![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
“তুমি” করে সম্বোধনের কারণ :: পুরোটা পড়ার অনুরোধ করছি।
তোমাদের তুমি বলে সম্বোধন করি বলে রাগ করো? আমাকে দিয়ে যারা আমায় জেনেছো, তারা জানো আমি সবাইকে আপনি করে সম্বোধনে অভ্যস্ত। এখানে তুমি করে বলার একটি বিশেষ কারণ আছে। আমি চাচ্ছি আমার ভক্তের হৃদয়ে একটি স্থায়ী সম্বোধনের ভাষা নির্ধারণ করতে। তাই তোমাদের তুমি করে ডাকা।
আমার উপর রাগ করো না। অভিমান করো না। ভুল বোঝ না। এগুলো করলে যে তোমার জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। আমার বাবা মা কে আমি ছেলেবেলা থেকেই আপনি করে সম্বোধন করি।
আমাদের এই বাংলা ভাষার মতো এতো মিষ্টি ভাষা আর নেই। এই ভাষার উপর অনেক আক্রমন হয়েছে। সবচেয়ে বড় আক্রমন হল আপনি, তুমি এবং তুই এর ব্যবহার।
এই তিন ক্যটগরীর সম্বোধন থাকার ফলে সুবিধার চেয়ে অসুবিধা হয় বেশী।
যেমন ধর তোমার বসকে তুমি ইচ্ছে করলেও তুমি বলে ডাকতে পারবে না। ধর তোমার বস তোমাকে সবসময় গুরুত্ব দেয়। আপনি করে ডাকেন। একদিন রেগে গিয়ে তুই করে বললো। তোমার কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে রাগ ও মনখারাপ হবে। কিন্তু পরে দেখবে ঐ রাগটাই বৃথা সময় নষ্ট।
আবার তোমার কাছের কোনো বন্ধু, যে তোমাকে তুই বলে সম্বোধন করে সে যদি হঠাৎ তোমাকে আপনি করে বলে তাহলেও তুমি বুঝতে পারবে তোমার বন্ধু তোমার উপর অভিমান করেছে বা বিরক্ত হয়েছে।
ধর প্রিয় মানুষটি অনেকদিন তুমি তুমি বলার পর একদিন আপনি করে সম্বোধন করে তার বিয়ের খবর জানিয়ে দাওয়াত, তোমাকে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত করলো। কেমন লাগবে তখোন? অনেক কষ্ট, তাই না? সত্যি বন্ধু!!! প্রিয়ার মুখের এই রকম কুৎসিত “আপনি” সম্বোধনের মতো কষ্ট-ব্যাথা আর হয় না। এ যে অনেক কষ্টের “আপনি”!!! যে এই আপনির সাধ পেয়েছে সেই ভুক্তভুগিই বুঝবে।
প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলার কষ্ট অনেক বেশী। বিজরী ঝটার মতো এক মূহুর্তে সম্পর্ক ছিন্ন হতে পারে। কিন্তু এই ব্যাথা বয়ে বেড়াতে হয় সারাজীবন।
বেশীরভাগ মানুষই কষ্টকে জয় করতে পারে না। বরং এই ভালোবাসার কষ্টকে লুকাতে গিয়ে অনেক নতুন নতুন ঝামেলার শুরু হয়। এ যেনো ঝামেলার জাল। ঝামেলা এড়িয়ে যাবার জিনিস না! কষ্ট এরিয়ে যাবার জিনিস না! নিজের কষ্টকে জয় করতে অনেক মানুষই জীবনের কাছে পরাজিত হয়েছে।
ধুকে ধুকে মরার চেয়ে একদিনের মৃত্যু ভালো। কষ্টকে জয় করতে গিয়ে নিজেকে ক্ষয় করার কোনো মানে হয় না। অনেকে প্রিয়াকে হারিয়ে ক্ষ্যাপাটে হয়ে যায়। এ কেমন কথা? যাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিলে তাকে ফেলে আসার নাম তো জীবন না। জীবনে প্রেমের পরশ যে নিজের ভিতরে স্রষ্টার প্রকাশ। নিজের প্রেমকে জয় না করতে পারলে যে তুমি কোনোদিনও সত্যের উপলব্ধি অনুভব করতে পারবে না।
আমি আমার প্রিয়াকে প্রেমের প্রোস্তাব দিয়েছিলাম ২০০৪ইং সালের ১৮ই অক্টোবর। মজার ব্যাপার কি জানো? ঐ দিন আমার জন্মদিন ছিলো। আর আমার প্রিয় মানুষটির জন্মদিনও ১৮অক্টোবর। ডাঃ জাকির নায়েক, শেখ রাসেল এর জন্ম তারিখও ১৮ অক্টোবর।
