নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ লুৎফর রহমান :: বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা :: জামাত-শিবির এর হুমকি!!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। বাংলাদেশের ইতিহাস, সাস্কৃতি, সম্পৃতির বন্ধন, সাহিত্য, গান, আত্নীয়তার বন্ধন, চেতনা, ধর্মের প্রতি অনুগত্য, বিভিন্ন ধর্মের মানুষের একতা, প্রেম ও ঐতিহ্য বিশ্বের সেরা। তাতে যারা বিন্দু মাত্র সন্দেহ করেন তারা বাংলাদেশ এর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী না। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ স্বাধীনতার চেতনা। যা চির সুন্দর ও সত্যের প্রকাশ।



বাংলাদেশে স্বাধীনতার ইতিহাসের কিছু চমৎকার সুন্দরের সত্য প্রকাশ আজও যাদের অধরা তাদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু সহয অনুভুতির ভাষা সবার উদ্দেশ্যে হৃদয়ের জানালা দিয়ে খুলে দিলাম।



যেদিন স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পা রাখলেন। লক্ষ লক্ষ স্বাধীণতার গর্বে গর্ববান (গর্ববান শ্বদটি নজরুল ইসলাম দ্বারা আবিষ্কৃত :: উল্লেখ্য নজরুল ইসলাম ও রবীন্দনাথ ঠাকুর বাংলা ভাষায় নিজস্ব কিছু শব্দ সৃষ্টির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন) মানুষের উপস্থিতির স্পষ্ট প্রকাশ। সবাই যেনো মুক্ত স্বাধীন অনুভুতিকে ভাষায় বলতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু স্বত্যিকারের স্বাধীনতা যে অনুভব করা যায়! ভাষায় প্রকাশ করা যায় না! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এসে বাবার কোলে লুটিয়ে পড়লেন। বাবা লুৎফর রহমান তার এই বাঙালী সন্তান টিকে শক্ত করে চেপে ধরলেন। বাবা, সন্তান, জনগণ, সাধারণ মানুষ, পুরো প্রকৃতি একসাথে যেনো কেঁদে উঠছে।

বন্ধু!!! এই কান্না যে একজন বীরের কান্না। এই কান্না যে নজরুলের “বিদ্রহী” কবিতা প্রকাশের কান্না। এই কান্না যে রবীন্দনাথের “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসী”। এই কান্না যে জীবনানন্দ দাসের “আবার আসিব ফিরে, ধারসিড়িটির তীরে”। এই কান্না যে আপেল মাহামুদের “যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে.....”। এই কান্না যে মাইকেল মধুসুধন দত্তের, “মেঘনা বধ” কাব্যের কান্না। এই কান্না যে শামসুর রহমান এর “স্বাধীনতা তুমি রবী ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান”। এই কান্না যে জসীম উদ্দীনের “এখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে। ৩০ বছর ভিজিয়ে রেখেছি দু’নয়নের জলে”। এ কান্না যে বুদ্ধুদেব বসুর, “কঙ্কাবতী”। এ কান্না যে আব্দুল হাকিমের, “যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।। সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি”।



বাবা ছেলের সহ এই বাঙালীদের একবারে কেঁদে উঠার মধ্যে ছিলো ৩০ লক্ষ নিরীহ মানুষের রক্ত দেওয়ার প্রতিশোধের স্পৃহা। এই কান্নার মধ্যে ছিলো লক্ষ লক্ষ নিরীহ বাঙালীকে পঙ্গু করে শারীরিক প্রতিবন্ধি করার প্রতিশোষের স্পৃহা। এই কান্নার মধ্য ছিলো আমাদের লাজুক স্বতী নিরিহ অবলা বাংলা ময়ের নারীদের রেপ করার প্রতিশোধের নেয়ার ইচ্ছে। এই কান্নার মধ্যে ছিলো বাংলাদেশ থেকে শত শত বছর ধরে আর্মেনীয়, বৃটিশ, ডাচ, ওলন্দাজ, ফরাসী, এমেরিকান, পাকিস্তান এর লুটে নেওয় সম্পদ আদায় করার তিব্র আকাঙ্খা। এই কান্নার মধ্যে ছিলো আমাদের গরীব, ধনী, কৃষক, মজুর, চাকুরীজিবী, ব্যবসায়ী, সামরীক, বেসামরীক, পল্ডিত, মৌলভী, শিক্ষক, নাপিত, হরিজন, মুচি, চা-বাগানের তামিল শ্রমীক, চাকমা, মার্মা, মুরং, গার, বৈদ্ধ, মুসলিম, ক্রিচিয়ান, সনাতন, নিরীহ আটকে পরা বিহারী, আটকে পরা অবুঝ পাকিস্তাণী শিশু সহ সকল বাঙালীর সমান অধীকার নিশ্চিত করার সপ্ন।



