নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

"আপনা মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে কর জয়" "জ্ঞান অপেক্ষা কল্পনা শ্রেয়"

আসিফ রেজা চৌধুরী (Asif Reza Chowdhury)

লেখালেখির কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না

আসিফ রেজা চৌধুরী (Asif Reza Chowdhury) › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ব্যাপকতা পূর্ণ "ঢাকা- কক্সবাজার- ঢাকা ভায়া বান্দরবান" ভ্রমন (পর্ব-১ যাত্রা পর্ব)

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৮

সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝির দিকে ভাবছিলাম যে পরীক্ষার পর সুন্দরবন যাব সিনিয়র ভাইদের সাথে। খোজ খবরও নেওয়া হল। কিন্তু কিছুদিন বাদেই ফাহমিন, শোয়েব, সিয়াম- এই ৩ বান্দা এসে হাজির কক্সবাজার ভায়া বান্দরবান এর ট্যুরের আবদার নিয়ে। কী আর করা- স্কুল+কলেজ এর বান্দ্রামির সাথীদের কথা ফেলতে তো আর পারি না। ফলাফল- সুন্দরবন যাওয়া ক্যানসেল।



এবার ট্যুরের ব্যাপারে যোগাড়যন্ত্র শুরু হল। শুরুতেই শুনি আমাদের সাথে ইনান আর পাভেল এর যাওয়ার কথা থাকলেও তারা যাচ্ছে না। তাহাদিগের পিতা তাহাদিগকে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য শুনাইয়াছেন। যাই হোক ফাহমিনের পিতৃ-সংযোগে মানে ওর বাবার লিঙ্কে বান্দরবানে এলজিআরডি রেস্টহাউস আর কক্সবাজারে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো তে থাকার ব্যবস্থা করা হল। এবার যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমেই ঠিক করলাম যে "আমাদের এই ট্যুর- শখ পূরনের ট্যুর, আমাদের এই ট্যুর- বিলাসিতার ট্যুর" হবে। সো বান্দরবানে যাওয়ার জন্য শ্যামলী এসি বাস আর কক্সবাজার থেকে আসার জন্য এস ক্লাস এর প্ল্যান করে বাজেট ধরা হল। টিকেট কাটাও হল।



যাওয়ার দিন অর্থাৎ ৮ই অক্টোবর সবাইকে আবার মনে করায় দেওয়া হল রাত ১০টার বাসের কথা। সবাই তাদের বাক্স-পেটরা বগলদাবা করে হাজির পান্থপথ কাউন্টারে। সবাই বেশ উত্তেজিত আর সবার বাবা-মা বেশ টেনশিত। যথাসময়ে বাস ছাড়ার পর হামলে পড়া হল শোয়েব এর ব্যাগে- খানাপিনা কি আছে তার জন্য এবং অচিরেই প্রিঙ্গেলসের একটি সুদৃশ্য কৌটা বের হল। ছবি তোলা শুরু হল এবং একই সাথে প্রতি ইঞ্চি এগোনোর সাথে সাথে ফেবুতে চেকইন।



আল্লাহর রহমতে বাস ভালোমতেই এগুচ্ছে। ১টার দিকে কুমিল্লায় তাজমহল হোটেলে থামালো। হোটেলে এক সুদর্শনা ললনাকে দেখে তার কাছাকাছি টেবিলে বসলাম এবং বেয়াদব ওয়েটার এর আনা খানা খেয়ে আবার বাসে চড়ে বসলাম। কিছুদিন যাওয়ার পর আমার আর শোয়েবের সংগীত রাত্রি শুরু হইল। পুরানো আর ব্যান্ডের যত গান জানি সব উগড়ে দেওয়া হল সেই সংগীত রাত্রিতে। আর আমাদের গান শুনে ফাহমিন আর শামিম "আহা উহু" শব্দের মাধ্যমে অনুভূতি জানাচ্ছিল। সিয়াম অবশ্য তখন তার পাশ্চাত্য সংগীত নিয়ে ব্যস্ত রাত কাটাচ্ছিল- আমাদের ধ্রুপদি সংগীত শোনার তার সময় নাই। রাত ৪টার পর সেই সংগীত রাতের ইস্তফা ঘটল আমার সহ-গায়ক শোয়েবের ঘুমিয়ে পড়ার কারণে।



বাস কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছিল যে সকাল ৭-৮টার মধ্যে পৌছে যাব বান্দরবানে। কিন্তু বাস্তবে যখন সকাল ৭টায় নিজেদের সাতকানিয়া তে আবিষ্কার করলাম তখন মনে চাইল যে "হারামজাদারে ধইরা চুবান দেই তখন যেই নদীটা সামনে ছিল ওইখানে" রাগ প্রশমিত করে এবার কম্বলের সহিত লুলায়িত বিভিন্ন ঢংএ, বিভিন্ন রূপে ছবি তোলা শুরু হল। এবং বেলা ১১টা নাগাদ বান্দরবান পৌছানোর সৌভাগ্য অর্জন করি।





[পরের পর্ব- বান্দরবান পর্ব]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮

মঈনউদ্দিন শুভ বলেছেন: পাঙ্খা :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.