আমি আর আমার মনের মানুষটি অনেক পরিকল্পনা করে ছিলাম। আমরা আমাদের বিয়ের তারিখ করতে চেয়েছিলাম ১৮ অক্টোবর। যাতে প্রেমে প্রস্তাব দেবার দিবস, মেরিজ ডে ও দু’জনার জন্মদিন এক খরচে সারা যায়। কিন্তু আমরা যে আমাদের ভাগ্য লেখার কেউ না। আমাদের ভাগ্য আমাদের মনের পথ দিয়ে অসীম পথ পাড়ি দিয়ে তারপর যে সত্যকে দেখতে পাবে সেখানে লেখা থাকে। ওখানে পৌছাতে পারলে সময়কে জয় করা সম্ভব।
যাই হোক, ১৮ অক্টোবর তারিখ যে কম্পিউটারের জনক চার্লস ব্যাবেজ সাহেব ও টমাস আলভা এডিসনের মৃত্যু দিবস। আমার মনের মানুষটি আমাকে ছেড়ে চলে যাবার পর থেকে ঐ ১৮ অক্টোবর তারিখটা আসলে আমি কোনো রকম এরিয়ে যাই। যাকে প্রতিনিয়ত মিস করে চলছি তাকে একদিন লোকদেখানো মিস করা ঠিক না। আসলে মিস করা যে প্রেমের ধর্ম।
প্রেমের প্রস্তাব দেই কিভাবে জানো? একটি জন্মদিনের কার্ডের সামনে একটি বাড়ী আঁকা ছিলো। আর কার্ডে পিছনের দিকে ছিলো লাল হার্ট চিহ্ন। আমি ওর কাছে আঙ্গুলের ইশারায় হার্ড চিহ্নটিকে দেখিয়ে দেই। সে আমাকে তার কাছে টেনে নেয়। এরকম একটি মূহুর্ত অনেক মানুষের শত শত জনমেও আসে না। ঐ ভালোবাসার দিনটির কথা ভেবে সারাজীবন কাটানো সম্ভব। এমন এক ছোয়া ভালোবাসার আলিঙ্গন যা কোনো মানুষের চেতনা নয়। এ যে মহাকালের মহাশান্তির প্রকাশ। ওর মতো করে আর কেউ কোনো দিন, কোনো কালে, আমাকে ভালোবাসতে পারবে না।
প্রিয় মানুষটির পরিচয় আমি তোমাদের কালকে বলেছি। তাই আজকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে সময়ের অপচয় করতে চাই না। শোনো আমার প্রিয় মানুষটি আমাকে প্রায়ই বলতো, “তুমি আমাকে ছেড়ে যাবে না তো?” এই কথাটি অনেক বেশী গভির ও সত্য। আমি আমার মনের মানুষকে ছেড়ে যাবো কোথায় যাবো বলো? ও যে সবখানে বিরাজমান।
ওর বলা একটি কথা তোমাদের শেয়ার করি, কথাটি হলো “আমি যদি কখনও চেইঞ্জ হয়ে যাই, তুমি আমাকে জোড় করে তোমার কাছে তুলে নিও।”
তুলে নেয়া বলতে তোমরা কি বোঝ? এসিড মারা, হ্যারিজমেন্ট করা, বাড়ীর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, ব্লাকমেইল করা, ঝগড়া ঝাটি করা, মার্ডার করা, মাদকে অভ্যস্থ হওয়া, বাবা মায়ের মনে ব্যথা দেয়া, মাইক্রোবাস ভাড়া করে তুলে নিয়ে আসা? আরে বোকা এগুলোর কোনোটিই প্রিয়কে পাওয়ার পথ না। বরং কিছু সস্তা সেন্টিমেন্টের বাজে প্রকাশ।
সত্যি কথা বলা যে একজন প্রকৃত বাঙালীর আদর্শ। সত্যি যে সব ধর্মেরই আত্মকথা। আমার প্রিয় আমাকে একদিন বললো, “তুমি আমার সাথে সারাজীবন থাকবে তো?” আমার উত্তর ছিল-হ্যা। ও বলছিলো “তুমি আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না তো?” আমার উত্তর ছিল-না যাবো না। ও একদিন বলেছিলো তুমি আমাকে নিয়ে সংসার করবে আর আমাদের একটি সন্তান হবে, ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেনো সন্তানটির নাম হবে “রংধনু” তোমার কি কোনো আপত্তি আছে? আমার উত্তর ছিল-না আপত্তি নাই। ঠিক এমনি করে ও একদিন আমাকে বললো আমি তোমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আমার মা বাবা তোমাকে কোনোদিন মেনে নেবে না। আমার উত্তর ছিল-তোমার ইচ্ছে।
বন্ধু!!! প্রিয় মানুষটির সব ইচ্ছে পূরণ করতে না পারলে যে সে প্রেম সার্থক হয় না। আমার প্রেম সার্থক। দেখো আমি কোনোদিন জোড় জবরদস্তি কিংবা কারও মা বাবার মনে আঘাত দেয়া আমার নীতি বহির্ভূত। যে আমি আমার প্রিয়ার হৃদয়ের গভীরে লুকিয়ে আছি তাকে শুধু ওর বাবা মা কেনো, পৃথিবীর সকল পারমানবিক বোমা ফেলেও তো তাড়ানো যাবে না। ও আমার কাছে আসবেই। এ এক বাংঙালীর আত্মবিশ্বাস।
