![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
পৃথিবীতে মানুষই এক মাত্র প্রাণী। যে কিনা মনের মধ্যে জলন্ত আগুন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন ধারন করতে সক্ষম। আর এই আগুনের নাম ভালোবাসা। ভালোবাসার আগুনের অনেক তেজ। সেই তেজে যে জ্বলে, সে বোঝে। ফেরেশতারা আগুনের তৈরি হতে পারে কিন্তু রক্তমাংসের মানুষের মতো ভালবাসবার ক্ষমতা তাদের নেই। আগুনের শরীরের ভেতর আর যাই থাকুক না কেনো মানুষের মতো এতো সুন্দর মন থাকে না।
মানুষের ভালোবাসা দেখে ফেরেশতাদেরও যে হিংসে হয়। শয়তানেরও যে হিংসে হয়। শয়তান যতই শয়তানীতে ওস্তাদ হয়ে থাকুক না কেনো সে যে ভালোবাসার শক্তির কাছে অসহায়। তাই দুর্বল ভালোবাসার মধ্যে শয়তান এসে দাগা দেয়।
যদি তুমি কাউকে ভালোবাস তার মধ্যে ফাঁক ফোঁকর রেখো না। কাউকে ভালোবাসলে খুব সহজ করে ভালোবাসার মানুষটির কাছে তোমার মনের কথা প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করো না। দেখবে কঠিন কাজ সহজ হয়ে যাবে।
আর মনের কথা, হৃদয়ের কথা, চাওয়ার কথা, দাবির কথা স্পষ্ট করে বলতে জানতে হয়। স্পষ্ট কথাকে শয়তান ভয় পায়। স্পষ্ট কথা বলা মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। আত্ন বিশ্বাস হলো ঈমানের মেইন গেট। তোমার মধ্যে যদি আত্নবিশ্বাস না থাকে তাহলে ঈমান থাকবে কি করে? মেইন গেট আটকে রাখলে বাড়ির মধ্যে ঢুকবে কি করে? ঈমান মানে হল তাওহিদে বিশ্বাস করা। তোমার মাথার উপের ছাদ, ছাদের উপরে আকাশ, আর আকাশের উপরে স্রষ্টাকে রেখে দিয়েছো কেনো? স্রষ্টা যে তোমার হৃদয়ের রোদন হয়েও তোমাতে ধরা দিতে পারেন। স্রষ্টার অবস্থান যে হৃদয় আত্মা আর মনের চেয়েও নিকটে। তাই তো স্রষ্টার খেলা বোঝা দায়!!! তাইতো অনেক সময় ভাগ্যের কাছে বিজ্ঞান আত্মচিৎকার দিয়ে কেঁদে ওঠে।
যা হারাবার কথা তা পাওয়া যায়। আবার যা একদম নিশ্চিত করে পাওয়ার কথা তা হারিয়ে যায়। এই নিয়েই তো মানব জীবনের শুরু ও শেষ!
বন্ধু! অন্য প্রাণীদের থেকে মানুষ অনেক বেশী আলাদা। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মানুষের বড় গুন কি জানো?
মানুষের সবচেয়ে বড় গুন মানুষ ভুল করতে জানে।
মানুষের বেটার বড় গুন হল নিজের ভুল নিজে বুঝতে পারে।
আর মানুষে বেস্ট বড় গুন হলো নিজের ভুল নিজে সংশোধন করতে জানে।
আর এই সব ভুলের ঊর্ধে হলো মানবতা।
মানবতা ভুলের মধ্যেও থাকে। ভুলের মধ্যে যে মানবতা থাকে তার নাম কি জানো? তার নাম হলো ক্ষমা। যেমন করে ঝিনুকের মধ্যে মুক্তো লুকিয়ে থাকে।
আমি জানি অনেক কিছু ক্ষমা করা সম্ভব না। তারপরও যতখানি ক্ষমা করতে পারো করে যাও। তুমি কি তোমার শেষ পরিনতির কথা জানো? আমি জানি, আর তা হল মৃত্যুর সাথে সহজ স্বাক্ষাত করা।
মৃত্যু নামের মিউজিক আজ এই মুহুর্তেও তোমার জীবনে বেজে উঠতে পারবে না তার কি কোনো গ্যারান্টি দিতে পারবে? কম্পিউটারের গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি দেয়া যায়। মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি নেই।
তাই আর দেরী না করে এখনই নিজেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দাও। তোমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন তোমাকেই করতে হবে। তোমার প্রিয় মানুষটিকে ভালোবাসার কথা তোমাকেই জানাতে হবে। তোমার মনের কথা অন্য কোনো মাধ্যমে বা অন্য কারও দ্বারা বলাবে কেনো?
