয়তো এই নামকরণ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৭

Ashish বলেছেন: গুগল থেকে ছবি টি আপলোড করেছি। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১৬

Ashish বলেছেন: নজরুল মিন্টো @ আমি পোষ্টের কুনো ছবি দেখতে পাচ্ছি না কুনো সমাধান দিতে পারেন কি?

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:০৬

আবহমান বাংলা বলেছেন: সিলোট যাইবার কালে জাম্বুরার মত এই ফলখান দেখছি। যার বাসাত রইছি, মাংস খাইতাম দিছে, কিন্তু ইঠার মইদ্দে সাতখড়া দিছে না। দুক্কু ফাইছি কিন্তু ইঠা নিয়া আর মাতছি না।

ফুস্ট বালা ফাইছি। আফনেরে দইন্যা!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১০

Ashish বলেছেন: :D মুরগী খান ত? আচার বানানির প্রনালি দেয়া আছে । তৈরি করে খেয়ে নিবেন । :P

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৮

কেতকী বলেছেন: সাতকড়ার আচার-শুনেই জিবে জল চলে এসেছে :D

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫১

গ্রাম্যবালিকা বলেছেন: আমি খেয়েছি বিফ এর সাথে। অনেক মজা। :)
ঢাকায় কোথায় পাওয়া যায় যদি বলতেন দয়া করে।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৩

আনমনে বলেছেন: +++++++++++++++++++++্ সাতকরা অনেক ভালো লাগে......

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪

মামুন রশিদ বলেছেন: সাতকরার ফ্লেভার নাকে লাগছে :) :)

বাসায় নিয়মিত সাতকরা ভূনা মাংস আর আচার চলে :) :)

প্রথম ছবিটা সাতকরার নয় :(

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০৫

আনমনে বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম

৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৬

যাযাবর নাবিক বলেছেন: সাতকরা না হাতকরা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.