নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাই, আমি দেশকে ভালবাসি। বিদেশী কোন দলের সাথে যখন আমার দেশের খেলা হয়, চিৎকার করে আমি গলা ভেঙ্গে ফেলি। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসে নিজেকে আমার দেশের পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে...
আমার ঘুণে ধরা হৃদয়ের-
ছাদহীন দক্ষিণ বারান্দায়-
কোয়েল আর শালিক-
এক পাতে দানা খায়।
আমার ঘুম হীন চোখের-
নিরাবেগ নির্দোষ ইশারায়-
আনন্দ আর বেদনা-
সব ভুলে গান গায়।
বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।
ভয়ংকরভাবে ক্ষুধার্ত এক শার্দূল
তার বাঁকানো নখগুলো আরও বাঁকা করে-
আঁচড় কাটে সর্বংসহা ধরিত্রীর গায়ে।
ধরিত্রী ক্ষতবিক্ষত হয় ক্ষুধার্ত আক্রোশে।
ক্ষতস্থান গভীর থেকে গভীরতর হয়-
চকচক করে উঠে মড়াখেকো শকুনের চোখ।
অরণ্য কাঁপানো গর্জনে হয়ত...
সবাই তাদের পাত্র পূর্ণ করতে চায়
ঝলমলে সুখের স্বচ্ছ জল দিয়ে
দুঃখের ঘোলা জল তবু উঠে আসে-
বর্ণহীন স্বচ্ছ আনন্দের মাঝে বর্ণ হয়ে।
জীবন পাত্র পূরণ হয় জীবনের সাথে
কামনাগুলো রঙ দেয় জীবনের দ্রবণে।
লালিত স্বপ্নগুলো...
তারপর একদিন আমি দাঁড়ালাম
আনন্দ আর বেদনার উপত্যাকায়
এই উপত্যাকার বুক চিড়ে খর ধারায়
প্রবাহিত হচ্ছে জীবনের নদী।
আনন্দের পাহাড় থেকে গলিত
আনন্দেরা গড়েছে এ নদীর অর্ধেক।
আর বাকী অর্ধেক নেমে এসেছে
উল্টো পাশের দুঃখের পাহাড়...
এক আকাশ নীলের মাঝে ডুবে থাকার পরও
মেঘগুলো নাকি থাকে ভেসে।
তোর মাঝে বুদ হয়ে থাকার পরও
তুই চলে গেলি শেষে।
তোর পাঁজরে লেপটে থাকার পরও
অনুভুতিগুলো স্পন্দিত হয় বুকে
তোর দুঃখে স্নান সারবার পরও
হৃদয়...
ভালবাসার দেবতার মনে আজ-
উথাল পাথাল বিরহের বিষাদ।
রোজকার নিয়মে ফিরে আসা-
বাবুই পাখির জাগে পথ হারাবার বিস্ময়।
না জানা সত্যটা জানে সবাই সত্যি-
পাপ ছিড়ে খায় পুন্যের আবরণ।
বিশুদ্ধ পলিমাটিই প্রকৃত পঙ্কিল-
জীবন জন্ম নেয়...
ভ্রমর হলে ফুলে ফুলে মধু খেতাম
কিন্তু আমি কাঁটা ভালবাসিনা।
তাই আমি বুকের মাঝখানে ভ্রমর
হবার সাধ লালন করিনা।
নদী হলে কুলে কুলে বয়ে যেতাম
কিন্তু আমি কাদা ভালবাসিনা
তাই নদী হবার স্বপ্নটাকে আমি
বিসর্জন দিয়েছি...
গরুগুলো ঘাস খায়
আমি শুধু বাঁশ খাই।
বুক ভরে দম নেই-
ভালোবাসা কম দেই।
তোর নামই ভালোবাসা
তোর জন্যই কাছে আসা
তোর হৃদয় আমার হোক-
তুই হ রক্ত আর আমি হই জোঁক।
বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।
একটা বাগান করব
যেখানে আকাশ ছোঁয়া সব বৃক্ষের দল
অবরোধ করে রাখবে দৃষ্টিসীমা।
ঠিক মাঝখানে থাকবে একটা জলাধার
সেখানে রক্তিম আভা ছড়াবে পদ্ম-পরিবার।
মরুভুমিতে টিকে থাকা কাঁটা সর্বস্ব বিরুত নয়
আমার বাগানে আমি আকাশ ঢেকে...
জীবনের চাপে চ্যাপ্টা হচ্ছে জীবন
যদিও কিছু পাখি এখনো গান গায়
কিন্তু সে গানে বনের সুর থাকেনা
নাগরিক দুঃখ-কষ্টে কাতর পাখির কণ্ঠ
নিংরে বেরোয় কেবল ঘর হারাবার বেদনা।
দিবাস্বপ্নেও এসে ভিড় করে দুঃস্বপ্নের দল
নিদ্রার...
আর কখনো কি আসবি তুই?
চোখের তারায় বর্ষণ নিয়ে?
স্বপ্নে কি তুই রাখিস আমায়?
মুছবি নয়ন আমার হাতায়?
বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।
প্রতিটি মৃত্যুই তাকে উত্তেজিত করে
নতুন স্বাদের সুস্বাদু খাবারের সম্ভাবনায়।
রাতের পর রাত সে অপেক্ষা করে
বিনিদ্র আর ঢুলুঢুলু চোখেও ঝিলিক দেয়
আরও একটা মৃত্যুর প্রত্যাশা।
বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।
দগ্ধ জীবনের ধোঁয়া উঠা গল্প বলতে চাইনা.
বন্ধ জানালার আড়ালে যে ভ্যাঁপসা আর চাপা-
নোংরামি লুকিয়ে থাকে তাও আমি বলতে চাইনা।
তোর জন্য আমার বুকে কেবল একটাই প্রশ্ন-
তুই ই তো ছিলি সবকটা...
পুড়ে যাচ্ছে জীবন আর উড়ে যাচ্ছে সময়
দুঃখ পুড়ে কয়লা হয় আর আনন্দগুলো ছাই।
বাষ্পীভূত কণ্ঠে তাই দগ্ধ জীবনের গানই গাই।
গতকালটা অস্পৃশ্য আর আগামীকালটা স্বপ্নময়।
বিঃদ্রঃ- ছবিটি google থেকে সংগৃহীত...।
©somewhere in net ltd.