নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

আশরাফ আল দীন

কবি, শিক্ষাবিদ ও প্যারেন্টিং এক্সপার্ট

আশরাফ আল দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন পড়া ও শোনা

১৩ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০৯

আল্লাহ কর্তৃক মানুষের কল্যাণের জন্য প্রেরিত পবিত্র এই গ্রন্থ মানুষ বার বার পাঠ করবে, তাই এর নাম হয়েছে "কোরআন"। কোরআনকে প্রত্যেক মুসলমানের বার বার পড়তে হবে ও শুনতে হবে।

কোরআন কেন পড়তে হবে?
কোরআন পড়তে হবে উপদেশ গ্রহণের জন্য। কারণ, আল্লাহ নিজেই বলছেন, "আমি অবশ্যই উপদেশ গ্রহণ করার জন্য কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি। কে আছে (এর থেকে) শিক্ষা গ্রহণ করার?" (সূরা আল ক্বামার :১৭) আরো বলা হয়েছে, যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না (৩৫:২৯) তাই, #কোরআন পড়তে হবে, শুনতে হবে এবং এথেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

পড়া মানে কি?
#পড়া মানে হলো, লিখিত বা ছাপানো অক্ষরগুলো দেখে দেখে পাঠ করা অথবা স্মৃতি থেকে আবৃত্তি করা।
মান বিচারে ‘পড়া’কে তিনটি শ্রেণীতে বিভাজন করা যায়ঃ

এক. পড়তে পড়তেই যা #পড়া হচ্ছে তার অর্থ পুরোপুরি হৃদয়ের মধ্যে প্রতিফলিত হওয়া অর্থাৎ যা পড়ছি তা বুঝতে পারা;

দুই. পড়ছি কিন্তু পুরোটার মর্মোদ্ঘাটন সম্ভব হচ্ছে না। কিছু কিছু শব্দ বা কিছু কিছু বাক্য আয়ত্তে আছে বলে কি পড়ছি তা মোটামুটি আঁচ করতে পারা; আর

তিন. সশব্দে পড়তে থাকা বা আবৃত্তি করা, কোন কিছু না বুঝে। কি পড়লাম তা আমি জানি না, কারন অর্থ আমার আয়ত্তে নেই, অথবা আমি বুঝার চেষ্টাও করিনি!

যে কোন ভাষার ব্যাপারে বাস্তবতা হচ্ছে, অর্থ না বুঝতে পারলে সঠিকভাবে আবৃত্তি করাও মুশকিল। কারণ, তখন মনের ভাবটাকে বা আবেগকে অর্থের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কন্ঠস্বরকে উঠানামা করানো যায় না। সঠিক বডি ল্যাঙ্গুয়েজ প্রকাশ করা সম্ভব হয় না।

সে যাই হোক, উপরের তিনটা শ্রেণীর মধ্যে প্রথম শ্রেণীটাই সর্বোত্তম, এবং সবচেয়ে দুর্বল হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণীটা। কোরআন পাঠ করার ব্যাপারে যদি সওয়াবের কথা বিবেচনা করি তাহলে, প্রথম শ্রেণীতে সবচেয়ে বেশি সওয়াব এবং উপকার পাওয়ার কথা। গবেষক আলেমরাও সে কথাই বলেন। দ্বিতীয় শ্রেণীতে মোটামুটি কিছু সওয়াব পাওয়া যাবে, আশা করা যায়। আর, তৃতীয় শ্রেণীতে প্রথম শ্রেণীর তুলনায় অত্যন্ত নগন্য পরিমাণ সওয়াব পাওয়ারই কথা। যেকোন বিবেচনায়, প্রথম পদ্ধতিতে কয়েকটা পৃষ্ঠা পড়া তৃতীয় পদ্ধতিতে সমগ্র গ্রন্থ পড়ার চেয়েও উত্তম এবং বেশি সওয়াবের কাজ হবে বলে আমার মনে হয়। আলেমদের সাথে কথা বলে এটুকুই আমি বুঝতে পেরেছি।

