নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ূন আহমেদ প্রসংগ ও বিটিভি’র পরিবর্তনকে স্বাগতম জানাচ্ছি!!!

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৬

হুমায়ূন আহমেদ প্রসংগ ও বিটিভি’র পরিবর্তনকে স্বাগতম

হুমায়ূন আহমেদ কে খুব করে মনে পড়ে। মাঝে মাঝে ভীষন রকম কষ্ট হয়, যখন দেখি, দার্শনিক হুমায়ূন আহমেদ কে তার ভক্তদের মধ্যে অনেকে এখনও বুঝতে পারেন নি। হুমায়ূন আহমেদ নিঃসন্দেহে একজন মুক্তপুরুষ।

একজন হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের অনেক অচেতন ছেলেপানদের সচেতন করে গেছেন। তা আজও যারা টের পাননি বা বুঝতে পারেন নি ভবিষ্যতে ঠিকই টের পাবেন। তিনি আমাদের একটি তৃতিয় নয়ন খুলে দিতে সাহায্য করেছেন।

আমরা একজন গুণী মানুষের সাফল্য গুলোকেই শুধু দেখতে জানি। তাদের ত্যাগ গুলোকে অনুভব করতে বা বুঝতে কষ্ট হয়। একজন হুমায়ূন আহমেদ অনেক কিছু ত্যাগ করে তারপর আকাশের চাঁদ হয়ে জ্বল জ্বল করছেন।

সমসাময়ীক অনেক কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কে কিছুটা হলেও ঈর্ষার চোখে দেখতেন। যার বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তার লেখায় কারো ব্যাপারে কখনও তেমন কোনো অভিযোগ করেন নি। যে মানুষ প্রাণ ভরে দু’হাত ও মেধাদিয়ে রত্ন ছড়াতে জানেন, তারা অভিযোগ করতে জানেন না।

তারপরও হুমায়ূন আহমেদ যখন এমেরিকায় চিকিৎসারত অবস্থায়। তখন একটি লেখায় (ঘেটু পুত্র কমলা নির্মান সংক্রান্ত টাকা পয়সার অভাবের জন্য/ সাপ্তাহিক ২০০০ বা কালের কন্ঠের শিলালিপিতে) আসাদুজ্জামন নুর সম্পর্কে একটি কষ্টের কথা ফুটিয়ে তুলেছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের কথায় বোঝা যায় শেষ বেলায় সাংসদ আসাদুজ্জামান নুরের আচরনে তিনি বেশ বিরক্ত ছিলেন। বিশেষ করে জরুরী প্রয়োজনে কিছু টাকা চেয়ে পান নি।

রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নুরকে বলছি, আপনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে রাতারাতি বাকের ভাই হয়েছিলেন কার কল্যানে? একজন হুমায়ূন আহমেদ অনেক মানুষকে টেনে এনে মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। এম.পি হবার পর আপনার দম্ভ ও সম্পদ বহুগুন বেড়ে গেছে। অনেক বড় বড় পলিটিশিয়ান নামের কলংকদের পাশে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। দলের অনুগত হওয়ার নাম করে নিজের বিবেক বুদ্ধি কে জলাঞ্জলী দিয়েছেন। আপনি জীবনে যদি কোনো বড় পাপ করে থাকেন, তার সেই অপরাধটি হলো হুমায়ূন আহমেদ এর মানুষকে অবহেলা করা।

মহাপুরুষরা দান করতে জানেন। তার দানের ফসলই আপনার মতো একজন মানুষের সমাজের উপরের স্তরে অবস্থান লাভ। নিজের মনের মধ্যের লোভকে বাস্তবে পরিনত করতে হুমায়ূন আহমেদ এর ইমেজকে কাজে লাগিয়েছেন। এই লেখা আমি যেদিন লিখতে চেয়েছিলাম ঠিক সেদিনই আপনার উপর হামলা হলো। মানুষ নিহত হলো। টিভি স্কৃনে আপনার কান্না স্নাত মুখ দেখলাম। তাতে আতঙ্কিত ও খুব দর্বল একজন আসাদুজ্জামান নুরকে প্রকাশ হতে দেখলাম।

আজ যে এই ভয়াভহ দৃশ্য সবাইকে বলে বেড়াচ্ছেন। আপনার এই কষ্টকে সবচেয়ে বেশী উপলব্ধি করে যিনি প্রাণ ভরে গ্রহন করে কলম চালাতে পারতেন। যিনি আপনাকে ও বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মিডিয়া কর্মীকে বইগুলো উৎসর্গ করে গেছেন। হুমায়ূন আহমেদের মতো মানুষকে অপমান করার সাহোস আপনাকে যে কে দিয়েছিলো?

