নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী দেবো খোপায় তারার ফুল

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

খুব বেশী মনে পড়ে আমার ভালোবাসার মানুষটির কথা। আমার “ছোট্ট মুন” (ইফফাত জামান মুন) কে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিলো, আজও আছে, চিরদিনই থাকবে। যার ভালোবাসা আমাকে বুঝিয়েছে জীবন কাকে বলে? সত্যের প্রকাশ কতো শক্তি নিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে। আমার প্রাণের মানুষটির সাথে পরিচয় পর্ব তোমাদের কাছে একদিন শেয়ার করেছি।



আজ প্রায় ৭টি বছর ওর নিষ্পাট মুখটি দেখি না। মাঝে মাঝে চোখ বন্ধ করে কল্পনা করি। ঠিকমতো মনে পড়ে না। কেমন যেনো রংধনু হয়ে যায়।



তুমি কি “মৃত্যুক্ষুধা” উপন্যাসটি পড়েছো বন্ধু। ওখানে একদম শেষে আনসার এর কাছে ওর প্রিয়া আসে। কিন্তু সে সময় যে, আনসারের মৃত্যু নিশ্চিত। আনসার আর নজরুল কে আমি আজও আলাদা করতে পারি না।

হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করলে দেখবে সবকিছুর মাঝেই এক সুন্দরের প্রকাশ। তা যতই নির্মম ও নিষ্ঠুরই হোক না কেনো।



প্রতিদিন আমার জান (ইফফাত জামান মুন) আমাকে অনেকগুলো এসএমএস পাঠাতো। আমি চাতকের মতো ওর এসএমএস এর অপেক্ষায় থাকতাম। আমার জান খুব সুন্দর করে লিখতো। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর করে কলম ধরার স্টাইল কার জানো? আমার জান (ইফফাত জামান মুন) এর হাতের কলম চালনা দেখলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবে।

আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। সেই লালমাই পাহাড়ে কিংবা সমুদ্র পাড়ে কিন্তু সবকিছুতেই আমার ছোট্ট মুনটিকে মিস করেছি।



তোমরা কি কেউ বলতে পারবে বন্ধু! কতখানী ভালোবাসা দিতে পারলে প্রিয় মানুষটিকে একদম নিজের কাছে আগলে রাখা যায়? আজও আমার মনে হয় ও হয়তো আমাকে ফোন দিবে। সেই আশায় আজও আমি তোমাদের মাঝে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দেই।

আমার জান (ইফফাত জামান মুন) একবার একটি চিঠিতে আমাকে লিখেছিলো, “তুমি তোমার ছোট্ট মুনটিকে কেনো এতো কাঁদাও?”। আমি এর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি নি। আজ দিয়ে দিচ্ছি। শোনোঃ



ইফফাত জামান মুন এখন একজন ডাক্তার। ওর মা বাবার স্বপ্ন ছিলো ও ডাক্তার হবে। ও ওর মা বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে এটা যে অনেক বড় ব্যাপার। এটা যে একটি স্বপ্ন পূরণের নাম। আর তা নিয়ে বাচ্চারা রচনা লিখতে পারবে। রচনার নাম হবে “ইফফাত জামান মুনের মা বাবার স্বপ্ন পূরণ”।



আর আমি কোনোদিনও কিছু হতে চাই নি। তাই আমার স্বপ্ন একদম আমার নিজের কাছে। যা এক সুন্দর ও অসম্ভবের প্রকাশ্য রূপ। এই রূপ যে সবাই সহ্য করতে পারে না। আমি শুধু নিজেকে প্রকাশ করতে শিখেছি। যেমন করে নিজেকে প্রকাশ করেছিলো ডাঃ চে গুয়েভারা সাহেব।

চে গুয়েভারার ছবি আজ অনেক মানুষ টি-শার্টে করে রাস্তা ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু চে গুয়েভারা কে বুকে নেয়া যে সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। ডাক্তারী পড়ে চে গুয়েভারা অনেক রোগী দেখে টাকা পয়সা ইনকাম করে দিব্যি আরাম আয়েশে জীবন কাটাতে পারতেন। তিনি তা করেন নি। তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়েও আবারও নতুন করে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন।



সমাজ পরিবর্তন কতোখানী করতে পেরেছেন তা সময়ই বলবে। তিনি তার আদর্শের সাথে আপোষ করেন নি বলেই আজ সবার মাঝে বেঁচে আছেন।



একটি ভালো ডিগ্রি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না। এই দেখো আমার আমার জন্ম তারিখ ১৮ অক্টোবর, আমার প্রিয়ার জন্ম তারিখও হলো ১৮ অক্টোবর। আর ডাক্তার জাকির নায়েক সাহেবের জন্ম তারিখও ১৮ অক্টোবর। ডাক্তার জাকির নায়েক যদি নিজেকে শুধু ডাক্তারির মধ্যে আবদ্ধ করে রাখতেন তাহলে আজ আমরা কি এতো সুন্দর করে যে সত্যের বাণী প্রকাশ করা যায় তা জানতাম। কাউকে না কাউকে কিছু একটা শুরু করতে হয়।