বন্ধু! ভালো করে লক্ষ করুন সেই দৃশ্য। একজন বীর রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাঙালীর শিকার ধরার শক্তি ও তেজ যে কত শক্তিশালী হয় তা পুরো বিশ্ব আর নয়নে তাকিয়ে দেখে আর চোখ ঘুরিয়ে নিতে পারে না। বন্ধু! এই পিতা লুৎফর রহমান এর নন্দন শেখ মুজিবুর রহমান সহ ওখানে যারা ছিলো তারা সবাই বাঙালী। সবাই এক সাথে কেঁদে উঠেছে আবার এই কান্না চাপা দিয়ে। চোখ মুছে হেসে উঠেছিলো। লুৎফর রহমানের মতো করে কান্নার মধ্যে থেকে যে স্বাধীনতার হাসি হেসেছিলেন তা পৃথিবীর বড় বিখ্যাতর উপরে বিখ্যাত কোনো অভিনেতাও কোনোদিন কোনকালে সেই হাসির রিয়ারর্সেল পর্যন্ত করতে পারবে না।



এই হাসি যে ৩০লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা বুকে আলিঙ্গন করার হাসি। এই হাসি যে পিতা সামনে অবুঝ কিশোরীকে ধর্ষন করে ব্যানেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে মেরে ফেলার বিনীময়ে পাওয়া স্বাধীনতা অর্জনের হাসি। এই হাসি যে লক্ষ লক্ষ মানুষের সম্পদ, গবাদী পশু, ঘর বাড়ী, বৃক্ষ, ব্রীজ, রাস্তা, কালবার্ট, স্বর্ণানলংঙ্কার, পিতা-কাসার বাসন হারিয়ে নিঃস হবার বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার হাসি। পিতার কবরের মাটি খুরে সন্তান নিয়ে একটু মুখ গুজে রক্ষা পেতে গিয়েও পরিবারের বাবা কে মেরে সন্তান কে যুদ্ধে পঠিয়ে শহিদ হওয়া এক বিধবা ও পুত্রহারা অসহায় মায়ের কপালের সীঁদুর হারিয়ে যাওয়া কিংবা কোন এক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ থেকে ফিরে নববধুর বপারে লাল টকটকে টিপের হাসির মতো স্বাধীনতা।



বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন মাটির বঙ্গবন্ধু বঙ্গভূমিতে ফিরলেন। বঙ্গবন্ধু তার বাবা লুৎফর রহমান এর বুকে আর লুৎফর রহমান তার সন্তান বঙ্গবন্ধুর বুকে। এ যেনো এই দুজন বাঙালীর বুক নয় এ হল স্বাধীন বাংলাদেশের ম্যাপ। এই কান্না ও হাসি মেশানো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একমাত্র বাংলাদেশী জাতিরই আছে। মাত্র ৯ মাসে বিশ্বের বড় বড় পরাশক্তির বিরুদ্ধে ৩০লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে স্বধীনতা অর্জনের চেয়ে বড় শক্তি বড় প্রেরণা বড় পাওয়া আর কি বা হতে পারে?



