![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
তুমি যাদের জন্য নিয়মিত নিজেকে ত্যাগ করছো। তারা যদি তোমাকে ভুল বোঝে, গালাগলি করে, অপমান করে, পাত্তা না দেয়, অবহেলা করে, গুরুত্ব না দেয়, তখন কি হবে? নিজের মধ্যে একধরনের শক্তির জন্ম নিবে। যে শক্তির মাঝেই থাকে সত্যি। আর নিজের মানুষের কাছ থেকে অবহেলা পাওয়াকে যদি কেউ প্রেরনা ভেবে বুকে ধারন করে সামনে এগোয়। তাকে পৃথিবীর কেউ রুখতে পারবে না।
যারা হুমায়ূন আহমেদ এর লেখার ভক্ত তারা ব্যাক্তি হুমায়ূন আর তার কথাকে আলাদা আলাদা স্থানে রাখতে জানে। একজন সফল মানুষ যা যা বলে যায় সেটাই সম্পদ, সেই অসম্ভব সুন্দর সম্পদের সামনে তাদের ব্যাক্তি জীবন একান্তই তুচ্ছ। আর যারা হুমায়ূন আহমেদের ব্যাক্তি জীবনকেই দেখতে পায় তারা দার্শনিক হুমায়ূন আহমেদ কে কি ভাবে চিনবে বলো?
শুভ্র, মিসির আলী, হিমু সবাই যে একই সুন্দরের তিনটি প্রকাশ মাত্র। নজরুল ইসলাম এর “মৃত্যুক্ষুধা” উপন্যাস্যের “আনসার” কে ভালোকরে খেয়াল করে দেখো। কতো সুন্দর! এদেরকে শুধু বইয়ের ভিতরের ক্যারেক্টার রূপেই শুধু দেখলে। মিছে মিছে ভাগাভাগি করে নিলে? কিন্তু বুঝলে না। এরা সবাই যে বাঙালীর প্রতিক। আনসার, মিসির আলী, শুভ্র, হিমু কিংবা সত্যজিতের ফেলুদা অনেক কিছু জানলেও যে মিথ্যে অভিনয় করতে জানে না। তারা নিজেকে উজাড় করে দিতে পছন্দ করে।
তারা তাদের খেয়াল খুশি মতো চলে। অগুছালো জিনিসগুলোকে গুছিয়ে সুন্দর ভাবে নিজেকে সবার মনের মধ্যে সত্য হয়ে প্রতিষ্ঠিত করে। সত্য কথা বলার চেয়ে উত্তম কিছু নেই। পরিশ্রম আর সত্য কথা এই দুটি কাজ যদি কোনো মানুষ শিখতে পারে তাহলেই সে একজন প্রকৃত বাঙালী।
স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে বহু বছর আগে। কিন্তু সে স্বাধীনতা যে আজ মানুষের জীবনে প্রেজেন্ট পারফেক্ট টেন্স হয়ে ধরা দিয়েছে।
সেই ছোট্টবেলা থেকে সবাইকে বলতে শুনি বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ ছিলো এক মহান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পুর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে। একজন বাঙালীকে এতগুলো বছরে এই কথার প্রতিবাদ জানাতে দেখলাম না। হায়রে! কষ্টে চোখ ফেঁটে জল চলে আসে। কান্না আসে। হায়রে বাঙলা মায়ের অপমান!!!
এখন থেকে বলবে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে লাথি মেরে তারিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ জয়ী শক্তি। রক্ত দিয়েছে কিন্তু হারে নি। বাঙালী তোদের ওই পাকিস্তান নামের জাতটাকে পাত্তা দেয় না। কিন্তু বার বার তোরা সেধে সেধে বাঙালীদের খোঁচা দিয়েছিস। বোকা বানাতে চেয়েছিস। বাংঙালী কি বোকা জাতি? বোকা জাতি কি স্বাধীন হতে পারে? আরে চেয়ে দেখ একজন প্রকৃত বাঙালীর সমনে বিশ্ব থর থর করে কেঁপে ওঠে। যারা সামান্য ইংরেজী শিখে বা আইইএলটিএস নাম করে নিজেকে স্মার্ট ভেবে বসে আছো। তারা কি জানো আব্দুল হাকিম কে?
আব্দুল হাকিম একজন সত্যিকারের বাঙালী। যিনি কয়েকশ বছর আগেই এই সব স্মার্ট সাজার দলকে গালি দিয়ে গেছেন। মনে করিয়ে দিচ্ছি সেই সুন্দর গালিঃ
যে জন বঙ্গেতে জন্মে হিংসে বঙ্গবাণী,
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
বাঙালীর গালীও রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো হুঙ্কার। রয়েল বেঙ্গল টাইগার শুধু ডাকে না, কাজেও একরোখা। যা বলে তাই করে। যা চায় তা ই অর্জন করতে সক্ষম। বাঙালীর চেয়ে বেশী গর্ব অন্য কোনো জাতির পক্ষে কি অনুভব করা সম্ভব?
অন্য জাতির ধারকদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলছি- তোদের আদর্শ শিখতে হলে বাংলাদেশ থেকে শিখে নে। তোদের শান্তি বুঝতে হলে বাংলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শিখে নে। ঐ দেখ গ্রামের কোনো চায়ের দোকানে এই মূহুর্তে কৃষ্ণ আর মুসা একসাথে বসে চা খাচ্ছে। এমন শান্তি সম্পৃতির দেশ বিশ্বে আর কোথায় আছে?