নিজের প্রব্লেম নিজেকেই প্রকাশ করতে হয়। নিজের সমস্যা কিংবা নিজের ভুল নিজেরই স্বীকার করতে হয়। এতে কোনো লজ্জা বোধ বাখার দরকার নেই। লজ্জা ও ভয় তোমার জীবন কে এগিয়ে নেয়ার বদলে আরো পিছিয়ে দিবে। নিজের মনের মানুষকে কাছে টেনে নিতে লজ্জা পাচ্ছ কেনো? নিজের মানুষের কাছে লাজ শরম থাকতে নেই।
কি বন্ধু!!! এতো বিচলিত কেনো? এতো দোটানা ভাব কেনো? এতো ভয় কেনো?
ঐ তাকিয়ে দেখো বনের সিংহর যখন ক্ষুধা লাগে কত্ত বড় বড় মেষ ধরে খায়। মানুষ কি একদিনে একটি মেষ শিকার করে খেতে পারে? পারে না। আবার দেখো মানুষ গরুর মতো সারাজীবন ঘাস খেয়েও জীবন ধারন করতে পারে না। তাই বন্য প্রাণী থেকে শেখার আনেক কিছু আছে। কিন্তু বন্য পশুর ব্যাক্তিত্ব যদি তোমার মধ্যে বিকাশিত হতে দাও তাহলে যে তুমিও পশুর মতো হয়ে যাবে।
এই আমার দিকে তাকিয়ে দেখো জীবনের প্রতি পদে পদে অবিরত শিখে চলেছি। জীবনের প্রায় ১৩ বছর কাটালাম ঢাকায়। ঝিগাতলা, মিরপুর-১০, গেন্ডারিয়া, পশ্চিম নাখাল পাড়া, মিরপুর-১, মোহাম্মদপুর, গুলশান-২, রামপুরা, দোলাইর পাড়, যাত্রাবাড়ী, কাঁঠাল বাগান, যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, টিপু সুলতান রোড, ওযারী, ফকিরাপুল, মানিকনগর ও বুড়িগঙ্গার ওপার ও থেকেছি। বিভিন্ন রকমের মানুষ দেখেছি। মানুষের অভাব দেখেছি। মানুষের ধন সম্পত্তি দেখেছি। মানুষের সফলতা দেখেছি। মানুষের বিফলতা দেখেছি। জন্ম দেখেছি। মৃত্যু দেখেছি। কিন্তু এ সব কিছুর মধ্যে একটি জিনিস লুকিয়ে আছে আর তা হলো সত্য। সত্য যেনো জীবন নামের গ.সা.গু (গরিষ্ঠ সাধারণ গুনিতক) অংকের রেজান্টের মতো।
মানুষ এমন এক আজব জীব যে অনেক ধনসম্পত্তি মাঝেও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। স্বপ্ন পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করে। আশা নিয়ে বেঁচে থাকে। আবার অনেক অভাবের মধ্যেও স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। স্বপ্ন পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষা করে। আশা নিয়ে বেচে থাকে। সুতারং স্বপ্ন বা আশা মানুষকে নিত্যদিন বেঁচে থাকতে সাহায্য করে চলছে।
অনেক জ্ঞাণী গুণীরা বলেছেন ধর্য্য ধরার জন্য। সবুরে নাকি মেওয়া ফলে। কিন্তু বেশী সবুরে যে মেওয়া পচেও যায়। তাই জীবনের অনেক সময় অনেক কাজ দ্রুত করতে হয়। তার মধ্যে প্রেমের প্রস্তাব আন্যতম। আজ বুঝতে পেরেছি জ্ঞাণী গুণীরা ধৈর্য্য ধরতে বলছেন কেনো? কারন মানুষ যখন অনেক অভাবে বা সংকটে থাকে তখন যে ধর্য্য ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। তাই তো ধর্য্যের মাধ্যমে নিজের সিমাবদ্ধতাকে জানান দেয়া হয়।
আশেপাশের সবাই কে দেখানো হয় আমি ধর্য্য ধরছি। আসলে ধর্য্য যে এক ধরনের অক্ষমতা হয়েও জীবনে ধরা দিতে পারে। ধর্য্য আর যাই হোক মহান না। মহান হলো প্রেম। মহান হল সত্য। মহান হল নিজের বিবেককে জাগ্রত করা। বিবেক হল সত্যের বাহন। যারা তার বিবেককে নিজের মতো করে চালাতে সক্ষম তাদের কাছে যে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।
আমি আমার জীবন দিয়ে দেখেছি। ভালোবাসা অনেক বেশী মূল্যবান। আমি যার স্বপনে নিত্যদিন বিভোর থেকেছি। যার জন্য আমার এতো অপেক্ষা। যার জন্য এতো বিরহ। তাকে কি আপন করে পাবো না? নাকি হারিয়ে যেতে দেবো না?