হে গর্বীত পিতা শেখ লুৎফর রহমান! আজ আপনাকে আমাদের বাংলাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলাদেশী সকল জেনারেশ ও সকল গর্বীত বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে কপালে হাত তুলে স্যালুট জানাচ্ছি। আপনি একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিতে পেরেছেন। বিশ্বের কোনো দেশের কোনো পিতা তা পারেন নি। যে বিশ্ব বাঙালীদের জেগে ওঠা দেখেছে তারা আজও অবুঝের মতো কাজ কারবার করছেন কেনো? সেই বিশ্ব আজও বোঝে না যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজের আদর্শের সাথে বেঈমানী কারার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে পশ্চিমারা তাদের কিছু এজেন্ট দিয়ে ১৯৭৫ইং সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর কে হত্যা তো করেছেই সাথে ঐ দিন বিয়ের অপুষ্ঠানে আসা বঙ্গবন্ধুর পরিবার সহ আমার ও আমার প্রিয়া মুনের জন্মদিনের সাথে জন্মদিন (১৮ অক্টোবর) মিলে যাওয়া শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিলো ঠিকই। তথাপীও বাঙালী আদর্শ ও স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে মেরে ফেলার কোনো কৌশল যে কাজে আসে নি। আজও বাংলাদেশের পিতাদের মধ্যে আমি কোটি কোটি শেখ লুৎফর রহমানের মুখ দেখতে পাচ্ছি। পশ্চিমারা যদি বাংলাদেশের সব শেখ লুৎফর রহমানদের মেরে ফেলে বঙ্গবন্ধুর মতো স্বাধীন মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় বিশ্বাসী একজন বাংলাদেশী মুক্তমানব আসার রাস্তা বন্ধ করে দিতে পারতো তাহলে কথা থাকতো না। এখনই আপনার বাবার চেহারার দিকে একবার ভালো করে তাকিয়ে দেখু বা কল্পনা করুন দেখবেন আপনিও একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী পুরুষ।



মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষদের একটি স্পষ্ট ফৃ-মন তৈরী হয়েছিলো। যে ফৃ-মন দিয়ে আমরা অনেক কিছু দেখেছি। আমরা স্বাধীনতার ভিতর দিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করেছি। সেই চীর স্বাধীন সত্য দিয়ে আমরা উপলব্ধি করেছি- রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনের শেষ বেলায় বার বার কবিগুরুর কানের কাছে কনিকা বন্দোপাধ্যায়ের গাওয়া “রোদন ভরা এ বসন্ত, সখি কখনও আসেনি বুঝি আগে” শুনতেন। আর মৃদু বৃষ্টির মতো অশ্রুধারা ঝড়াতেন। আর এই বিশ্বের সর্বকালের সেরা কবি রবীন্দ্রনাথ আমাদের কাছে তার শেষ লেখা “সভ্যতার সংকট” প্রবন্ধটি তার কৈফিয়াতের আমানত স্বরূপ দিয়ে গেছেন।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- কাজী নজরুল ইসলামের চির বিদ্রহী উচাটন মনে তার প্রিয়া কে উদ্দ্যেশ্য করে অভিমান করে লেখা “অভিশাপ” কবিতায় স্বাধীনতা দেখেছি। আবার দেখেছি এই মহামানবের সৃষ্টি “মহররম” কবিতার মর্মকথায় স্বাধীনতা দেখেছি। আবার দেখেছি নজরুল ইসলাম এর-



“মোরে ভালোবাসায় ভুলিও না।। পাওয়ার আশায় ভুলিও

মোরে আদর দিয়ে দুলিও না।। আঘাত দিয়ে দুলিও দুলিও....”



গানটির মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি। নজরুল ইসলামের লেখা- “মৃত্যু ভয় মেরেছে তোদের, মৃত্যু তোদের মারেনি ভাই।। তাই মরে সব ভুত হলি তোরা।। আলোকের দূত হলিনে তাই” বাণীর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি। নজরুল ইসলামের “তব চরনও ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক ভুবনে” গানের চরন (পা) এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি। নজরুল ইসলামের স্বাধীনতার শক্তি দেখেছি-“আল্লাতে যার পূর্ণ ঈমান কোথা সে মোসলমান।। হেসে কোরবানী দিতে জানে যারা আজ তারা মাগে ভিগ”



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- সৈয়দ শামসুল হকের গীতি নাট্যের মধ্যে স্বাধীনতা বোধের স্পষ্ট রূপরেখা।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মাত্র ২৯ বছর বয়সে মারা যাওয়া বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ আবুল হাসান এর কবিতা