আমি আমার বিরহকে তোমাদের মাঝে ভাগ করে দিতে পেরেছি এজন্য যে, আমি সত্য বলতে জানি। তুমি যদি কাউকে সাময়িক প্রভাবিত করতে চাও, তা হয়তো জোড় করে পারবে। কিন্তু স্থায়ী ভালোবাসার কাছে সব কিছু সেজদা করতে বাধ্য। বিশ্বাস করো, আমি ওর জন্য প্রতিদিন মরতে পারি। কিন্তু ওর অনুমতি ছাড়া আত্মহত্যা করতে পারি না। আত্মহত্যা যে তোমার প্রিয় মানুষটির প্রাণটিকে বিশর্জন দেয়া। আমি যে আমার না। আমি যে ওর ভালোবাসার মানুষ।
বাউলদের ভিতর বেশ কিছু চমৎকার দর্শন আছে। তার একটি হলো “রাধা সাধন”। অন্নদা শঙ্কর রায়ের সুর ও সাকী গল্পটি পড়লে বুঝতে পারবে।
তোমরা শুধু লাইলীর জন্য কায়েস কে পাগল মজনু হতে দেখলে, রজকিনীর জন্য চন্ডিদাসকে ১২ বছর বরশির ছিপ ফেলতে দেখলে, শিরির জন্য ফরহাদকে পাহাড় কাটতে দেখলে, রাধার জন্য চীর রাখাল কৃষ্ণকে বাঁশি বাজাতে দেখলে, জুলেখার জন্য সব চেয়ে সুন্দর চেহারার নবী ইউসুফকে জেল খাটতে দেখলে, হেলেনের টানে ট্রয় নগরী ধ্বংস হতে দেখলে, কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে হৃদয়ে ধারন এগিয়ে যাওয়া ভিতরের প্রেমিকের সত্য দেখলে না!!! হায়রে! যে নিজের কাছে নিজেকে সপে দিতে জানে না, স্রষ্টার আদেশ তার কাছে আসবে কি করে?
তোমাদের একজন সফল প্রেমিকের গল্প শুনাই। সংগত কারণে আমি তার নাম বলছি না। তার বাড়ী পাবনায়। সুচিত্রা সেন যখন স্কুল ছাত্রী তখন সুচিত্রা সেনের সাথে পাবনার ঐ লোকের প্রেম হয়। ঐ মানুষটির ভালোবাসাকে সুচিত্রা সেনের বাবা অপমান ভেবে পরিবার নিয়ে ভারতে পাড়ি জমায়। কালক্রমে সুচিত্রা সেন নাইকা হয়। আর ঐ লোকটি হয় হোমিপ্যাথিক ডাক্তার। তিনি সারাজীবন সুচিত্রার কথা ভেবে কাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিয়ে শাদী করেন নি। হোমিওপ্যাথী ডাক্তারী করে জিবিকা নির্বাহ করে গেছেন। আর সুচিত্রা সেন যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তখোন একটি ইন্টারভিউতে ঐ প্রেমিকের সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন নি। দেখলে একটি বিরহ একজন অসম্ভব সুন্দর নাইকার জন্ম দিলেন। হায়রে প্রেম!!! আজ দেখো সুচিত্রা সেন পর্দার আড়ালে বসে তার ফেলে আসা প্রেমিকের কথা ভেবে যাচ্ছে। কিন্তু দেখো ঐ বাউন্ডুলে প্রেমিককে আজ পৃথিবীর সব খ্যাতি, সব অর্থ দিয়েও ফেরানো সম্ভব না। তারপরও তিনি বেঁচে আছেন ঐ আকাশের সন্ধ্যা তারা হয়ে। যার অন্যনাম সুখ তারা।
যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে............(আপেল মাহামুদের গাওয়া “মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি” গানের একটি অন্তরা)
আমার লেখার কোনো নাম নেই-৪ (খেলোয়ারদের খেলা দিয়ে জীবন দর্শন)
আমার লেখার কোনো নাম নেই-৬ (মাইলস এর শাফিন হামিন ও আমার প্রিয়া)
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
দেখুন যার মধ্যে জ্ঞান আহরনের ইচ্ছে প্রসমিত হয়। সে যে তুমি আপনি তুই সব সহ্য করতে পারে।
দেখুন আমাদের এই নিরিহ জাতটাকে নিরিহ বাঙালীর ছেলেপানদের শিখানো হচ্চে অচেনা কাউকে হাই বা হ্যালো বলে সম্বোধন করতে। কিন্তু আপনি তুমি তুই এর দেয়াল ভেঙে তো কাউকে না কাউকে দেখাতে হয়?
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:
ছোট বড় সবাইকেই আপনি সম্মোধন করাটা নিরাপদ।