বৃটেনের রাণী মা কে? তার ঘরে কি এমন সুখ আছে? আরে এলিজাবেদ এতো বছর ইংরেজদের মাথার তাজ হয়ে থাকলি কিন্তু বুঝলি না সোহেল তাজের ত্যাজ যে ওর বাবা তাজউদ্দীন আহম্মেদের কাছ থেকেই জন্মসূত্রে পেয়েছে। ওরা তোদের শিখাতে তোদের দেশে যায়। বৃটেনের রাণী যদি একবার বাংলার একদম পাড়া গায়ের কোনো নাম না জানা গ্রামে গিয়ে দেখতেন যে, দিনে মাত্র ৫০টাকা কামিয়ে একটি ১২ বছরের ছেলে তার বাবা, মা, ভাই, বোন, দাদা, দাদীকে খাওয়াতে জানে। হোক না অল্প তারপরও এই খাবার অনেক তৃপ্তির। এই খাবারই যে বেহেশতের খাবার। তুমি শুধু শুধু সারাজীবন রাণী নামের পুতুল হয়ে রয়েছো কিন্তু কি করে বুঝবে যে একজন বাঙালী মায়ের আবেগ ও মমতায় গড়া একটি সংসারের মায়া। বাংলাদেশ যে বিশ্বশান্তির মডেল। আর তুমি নিজেকে বাঙালী বলতে ভয় পাও?
আজ হৃদয় থেকে সব জঞ্জাল লাথি মেরে তাড়িয়ে দাও। মুছে ফেলো মন থেকে ওই সব মানুষরুপী জানোয়ারদের কাছ থেকে অর্জন করা মিথ্যে শিক্ষা। আকাশ বাতাস ফাটিয়ে বলো “আমি গর্বিত বাঙালী”। বাঙালী জাতি বিশ্বের সেরা জাতি। বাঙালী জাতি জাতি ক্ষমা করতে জানে। বাঙালী জাতি ধৈর্য্য ধরতে জানে। বাঙালী জাতি কষ্ট করতে জানে। বাঙালী সত্য বলতে জানে। কোনো বাঙালী মিথ্যেবাদী না। বাঙালী সত্যের রূপকার। বাঙালীর চেতনার মধ্যেই আছে প্রকৃত আদর্শ ও সত্য।
বন্ধু!!! আমি এক মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি। কিন্তু আমার ভিতরের বাঙালীকে কোনোদিনও বিশর্জন দেই নি। আমার প্রেমিকা (ইফফাত জামান মুন, শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজের এম.বি.বি.এস ইন্টার্ণী ডাক্তার), যে আমার চির চাওয়ার নাম, তাকেও আমি হারিয়েছি, তারপরও আমি আমি মিথ্যে ও কঙ্কালের সাথে আপোষ করি নি। বিশ্বাস করো বন্ধু যদি অনেক টাকা কামাবার ইচ্ছে আমার থাকতো আমি পারতাম। কিন্তু টাকা দিয়ে কি আদর্শ কেনা যায়? টাকা দিয়ে ভোট কেনা যেতে পারে। কিন্তু বাঙালী টাকায় বিক্রি হয় না। বাঙালী বিশেষ কোনো একটি শক্তির মনগড়া প্রোডাক্ট নয়।
আজ আমার বাবা ব্লগারদের ঘৃনার দৃষ্টিতে দেখে। তার ধারনা ব্লগার মানে নাস্তিক। ব্লগার মানে খারাপ। ব্লগার মানে সমাজের অশান্তি সৃষ্টিকারীর নাম। যিনি ব্লগ জীবনেও দেখেনি তাকে ব্লগারদের শত্রু কৌশলে কারা বানালো?
সকল গনমাধ্যমকে আমি স্পষ্ট অক্ষরে বলে দিতে চাই। তোমরা নিয়মিত ব্লগার ও ব্লগ নিয়ে পজেটিভ ও সত্য রিপোর্ট করে যাও। নইলে আরো একটা মিথ্যে থেকে কোনো অনাসৃষ্টির আশঙ্কা থেকে যায়।
এই চেয়ে দেখো আমার দিকে, আমি যে তোমার মনের মাঝেই আছি। আমি যে তোমাদের জাগাতেই এসেছি। আমি যে বাঙালীর প্রতিক। আমার পুরো হৃয়দ বাঙালী। আমার মাঝে কোনো মিথ্যের জায়গা নেই। এসো সবাই মিলে মানবতাকে প্রতিষ্ঠিত করি। আজ কোনো শত্রু মিত্র নেই। আজ যে সবাই মিলে সামনে এগিয়ে যাবো।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাঙালীর চেতনা নামের একটি পাঠ্য বই হবে। যে সাবজেক্ট পড়াতে গিয়ে শিক্ষক ছাত্রকে মারবেন না। বরং শিক্ষকের আদর্শ ছাত্র নিজের মধ্যে ধারন করে আত্নবিশ্বাসী ও সত্যিকারের বিশ্বশান্তির দূত হয়ে গড়ে উঠবে।
©somewhere in net ltd.