আরে বন্ধু, তোমরা যাকে পাওয়া বলো আমি তাকে বলি অর্জন। একবার কোনো কিছু অর্জন করে নিলে সেটা যে তোমার থেকে অন্য কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
ঠিক তেমনি করে কাউকে যদি মন থেকে ভালোবেসে থাকো তার দেয়া আঘাতকেও ভালোবাসো। একজন সত্যিকারের প্রেমিক বিরহকে পরম মায়ায় আলিঙ্গন করতে জানেন। কারণ এই আঘাত যিনি দিয়েছেন তাকেই তো তিনি ভালোবেসেছিলেন। প্রেম’কে নিজের করে নেয়া এতো সহজ কথা না। প্রেমকে ধারণ করতে হলে বিশাল রকম মন থাকতে হয়। প্রেম কি এতো সস্তা জিনিস? যে যার তার মনে ধরা দেবে?
প্রেম কি কোনো পন্য যে, দোকানে গিয়ে দোকানদারকে বললাম, “ভাই আমাকে আড়াইশো গ্রাম প্রেম দিন!”। আরে বোকা সাহস থাকে মনে। শরীরে না। তুমি লক্ষ্য করলে দেখবে, অনেক ছোট-খাটো মানুষ, শরীরে শক্তি কম কিন্তু অনেক আত্নবিশ্বাসের সাথে কথা বলছে। সবাই তাকে ভয় পাচ্ছে। আবার বিশাল দেহের অধিকারী, বিশাল ভারি হাত, মোটা শরীর কিন্তু কুকুরের ঘেউ ঘেউ শুনলেই দৌড়ে পালায়। তাই বলছি শক্তি ও সাহোস স্রষ্টা সবাইকে দেন না।
ধন সম্পত্তি, ক্ষমতাকে তুমি অনেক বড় মনে করো? তাই না? মনে রেখো, আসল ধন সম্পত্তি আর ক্ষমতা সবাই অর্জন করতে পারে না। অনেকের কাছে ধন সম্পত্তি বোঝার মতো। যেমন ধর এখনকার কিছু মন্ত্রী মিনিষ্টারের কাছে ধন সম্পদ ঝামেলা হয়ে ধরা দিয়েছে। তারা যে ধন সম্পত্তির জন্য এতো এতো খুন, যখম, কৃমিনালী করলেন কিন্তু এ কি? যখন মিডিয়ায় প্রকাশ পায় তখন মন্ত্রী সাহেবের নিজের কাছেই যে বিরক্ত লাগে। বার বার অস্বীকার করেন। এবার বুঝলে ধন সম্পত্তি কিভাবে বোঝা হতে পারে? এবার বুঝলে ধন সম্পত্তি কিভাবে মিথ্যার জন্ম দিতে পারে? কিন্তু আজ যদি মানব সমাজে ঠিকভাবে সম্পদ ভাগ করে দেয়া যেতো তাহলে এই সমস্যা থেকে আমরা পরিত্রান পেতে পারতাম।
বিশ্বাস করো বন্ধু!!! আমি তোমাদের কাছ থেকে কিছু নিতে আসি নি। দিতে এসেছি। আমি যে দিতে জানি। যে মানুষ নিজেকে বিলিয়ে দিতে জানেন তার কাছে কোনো কিছুই সাধ্যের বাইড়ে নয়।
আমি আমার প্রিয়া ইফফাত জামান মুন। যে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ণী ডাক্তার তাকে ভালোবাসি নাই। আমি ভালোবেসেছি ইফফাত জামান মুনের ভিতরে যে মন বা আত্মা আছে আবার সেই মন বা আত্মা ভিতরে লুকিয়ে থাকা এক সুন্দর জগতকে। আর যে মন দিয়ে আত্মাকে ভালোবাসতে জানে সত্যিকারের ভালোবাসবার অধীকার যে শুধু তারই আছে।
তোমরা হয়তো ভাবো প্রেমিকার সাথে কিংবা প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেলেই ভালোবাসার সার্থকতা লাভ হয়? এই ধারনা ভুল।
আমি আমার জীবন দিয়ে দেখেছি। আমি আমার জান (ইফফাত জামান মুন) কে হারানোর পর থেকে কষ্ট পেতে পেতে পাথর হয়ে গেছি। জীবন আমাকে নিয়ে কৃকেট খেলেছে। আমি সেই জীবন দেবতার খেলার বলে পরিনত হয়েছিলাম। জীবন নামের ব্যাটসম্যান আমাকে অনেক সময় হুক করে বাউন্ডারীর বাইরে ফেলে দিয়েছে। জীবন নামের ব্যাটসম্যান আমাকে তার ব্যাটের মাথা দিয়ে স্টেট শর্ট খেলে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দিয়েছে। আবার আমাকে তুলে নিয়ে রিভার সুইপ করেছে। তারপরও আমি ভেঙে পরি নি। আমার লক্ষ্য যে ঐ স্টাম্পকে আঘাত করা। আর যিনি বলার তিনিই যে আমার ভিতরের সত্যের শক্তি।
যাই হোক, তুমি কি জীবনে সাফল্য চাও? হতে চাও অনেক বড় ব্লগার বা অন্য বড় কোনো কিছু? তুমি কি জানো কি করে বড় মাপের ব্লগার হওয়া যায়?
