নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার লেখার কোনো নাম নেই -১

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

বন্ধু!!! আমি আমার জীবন নাটকের বিভিন্ন সময়ের সত্য সাধনাকে কোনো নির্দিষ্ট নাম দিয়ে বিভিন্ন ভাগ করতে এই মূহুর্তে ইচ্ছুক না। তাই এখন থেকে আমরা কথার ঝর্ণাধারা হবে, “আমার লেখার কোনো নাম নেই ১,২,৩.............” নামে প্রবাহিত হবে। সত্য কথা ও মনের ভাষা কে যে কোন নিয়ম নামের অনিয়মের কাছে বন্দি করে রাখা যায় না। আমার খুব করে মনে পড়ছে আমার পরম প্রিয়াকে। যাকে হারানোর দুঃখ আমার জীবনে অনেক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে সত্যের জন্ম দিয়েছে। আমার লেখার যারা ভক্ত, তাদের মধ্যে বিরহী কেউ থাকলে তার প্রিয় মানুষটিকে যে গোপন নামে নিবানিশি ডেকে বেড়াও সেই নাম দিয়ে আমার লেখার শিরোনাম বানিয়ে নিও। যে মানুষ নামি দামি কিংবা অনেক টাকা পয়সা ইনকামের জন্য তাদের চিন্তাধারাকে লেখার মধ্যে তুলে ধরতে চায় তারা যত নামকরা লেখক নামের রোবট হোক না কেনো সত্যি কথা বলার সৎসাহসকে তাদের কোনো দিনও থাকে না। যে লেখার মাঝে সত্যিকারের মূল্যবোধ থাকে সেটাই যে লেখা। যাই হোক লেখার শিরনাম ভাবতে গিয়ে আমার একটি কথা স্মরণে এসেছে। উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে থেকে ১৯৯৯ইং আমি এসএসসি পাশ করেছি। ঐ স্কুলটি ঝালকাঠী সদরে অবস্থিত। উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৪০ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় স্থাপনের সময় কালে বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে তখন ভারতবর্ষ উত্তাল। ঐ সময়ে ঝালকাঠীতে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে তার নামকরন রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর কে দিয়ে অর্থাৎ প্রধান অতিথী বানিয়ে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে করার কথা ছিলো। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঐ ভয়াভহ পরিস্থিতির মধ্যে যাত্রা বিরতি করতে চান নি। তাই তিনি বর্তমান শিলাইদাহ থেকে স্টিমারে করে সোজা ক্যালকাটার উদ্দেশ্যে রওয়না হলেন। একটি তথ্য জানিয়ে রাখি বাংলাদেশ থেকে নদী পথে ক্যালকাটায় যাবার জন্য গাবখান চ্যানেলের কোনো বিকল্প নেই। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর স্টিমার থামিয়ে নতুন স্থাপিত বিদ্যালয়ের নামকরণ করেন উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সেই উদ্বোধন বিদ্যালয়ের অবক্ষয়ের চেহারা আমি দেখেছিলাম। আজ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্মানে হলেও সেই বিদ্যাশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যদি সরকারী করা হতো তাহলে কোনো দুঃখ থাকতো না কারণ এই বিদ্যালয়টি যে আমাদের রবিন্দ্রনাথের জীবনের ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশের সব বিদ্যালয়গুলো সরকারী করতে হলে তেমন টাকা পয়সার দরকার হয় না। শিক্ষা প্রজেক্টের নামে বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক টাকা দূর্ণীতি হয়। নতুন নতুন বইপত্র ছাপার নাম করে। কিছু অযোগ্য ব্যাক্তিকে দিয়ে গবেষনা করিয়ে জনগণের সম্পদ লুটে পুটে খাবার অধীকার ওদের কে দিয়েছে? আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি বাংলাদেশের সব শিক্ষকদের সমান অধীকার দিতে হবে। একদল সরকারী বেতনের নামে অনেকগুলো টাকা পাবে আর অন্যদল