“ঝিনুক নীরবে সহো,

ঝিনুক ণীরবে সহো,

ঝিনুক নীরবে সহে যাও,

ভিতরে বিষের বালী মুখ বুজে মুক্ত ফলাও।”

কবিতার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- লাখো মানুষের মধ্যে মাইকেল জ্যাকসন এর মাথা উচু করে দাঁড়ানোর স্টাইল ও তাকে দেখে শত শত সাধারণ মানুষের জ্ঞান হারানোর মধ্যে স্বাধীনতা।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- ফুটবল খেলায় পেলে, ম্যাসি, ম্যারাডোনা, সালাউদ্দিন এর পায়ের যাদুর মধ্যে স্বাধীনতা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ক্যামেরুন, ১৯৯৪ইং সালের বুলগেরিয়া, ১৯৯৮ সালের ক্রোয়েশিয়া, ২০০২ইং সালের সেনেগাল ফুটবল টিমের উল্লাসের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- ১৯৯৭ইং সালে মালাশিয়ায় আইসিসি চ্যাম্পিয়ান হবার জন্য শেষ বলে ১ রান নিয়ে হাসিবুল হাসান শান্ত সহ সকল বাংলাদেশী কৃকেটারদের বিজয়ের উল্লাস এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আব্বাস উদ্দীন এর “মাঝি বাইয়া যাও।। অকুল দড়িয়ার মাঝে।। আমার ভাঙা নাও” এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আব্বাস উদ্দীন বিটিভি সম্প্রচার সূচনা করার প্রথম শিল্পী ফেরদৌসী আহমেদ এর গাওয়া “খাঁটি সোনা ছাড়িয়া, যে নেয় নকল সোনা :: সে জন সোনা চেনে না” এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আব্বাস উদ্দীন এর ছেলে বিটিভিতে “ভরা নদীর বাঁকে” অনুষ্ঠানে মোস্তফা জামান আব্বাসীর উপস্থাপনার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- প্রবাল চৌধুরীর গাওয়া “আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য।। তোমারি প্রেমেরই জন্য ।। তোমারই পরশে যেনো ওগো শোনা বউ জীবন হলো অনন্য” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- গগণ হরকারার “আমি কোথায় পাবো তারে, আমার মনের মানুষ যে.. রে...” উদাস করা গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- গুরু আজম খান এর “রেল লাইন এর ঐ বস্তিতে।। জন্মে ছিলো একটি ছেলে। মা তার কাঁদে ছেলেটি মরে গেছে” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আসিফ এর গাওয়া “এতো কষ্ট মেনে নেয়া যায় না।। মেনে নেয়া যায় না” গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- জাফর ইকবাল ও সুবর্ণা মোস্তফা অভিনীত নয়নের আলো সিনেমায় “আমার বুকের মধ্যখানে মন যেখানে হৃদয় যেখানে..” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আব্দুল আলীম এর গাওয়া “এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া:: এত যত্নে গড়াইয়াছেন সাঁই” গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- সৈয়দ মুজতবা আলীর “রসগোল্লা” গল্পের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আতাউল ইকবাল এর গাওয়া “দুঃখ করি না সাঁজাতে পরি নি বলে তোমার বাসর রাতি” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- জেমস এর কন্ঠে গাওয়া ও শামসুর রহমান এর কবিতা “আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো তুমি আমার” এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- ডলি সায়েন্তনীর গাওয়া “রং চটা জিনসের প্যান্ট পড়া” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মনির খান এর গাওয়া “অঞ্জনা তুমি বড়ই বুদ্ধিমতি:: খুব সহযেই বুঝতে পারো তোমার লাভ ক্ষতি” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি-“আবু হেনা মোস্তফা কামাল কর্তৃক হেমন্ত মুখ পাধ্যায়ের সাক্ষাতকার নেয়ার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- ফজলে লুহানী কে গুরু জ্ঞানে সম্মান করতে জানা একজন সত্যিকার এর বাঙালী “হানিফ সংকেত” এর “ইত্যাদী” ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাঙালী সোলস এর পার্থ বড়ুয়ার কন্ঠে গাওয়া “দেখা হবে বন্ধু:: কারণে আর অকারণে।। দেখা হবে বন্ধু চাপা কোনো অভিমানে” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী এন্ডুকিশোর, এসডি রুবেল এর গানের মধ্যে ও টনি ডায়েস এর অভিনয়ে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- ইলিয়াস কাঞ্চন এর “বেদের মেয়ে জোসনার” সিনেমায় আকুল হয়ে পড়া বাঙালীর ঐতিহ্যের স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- কুমার বিশ্বজিত এর গাওয়া “এক দিন বাঙালী ছিলাম রে.....” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- বিসমিল্লাহ্ খান এর জামাই রবি শঙ্কর এর সেতার, চৌরাসীয়ার বাঁশি, জাকির হোসেন এর তবলার তালে এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- তাছলিমা নাছরীন এর নারীর অধীকার এর কথা প্রকাশ করার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- সৈয়দ আব্দুল হাদীর গাওয়া “আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যরিষ্টার” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- রামেন্দ্র মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদার এর সংসার করার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মিরাক্কেল এর মীর আফছার আলী (মীর) ও তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর রহমানের উপস্থানার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- এস.