![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
তোমরা কি শেলী ও জন কিটস এর সাহিত্য পড়েছো? কিটস মারা যায় মাত্র ২১বছর বয়সে। যক্ষা রোগে কাশতে কাশতে। তখোন যক্ষা ছিলো অনেক বড় ব্যাধি। কিটসের সামর্থ ছিলো না যক্ষার চিকিৎসা করানোর মতো। শেলী ছিলো অনেক ধনী। কিটস তার প্রেমিকাকে নিয়ে নৌপথে শেলীর কাছে রওয়না হয়েছিলেন। শেলীও বন্ধুর আগমনের প্রতিক্ষায় ছিলো। কিন্তু শেলীর মনের আশা যে পূর্ণ হয়নি। কিটস মারা যায় তার প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে। এর মতো সুন্দর মৃত্যু আর কি হতে পারে? প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে মৃত্যু যে অনেক শান্তির।
কিটসকে বলা হয় চির সুন্দরের কবি। আমার গুরু নজরুল তার লেখায় কিটসকে অনেক বার স্মরণ করেছে। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার গুরু নজরুল ইসলাম কে বলেছিলেন “তোর জীবনে শেলী ও কিটসের মতো করুন এক ট্যাজিটি আছে”। তা তোমরা নজরুলের লেখা পড়লে বুঝতে পারবে। “How sad, how bad and mad it was, but it was sweet” কিটসের এই একটি বাণী আমার জীবনের চলার পথে অনেক শক্তি যুগিয়েছে।
দেখো বন্ধু সুন্দরের প্রকাশের জন্য কোনো শারিরীক বয়সের দরকার হয় না। একজন মানুষের ভিতরের সত্যের শক্তিই তাকে অনেক ঊর্ধে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সবাই তাকে দেখতে পায় ঠিকই সবাই তাকে বুঝতে পারে না। আজ যদি তোমার বয়স ১০-১২ বছর হয় আর এক জনের বয়স ১০০বছরও হয় তাহলে কার মানুষিক শক্তি কতোখানী তা বাইরে থকে বোঝার উপায় নেই।
বর্তমান সময়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা সুরস্রোষ্টা এ.আর. রহমান (আল্লারাখা রহমান) হিন্দু থেকে মুসলমান হয়। যার পরিবারের দেয়া নাম ছিলো দিলিপ। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি একটি তামিল সিনেমার মিউজিক ডিরেকশন দেয়। দেখো বন্ধু অনেক মানুষ সারজীবন গবেষনা করেও এ.আর. রহমানকে বুঝতে পারবে না। সুতারং সত্যের শক্তি অসীম। মেধার শক্তি অসীম।
আমি আমার জীবন দিয়ে দেখেছি, একজন অল্প বয়সী মানুষের মাঝে বৃদ্ধ ও জঞ্জালে ভরা মানুষ লুকিয়ে আছে। আবার একজন বয়স্ক মানুষের ভিতরেও চির নবিনের শক্তি থাকে। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হতে পারে আমার পরম শ্রদ্ধেয় যায়যায়দিন এর একসময়ের সম্পাদক ও বর্তমানে বাংলাভিষনে আর্টশো “লাল গোলাপ” অনুষ্ঠানের উপস্থাপক শফিক রেহমান কিংবা বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও একসময়কার বিটিভির জনপ্রিয় উপস্থাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার।
আসো বন্ধু চির তরুনের হৃদয়কে সবার মাঝে মেলে ধরো। দেখবে তুমি চিরমুক্ত এক জীবনের সাধ পাবে। যাই হোক, কিটসের করুন মৃত্যুর পর ইংরেজী সাহিত্যের বিখ্যাত কবি শেলী পাগলপ্রায়। প্রতিদিন বন্ধুর জন্য তার মন ব্যকুল থাকতো। সেই শেলীর জীবনে মৃত্যু নামের বন্ধুর আবির্ভাব ঘটে মাত্র ২৩বছর বয়সে। নদীতে নৌকাডুবিতে তার মৃত্যু ঘটে। শেলী সাঁতার জানতেন না।