প্রতিনিয়ত আশায় ভুগে দ্রারিদ্রের দারুন কষাঘাতে পুরে মরবে এ হবে না। এ সিস্টেমকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমি যে শিক্ষকের সন্তানের একটি কম্পিউটারের জন্য কান্না শুনতে পাচ্ছি। তার চেয়েও বড় কষ্ট যে শিক্ষক ঐ বাচ্চাদের কাছে পরম আদর্শের তাকে কেনো সন্তানকে কম্পিউটার কিনে দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমার খুব কষ্ট হয় যখন দেখি শিক্ষিত সমাজ নামের আজকে যারা দাবি করে তারা কি এমন শিক্ষায় শিক্ষিত। আমি কম্পিউটার বিষয়ে লেখাপড়া করেছি বলে অন্য বিষয়ে মাথা ঘামাবার অধীকার নেই? এ কেমন কথা? তোমরা ভেঙে ভেলো শিক্ষাকে ভাগ করার নামে ঐ দেয়ালকে। বিশ্বের বড় বড় ডিগ্রিধারীদের কাছ থেকে সমাজ কি পেয়েছে আমি জানি না। তবে ডিগ্রি ও টাইটেলহীন মানুষ নিজেকে অনেক বড় করে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। মানিক বন্দোপাধ্যায় যদি আজ নিজেকে বিজ্ঞান নামক বিষয় শিক্ষার মধ্যে বন্দি রাখতো। তাহলে তিনি বাংলার অনেক ম্যজিষ্ট্রেট কিংবা জজ ব্যারিষ্টারদের মতো মারা যেতেন। মানিক ব্যানার্জির জীবনে ভালো মানের চাকুরি বাকুরি বা ব্যবসা বানিজ্য করার মতো অনেক সুযোগ এসেছিলো কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি যদি তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থাকে বোঝার জন্য পদ্মার পারের জেলেদের কাছে না গিয়ে অন্যদের মতো আয়েশী জীবন জাপন করতেন তাহলে আমাদের কাছে ঐ “পদ্মা নদীর মাঝি” নামক গিনিপগদের জীবন অজানাই থেকে যেতো। আজ যদি সত্যিকারের সাধারণ মানুষ দেখতে চাও তাহলে আমার কাছে আসো। তোমাদের আমি সবসময় আমন্ত্রন জানাই আমার কাছে আসার জন্য কিন্তু তোমরা যে সত্যকে ভয় পাও। আমাকে নিয়ে ঠতো ঠাট্টা মশকরা করো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি তোমাদের নতুন এক জীবনধারার উপলব্ধিবোধের জন্ম দিতে আবির্ভুত হয়েছি। যার প্রতিফলন তোমরা বাংঙালীর একটি চেতনার মধ্যে দেখতে পাবে। আদর্শ কখনও পুরোনো হয় না। সত্য বলতে শেখ দেখবে জীবন কতো সহোয। নিজের মধ্য আদর্শকে লালন করতে না পারলে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিবে কিভাবে। দেখো ঐ চাইনিজ, মালোয়েশিয়ান, থাইল্যান্ড জাতিকে তারা এক একজন মানুষ এক একটি জাতির ভিজিটিং কার্ড রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ফেলছে। তুমি নিজের মধ্যে যখন সত্যবোধকে জাগ্রত করবে তখন দেখবে তুমি নিজে স্বাধীন হয়ে গেছো। তুমি স্বাধীন হলে তোমার পরিবারকে স্বাধীন করতে পারবে। তোমার পরিবার স্বাধীন হলে তোমার পাড়া মহল্লা বা গ্রাম স্বাধীন হবে। তোমার গ্রাম স্বাধীন হলে পুরো দেশ স্বাধীন হবে। পুরোদেশ সাধীন হলে বিশ্ব স্বাধীন হতে বাধ্য। তারপর দেখবে তোমার হৃদয়ের মধ্যে মহাবিশ্ব আবির্ভুত হচ্ছে। আর একজন প্রকৃত বাংঙালী হতে পারলে তুমি একজন বড় মাপের মানুষ হবে। আর একজন সত্যদ্রষ্টার কছে ঐ আকাশের চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা ধুমকেতু যে খেলনা মতো মনে হয়। এই ভাবে জীবনকে উপলব্ধী করতে শেখো। দেখবে কোনো মৃত্যু তোমাকে মারতে পারবে না। মৃত্যকে নিয়ে কেউ কোনোদিন অহংকার করতে পারে না। কারণ মৃত্যুর মাঝেই যে প্রাণের অস্তিত্ব উপলব্ধি করা যায়। ছোট্ট এই জীবনটাকে মানব কল্যানে বিলীয়ে দাও দেখবে তোমার মন রংধনুর মতো আকাশে রং ছড়াবে। তোমার শক্তির কাছে সকল মিথ্যে শক্তি মাথা নতো করতে বাধ্য হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.