অর্থ বুঝে পড়ার ব্যাপারে যাদের সক্ষমতা নেই, তারা তো নিরুপায় হয়ে তৃতীয় পদ্ধতিতেই পড়বেন, তা আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু যারা অর্থসহ পড়তে সক্ষম অথবা অর্থ বুঝে পড়তে সক্ষম, তারা কেন তৃতীয় পদ্ধতি অনুসরণ করবেন এবং কম পরিমাণ সওয়াব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন? এখনো আমাদের সমাজে কিছু বয়স্ক মানুষ আছেন এবং প্রান্তিক কিছু মানুষ আছেন যারা আরবি ভাষাটা কোনমতে পড়তে পারেন কিন্তু বুঝতে পারেন না এবং তারা বাংলা, উর্দু, বা ইংরেজি ভাষা পড়তে পারেন না। সুতরাং কুরআনের বাক্যগুলোর অর্থ বা অনুবাদ অন্য ভাষায় পড়ার সক্ষমতাও তাদের নেই। তারা তৃতীয় পদ্ধতিতে পড়ছেন একান্ত বাধ্য হয়ে। কিন্তু যাদের অন্য ভাষার দক্ষতা আছে অথবা আরবি ভাষায় মর্মোদ্ধার করতে পারেন তারা কেন তৃতীয় পদ্ধতিতে শুধু মাত্র সওয়াবের জন্য কোরআন পড়বেন?

অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করার মতো একটি বিষয় হচ্ছেঃ আমাদের সমাজে এই তৃতীয় পদ্ধতিতে কোরআন পড়ার বিষয়টাকেই "খতমে কোরআন" নাম দিয়ে প্রচুর সওয়াবের প্রতিশ্রুতিসহ জনপ্রিয় করা হয়েছে। এর উৎস ও ভিত্তি কি আমার জানা নেই। কিন্তু এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র সওয়াবের আশায় অর্থ না বুঝে অতি দ্রুত গতিতে কোরান পড়তে গিয়ে, আমরা যে কোরআন থেকে বরং দূরে সরে যাচ্ছি, এই কথা শিক্ষিত মহলকে বুঝতে হবে। অর্থ অনুধাবন করে সমগ্র #কোরআন #তেলাওয়াত করার যে সীমাহীন মর্যাদা সেটা সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে। সেটাই হবে সঠিক ‘খতমে কোরআন’।

যেভাবে কোরআন পড়তে হবে।
"যাদেরকে আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তা পাঠ করে যথার্থভাবে। তারাই তার প্রতি ঈমান আনে। আর যারা তা অস্বীকার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।" (সূরা আল বাকারাহ :১২১) এখানে "যথার্থভাবে" মানে হলোঃ অর্থ বুঝে পড়া, হৃদয়ঙ্গম করে পড়া, খেয়াল করে পড়া। কারণ, আল্লাহ নিজেই বলছেনঃ (আল-কোরআন) যা বারবার আবৃত্তি করা হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের গা এতে শিহরিত হয়, তারপর তাদের দেহ-মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়। (৩৯:২৩) আবার বলা হয়েছে যখন মুমিনদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে। (৮:২) অর্থ না বুঝে পড়লে এই প্রতিফলনগুলো কিভাবে সম্ভব? তাহলে, আমরা যদি অর্থ না বুঝে কোরআন পড়া ও শোনাতে বুঁদ হয়ে থাকি তাতো কোরআনের কথাকেই অমান্য করা হলো!

আমরা যেভাবে #কোরআন তেলাওয়াত করি।
আমরা, অধিকাংশ মুসলমান, অর্থ না বুঝে কোরআনের সঠিক মর্ম উদ্ধার না করে তোতাপাখির মতো পুরো গ্রন্থটা পড়ে ফেলি, অনেক সময় ব্যয় করে এবং অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে! আমি এমন আল্লাহর বান্দাকেও জানি যিনি রমাদানের এক মাসের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার কোরআন খতম করেন! তাঁর পরিশ্রম এবং যে দ্রুতগতিতে তিনি কোরআন পড়েন সেই অবস্থাটা চিন্তা করে দেখুন! অঢেল সওয়াবের ব্যাপারে তিনি এতটা নিশ্চিত যে তিনি তাঁর মায়ের নামে কোরআন খতম করেন, বাবার নামে কোরআন খতম করেন, এবং অন্য প্রিয়জনদের নামে কোরআন খতম করেন। অর্থাৎ প্রিয়জনদের মধ্যে সওয়াব বিতরণ করেন। কিন্তু যতটুকু সময় ব্যয় করে এবং যে পরিমাণ কষ্ট করে তিনি এত বেশি বার 'কোরআন খতম' করলেন তার অর্ধেক পরিমাণ অথবা আরও কম পরিমাণ সময় ব্যয় করে অথবা কম কষ্ট করেও যদি তিনি কোরআনের কথাগুলোকে বুঝার চেষ্টা করতেন, অর্থাৎ প্রথম পদ্ধতিতে কোরআন পড়তেন, তাহলে তাঁর তো আরও বহুগুণ বেশি সওয়াব হওয়ার কথা! কম পরিশ্রমে বেশী সওয়াব অর্জনের পথকে তিনি অবহেলা করলেন, জেনে হোক বা না জেনে হোক! একথা কি অধিকাংশ মুসলমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়?