আপনার হাহাকার আজও হুমায়ূন আহমেদ আকাশের তারা কিংবা চান্দি পশর রতের জোৎসনা হয়ে ঠিকই শুনেছেন। মহামানবদের কাছে সবকিছুই যে সুন্দর। আপনি একজন রাজনীতিক হয়ে কি করে এই ভাষা বুঝবেন বলুন? গুণী অভিনেতা এক জিনিস আর রাজণীতিতে কাঁচা খেলোয়ার ভিন্ন জিনিস। আজ কাঁদুন প্রাণ ভরে চিৎকার করে কান্না করলেও যে ভক্তের হৃদয়ে স্থান পাওয়া এই সুন্দর মনের মানুষটি যে আর ফিরবে না।

হুমায়ূন আহমেদ এর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তিনি তার “কোথাও কেউ নেই” নাটকে বুঝিয়েছিলেন আইন কাকে বলে? যেমন করে নির্দোষ বাকের ভাইয়ের ফাঁসী হয়েছিলো। ঠিক তেমনি করে অভিনেতা আসাদুজ্জামান নুর সেই কবে নিজের মনের সুন্দরকে ফাঁসীর কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিয়ে নিজেকে শয়তানদের হাতের পুতুলে রূপান্তরিত করেছিলেন।

নুর সাহেব এবার বুঝুন আত্মগ্লানী কাকে বলে? নিজের চোখের সামনে এই রক্ত দেখে মানবতার কথা বলতে নিজেকে আবার সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসুন। নেমে আসুন ঐ সব পশু ও অপদার্থ রাজনীতিবিদদের কাতার থেকে। রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষকে হত্যার কৌশল থেকে মুক্ত হয়ে জনতার মিসিলে নিজেকে রাজপথে নিয়ে আসুন।

আপনি যে হুমায়ূন আহমেদ এর কাছে থেকে অন্তত এটুকু বুঝেছেন “জীবন কাকে বলে?”

যাদের মুক্ত করার জন্য এই রক্তের ধারা প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সব তুচ্ছ মানুষের কাতারেই যে আমার বাস। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে ফিরে আসা মানুষের জন্য মৃত্যুভীতি জয় করা যে সহয কাজ!



আমার খুব করে মনে পড়ছে বিটিভি সম্প্রচারের প্রথমে একটি হাওয়াই গিটারের সুরে সুরে কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখানো হতো। তা আমি মন দিয়ে অনুভব করতাম। এ সুর যেনো ভুলবার নয়।

বাংলাদেশের এই একমাত্র রাষ্ট্রিয় টেলিস্টারিয়াল টেলিভিশনের প্রভাব আমাদের সমসাময়িক কিংবা তার আগের জেনারেশনের উপর একটি বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। এখনও গ্রাম বাংলায় এই একটি টিভি চ্যানেলের বিকল্প নাই। তাই বিটিভির গুরুত্ব আজও বিদ্যমান।

আমি আমার কর্মস্থল “মেরী কম্পিউটার্স” থেকে লাঞ্চে টাইম নেই দুপুর ১টা থেকে ২:১৫ পর্যন্ত।

পর পর ৩ দিন এই ক্ষাণিক সময় বিটিভিকে ফলো করেছি যা বিটিভি’র গুনগত একটি বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।

মায়ের বখে যাওয়া চাপাবাজ সন্তানের মতো আমরা যারা বাবার কিংবা প্রতিবেশীর মতো বিটিভিকে নিত্যদিন গালাগাল করেছি। সেই বিটিভি যে আজ প্রাইভেট চ্যানেলের জন্যও আইকন হতে পারে। তার জলজ্যান্ত প্রমাণ আজকের বিটিভির দিকে একটু চোখ মেলে তাকালে দেখতে পাবেন।