না জানো না। আমি জানি। শোনো। বলছি। তুমি যদি কমেন্ট পাওয়ার আশায় কিংবা অনেকবার পাঠিত হবার আশায় ব্লগ লেখ তাহলে তুমি ব্লগার হতে পারবে না। একদম শুরুতে তোমাকে কমেন্ট পাওয়ার ভাবনা ও পাঠক পাওয়ার ভাবনা বিশর্জন দিতে হবে। তারপর প্রচুর ভুল করতে হবে। জীবনে যত বেশী ভুল করবে ততো বেশী শিখবে। তুমি যদি গর্তে না পড় তাহলে কিভাবে অন্য মানুষদের গর্ত চিনাবে? প্রথম কেউ যদি বিষ খেয়ে মারা না যেতো, তাহলে আজকের মানুষ কিভাবে বিষ তেজ কিভাবে বুজতো বলো?
বিষ দিয়েই বিষ ধ্বংস করা যায়। বিরহ দিয়েই বিরহকে জয় করা যায়। আমি আমার প্রেমিকাকে তার বাবা মায়ের কাছে থাকতে দিয়েছি। তার বাবা মায়ের কাছে যদি না থাকতে দিতাম তাহলে যে পৃথিবীর সব বাবা মায়ের অমর্যাদা করা হয়। একজন সত্যিকারের মানুষ তার জীবন থেকেই অনেক কিছু দেখিয়ে যান। আমি যদি মা বাবার কোল থেকে তাদের সন্তানকে জোড় করে নিয়ে আসি তাহলে যে মা বাবা কে অধীকার বঞ্চিত করা হয়! যে নিজের পিতামাতাকে ভালোবাসতে জানে না সে অন্যের পিতা মাতাকে শ্রদ্ধা করা কি করে শিখবে বলো?
তারচেয়ে বরং আমি আমার মনের শক্তি দিয়ে দিবানিশি তাকে ডেকে বেড়াই। যাতে করে আমার প্রেমিকার বাবা মায়ের মধ্যে শুভ বোধ এর ছোয়া আসে। জীবনকে জীবনের মতো করে উপলব্ধি করতে ক’জন জানেন বলুন?
তারপরও একজন ভালো মনের মানুষ খারাপ সমাজব্যবস্থার কাছে মাথা নত করবে না বরং সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে যাবে। এ যে মহাআত্মার মিশন। এ যে অনন্ত সুন্দর এক অভিযান। যে অভিযান কোনোদিনও থামে নি আর থামবেও না।
বন্ধু!!! আমাকে তোমরা ভুল বোঝ না। বিশ্বাস করো আমি তোমাদের নেতা হতে আসিনি। আমি এসেছি সত্যের আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে। আমার একটি কথাও যদি তোমাদের ভালোলাগে তাহলে তাকে স্বীকার করতে কার্পন্য করো না। সত্য কে সত্য দিয়ে স্বীকার করতে হয়।
আমি টাকা পয়সার সমস্যার মধ্যে আছি। এটা তো অনেক মারাত্নক কিছু না। তোমরা আমাকে টাকা দাও নি, তাতে আমি ছোট হইনি। আমার ব্যাক্তিত্ব যায় নি। বরং তোমরা যারা সমর্থ্য থাকতেও বিপদে একজনকে উপকার করতে পারলে না। এই অপরাধবোধই তোমাকে কোনো একদিন কুরে কুরে খেতে পারে। স্রষ্টা যখন মানুষকে পাশাপাশি রেখেছেন। মানুষ যাদের যাদের আপন ভাববে তার কাছেই তো চাওয়ার অধীকার রাখতে পারে। নিজের কষ্টের কথা অভাবের কথা বলা কি অনেক বেশী দোষের? নিশ্চই না। যার কাছে সব মানুষ আপন সে তো সব মানুষের কাছে চাইতেই পারেন।