কতটুকু সওয়াব হবে?
হাদীস শরীফে আছেঃ "মুহাম্মদ ইবনে বাশশার (রহঃ)--- আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (দঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে তার নেকি হবে। আর, নেকি হয় দশ গুণ হিসাবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মিম মিলে একটি হরফ বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মিম আরেকটি হরফ"। (সুনান আত তিরমিযী-২৯১০)
প্রশ্ন করা হতে পারে, এটা কি বুঝে পড়লে নাকি না বুঝে পড়লেও? যদি ধরে নিই যে, না বুঝে পড়লেও ওই পরিমাণ সওয়াব হবে, তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন তো, বুঝে পড়লে তার চেয়ে কতগুণ বিপুল পরিমাণ #সওয়াব হবে! এবং, যে কোন কারণে, অর্থ না বুঝতে গিয়ে আমরা কি বিপুল পরিমাণ সওয়াব ও বরকত থেকে বঞ্চিত হচ্ছি!

প্রত্যেক মুসলমানকে চেষ্টা করতে হবে প্রথম পদ্ধতিতে কোরআন পাঠের সক্ষমতা অর্জন করার। আমরা কোরআনের প্রতি অবিচার করছি। পবিত্র কোরআনের প্রতি এবং নিজেদের প্রতি সুবিচার করার জন্য #কোরআন পাঠ করে তার অর্থ অনুধাবন করতে হবে। কোরআন পাঠ করলে অথবা তেলাওয়াত করলে যে সওয়াবের কথা বলা হয়েছে সেটা হলো পবিত্র কোরআনের বাড়তি মোজেজা ও মর্যাদা। একজন সচেতন মুসলমানের শুধুমাত্র সেই মোজেজাটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কোন উপায় নেই। তাছাড়াও, কোরআন পাঠ করলে যিনি পড়বেন তারই সওয়াব হবে। কোরআন #তেলাওয়াত করে এর সওয়াব অন্যকে দেওয়া যায় না। #কোরআন পাঠ শেষে আপনি অন্যের জন্য বা অন্যদের জন্য দোয়া করতে পারেন। যিনি কোরআন তেলাওয়াত করলেন তিনিই দোয়া করবেন, এই দোয়া কোন মৌলভী বা অন্যকে দিয়ে করানো অমুলক।

শোনা মানে কি?
#শোনা মানে হলোঃ কোন কিছু অর্থময়তাসহ শ্রবণ করা এবং তা উপভোগ করা। মানের বিচারে ‘শোনা’কেও তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ

এক. শুনতে শুনতেই বুঝতে পারবে কি শুনছে এবং এর মর্মকথা কি। যেমন, কেউ একজন বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখলেন। আমি তা সরাসরি বা রেকর্ডে শুনতে শুনতেই বুঝতে পারলাম। যেহেতু আমি বুঝতে পারছি, বক্তার কিছু কথা আমাকে আনন্দিত করবে আর কিছু কথা আমাকে রাগান্বিত করবে। এটাই প্রকৃত শোনা।

দুই. কিছু কিছু পরিচিত শব্দ অথবা বাক্যাংশের কারণে আঁচ করতে পারবে কি শুনছে। ব্যাপারখানা অনেকটা অল্প পরিমাণে উর্দু বা হিন্দি জানা লোকের সেই ভাষার গান #শোনার মতো, কিছু কিছু বুঝবে সামান্য মাথা দোলাবে কিন্তু কি বুঝলো তা অন্যকে বলতে পারবে না। বলা যায়, অপূর্ণভাবে শোনা। আর,

তিন. যে কোন ভাষাকে না বুঝেও শুনতে থাকা। অর্থ আর ভাব না বুঝে ভিন্ন কোন ভাষা শোনার মতো অথবা পাখির সুরেলা কন্ঠ শোনার মতো শব্দ ঝংকার কর্ণকুহরে গ্রহণ করা। অনেকে বলেন, ‘শোনা’র সঠিক অর্থ এখানে প্রযোজ্য হয়না।

