![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
আপনাদের সাথে আইডিয়া শেয়ার করার সময় মনেই হয় না যে আমি যা লিখে লিখে মনের কথা ভাষায় রূপান্তর করে ভাব বিনিময় করছি –এর নাম যে ব্লগ। ব্লগের সংগা হয়তো অনেক আগেই নজরুল তার গানের মধ্যে বলে গেছেন-
“আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়...
আমার কথার ফুল গো,
আমার গানের মালা গো,
কুড়িয়ে তুমি নিয়ো............”
একটি সাময়িক ভালোলাগার কোনো বিষয় নিয়ে কোনো কিছু প্রকাশ করা হয়তো সেন্টের সুগন্ধের মতো। কিছুক্ষন ঘ্রান থেকে তারপর হারিয়ে যায়। আবার কিছু কথা প্রকাশ দূর্গন্ধের মতো। এর আশে পাশে যেতেও মন চায় না। মাউসের কারসর পোস্টের উপরে গেলেও মনে হয়, ইস নোংড়া হয়ে যাবে।
আর সত্যের প্রকাশ যে, ঠিক পয়জন ব্রান্ডের মতো সুগন্ধ ছড়ানো সেন্টও না আবার দুর্গন্ধও না। আসলে সত্য হলো সবুজ পাতার মতো চীর নবিন। সত্য হলো কোনো লজ্জাবতী নারীর আকুল প্রাণে কাউকে ভালোবাসার মতো। মনের গভীরে লুকিয়ে আছে। শুধু মনের মানুষটি দ্বারা একবার প্রকাশ করাতে পারলেই হলো। তারপর যে হবে সেই চমৎকার এক প্রেম অধ্যায়।
একদম প্রথম প্রকাশ করার সময় সব প্রেমই সুন্দর ও সত্যের প্রতিক কিন্তু আস্থার ও নিজের মনের কোনো ঘাটতি, সন্দেহ, কমিটমেন্ট এ অবিচল না থাকতে পারলে কিংবা সত্যের সাথে মিথ্যের মিথ্যের সংমিশ্রণ ঘটালে সেই প্রেম যে আর প্রেম থাকে না। তখন একটি নতুন জন্ম নেয়া কাচা মিষ্টি গন্ধের সবুজ কচি পাতাও যে তিলে তিলে হলুদ থেকে লাল বর্ণ ধারণ করে ফেলে। তারপরের স্টেজ আরও খারাপ হয়ে যায় তখোন সে প্রেম দেখতে হয়ে যায় পোকায় কাঁটা পাতার মতো। বন্ধু আপনাদের কারও স্বপ্নে গড়া প্রেম বা সংসারের অবস্থা যদি এমন হয় তাহলে আজই দু’জনে একদম সিরিয়াসলী বসে দু’জনের স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দিন। যদি কম্প্রোমাইজ হয় তাহলে আবারও সব ভুল ভ্রান্তিকে পায়ে ঠেলে কচি পাতার মতো নিজেদের প্রকাশ করুন। আর কম্প্রমাইজ না হলে আলাদা হয়ে যান।
জীবনে ধুকে ধুকে শেষ হয়ে যাবার চেয়ে কিংবা প্রতিদিন চোখের সামনে মনের মানুষটির আচরনে প্রতি পদে পদে নিজের ব্যাক্তিত্বকে পদদলিত হতে না দিয়ে নিজেকে আলাদা করে নেয়া আবার ভালো। আমি দেখেছি অনেক তরুন-তরুনী এই ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে বয়স হওয়ার অনেক আগেই নিজের মনে নিজে বৃদ্ধ হয়ে যায়। আসোলে মানুষের মনের কোনো বয়স থাকতে নেই। একজন বয়স্ক মানুষের মনও চির নবীন হতে পারে। আবার একদম অল্প বয়সেই মানুষ তার ব্যাক্তিত্বকে জলাঞ্জলী দিয়ে কেমন যেনো শুধু সময় কাটানোর উদ্দেশ্যেই এই পৃথিবীতে বেচে থাকতে চায়। তাতে সময়ও কাটে না, আবার ঠিক ভাবে বেঁচে থাকাও হয় না। সুন্দর ভাবে বাঁচার জন্য দরকার সুন্দর একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থের সত্যের পথে অভিযান হয় তাহলে সে স্বপ্ন বাস্তবে নিজের হাতের মুঠোয় এসে ধরা দিবেই।
যার আত্মবিশ্বাস যতো বেশী, সে ততো বেশী বড়লোক। টাকা পয়সা কামিয়ে অনেকে চীর কাঙ্গাল হয়ে মায়াহীন এই দুনিয়ায় শুধু টাইম পাস করছেন।
বন্ধু স্রষ্টার চরম দান তোমার আজকের এই মন। তাকে বিকাশিত করতে শিখুন। আপনি যদি সুন্দর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ওঠেন। নিজের মনের সত্যকে গোপন করে না রাখেন। তাহলে দেখবেন যে আপনার এতো দিনের ইচ্ছে অন্যকে প্রভাবিত করা। আসলে নিজে চাইলেই অন্যকে প্রভাবিত করা যায় না বরং আপনার মনের ভিতরের সুন্দরের প্রকাশ ঘটাতে জানলে এমনিতেই আপনার দ্বারা মানুষ প্রভাবিত হয়ে আপনার প্রতি এক ধরনের নেশা অনুভব করবে। আর এই সত্য ও সুন্দরের জন্য যে নেশা বা আবেগ তারই নাম যে সত্যিকার অর্থে বেঁচে থাকা।
