নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলী আশরাফ খান

ব্লগে কবিতা, ছড়া এবং কর্মসংস্থানমূলক প্রবন্ধ লিখব বলে আশা করি।

আলী আশরাফ খান

সরকারি চাকুরী করি, কবিতা, প্রবন্ধ লিখি। ভ্রমণ এবং বই পড়া নেশা।

আলী আশরাফ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আঙুর গাছের পরিচর্যা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮

আঙুর গাছের পরিচর্যা

মোঃ আলী আশরাফ খান



মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অর্থাত্ ফুল আসার পর থেকে ৭০ দিনের মধ্যে আঙুর পাকতে শুরু করে। তবে মিষ্টি করার প্রয়াসে পরিপূর্ণভাবে পাকাতে আরও প্রায় ২৫-৩০ দিন সময় লাগবে। এ সময় আঙুরের রং গাঢ় বাদামি বা হলদে বর্ণ ধারণ করবে ও আঙ্গুরের থোকার বোঁটা সবুজ বর্ণ থেকে গাঢ় তামাটে বর্ণ ধারণ করবে। এ সময় গাছে ঝাঁকুনি দিলে দু’চারটি আঙুর নিচে পড়ে যাবে। তখনই বুঝতে হবে আঙুর মিষ্টি হয়েছে এবং সংগ্রহ করার সময় হয়েছে। সব থোকার আঙুর একই সময়ে পাকবে না। সুতরাং ভিন্ন ভিন্ন সময় আঙুর সংগ্রহ করা যাবে। আঙুরের মিষ্টতা যাচাইয়ের জন্য ‘ব্রিস্ক মিটার’ ব্যবহার করা যায়। উক্ত যন্ত্র দ্বারা আঙুরের মধ্যে চিনির পরিমাণ (টিএসএস) মাপা যায়। তবে আঙুরের মধ্যে ১৬ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ সুগার পাওয়া গেলে তা মিষ্টি বলে ধরে নেয়া যায় এবং তা বাজারজাত করার যোগ্য।

উল্লেখ্য, লতা জাতীয় গাছের ফল কাটার সঙ্গে সঙ্গে এর ভেতরে মিষ্টি তৈরির কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য লতা জাতীয় গাছের ফল গাছেই সম্পূর্ণভাবে পাকাতে হবে। আঙুর সঠিকভাবে বড় ও মিষ্টি না হলে ফল ধরার পর পরিমিত পরিমাণ জীবরেফিক এসিড ও ইথরেল মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ১-৩ বার ছিটালে উপকার পাওয়া যায়। সম্পূর্ণভাবে পাকা আঙুরের থোকা কাঁচি দ্বারা সাবধানে কেটে নিতে হবে। থোকা এমনভাবে কাটতে হবে যাতে আঙুরের উপরিভাগে রক্ষিত পাউডারী আবরণ হাতের স্পর্শে নষ্ট হয়ে না যায়। কারণ, ওই পাউডারি আবরণ বাজারজাতকরণের সময় বাণিজ্যিক মূল্যায়নে মান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

রোগবালাই দমন : সাধারণত বৃষ্টির দিনে বা বাতাসে আর্দ্রতা থাকলে আঙুর গাছে ছত্রাকের আক্রমণ হয়। তাছাড়া পাতার মধ্যে ফোস্কার ন্যায় অংশবিশেষ শুকিয়ে যায় এবং মেঘলা আবহাওয়ায় পাতার নিচে পাউডারের ন্যায় সাদা গুঁড়ো দেখা যায়। এর ফলে গাছের ফুল ও ফলের যথেষ্ট ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। উপরোক্ত রোগগুলো দমনের জন্য রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে ১৫ দিন পরপর দু’বার গন্ধকের খুব মিহি গুঁড়ো বা দ্রবণীয় গন্ধক পানিতে মিশিয়ে তা গাছের পাতায় ছিটিয়ে দিলে উপকার পাওয়া যায়।

সাবধানতা : আঙ্গুর চাষে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তা হলো— (ক) রৌদ্রকরোজ্জ্বল জায়গায় গাছ রোপণ করা। (খ) পরিমাপমত সার ও পানি প্রয়োগসহ মাটিতে যেন পানি দাঁড়াতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। (গ) সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে কাণ্ড ছাঁটাই করতে হবে। (ঘ) গাছের গোড়ার মাটি মাঝে মাঝে আলগা করে পরিমাণমত চুন ও পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.