![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের কৃকেট আইকন। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের রাজটিকা পেয়েছেন। গত বছর বিয়ে করেছেন। মিডিয়ায় বেশ জোড়ে শোরে সাকিব আল হাসান এর বিয়ের খবর প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের শুধু কৃকেটপ্রেমীরাই না কৃকেট অপ্রেমিরাও সাকিবের বিয়ের খবর শুনে নানা রকম আলাপ-চারিতা করেছেন। বাংলাদেশের মানুষজন এমনিতেই আলাপ প্রিয়। সাকিবের বিয়ের খবর মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে আর মানুষ জন বেশ আনন্দ সহকারে আমাদের এমন ভাবে জানাচ্ছে এ যেনো আপন শালার বিয়ে! বেজায় খুশি বাংলার মানুষ। আবার অনেকে বেশ গম্ভীর বাংলাদেশের এতো এতো মেয়ে থাকতে সাকিব কেনো এমেরিকান সিটিজেন কোনো মেয়েকে বিয়ে করবেন!!! হায়-রে-হায়!!!
এ যেনো মিডিয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। মিডিয়ার এমন ভাব যে, সাকিবের অনেক গুলো গালফ্রেন্ড কস্ট পাচ্ছে আর অনেক মেয়ে সাকিবের জন্য পাগল হয়ে প্রাণ যায় যায় ভাব। সাকিবের স্ত্রী হওয়ার আশায় আশায় তাদের দিন ফুরাচ্ছে আর ও বিয়ে করলেন এমেরিকার রেসিডেন্স কোনো মেয়েকে? খবর শুনে সাকিব এর ঐ মেয়েকে ভালোবাসা ঠিক হয় নি বলে এক চায়ের দোকানদার মুখ বেজার করে আমাকে চা খাওয়ালেন। এ কেমন কথা? চায়ের দোকানদারের মতো অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না সাকিবের এই বিয়ে!
সাকিব আল হাসান একজন দামি প্লেয়ার। টাকা-পয়সা-গাড়ী-বাড়ী সব আছে। সেই সাথে বিশ্বব্যাপি সুনাম ও সুখ্যাতি তো আছেই। হায়রে এমন একজনকেই যে আনেক আর্টেস্টিক মেয়ে ভালোবাসবে। লিপিস্টিক মার্কা মেয়ে পাগল হবে। বিয়ে করতে আগ্রহী হবে। বিয়ে করবে। সংসার হবে। নামি দামি মানুষদের সাথে দেখা হবে। বিদেশ সফর করা যাবে। আহা!!! কি আনন্দের আশা। কিন্তু ঐ এমেরিকান রেসিডেন্সী ডাইনি এই দিবাস্বপ্ন দেখা মেয়েদের প্রিয় মানুষটিকে কেড়ে নিয়েছে!!! অনেক কষ্ট!!!
আমার আশেপাশের মানুষদের সাকিবের প্রতি এই ব্যাক্তিগত অনুরাগ আমাকে অবাক করেছে। এই মানুষদের হাসি, রাগ, আভিমান দেখলে আমার যে খুব খারাপ লাগে বন্ধু! আমি যে ওদের মতো এতো সহজ করে ভাবতে শিখি নি।
সাকিব আল হাসান এর বিয়ের সময় আমি যা দেখেছি তা আমার কাছে এক শিক্ষা। সাকিব আল হাসান অনেক প্রাকটিস করে এই পর্যায়ে এসেছেন। রুটিন ওয়ার্ক ও প্রাকটিস ঠিক মতো না করলে ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফমেন্স দেখানো যায় না। তার ফাঁকে আবার ফেসবুক চালিয়েছেন। ফেসবুকে প্রেম করেছেন। এরপর বিয়ে। সাকিব আল হাসান বিয়ে করতে পারলে তার বউ কি করেছে? সাকিব আল হাসান কঠিন প্রাকটিস করার পর, খেলায় পারফর্ম করে, তারপর ম্যান অব দা ম্যাচ হয়ে, টাকা পয়সা কামিয়ে তারপর কার হাতে দিয়ে দিবে? নিশ্চই বৌয়ের হাতে; তাই না?
কিন্তু ভেবে দেখুন যে সাকিব আল হাসান এত কষ্ট করে বিখ্যাত হয়েছেন। এতবড় অলরাউন্ডার হয়েছেন! এতো টাকা পয়সার মালিক হয়েছেন! কত মেধা বুদ্ধি, তাই না?