বিশ্বের এমন কোনো ষ্টার দেখাতে পারবেন না। যিনি শুধু সুপার ষ্টার হবার জন্য নিজেকে প্রকাশ করেছেন। আসলে নিজের গুন কে সুন্দর ভাবে নিয়মিত উপস্থাপন করতে পেরেছেন বলেই তাদের পায়ের লাথিতে মহাকাল মুগ্ধ হয়ে আছে। এরই নাম বেঁচে থাকা। এরই নাম সৃষ্টি। সৃষ্টির চেয়ে কোনো কিছুতে আনন্দ নেই। একটি মা জখন প্রথম সন্তানের জন্ম দেন ঠিক তখন অসম্ভব কষ্টের পরও যে আনন্দের আগমত ঘটে তারই না সৃষ্টি সুখের উল্লাশ।
একজন পুরুষ একদম প্রথম হৃদয় দিয়ে তার প্রেমিকাকে দেখতে শেখে ঠিক তখনই তিনি স্বর্গের সুখের ছোয়া পায়। একটি ভালোবাসার প্রকাশ যে সৃষ্টির আনন্দে নিজকে বিলিয়ে দেবার নাম। স্রষ্টা যে তার সৃষ্টির মধ্যেই নিজেকে প্রকাশ করে রাখেন। পৃথিবীর খুব অল্প সংখক মানুষ সেই স্রষ্টার প্রকাশকে উপলব্ধি করতে পারেন। বেশীরভাগ মানুষই স্রষ্টাকে বোঝার আগেই এই জগৎ সংসারকে নিষ্ঠুরের প্রকাশ রূপ হিসেবে ভেবে মাটির সাথে বিলীন হয়ে যায়।
মানুষ বেঁচে থাকে তার ভাবনায়। আপনারা যেগুলোকে ব্লগ দেখেন। আমি যে দেখি এক একটি মানুষের মনের প্রকাশ। সুন্দর মনের প্রকাশ সুন্দর হবে আর অসুন্দর ও বাজে ভাবনার প্রকাশ বাজে হবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।
কেউ কতোগুলো হাবিজাবি ও তালগোল পাকিয়ে ব্লগে প্রকাশ করেন। এই হাবিজাবি ও তালগোল যে তার মনেরই একটি চেহারা। মজার ব্যাপার হলো তিনি যে তাকে অসুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন তা তিনি নিজেই বুঝতে পারেন না।
অনেকে ব্লগকে মনে করেন মন্তব্য পাওয়ার জায়গা। এটা শুধু নিজের উপর নিজের বিশ্বাসের ঘাটতি ব্যাতিত আর কিছু না। কারন যে অন্যকে দিয়ে নিজেকে বিশ্লেষন করার চেষ্টা করে তার যতো সম্পদই থাকুক না কেনো তার যে ব্যাক্তিত্ব নামক মানুষত্ব অনেক দুর্বল। এই দুর্বল মন দিয়ে পৃথিবীর সত্যিকারের সত্যকে দেখা যায় না।
মানুষের যেমন অন্যের পছন্দ করে দেয়া সুন্দর পোষাকের দরকার আছে। ঠিক ব্লগে মন্তব্য করারও দরকার আছে। সেই মন্তব্যকে নিজে থেকে বিশ্লেষক করার ক্ষমতা থাকতে হবে। নিজের রুচির সাথে মানানসই না হলে নিজের পোশাখ নিজেরই পছন্দ করে গায়ে দেয়া ভালো।
বন্ধু!!! আমি আমাকে প্রকাশ করি যে শুধু দেবার জন্যই কিচ্ছু পাবার জন্য না। যাকে স্রষ্টা নিজ থেকে সবকিছু দিয়ে দেন। তার আর নিজের চিন্তা কিসের। যেদিন আমি আর এভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারবো না। আপনারা এই অভাগা অশান্ত মানুষটিকে ভলে জান তাতে কোনো অসুবিধা নেই কিন্তু ভুল বুঝবেন না।
আমি যে অনেক কষ্টের মধ্যেও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে জানি। এ আমার বড় পরিচয়। আমি যে সত্যের সন্তান।
সবাইকে বড় দিনের শুভেচ্ছা। যে সত্য প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ঈসা (আঃ) বা যিশুখৃষ্ট বর্বরদের হাতে সত্যকে হত্যার কুৎসিত আনন্দ দিয়েও আজ তার ভক্তদের মাঝে বেঁচে আছেন। তার সেই পরম সত্য ও সুন্দরের লড়াই যে মহাকালের....................
মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী দেবো খোপায় তারার ফুল
“সোহরাব রুস্তুম” :: সময়ের সাথে প্রাসংগীক
©somewhere in net ltd.