এম সুলতান এর ছবি ও ব্যাক্তি জীবনে পাঞ্জাবীর পকেটে বেঁজি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মধ্য স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- হুমায়ূন আহম্মেদ এর “অয়ময়” নাটকে মতি পাখা টানা আলী ইমাম এর অভিনয়ের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- শাহনাজ রহমাতুল্লাহ, ফরিদা পারভিন, সামিনা চৌধুরী, কঁনকচাপা, দিলরুবা খান, রুকসী, বিজরী বরকত উল্লাহ্, বিপাশা হয়াত, শমি কায়ছার, আফসানা মিমি, ইশিতা, শিলা আহমেদ, শাওন, গোলাম মোস্তফা, আনোয়ার হোসেন, আনজাম মাসুদ, খন্দকার ঈসমাইল, আব্দুর নুর তুষার কিংবা আমজাদ হোসেন এর জন্মভুমি নাটকে লেখা “জন্মভুমি” নাটকে সোহেল আরমান বা “আগুন” নামের মধ্যে স্বাধীনতা।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- স্টীভ জবস, বিল গেটস, লক্ষ্ণী মিত্তাল, জুকারবার্গ, জহিরুল ইসলাম, এপিজে আবুল কালাম, জগ মোহন ডাল মিয়া, আজাদ প্রোডাক্টস এর আজাদ, লিওনার্দ দ্যা ভিঞ্চি, মাইকেল এঞ্জেলা, জামিনী রায়ের প্রতিমার ছবি, বাপ্পি লাহেরী, ব্যাক স্টিক বয়েস, কোডরেড এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মাওলানা ভাষানীর বক্তব্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর চামচাদের সতর্ক দেয়ার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- এডমন্ড হিলারী ও আমাদের মুসা, মুহিত এর পাহাড় চুড়ায় উঠে পতাকা উড়ানোর মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মেজর জিয়াউর রহমান এর রে ব্যান্ড এর চশমার আড়ালে একজন দেশপ্রেমীক বীর এর মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- কারপভ, ক্যাসপারাপ, বিশ্বনাথ আনন্দ, জিয়াউর রহমান, হামিদ কায়সার এর দাবা খেলার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- সালমান সাহ্ অভিনিত সত্যের মৃত্যু নেই বা সুমি কায়ছার এর সাথে সালমান শাহ্ হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে চাকু চালানোর ভিতরে দুরন্ত কিশোরের স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মিতালী মুখার্জীর মারা যাওয়া বড় ভাই কে নিয়ে গাওয়া গান “কেনো আশা বেধে রাখি......জানি আসবে না, ফিরে আর তুমি” গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আব্দুর জব্বারের গাওয়া “প্রতিদিন কতো খবর আসে খবরের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর থেকে যায় অগচরে” গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- গোলাম আলীর গাওয়া “চুপকে চুপকে রাত দিন আসু বাহানা ইয়াদ হ্যায়..” গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- বুলবুল আহমেদ কিংবা শাহরুখ খানের দেবদাস সিনেমায় পরুলের বাড়ীর সামনে মরে পরে থাকার স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- নচিকেতা, অভিজিৎ, উদিত নারায়ন, মোঃ রফি, লতা, আশা, উত্তম কুমার, নকুল কুমার বিশ্বাস, সুমন চট্টপাধ্যায়, অঞ্ঝন দত্ত কিংবা অনুপ ঘোষালের গাওয়া “জানি জানি গো মোর শুন্য হুদয় দেবে ভরে” গানের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- রসায়ন বইয়ের পর্যায় সারণী কিংবা অংক বইয়ের ভিতরের পৃষ্ঠায় কোনো উপপাদ্যের প্রমাণ এর মধ্যে স্বাধীনতা পেয়েছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- “পাবে সামান্যে কি তার দেখা” লালনের গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- রিকশাওয়ালার বৃষ্টির মধ্যে ভিজে রিকশা চালানো আর যাত্রী ভালো করে ণীল রঙের রেকসীন আকড়ে ধরে রেখেও ভিজতে না চাওয়ার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- জুম্মার দিন পিছনের কাতারে নামাজের মধ্যে ছেলেপানদের দুষ্টুমি করার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- রসময় গুপ্তের বই লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে কৈশর পাড় করা ছেলেদের পরবর্তীতে তাবলীগে গিয়ে নামাজী হয়ে নিজের ছবি নিজে পোড়ানোর মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- নিলুফা ইয়াসমীন, ফিরোজা বেগম, শাফিন, হামিম, আশিকুজ্জামান টুলু, আইয়ুব বাচ্চু, তুমি হিনা সারাবেলা এ্যালবামে গাওয়া এস আই টুটুলের “কি করে পারলে হে পাশানী” গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- গার্মেন্ট সেক্টরে লাখ লাখ খেটে খাওয়া মানুষের রেডিমেট পোষাখ বানানো, বারটেক মেশিন, প্যান্টের হ্যাম্প, এ্যানজাইম এর ওয়াসিং, মিস সিপমেন্ট এর মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- লক্ষ্মী পুজোয় হিন্দু বাড়ীতে মুসলমানদের নাড়ু খাওয়ার পরে আবার জবা বা তুলশী নিয়ে আসার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখতে পেয়েছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা “চান্নী পসর রাইতে যেনো আমার মরন হয়” ও “মরিলে কান্দিস না আমার দ্বায়”



