নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

আশরাফ আল দীন

কবি, শিক্ষাবিদ ও প্যারেন্টিং এক্সপার্ট

আশরাফ আল দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারি চাকরির দায় এবং দায়িত্ব

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৬

আমি নিজেও দীর্ঘদিন #সরকারিচাকরি করে সম্মানের সাথে অবসর গ্রহণ করেছি। আমরা যেভাবে শিখেছি তা হলোঃ
সরকারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা, সরকারি চাকরিতে যে কোন বিভাগে অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মানে হচ্ছে, প্রত্যেক #কর্মকর্তার কিছু দায় আছে এবং কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।

#সরকারি কর্মকর্তাদের সবচেয়ে বড় দায় হলোঃ তাদের ব্যক্তিগত অবহেলার জন্য, ঢিলেমী বা খামখেয়ালীর জন্য, অথবা অজ্ঞতার জন্য যদি সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তাদেরকে জবাবদিহি করার বিষয় রয়েছে এবং এই অযোগ্যতার মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা অবশ্যই আছে।

বাংলাদেশে কি আমরা এখন সেটা অনুসরণ করছি না? ওষুধ প্রশাসন এবং নানা সরকারি অঙ্গসংগঠনের সরকারি কর্মকর্তাদের বলতে শুনছি, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী উদ্ভাবিত করোনা সনাক্তকরণ কিট সরকারি নিয়ম মেনে হয়নি সেই কারণে এই কিট গ্রহণ করা হবে না এবং তাঁর বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ তাঁর উপর মামলা-হামলা ইত্যাদি হতে পারে!

এখন কথা হলো বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে যত বেশি দ্রুত সম্ভব বেশি মানুষের রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যে তাদের মধ্যে কোন #করোনাভাইরাস আছে কি-না? এটাই এই মুহূর্তের চাহিদা এবং মানুষের প্রাণ রক্ষা করার মতো চ্যালেঞ্জ! এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় ওষুধ প্রশাসন বা অন্যান্য দায়িত্বশীল সহকারী সংগঠন তাদের যে দায় এবং দায়িত্ব পালন করার কথা এবং সহযোগী মনোভাব নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা অন্যদের সাথে কাজ করার কথা, সেটা তারা কি করেছেন?

এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। তাদের যদি গাফিলতি থাকে তবে তাদের প্রত্যেককেই জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত। এটাই হবে সরকারের দেশপ্রেমমূলক পদক্ষেপ। অন্যথায় মনে হবে, #সরকারিকর্মকর্তারা এখন আর প্রজাতন্ত্রের চাকর নয় বরং স্বঘোষিত এক একজন সম্রাট! কারো কারো ব্যবহার এমন যে সম্মানিত নাগরিকদেরকেও অফিস থেকে হুকুম দিয়ে বের করে দিতে পারেন এবং যেকোন কথা বলে পার পেয়ে যেতে পারেন! বিষয়টা সরকার এ দেশের মানুষের স্বার্থে খতিয়ে দেখা উচিত।

বাস্তবতা হচ্ছেঃ অযোগ্য কিন্তু তেলবাজ ও তোষামোদকারী সরকারি কর্মকর্তারা শুধু দেশের ক্ষতি করে না, সরকারি দলেরও মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। তা'ছাড়া, এদের শাস্তি না হওয়াটা দেশপ্রেমিক, যোগ্য এবং নিবেদিতপ্রাণ অসংখ্য #সরকারিকর্মকর্তা ও চাকুরের প্রতি অবজ্ঞা দেখানোর শামিল। তাই এদেরকে যথাযথ বিচারের আওতায় আনা উচিত! এদের লাগাম টেনে ধরা দেশের স্বার্থে প্রয়োজন।

আমরা সরকারি চাকরি করেছি সম্মানের সাথে কিন্তু "প্রজাতন্ত্রের চাকর" হিসেবে, মালিক-মোক্তার হিসেবে নয়। এখনো #প্রজাতন্ত্রেরচাকর হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে এবং মন্ত্রীদের কাজ করতে হবে "স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা সেবক" হিসেবে, জমিদার বা রাজন্য হিসেবে নয়। মন্ত্রীমহোদয়রা রাজনীতি থেকে আসেন সুতরাং তাঁরা রাজনীতি করবেন, সন্দেহ নেই। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা কেন রাজনীতির ক্রীড়নক হয়ে কাজ করবেন? তাঁরা তো সরকারি নিয়ম-নীতি এবং জনগণের স্বার্থকেই উর্ধ্বে তুলে ধরবেন! কোন দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন অথবা দলীয় নেতাদের খুশি করার জন্য তাঁরা কেন কাজ করবেন? তাহলে তাঁরা সরকারি কর্মকর্তা হলেন কিভাবে?
"সরকার" মানে কোন নির্দিষ্ট দল বা জোট নয়, #সরকার মানে দেশ! সরকার মানে দেশের সকল জনগণ।