তাহলে যে মেয়েটি সাকিবকে প্রেমের মায়াজালে বন্দি করতে পেরেছেন, সেকি মন জয় করার ব্যাপারে অলরাউন্ডার নয়? সে কি একজন মানুষ নয়? সাকিব টাকা-পয়সা-খ্যাতি সব আর্জন করেছেন আর সাকিব কে যে অর্জন করেছেন সে কি বোকা? কে বেশী বুদ্ধির অধিকারী সাকিব আল হাসান নাকি যে মেয়েটি সাকিবকে প্রনয় বাঁধনে বেঁধে নিয়েছেন? সাকিব কামাবে আর ঐ মেয়ে খাবে। সাকিব অনেক সাধনা করে নাম করেছেন। আর ঐ মেয়ে এক দিনে মিডিয়ায় রাণী রূপে নিজেকে প্রকাশ করলো। তাহলে কে বেশী বিচক্ষণ? তাই আমি সাকিবের চেয়ে ঐ মেয়ের চেহারার দিকে তাকিয়ে মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করেছি। আমি দেখেছি একজন প্রেমিকার জয়!!!
(সাকিব তুমি আমার উপর রাগ করো না। ভাবি! তুমিও রাগ করো না। আমি জাস্ট উদাহরনের জন্য তোমাদের বিয়েকে ব্যবহার করেছি। তোমারা যাতে সারাজিবন ঝগড়া ঝাটি করেও একসাথে থাকতে পারো, এ আমার আশির্বাদ।)
আসল কথা হলো মানুষের এক বিশাল ক্ষমতার নাম ভালোবাসা। এই ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু জয় করা যায়। ভালোবাসার শক্তি যে অসীম। তা আমার জীবন দিয়ে আমি অনুভব করেছি।
তুমি কি কাউকে ভালোবাসো? বিয়ে করতে চাও? বলতে পারছো না? কষ্ট হচ্ছে?
কেনো বন্ধু!! এতো সংঙ্কচ কিসের?
তুমি যাকে ভালোবাসো সে তোমার থেকে বেশী সুন্দর হওয়ায় তোমার মনের মধ্যে খারাপ লাগছে। ভয় করছে! তুমি যাকে দিবানিশি ভাবো ও ভালোবাসতে চাও সে তোমার থেকে বেশী টাকাপয়সাওয়ালা ঘরের মানুষ বলে মন খুলে হৃদয়ের কথা বলতে পারছো না। তুমি যাকে তোমার প্রেমিক বানাতো চাচ্ছো সে অন্য মেয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে? কিংবা তুমি যাকে তোমার প্রেমিকা রূপে কল্পনা করো এবং ভালোবাসো সে অন্য ছেলেদের সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছ?
তোমার উত্তর যদি “হ্যা” হয় তাহলে আমি তোমাকে বলছি। এই মুহুর্তে এখনই তোমার প্রিয় মানুষটির কাছে তোমার মনের কথা প্রকাশ করো। ভালোবাসা স্রষ্টার মহান দান। ভালোবাসা চেহারা, ধন-সম্পত্তি, ফেসভ্যালু, স্টার, কৃকেটার, পারিবারিক স্টাটাস চেনে না। চিনতে চায়ও না।
তুমি যদি তোমার প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ না করতে পারলে, তুমি তো তোমার কাছে হেরে গেলে। একটি সুন্দর মনের সাথে আর একটি সুন্দর মন মিলে ভালোবাসা হয়। প্রেম হয়। আর প্রেমের মধ্যে সত্য থাকে। আর সত্যের মধ্যে স্রষ্টার প্রকৃত রূপ ধরা পরে।
তবে ভালোবাসা নিয়ে মজা করো না বন্ধু। ধর তুমি হয়তো একজনের সাথে ভালোবাসার নামে প্রতারণা করলে। তুমি যাকে দাম দাও নি, অবজ্ঞা করেছো, তুচ্ছ ভেবেছো। সে তো তোমাকে ভালোবেসেছে। সেই আবজ্ঞা করা তীর যখন নিজের দিকে কাঁটা হয়ে বিধবে তখন বুঝবে কষ্ট কাকে বলে? কষ্ট দিলে কষ্ট পাবেই। এ যে পরম সত্য কথা। একজন সত্যিকারের মানুষ সব কিছু পারে কিন্তু কারও মনে কষ্ট দিতে পারে না।
আমি নিজেকে দিয়ে অনেককে অনুভব করেছি। দেখেছি নিজে নিজের সাথে জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারছে না। হায়রে ভালোবাসা?