এক্ষেত্রেও প্রথম দলটির স্থান দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল থেকে অনেক ঊর্ধ্বে, নিঃসন্দেহে। তাই, যদি #কোরআন পাঠ শ্রবণ করা নিয়ে কথা বলি তাহলে, প্রথম দলই সবচেয়ে বেশি #সওয়াবের অধিকারী হবে এবং তৃতীয় দলের #সওয়াব হবে সেই তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য পরিমাণ। আমাদের উচিত হবে অসহায়ের মতো তৃতীয় দলে পড়ে না থেকে প্রথম দলে শামিল হওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালানোর। অন্ততঃ, তা না হলে, দ্বিতীয় দলে পৌঁছে যাওয়ার। অনেকে আবেগের বশে মনে করেন, নতুন #কোরআন মুখস্থ করেছে এমন বালক বা যুবক হাফেজকে দিয়ে নামাজ পড়ালে অনেক বেশি সওয়াব হবে বা আল্লাহ খুশি হবেন। অথচ সেই হাফেজ তৃতীয় দলের মধ্যেই পড়ে, কারণ সে সবেমাত্র পবিত্র আয়াতগুলো মুখস্থ করেছে, এখনো ভাষা শেখে নি! প্রথম দলের হাফেজের উপস্থিতিতে তৃতীয় দলের হাফেজকে দিয়ে নামাজ পড়ানোর মধ্যে কি বরকত থাকতে পারে? যদি একজন নতুন হাফেজকে উৎসাহ দিতে হয় সেটার জন্য অন্য অনেক পন্থা আছে। কিন্তু মর্যাদার দিক থেকে প্রথম দলের কোন হাফেজের উপর তৃতীয় দলের মর্যাদা বেশি দেয়া যাবে না।

খতমে কোরআন।
পুরো কোরআনকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবার ‘যথার্থভাবে পাঠ’ শেষ করাকেই খতমে কোরআন বলা হয়। নিজে পড়ে বা অন্যের পড়া শুনে এর অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, এর অর্থ ও বক্তব্যের প্রভাবে প্রভাবিত হতে হবে। সেটাই হবে ‘খতমে কোরআন’। এর সওয়ার ও বরকত সীমাহীন। আল্লাহ চান তাঁর বান্দাহ এভাবেই কোরআন পাঠ করুক। একজন হাফেজ নামাজের ভেতর দীর্ঘ কেরাআত সমন্নয় করলে এবং প্রকারান্তরে (বিশেষতঃ রমাদান মাসের তারাবীর মধ্যে) সমগ্র কোরআন শেষ করলে নামাজের মান বৃদ্ধি পাবে এবং সওয়াবও বৃদ্ধি পাবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যদি বলা হয়, এতে মুক্তাদীরও (যিনি কোন অর্থ না বুঝেই শুধু শুনেছেন) ‘কোরআন খতম’এর সওয়াব হবে, তাহলে যথার্থ ‘খতমে কোরআনে’র ভুল ব্যাখ্যা করা হবে। বিভ্রান্ত হয়ে অনেকেই মনে করবেন তিনি তো বহুবার কোরআন খতম করেছেন, কারণ তিনি অনেকবার খতমে তারাবীতে অংশ গ্রহণ করেছেন! আসলে তিনি জীবনে একবারও অর্থসহ সমগ্র #কোরআন পড়েন নি, বা শোনেন নি! আল্লাহর কাছে কোরআনের আয়াতের প্রেক্ষিতে (২:১২১, ৩৯:২৩, ৮:২) কি এই হিসাব দেয়া যাবে যে, তিনি ‘কোরআন খতম’ করেছেন? এইসব বিষয়ে আমাদেরকে গভীরভাবে ভাবতে হবে।

আসুন, আমরা এসব অতিকথনের গোলকধাঁধাঁ থেকে বেরিয়ে এসে জীবনে অন্ততঃ একবার সঠিক অর্থে ‘কোরআন খতম’ করি। এখনো যদি না হয়ে থাকে, আজকে থেকেই, প্রতিদিন একটু একটু করে, একাজ শুরু করি। এতে হয়তো বছর লেগে যাবে; তা লাগুক! আপনি যে আপনার ‘#খতমেকোরআন’ #রমাদান মাসেই শুরু করলেন এর জন্যে আল্লাহ নিশ্চয় আপনাকে অনেগুন বেশী #সওয়াব দেবেন। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে জীবনে অন্ততঃ একবার যথার্থভাবে ‘কোরআন খতম’ করার তওফিক দিন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে বারবার সঠিকভাবে কোরআন ‘পড়া’ এবং ‘শোনা’র তৌফিক দিন। জীবন চলার পথে আমরা যেন কোরআনের নির্দেশনা মোতাবেক কোরআন থেকে ‘উপদেশ’ ও ‘শিক্ষা’ গ্রহণ করতে পারি। আমিন

মিরপুর ৯/৫/২০
আশরাফ আল দীন।। শিক্ষাবিদ, কবি, গবেষক ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১২:২৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান কোন ভাষায় পরতে হবে।আমি আরবি বুঝিনা।বাংলায় পরলে কি হবে?

২| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৩:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আমাদের কোরআন বুঝার ক্ষমতা দিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.