আসুন, দেশের কল্যাণে এবং ভালোবাসায় একনিষ্ঠ হই।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারি লোকে বলে রাজার চাকরি।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২২

নতুন বলেছেন: সমস্যাটা কিট নিয়ে না সমস্যা অন্য খানে হচ্ছে।

দেশের এখন টেস্টিংএর জন্য ভাল ব্যবস্তা দরকার সেইদিকে খেয়াল রাখলে সরকারই আগ্রহ দেখাতো এবং তাদের সাহাজ্য করতো।

এখন উল্টা সমস্যা সৃস্টি করছে।

যদি কিট কাজের না হয় সেটাতো দেখতে পারে, কাজের হলে তো দেশরই ভালো।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শুধু কীট না অনেক সময় সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থে সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে। আমলাতন্ত্র উপমহাদেশে অভিশাপ হিসাবে দেখা দিয়েছে ।
বাংলাদেশি সরকারি কর্তারা নিজেদের এখন ভগবান ভাবে।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি কোন আমলের কথা বলছেন,বা কোন দেশের কথা বলছেন ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।তবে বাংলাদেশ এমন অবস্থা কখন ছিল না । সেটা যেকোন সরকারে আমলই হোক।চোখ যেমন নিজেকে নিজে দেখতে পারেনা,সরকারী চাকুরি করতেন বলে জনগনের চোখে সরকারকে দেখতে পারেন নাই?

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি করেছেন ঠিকভাবে । আগে এবং পরে সব বাটপাড় । :-P

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আশরাফ আল দীন ভাই,
সাধারণ মানুষ কখনো কখনো ভুলে যান সরকারি চাকরিজীবি সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জন্মের সাথে সাথে রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরেন না ঠিক তেমনি সরকারি চাকরি নিয়েও কেউ পৃথিবীবে জন্মগ্রহন করে না।

সাধারণ জনগণ থেকেই কেউ না কেউ রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন, আর কেউ হয়তো সরকারি চাকরিজীবি হয়ে উঠে। সাধারণ জনগন সেই সচেতনতা ধরে রাখলেই পারেন যে - সরকারি চাকরি করে কোনোদিন দুর্নীতি করবেন না, আর রাজনীতির সাথে জড়ালে দেশের সেবা করেবেন - হিসাব সহজ।

সরকারি চাকরির প্রতি এই দেশের মানুষের যেমন আছে লোভ ঠিক তেমনি আছে প্রবল হিংসা। ব্লগে অন্যান্য ব্লগাররা যেদিন থেকে জানতে পারবেন আপনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবি! শুরু হয়ে যাবে অক্লান্ত ব্যক্তি আক্রমণ আপনার প্রতি। সম্ভব হলে প্রোফাইলে নিজের পরিচয়ের স্থানে সরকারি চাকরির ইতিহাসটি মুছে রাখুন। ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ খুবই দুঃখজনক হয়ে উঠে।

সহব্লগার হিসেবে পাশে পাবেন সব সময়।

সময় নিয়ে যথেষ্ট পরিশ্রম করে পোস্ট দিয়েছেন - ধন্যবাদ।


৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সহমত।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: সব যায়গায় অযোগ্য লোক বসে আছে।
বড় বড় কর্মকর্তারা সব শিশুর মত আচরন করছেন।
এই অবোধ শিশুরা কিভাবে প্রমোশন পেয়ে উচুতে পৌছুল?

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

সুপারডুপার বলেছেন:


সরকারি চাকরির দায়, দায়িত্ব ও দুর্নীতি লেখলে ভালো করতেন! কারণ দেশে সরকারি চাকরির কথা শুনলেই মানুষের মাথায় প্রথম যে দুটি শব্দ ক্লিক করে সেটা হচ্ছে , 'দুর্নীতি' ও 'ইভারলাস্টিং চাকরি'। আপনি ডিফেন্সে ছিলেন, ডিফেন্সেও উপরের লেভেলে দুর্নীতি আছে। আর সিভিলেতো টপ টু বটম দুর্নীতিতে আক্রান্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.