বন্ধু-বান্ধব, আত্নিয়, স্বজন আরও কতো জ্ঞাণী গুণী দিবানিশি বুঝাচ্ছেন, প্রিয় মানুষকে ভুলে যেতে। কিন্তু তাদের কথায় যে কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রেম যে অন্ধ। ভালোবাসার মানুষটির সবকিছুই ভালোলাগে। তার চলা, হাত নাচিয়ে কথা বলা, হাসি, হরিন চোখের চহনী সবকিছু। এই একজনই যে রাধা, শিরি, নার্গিস, বনলতা সেন, জুলিয়েট, পারুল। আবার ঐ একজনই যে মজনু, কৃষ্ণ, চন্ডিদাস, টাইটেনিকের লিওনার্দো ডিকেপ্রিয়!!!
মানুষের মন অনেক কিছু বোঝে তারপরও ভালোবাসার কাছে অবুঝ। ভালোবাসার মানুষটিকে চিৎকার করে জানিয়ে দাও I Love U. সবার সামনে বুকে টেনে নাও। ও যে তোমার। তোমার একদিনের অপ্রকাশিত ভাষার জন্য তুমি সারাজীবন নিজের সাথে নিজে জ্বলবে এ হয় না। এর সাথে তোমার পরিবারও যে জ্বলবে। তোমার সাথে সাথে তোমার ভালোবাসার মানুষটিও কষ্ট পাবে। সে ও যে তোমাকে ভালোবাসে।
ভালোবাসাকে যারা পণ্য করতে চান তারা বোঝেন না যে, ভালোবাসা টাকা পয়সা দিয়ে কেনা যায় না। মন দিয়ে মনকে আলিঙ্গন করার নামই ভালোবাসা।
প্রসংগে আসিঃ
“ভুল করে যদি ভালোবেসে থাকি, ক্ষমিও সে অপরাধ
অসহায় মনে কেনো জেগেছিলো ভালোবাসিবারই সাধ”
গুরু নজরুলের লেখা এই গানটি আমি অনেক শুনেছি। কিন্তু আনুভব করতে পারি নি। “অসহায় মনে কেনো জেগেছিলো ভালোবাসিবারই সাধ” এই একটি লাইনের মধ্য থেকেই স্রষ্টাকে অনুভব করা যায়।
ভালোবাসার কষ্ট সবচেয়ে বেশী পান মধ্যবিত্ত ঘরের শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা। তারা একটু ভালোবাসলেই অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। মান, সম্মান, ইজ্জন, আত্মীয় স্বজনের কাছে নাক কাটা গলা কাটা সব কিছু। বিয়ের জন্য তড়িঘড়ি। ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার ব্যার্থ চেষ্টা, কোরআন ছুইয়ে প্রতিজ্ঞা করানো, অযথা মারপিট, দম্ভ। হায়রে অবুঝ গার্ডিয়ান। তোমরা টাকার কাছে মাথা নত না করে একজন সত্যিকারের বাঙালীর বিবেক থেকে চিন্তা করে দেখ। তোমার মেয়ে বা ছেলেকে কোনো গরীব কিংবা বড়লোক ভালোবাসেনি। ভালোবেসেছে একজন মানুষ আর একজন মানুষকে।
তোমাদের ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ ব্যাবস্থা তোমাদেরই আসহায় করে ফেলেছে। হে বড়লোক বাবা কিংবা মা ভেবে দেখো তুমি একসময় কি ছিলে? তুমি যখন একদম শুন্য হাতে এসে অনেক টাকা কড়ি কামাতে পেরেছো। আজ যাকে অবজ্ঞা করলে সেও তো তোমার প্রথম জীবনের প্রতিরূপ।
বন্ধু!!! গার্ডিয়ানদের একটু ভুল ভাবে চিন্তা করার ফলে আজ কোটি তরুন তরুনীর স্বপ্ন টেনশনে পরিনত হচ্ছে। যা গিলে খাচ্ছে তার ভবিষ্যত সম্ভাবনাকে। যার ইফেক্ট পড়ছে সমাজে। ডিফোর্স, সংসার ভাঙা, দাম্পত্য কলহ বাড়ছে ছাড়া কমছে না।
আমি এই মুহুর্তে তোমাকে আদেশ করছি, তুমি যদি কাউকে ভালোবেসে থাকো তাহলে এখনই তাকে সরাসরি বলো। মনের মধ্যে নিজের পছন্দের কথা লুকাতে নেই। তাহলে যে তুমি তিলে তিলে মারা যাবে।
ও তোমাকে “না” বললো। তাতে কিছু যায় আসে না। তুমি তারপরও তাকে তোমার অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দাও। বার বার প্রিয়মানুষকে ভালোবাসার কথা জানানোর মধ্যে কোন অপরাধ নেই বরং লুকিয়ে রাখা খারাপ। তাতে করে তোমার মনের অশান্তি বাড়বে।
কেউ তোমাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিলে গ্রনক করতে না পারলেও সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করো না। তাতে একটি দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বরং তাকে বুঝিয়ে বলো তোমার কোন ধরনের মানুষ পছন্দ। তোমার পছন্দ অপছন্দ জানানোর আধীকার আছে। আবার যে তোমার ভালোবাসাকে খেলা ভেবে ভালোবাসার অভিনয় করবে তার ফল সে তোমাক হারানোর মধ্যেই পাবে। ভালোবাসা যে স্রষ্টার সৃষ্টি সবচেয়ে বড় আবেগের নাম।
গার্ডিয়ানদের বলছি আজ যে ছেলেটি বিড়ি সিগারেট কিছু খায় না কার যে সে খাবে না এমন কোনো গ্যারান্টি আপনি দিতে পারেন?
