নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীরু..।

আলোকিত অন্ধকার

আলোকিত অন্ধকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাকের কথা

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৫


কুৎসিত পাখি হিসেবে কাক খুবই সুপরিচিত। কর্কশ কণ্ঠও কাকের কুখ্যাতির একটা বড় কারণ। কিন্তু আমি কাকের চেহারার কুৎসিত অংশটুকু বুঝতে পারিনা। বরং বড় আকৃতির একটি দাঁড়কাক কে আমার মনে হয় কালো রঙের আদর্শ পাখি। এমন নিখুঁত কুচকুচে কালো রঙ আমি অমাবস্যার রাতের গায়েও দেখিনি। বসন্তের পাখি কোকিলও কালো পাখি। কিছুটা লম্বাটে হলেও কোকিলের বাহ্যিক আকৃতি অনেকটা কাকের মত। তীক্ষ্ণ স্বরে চিৎকার করা এই পাখি তার কণ্ঠের জন্য খুবই বিখ্যাত। সুকণ্ঠী মেয়েদের ভালবেসে কোকিলকণ্ঠীও বলা হয় এই কোকিল পাখির নামেই।

অমঙ্গলের প্রতীক হিসেবেও কাকের রয়েছে কুখ্যাতি। গ্রামের কোন বাড়ির উঠোনের কোনের কোন গাছে বসে যদি একটা কাক ডেকে উঠে, সেই বাড়ির লোকজনের মধ্যে শুরু হয়ে যায় অমঙ্গল দূর করার নানা প্রস্তুতি। সর্বভুক এই পাখি যদিও আবর্জনা খেয়ে পরিবেশ বিশুদ্ধ করে তোলে, তবুও এই আবর্জনা খাওয়ার জন্যই অনেকে এই পাখিকে ঘৃণা করে।

কাকতালীয় ঘটনা, কাকচক্ষু, কাক ডাকা ভোর, তীর্থের কাক- এসব শব্দের মাধ্যমে কাক মিশে আছে আমাদের ভাষা তথা আমাদের সংস্কৃতিতে। সুকুমার রায়ের শ্রী কাকেশ্বর কুচকুচে আর ঈশপের বুদ্ধিমান কাকের তৃষ্ণা মেটানোর ঘটনার মত গল্পের মাধ্যমে কাক ঢুকে পড়েছে আমাদের সাহিত্যে

বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৪

বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: পাখি পছন্দ করি। কাক পাখিও ভালো লাগে। আমিও কাকের চেহারায় কুৎসিত কিছু দেখিনি, কাকতালীয়ভাবে এটা আপনার সাথে মিলে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.