![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সন্ধ্যায় আমার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের(যেখানে আমি আমার শৈশব এবং কৈশোরের সোনালী দিনগুলো পার করেছি) ফ্ল্যাশ-মবের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করতে গিয়ে, একটা ভাবনা মাথায় খেলে গেলো। আমরা অধুনা বাংগালী জাতি আসলে একটা ভন্ড জাতি। শালা, আমাদের দেশপ্রেম এখনো ভারত-পাকিস্তান আর দেশী মুরগীতেই আটকে আছে- এ থেকে আমরা এখনো বের হতে পারলাম না।
কিছুদিন আগে এ.আর রহমানের সংগীত সন্ধ্যার পর দেশ ভারত হয়ে গেলো বা ভারতের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে এ নিয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ব্যাপক তোলপাড়। তখন বিদেশি কেউ, যিনি বাংলা ভাষা জানেন, ফেসবুক বা ব্লগে ঢুকলে মনে করতেন বাংগালীর মতো দেশপ্রমিক জাতি মনে হয় আর হয় না(আহা মধু...মধু)। দেশের শিল্পীদের যথাযথ মুল্যায়ন করা হয় নাই বলে সবার চেতনা দেখে আমি বাকরুদ্ধ(আবেগে)। কিন্তু কোন দেশপ্রেমিক শালা(তথাকথিত) এই প্রশ্ন তুললো না যে, এরকম একটা অনুষ্ঠানে দেশীয় শিল্পীরা ফিলার হইতে রাজি হইলো ক্যান। আমার এক শ্রদ্ধেয় স্যার ছাড়া আর কাউকেই দেখলাম না বিষয়টা নিয়ে কিছু বলতে।
এ তো গেলো ভারতীয় সংগীত নিয়ে আমাদের চেতনার কথা। ঊর্দু সংগীত নিয়ে কিছুই বলবোনা- তা যত ভালো গান-ই হোক না ক্যানো অথবা হ্যামিলনের বাশিওয়ালার মত পাগল করে দেয়া কোন শিল্পীই গান গাউক না ক্যানো। আমার কাছে সব পাকিই এক। সব সময়ই এক থেকে যাবে। ওদের সম্পর্কে আমার নিকৃষ্টতম ধারণা এবং ঘৃনা কখনোই বদলানোর নয়। একটা ছোট ঘটনা দিয়ে ব্যাপারটার তুলনা করা যায়। ভয়ংকর সুনামিতে বাবা-মা হারানো এক বাচ্চা সমুদ্র সৈকতে দাড়িয়ে সাগরকে বলছিলো-'যদি লক্ষ বছরও তুমি আমার পায়ে এভাবে আছড়ে পড়ে ক্ষমা চেয়ে যাও, তবুও কোনদিন আমি তোমাকে ক্ষমা করবোনা।'
তো বিজাতীয় সংগীত নিয়ে আমরা যখন এরকম সোচ্চার, তখন কিন্ত কেউই ফ্ল্যাশ মব নিয়ে টু-শব্দটা পর্যন্ত করছিনা। কারন এটা ভারত বা পাকিস্তান থেকে আমদানীকৃত কোন বিষয় নয়,বরং পশ্চিমা সংস্কৃতি। সুতরাং এ ব্যাপার নিয়ে কিছু না বললেও চলবে। বরং চেতনার জন্মস্থান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেকনাফ টু তেতুলিয়া, কে কত ভালোভাবে বিষয়টা(বেহায়াপনা ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই মনে হয় নাই) উপস্থাপন করতে পারে তার একটা প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে গেছে। হায়রে দেশপ্রেম.....হায়রে ভন্ডামি(আমি নিজেও একজন ভন্ড, কারন একটু আগেই ফ্ল্যাশ মবের ভিডিও 'ফিলিং প্রাউড' বলে শেয়ার করেছি)।
সামনে পহেলা বৈশাখ আসছে নির্লজ্জভাবে আমাদের ভন্ডামি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে(অবশ্য আমাদের যদি লাজ শরম থাকে)।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৭
শ্যাডো ডেভিল বলেছেন: অ
২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩০
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: কিছু কিছু পাবলিকের সব কিছুতেই চুল্কানি বেশি ।
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৬
শ্যাডো ডেভিল বলেছেন: হাছা কইছেন.....।
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুঝছি তো, তুমার দুঃখ, চট্রগ্রাম মেডিকেল কইরা ফালাইলো, তোমগো মেডিকেল কিছুই করে নাই এখনও।
১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
শ্যাডো ডেভিল বলেছেন: অনেক দু:খু ভাই, কেবল আফনেই বুঝলেন, আর কেউ বুঝলো না..... আসেন ভাই আফনেরে বুকে জরাই ধরি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৪
বোকামন বলেছেন:
আমি কেবল ‘ক্রিকেট’ খেলাটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। অতোটা আধুনিক বা সচেতন হতে পারি নি এখনো .... ..... .