ঐ দেখো আকাশের সুর্য নিজে জলে পুরে আলো বিলিয়ে যাচ্ছে। ঐ দেখো শত কষ্টের মাঝেও আমার গুরু নজরুল ইসলাম ভেঙে পরেন নি। তিনি যে আমার আদর্শ। নজরুল যে আমার সাধনা। তুমি হয়তো ভাবছো একদিন তোমার অনেক নাম হবে, অনেক বড় কবি কিংবা সাহিত্যিক হবে, কিংবা অনেক বড় বিজ্ঞাণী হবে, কিংবা অনেক বড় দেশপ্রেমীক হবে। কিন্তু বসে না থেকে শুরু করছো না কেনো? সম্ভাবনাকে “হবে” এর ভিতর বন্দি করা যে অন্যায়। তুমি যদি নাম করা ব্লগার হতে চাও আগে তোমাকে ব্লগ লেখা চালিয়ে যেতে হবে, তারপর নাম ধাম মান সম্মান ইত্যাদি ইত্যাদি।
এক সময় আমি ভাবতাম আমি অনেক অনেক গান লিখে পৃথিবীর সব লাউড স্পিকারের মধ্যে বেঁচে থাকবো। আমি গান লিখতেও জানি। অনেক খ্যাতি হবে আমার। বড় বড় শিল্পীরা আমার লেখা গান গাইবে। কিন্তু দেখো সেই সম্ভবনাকে আমি কাজে লাগাই নি বলে আজ আমার লেখা কোনো গান নেই। ঠিক তেমনি করে স্রষ্টা সৃষ্টি না করলে সৃষ্টি যে থাকতো না।
হৃদয় দিয়ে বলছি তুমি যদি ভাবতে শেখো যে, জীবনের অনেক সময় বাকী আছে। ঠিক এই মূহর্ত থেকেই আমি আমার টার্গেটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। এই বলে কাজ শুরু করে দাও দেখবে তুমি জীবনে ঠিকই সফল হয়েছো ও আনন্দ লাভ করতে সক্ষম হয়েছো।
আমি লিখি বলেই তোমাদের লেখা তেমন পড়তে পারি না। আর আমি অনেক পড়েছি বলেই এখন লিখতে পারছি। দুটোই সমান সত্য। এই সত্যকে মেনে নিতে হবে। তার মানে এই নয় আমি যে আর পড়তে পারবো না। অবশ্যই পড়ব। সারাজীবন পড়ে যাবো। পড়ার মাঝেই যে একজন স্রষ্টা লুকিয়ে থাকেন। সেই স্রষ্টাকে হৃদয় দিয়ে অনুভব করে দেখো। দেখবে কতো সুন্দর স্রোস্টার সেই রূপ। লালনের একটি গান- “এমন মানব জনম কি আর হবে, মন যা করো তরায় করো এই ভবে, দেব, দেবতাগণ, করে আরাধন, জন্ম নিতে মানবে......”
আবার এই লালনই বলেছেন- “দুদ্ধ জলে মিশাইলে বেছে খায় রাজহংস হলে”
আবার একই লালন বলেছেন-
“মহাজনের ঋণ এনে,
ছিটালেরি উলোবনে।।
কি হবে নিকাষের দিনে?
সেই ভাবনা কৈ ভাবিলি....,
অবুঝ মন তোরে আর কি বলি!”
দেখো লালনের ভাবনা কত সহযের মধ্যে গভীরের আত্মপ্রকাশ। এই লাইন কয়টি যদি বর্তমান মন্ত্রী মিনিস্টাদের দিয়ে গাওয়ানো যেতো, আর বিটিভিতে দলিয় সংগীত আকারে পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জনগন নাম দর্শকদের মধ্যে দেখানো যেতো। তার মধ্যেও যে করুন এক সত্যের প্রকাশ স্পষ্ট অক্ষরে ধরা পরতো। তাই নয় কি?
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মালিক/সিইও
মেরী কম্পিউটার্স
কাশিপুর বাজার
বরিশাল।
যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯
https://www.facebook.com/asif.ud
অসম্ভবের আত্মপ্রকাশ :: মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্ :: (পর্ব-১)
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: আর একবার মন দিয়ে পড়ে দেখুন তো।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: লেখা ভালো হচ্ছে না, পড়ার মতো নয়।