আমি কখনও নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে চাই নি। কিন্তু নিজের ভিতরের সত্যির কাছে আমি যে দায়বন্ধ। এ দায়বন্ধতা যে মহাকালের। এ এক জীবন প্রবাহের নাম। তোমাদের ম্যডিকেল সায়েন্স যে এই সত্যকে কোনো দিনও আবিষ্কার করতে পারবে না। সত্য যে আবিষ্কার করার জিনিস না প্রকাশ করার জিনিস। সব কিছুর মাঝেই সত্য ও সুন্দরের প্রকাশ হয়।

আমি যখন ধানমন্ডি থাকতাম তখন প্রায়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর জাদুঘরে যেতাম। কেনো জানো?



শেখ রাসেল এর খেলনাগুলো দেখতে। শেখ রাসেল এর জন্ম তারিখ ১৮ অক্টোবর। দেখো রাজনীতি কতো ভয়ঙ্কর খেলা। যার মধ্য এমন একটি মায়াবি সুন্দর শিশুরও জীবন দিতে হয়। শেখ রাসেল এর ছবি আমার চোখের সামনে ভেশে উঠতো। দেখতে অনেক চঞ্চল মনে হয়। খুব দুষ্ট ছিলো হয়তো। একটা মানুষ কতো নিষ্ঠুর হলে বাচ্চাদের গায়ে গুলি চালাতে পারে?



তোমরা অনেক কিছুই বোঝ না। বুঝতে চাও না যে সত্যিকারের ভালোবাসা কখনও হারায় না।



ইফফাত জামান মুন কে বলছি - এমন একদিন আসবেই যেদিন তুমি দেখবে বাংলাদেশ অনেক উন্নত একটি কান্ট্রি হয়ে বিশ্বের গর্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তোমার ঘরে হঠাৎ করে বেজে উঠবে,



“শত জনমের স্বপ্ন,

তুমি আমার জীবনে এলে..

কতো সাধনায়,

এমন ভাগ্য মেলে.....”



তখন তুমি ঐ গান শুনতে শুনতে ব্যলকনি দিয়ে আমাদের ঐ সন্ধ্যা তারা (তুলা রাশির জাতকদের জন্য শুভ বলে বলা হয়) এর দিকে তাকিয়ে দেখবে আমি ঐ সন্ধ্যা তারা হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে আছি।



ঠিক তখন তোমার চোখ জল ভরে উঠবে। ঐ চোখের জল মুছবে না। তুমি যখন ঘুমিয়ে পড়বে আমি নিজে এসে তোমার মাথার কাছে চুপটি করে বসে চোখের জল মুছে দেবো।

যাই হোক,



“শত জনমের স্বপ্ন,

তুমি আমার জীবনে এলে..

কতো সাধনায়,

এমন ভাগ্য মেলে.....”



এই গানটি হল “রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত” সিনেমার গান। “রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত” আমার খুব প্রিয় একজন কথাশিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের লেখা উপন্যাস।



তোমরা কি খেয়াল করে দেখেছো দেবদাস জমিদারের সন্তান হয়েও জমিদার হয়ে তার প্রিয়া জমিদারের স্ত্রী পারুল কে জয় করতে যায় নি। ঐ ভাবে প্রিয় মানুষকে পাবার রাস্তা যে খুব সহয। আর তা হলো দেবদাস যদি তার বাবার জমিদারির দায়িত্ব গ্রহন করে পরুলের স্বামী জমিদার এর কাছ থেকে খুব সহজেই কেড়ে নিতে পারতো। কিন্তু তাকে তো প্রেম বলে না। প্রেম হলো প্রিয় মানুষটিকে নিজের মৃত্যুর বিনিময় হলেও ভালোবাসার প্রকৃত সাধ বুঝানো।



আজ আমার গুরু নজরুলের নার্গিস কে কারও কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা নেই। আর দেবদাস পারুলের বাড়ীর সামনে পড়ে থেকেও যে ভালোবাসাকে প্রতিষ্ঠা করে গেছে। ঐ দৃশ্য যে অনেক সুন্দর।



“মৃত্যক্ষুধা” উপন্যাসের “আনসার” কে মারার সাধ্য যে কারও নেই। হুমায়ূন আহমেদ এর হিমু আর রূপা দু’জনই যে চিরদিনই বেঁচে থাকবে।



“সোহরাব রুস্তুম” :: সময়ের সাথে প্রাসংগীক



চমকে ওঠে মোর ভুবন :: ও হরিন চোখের চাওয়ায়....



মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

মালিক/সিইও

মেরী কম্পিউটার্স

কাশিপুর বাজার

বরিশাল।

যোগাযোগঃ ০১৭১৭-০৪৪৯১৯, ০১৮১৯-১০৬৪০৭



https://www.facebook.com/asif.ud

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.