গার্ডিয়ানদের বলছি আজ যে ছেলেটিকে গুন্ডার মতো লাগে, লেখাপড়ায় ভালো না, বিড়ি সিগারেট খায়, বশ পরিচয় ভালো না, সে কোনোদিনও সফর হতে পারবে না এই গ্যারান্টি কি আপনি দিতে পারেন?
আজ সন্তানের সুখের কথা ভেবে সন্তানের অনিচ্ছা সত্ত্বও টাকা পয়সা, মিথ্যে বংশ মর্জাদা, ধন দৌলত বা কয়েকটি সার্টিফিকেটের কাছে নিজের প্রাণের চেয়ে প্রিয় সন্তানকে দিয়ে দিচ্ছেন সেই সন্তান যে ঐ ঘরেই সুখে শান্তিতে থাকবে এমন গ্যারান্টি কি আপনি দিতে পারেন?
না পারেন না। কারণ আপনার যাই থাক না কেনো ভবিষ্যত নিজের মতো করে তৈরি করার ক্ষমতা নেই। ভবিষ্যত যে বড় নির্মম হয়। ভবিষ্যত কে যে কোনো যুক্তি-তর্ক, টাকা-পয়সা, বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে কেনা যায় না। ভবিষ্যত তাদের জন্যই সহজ হয় যাদের অন্তত সত্য বলার সামর্থটুকু আছে। আর একজন সত্যিকারের আদর্শ তার ভবিষ্যত নিজে রচনা করতে জানে। আদর্শের কাছে সময় হার মানে। এ যে পরম সত্য কথা বন্ধু।
বন্ধু আমি চাই সবার মনের আশা পূর্ণ হোক। আমি আমার নিজের আশা বিষর্জন দিয়ে, নিজের চাও বিষর্জন দিয়ে, নিজের সুখ বিষর্জন দিয়ে, নিজের জীবন দিয়ে হলেও তোমাদের ভিতরে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে এসেছি। তুমি নিজের মনের বলে বলিয়ান হলে কেউ তোমাকে হারাতে পারবে না। তুমি তোমার আত্মার ভিতরে লুকানো স্রষ্টাকে বেড় করে নিয়ে আসো। দেখবে প্রকৃত জীবনের সাদ কাকে বলে।
আমার ভালোবাসার মানুষটি হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগে। সেই ২০০৪ইং থেকে ২০০৬ইং পর্যন্ত দু’জন দু’জনকে প্রাণ ভরে ভালোবেসেছি। নিয়মিত মোবাইলে এসএমএস দিতাম। আমার মন ওর জন্য আর ওর মন আমার জন্য ব্যাকুল থাকতো। কিছুক্ষণ খবরপাত্তা না পেলে অনেক টেনশন হতো। এমনি করে ২০০৫ইং সালের শীত কালে আমি এক রাতে লেপ গায়ে দিতে পারি নি শুনে আমার প্রিয় ঠান্ডার মধ্যে নিজের লেপ-কাঁথা-কম্বলকে পায়ে ঠেলে, আমার কষ্টকে নিজের করে নিয়েছে।
আমার প্রিয়তমা (ইফফাত জামান মুন, শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজ এর ইন্টার্ণী ডাক্তার) আমার আমাকে একনজর কাছে পাবার জন্য মোবাইলে সে কি কান্না। ও একটি চিঠিতে লিখেছিলো “তুমি তোমার এই ছোট্ট মুনটিকে এতো কাঁদাও কেনো?” ও আমাকে এসএমএস দিয়ে বলেছিলো, “আমি তোমার প্রাইভেট নার্স হয়ে সারা জীবন থাকতে চাই।”
ও নার্স হতে পারে নি। ডাক্তার হয়েছে। আমার সমস্ত মন দিয়ে চিরকাল ওর মঙ্গল কামনা করে যাবো। আমি আমার প্রিয়াকে তার লেখা সব চিঠি ফেরত দিয়ে দিয়েছিলাম। ও নিতে চায় নি, তারপরও দিয়েছিলাম। অনেক কিছু দিতে পারি নি। সেই দিতে না পারার দুঃখ অনেক।
যারা ভাবেন ভালোবাসা কিছু সময়ের অনুভুতির নাম তারা ভুল করেন। ভালোবাসা স্থায়ী। সবচেয়ে স্থায়ী, টিকশই ও শক্ত বাঁধন। এ বাঁধন মানুষের হাতে না। সত্যিকারের ভালোবাসায় ব্রেক আপ বলতে কোনো কথা নেই। সাপের বিষ দিয়ে যেমন সাপে কাটার অষুধ তৈরি করা হয় ঠিক তেমনি করে বিরহ দিয়ে বিরহকে দুর করা যায়। কষ্ট দিয়ে সকল কষ্টকে জয় করতে হয়। সামাজিক ও আর্থিক অবস্থান কিছু না।
তুমি নিজেকে উজার করে কাউকে ভালোবাসতে পারলে সে তো তোমারই। তার সুখই যে তোমার সুখ। তার দুখই যে তোমার দুখ। ভালোবাসতে জানো ধর্য্য ধরতে জানো না?
তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমার কাছে ফিরবেই তা যদি জীবনের শেষ দিনটি হয়, তবুও ফিরবে। আমি আমার ভালোবাসাকে স্রস্টা, সত্য ও বিশ্ব শান্তির জন্য উৎসর্গ করেছি বলে সে এখনও আমার প্রিয়া হয়েই আছে।
তোমরা হয়তো দেখছো ২০০৬ইং থেকে ২০১৩ইং পর্যন্ত ৭টি বছর আমি আমার জান (ইফফাত জামান মুনকে আমি জান বলে ডাকতাম) এর জন্য প্রতিক্ষা করছি। ৭বছর কেনো একজন সত্যিকারের প্রেমিক তার হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকার জন্য জীবনের পর জীবন অপেক্ষা করতে পারে। তার পরও তার হৃদয়ে যার চরনের আঘাতে ঢেউ তুলেছে তাকে তো ফেলে দেয়া যাবে না।
দেখো বন্ধু আমার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কাশিপুর বরিশাল। আর ও শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ণী ডাক্তার ২-৩ কিলোমিটার পথের দুরত্ব, তারপরও ৭ বছর দেখা নেই কিন্তু তাই বলে ওর সামনে গিয়ে আমি দাঁড়াই নি।
আমার বিশ্বাস ও আমার কাছে ছুটে আসবেই। ওর বাবা মায়ের গড়া মিথ্যে দেয়াল, ওর শিক্ষাব্যাবস্থায় গড়া মিথ্যে পড়াশুনা, ওগুলো যে বস্তু কিন্তু ভালোবাসা এক সত্যের নাম। ভালোবাসার মানুষটির জন্য অপেক্ষা করার নামই হলো ভালোবাসা। ভালোবাসার মানুষটির আসন খালি রাখার নামই ভালোবাসা। ভালোবাসার মানুষটিকে সারাজীবন পাশে রাখাতে চাওয়ার নামই ভালোবাসা।
ভালোবাসাকে ত্যাগ করা যে সত্যকে অস্বীকার করা। দেশ জুড়ে এতো রক্ত ঝড়ার পরও আমি এক সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশ ঠিক আমার প্রিয়ার মতো সুন্দর ও চঞ্চল। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ভালোবাসার মডেল। ভালোবাসা মানে আঘাত পাওয়া, আঘাত দেয়া না।
একজন সত্যিকারের বাঙালী নজরুলের বিদ্রোহী আর মানুষ কবিতার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পায় না। এ যে একই ভালোবাসার দুরকম প্রকাশ মাত্র।
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মালিক/সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার
বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯
https://www.facebook.com/asif.ud
বাংলাদেশের কারাগার হতে পারে বিশ্ব পর্যটনকেন্দ্র :: বিশ্ব শিক্ষা ও শান্তির প্রকাশ হবে বাংলাদেশের সকল কারাগার।
এসো মানবতার সমাধানের পথে :: মুক্ত হও নিজে ও মুক্ত করো জাতিকে!!!
প্রিয় হারাবার দিনগুলোতে নজরুল :: আরও কিছু কথা!!!
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: ভালোবাসা কোনো পাপ না। প্রতারণা করা পাপ। মিথ্যে বলা মহাপাপ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
শায়মা বলেছেন: শুভকামনা ভাইয়া!