নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছণ্ণ্ ছাড়া

ছণ্ণ্ ছাড়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

মায়রে মাথায় নিয়া হাঁটতে মোর কোন কষ্ট অয় না

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:০৪

বিভিন্ন ধর্মীয় কাহিনীতে আমরা শুনেছি পূন্যের আশায় মাকে মাথায় নিয়ে বা গলায় ঝুলিয়ে অনেক সন্তান দীর্ঘ দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন। ইসলাম ধর্মে হযরত বায়েজিদ বোস্তামি (র.) মায়ের শিয়রে সারা রাত পানি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হযরত ওয়ায়েজ কুরনি মাকে পিঠে বহন করেছেন দীর্ঘ দিন। হিন্দু ধর্মে শ্রবণ কুমার অন্ধ মা বাবাকে কাঁধে বহন করে গয়া কাশির উদ্দেশে গিয়েছিলেন।



কিন্তু এ যুগে এমন সন্তানের দেখা মেলা ভার। তারপরেও জিয়ানগরে অসুস্থ মাকে মাথায় বহন করে প্রায়ই ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার নামের এক সন্তান। মঙ্গলবার উপজেলার পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জের চন্ডিপুর গ্রাম থেকে শতবর্শী বৃদ্ধ মা উষা রানী মজুমদারকে (১১০) ঝুড়িতে নিয়ে মাথায় বহন করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন ছেলে ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চন্ডিপুর থেকে প্রায় ১০ মাইল দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে প্রায়ই ডাক্তারের কাছে অসুস্থ মাকে নিয়ে আসেন ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার। অর্থনৈতিক সংকটে খেয়ে না খেয়ে সংসার চলে তার। এ অবস্থায় মাকে চিকিত্সা করাতে খুব কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।



ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, ‘সৃষ্টি কর্তার পরইতো মা। তাই মায়রে মাথায় নিয়া হাটতে মোর কোন কষ্ট অয় না। টাহার অভাবে মায়রে ডাক্তার দেহাইতে ম্যালা কষ্ট অয়। হ্যারপরেও মায়রে মাথায় লইয়া হাটু সমান কাদা ভাইঙ্গা আইতে কোন কষ্ট ঠেহি না।’

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:০৮

লিরিকস বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: খবরের কাগজে কিছুদিন আগে দেখেছিলাম- এই মহামানবের মা তাকে ছেড়ে চিরদিনের মতো চলে গেছে। প্রথম বিষয়টি ইত্যাদির মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম, আজ আপনার পোস্টে পেলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.