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- মোঃ সদর উদ্দীন আহম্মেদ চিশতীর কোরআন দর্শন বই ও শাহ পির চীশতির লেখা গানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- জৈনপুরী পীর এর পালকীতে চলাফেরা করা, ফুরফুরা শরীফের পীর এর দোয়া, কায়েদ সাহেব হুজুরের কাছ থেকে আমার মাথার দোয়া দেয়া, চরমনাই হুজুরের বাবারে বলে টানের মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- ভেঙ্গে যাওয়া নদীর অপর পাড়ে চর জেগে ওঠা। সমুদ্রের বিশাল পানি দিয়েও তৃষ্ণা না মেটার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- “আনজাম” সিনেমায় শাহরুখ খান কে মাধুরীর হাত দিয়ে পহাড় দিয়ে ফেলে দেবার কষ্টের মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- “টাইটানিক” সিনেমায় মৃত লিওনার্দর হাত ছেড়ে দেয়া কেটির কষ্টের মধ্যে মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- “বাস্তব” সিনেমায় সঞ্জয় দত্তকে তার মা এর দ্বারা গুলি করে হত্যা করার মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি ।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- খোদাবক্স মৃধা, হামিদ, রবি শাস্ত্রীর ধারাবাষ্য কিংবা বাঙালীর কন্ঠ মাজাহারুল ইসলাম বা নাজমুল হোসাইনের জিঙ্গেল বয়েস মধ্যে স্বাধীনতা দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- আব্দুর গফফার চৌধুরীর একই সাথে ইত্তেফাক ও আযাদ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ এর পক্ষে বিপক্ষে কলাম লেখার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।

আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- একজন ভিভূতিভূষন চট্টপাধ্যায়কে চিনাতে সত্যজিতের দরকার হওয়ার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- নতুন কুড়ি অনুষ্ঠানের ফোটা শাপলা ফুল, বা কাগজ দিয়ে শাপলা বানানো, কিংবা জাপাণী অরিগামী ও বনসাই শিল্পের প্রকাশ করানোর কৌশলের সাথে মাসরুমের চাষ বা সাপ কুমির চাষ করে সাভলম্বি হওয়া বা বিদেশী খেজুর চাষ করে সাবলম্বি হওয়ার মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



আমরা স্বাধীন ভাবে উপলব্ধি করেছি- শাহ আব্দুর করিমের নীরব জীবন কাটানোর পর সরব উপস্থিতি কিংবা শাইখ সীরাজ এর মাটি ও মানুষ এর মধ্যে স্বাধীনতাকে দেখেছি।



বন্ধু!!! স্বাধীনতা মানে জনম জনম ধরে কথা বলা। তাই কথা আর দীর্ঘায়িত করবো না।

প্রসংঙ্গে আসি, খালেদা জিয়া নামক প্লাস্টিকের উদ্দেশ্যে বাঙালীর পক্ষ থেকে বলেছিলাম আপনি জামাত শিবিরকে বিশ্ব সন্ত্রাস হিসেবে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখুন। তিনি আজও “ডেমোক্রোসী” কে উদ্ধার করতে যাচ্ছেন। অনেক সয়েছি আর সইবো না।

খালেদা জিয়া আপনার স্বামী কর্নেল তাহের কে শ্রদ্ধা করতেন। তাহের কে তিনি কেনো মেরেছিলেন জানেন? যাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কম হয়। কম মানুষ মারা যায। আবার জিয়াউর রহমান কে মিডিলিস্টের দেশগুলো দ্বারা আমাদের স্বীকৃতি বা ওআইসি এর পদ লাভ করার বিনীময়ে গোলাম আযম কে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছিলো। তারপর যখন জিয়াউর রহমান যখন দেশের উন্নয়নের দিকে মন দিলেন তখন তাকে মেরে ফেলা হলো। কারা মেরেছে জানেন? ঐ লুৎফর রহমান এর ছেলে বঙ্গবন্ধু কে যারা মেরেছিলেন সেই পশ্চিমাদের পোষ্য গুন্ডাই। জিয়া মারা যাবার পরে এরশাদ সাহেব কে সরিয়ে আপনাকে অভিনয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিলো। এখনো আপনি অভিনয়ে ভিষন কাঁচা। এই হাঁটু ব্যাথা নিয়ে সত্যের বিপক্ষে কিভাবে নড়বেন বলুন?

আজও দেশ প্রেমীকরা বেঁচে আছেন। নোমান, এম.কে আনোয়ার, মওদুদ, এহসানুল হক মিলন এবং মির্জা ফকরুল আপনাদের কি এই পুতুলের আজ্ঞাবহ দাস হয়ে থাকতে লজ্জ্বা লাগে না। আজ জিয়াউর রহমান থাকলে কি করতেন জানেন?

জিয়াউর রহমান চোখ থেকে রে-ব্যান্ড এর সানগ্লাস খুলে বিএনপির সবার সামনে খালেজা জিয়ার চুলের মুটকি ধরে টেনে ধরে রাগন্নিত কন্ঠে হয়তো বলতেন।

“যে বঙ্গবন্ধু আমাদের পারিবারিক শালিসী করে দিয়েছিলো। সেই বঙ্গবন্ধুর ছবি তুই কিভাবে নামালী ডাইনী? তুই কি করে জামাত শিবির নামের ইঙ্গ-মার্কিন অর্থায়ানে জঙ্গী গ্রুপ কে আজও নিষিদ্ধ করাতে পরলি না? আর আমার বদরুদ্দোজা, অলী, নাজমুল হুদা ও তারেক তা চেয়ে চেয়ে দেখছিস? এক্ষুনী ঐ শয়তানীকে তালাক দিয়ে দিচ্ছি। ১ তালাক, ২ তালাক!



বিশ্ব মুসলিম উম্মার কাছে আমার প্রশ্ন “জামাত-শিবির নিরিহ মানুষ মারছে কেনো? আর যারা নিরিহ মানুষকে মারার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেড় হয় তাদের কি ঈমান আছে? আর ঈমান না থাকলে সে মুসলিম হয় কি করে?”