আমার সবসময় মনে হয় সব মানুষের জীবনে সাঁতার শেখা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ। সাঁতার কোনো স্পেশাল বিষয় নয়। সাঁতারকে সরকারী উদ্দ্যোগে বাধ্যতামুলক করা উচিৎ। তাহলে অনেক ধনী শ্রেণীর বাবাদের সন্তানেরা গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলে সন্তান পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়ার টেনশনের কাছে বন্দি থাকবে না। একটি সাধারণ আইডিয়া অসাধারণ কিছু দূর্ঘটনা থেকে পুরো জাতিকে মুক্ত করতে পারে। ধর প্রাথমিক লেভেলে “সাঁতার শিক্ষা” নামের একটি প্রাকটিক্যাল সাবজেক্ট অর্ন্তভুক্ত করা একদম ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কে করবে এর বাস্তবায়ন? যারা করবে তারা তো নিজেরাই চোর।
ইংরেজী সাহিত্যের দুই কাল স্রোস্টা বন্ধুর মৃত্য আমার জীবনে অনেক শিক্ষা দিয়েছে। যারা শুধু শেলী বা কিটসের মৃত্যুর বয়স দেখে জীবন পাড় করলে তারা কি আজও বোঝ না। এই দু’ই বন্ধু যে আজও সবার মাঝে আছে। আজ যে ধনী বন্ধু তিনি যদি তার গরিব বন্ধুটাকে কিছু বইপত্র বা একটি ল্যাপটপ দিয়েও সাহায্য করার মন থাকতো তাহলে বাংলাদেশে আরও মেধার প্রকাশ ঘটতো। অন্যের দুঃখকে ভাগ করে নেবার মধ্যে যে কতো শান্তি তা বুঝতে হলে আগে সাহায্যের প্রতি নিজের শ্রদ্ধাবোধ তৈরী করো।
বন্ধু!!! আমি যতক্ষন আমার প্রতিষ্ঠানে থাকি ততোক্ষণ তোমাদের জন্য আমার এই অনেকদিনে সাথী পুরোনো ল্যাপটপে নিজে নিজে টাইপ করে তা তোমাদের মাঝে পোস্ট করে দেই। আমাকে কেউ টাকা দেয়নি। কিন্তু আমি আসোলেই টাকার সমস্যায় আছি। বেচাকিনা কিছুটা কম। তোমাদের জন্য লিখতে গিয়ে আমার প্রতিষ্ঠানে আসা আমার বেশ কিছু কাস্টমারকে সময় দিতে পারছি না। তোমাদের কারও কাছে আমি ৫০০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার চেয়েছিলাম। কেউ মোবাইলে যোগাযোগও করনি।
এরচেয়ে এক কাজ করলে কেমন হয়। আমাকে যে যা পারো তাই দিয়ে সাহায্য করো। যেমন ধর আমার বিকাশ এজেন্ট নম্বর ২টি তোমারা আমার একাউন্টে ৫০, ১০০, ২০০, ৫০০ যা পাও পাঠিয়ে দাও। তাহলে আমার চিন্তা ও সত্য প্রতিষ্ঠা করার আকাংক্ষাকে নিয়মিতো তোমাদের কাছে উপস্থাপন করতে সুবিধা হবে। ১০দিন না হয় আমার জন্য ১টি করে সীগারেট কম খেলে। বা কারও বাচ্চাকে একটি খেলনা কম কিনে দিলে। বা কারও সন্তানকে একদিনের পকেট খরচ কম দিলে। আমার বিকাশ নম্বর হলো। ০১৭১৭-০৪৪৯১৯, ০১৮১৯-১০৬৪০৭।
আমি তো তোমাদের কাছে বিক্রি হতে চাচ্ছি না। সাহায্য চাচ্ছি। এইটুকু সাহায্য কি করতে পারবে না? নিজের বিবেক যদি বলে এই বনের ঘাস ফুলটিকে পায়ে চাপা দিয়ে মারবে না তাহলে সাহায্য করো। এ সাহায্য যে বাংলার প্রতিটা বাস স্ট্যান্ড বা ফেরী ঘাটে যুগ যুগ ধরে মসজিদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার নাম করে চাঁদাবাজি না? আমার জন্মই হয়েছে তোমাদের আজন্ম পাপকে লাথি মেরে তাড়াবার জন্য। আমার এই সাময়িক সমস্যা তোমাদের একটু সাহায্যে যদি মুক্ত হয় তাতে দোষ কি? তাতে তোমার বা আমার কারও ব্যক্তিত্বের ক্ষতি হবে না। বিকেলে আরও লেখা উপহার দেবো।
আমার ডাচ বাংলা এজেন্ট নং- ০১৮৫৭-৯০৮০০৯-৮ , আর ইউক্যাশ একাউন্ট নং – ০১৮৫৮-৪৩০০৮৪ এই একাউন্টেও পাঠাতে পারো। কিংবা তোমরা তোমাদের মতো একটি চিন্তা ভাবনা বেড় করে আমার এই সাময়িক টাকার সমস্যা দুর করতে চেষ্টা করো।
তোমাদের ভিতরের মানুষটিকে বাংঙালী করে বিশ্বদরবারে তুলে রাখার জন্যই আমার আগমন।
তোমাদের পথচলার পথিক-
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মালিক/সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার, বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯
©somewhere in net ltd.