স্কুলিং, লিড নিউজ সংবাদ পরিবেশনের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য সুখের খবর।

আজ যারা প্রাইভেট চ্যানেলে বড় বড় পোস্টে আছেন তাদের মধ্য বড় একটি অংশ একসময় বিটিভিতে কাজ করেছেন। তাই বিটিভি’র জন্য একটি হৃদয়ের ভেতর থকে মায়া অনেকেরই আছে।

আমাদে সম্পদ আমাদেরই সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। বিটিভির এই নতুনরূপে প্রত্যাবর্তনকে সকল বাঙালীর জন্য শুভবার্তা ও একটি অসম্ভবের বাস্তবায়ন।

যাই হোক, আজ দুপুরে বিটিভিতে কমল দাস গুপ্তের সুরে ও নজরুলের লেখা

“জানি বাহিরে আমার তুমি অন্তরে নয়। ভাঙ্গিয়না ভাঙ্গিয়না এ মধুর ও ভুল।”

গানটি শুনে চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলাম না।



জগন্ময় মিত্রর “তুমি আজ কতদূরে” যা কমল দাস গুপ্তের ভাইয়ের সুর করা ও লেখা অনেক বিখ্যাত একটি বাংলাগানের পরিবেশনও সুন্দর হয়েছে।



বিটিভির এই পরিবর্তন যেনো আর কোনোদিন বিলীন না হয়ে যায়, সেই আশা আজ সব বাঙালীর। বিটিভি হয়ে উঠুর বাঙালী চেতনার নেভিগেটর।

একজন বাংলাদেশী দেশপ্রেমিক হিসেবে বিটিভির এই অবস্থান সত্যিকারের বাঙলার বিজয় নিশান উড়ানোর মতো। বিটিভির সুন্দর স্মৃতি কচি-কাঁচার হৃদয়ে গেঁথে থাকবে এই কামনায় আমার পক্ষ থেকে বিটিভির সকল কলাকুশলীকে আমার পরম আশির্বাদ জ্ঞাপন করছি।

আসুন সবাই বাংলাদেশী চেতনাকে বিশ্বের বুকে জাগিয়ে তুলে বিশ্বকে বুঝিয়ে দেই বিশ্বশান্তি কাকে বলে এবং বিশ্ব শান্তি কতো প্রকার ও কি কি?









(মাইলস এর শাফিন হামিন ও আমার প্রিয়া)



অসহায় মনে কেনো জেগেছিলো ভালোবাসিবারই সাধ!!!



মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

মালিক/সিইও

মেরী কম্পিউটার্স

কাশিপুর বাজার

বরিশাল।

যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯



https://www.facebook.com/asif.ud



বাংলাদেশের কারাগার হতে পারে বিশ্ব পর্যটনকেন্দ্র :: বিশ্ব শিক্ষা ও শান্তির প্রকাশ হবে বাংলাদেশের সকল কারাগার।



পত্রিকা মালিক, সম্পাদক, বিভাগীয় সম্পাদক, রিপোর্টার, ফটোসাংবাদিক, পাঠক সবাই মন দিয়ে পড়ুন- এ এক বাঙালীর আদেশ!!!



বাংলাদেশের সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে উপদেশ দিচ্ছি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

খেয়া ঘাট বলেছেন: লিখাটা একটু যেন অগোচালো মনে হলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: এবার দেখুন তো। অসংগতি ধরা পড়লে জানাবেন।

আমার এই লেখাটি লিখতে সময় নিয়ে ছিলাম বড়জোড় ২০মিনিট। কিছুটা লেখার পর কাস্টমারকে সময় দিতে হয়েছে।

আমি সময়মতো আগের পোষ্টের লেখা গুলোও কারেকশন করে দেবো।

আগের পোস্ট বেশ কিছু টাইপিং মিসটেক, বানান ভুল ও বাক্যের মধ্য অসংগতি আছে। একা মানুষ তো, জীবনটা অনেক ছোট। তাই কারেকশন করতে ইচ্ছে করে না।
তারপরও করতে হবে। এই উপকারের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আপনাকে ছোট করবো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.