জাতিসংঘের মহাসচিব এর কাছে বিনীত ভাবে বলছি আপনি যদি জামাত-শিবির কে ইন্টারন্যাশনাল টেররিস্ট গ্রুপ হিসেবে ঘোষনা না করেন তাহলে একজন বাঙালীর কত শক্তি তা বিশ্ব দেখবে। আমরা ওই জামাত-শিবির কে লাথি দিয়ে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেবো। বাংলাদেশ এর ভালোমন্দ বাংলাদেশীরা দেখবে। আপনারা বাংলাদেশী চেতনার শক্তি যে বজ্রপাতের মত বেগবান তার প্রমান ১৯৭১এ একবার দেখেছেন। জামাত-শিবির কে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন না করতে পারলে আবারও দেখবেন।



আমাদের সম্পদ কহিনুর হীরা চুরি করে যে মহারাণী এলিজাবেদ মাথার তাজ বানিয়েছেন। আপনাকে বলছি আমাদেরও একজন তাজ উদ্দীন আহমেদ ছিলেন। যিনি তার সন্তান সোহেল তাজের মতো বঙ্গবন্ধুর হাতে কয়েকবার পদত্যাগ পত্র দিয়েছিলেন। আপনি বঙ্গবন্ধুকে ভালো করে চেনেন। বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে আপনি ভালো করে জানেন। আজ আপনি আপনার বৃটিশ সন্তানদের জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার জন্য হুকুম দিন। জীবনের শেষ বেলায় একটা পূর্ণ কাজ করে যান। মহেশ গল্পে শরৎ চন্দ্র চট্টপাধ্যায় একবার মহারাণী ভিক্টোরিয়ার নাম উল্লেখ করেছিলেন তাই আমিও আপনার কাছে সকল বাংলাদেশীর পক্ষ থেকে জানাচ্ছি আপনি সরাসরি জামাত শিবিরের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রমান করুন। ইংরেজদের মধ্যে এখনও আমির খানের লগন সিনেমার ঐ সুন্দরী বৃটিশ মেয়েটির মতো সুন্দর মনের কিছু মানুষ আছে।





খুব বেশী ইমপর্টেন্ট একটি কথাঃ



যাই হোক, গতপরশু দুপুরে আমার প্রেমিকা ইফফাত জামান মুন মুন কে মেরে ফেলার হুমকী দিয়েছে জামাত শিবির। বাসায় যাবার পথে একটি হোন্ডা থামিয়ে দুজন মাঝ বয়সী ভদ্রলোক আমাকে স্পষ্ট ও ভালো ভাবে জানিয়ে দেয় আমি যদি জামাত শিবির নিষিদ্ধ করার পক্ষে লিখি তাহলে আমার প্রেমিকাকে মেরে ফেলা হবে। তাই অনেক কষ্ট করে আমি আমার প্রেমিকার সাথে দীর্ঘ ৭ বছর পর গতদিন যোগাযোগ করে কথা বলতে পেরেছি। ওকে সাবধান করে দিয়েছি। বাসার বাইড়ে বেড়তে মানা করেছি। তারপরও খুব চিন্তা লাগছে।



আমি একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশী নাগরিক। আর আমার প্রিয়া ইফফাত জামান মুন আমার কলিজা। আমি আমার আদর্শ থেকে ফিরে আসতে পারবো না। আবার প্রেমিকার কিছু হলেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারবো না। তাই যদি বাংলাদেশের আইন শৃক্ষলা বাহিনীর প্রতি বিনীত স্বরে আবেদন করছি যাতে আমার প্রিয়ার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হয়।



মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

০১৭১৭০৪৪৯১৯







মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: প্রলাপ

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: অন্য কোনো মানুষ হলে আপনাকে হয়তো ব্লক করে দিত।

আমি কে? আমি কি?
তা আপনার মনের রাস্তা ধরে অনেখানী পথ সামনে হেঁটে গিয়ে দেখুন নিজের বিবেকের সুপ্তরূপ দেখতে পাবেন সেখানে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন। উত্তর পেয়ে যাবেন।

আপনার মতো অসহায় মানুষদের জন্য আমি একটা পোস্ট দিয়েছিলাম Click This Link পড়ে দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.