![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
জয় বাংলাদেশ জয় মুক্তিযুদ্ধ
বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষন
সুপ্রিয় বাংলাদেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম। ১৯৭১ সালের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তৎকালীন বিশ্বের বড় বড় দেশ গুলোর কোন প্রকার সহযোগীতা ছাড়াই পাকিস্তানী বর্বর ও মানবতা বিরোধী শাসকদের তাড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে আত্নপ্রকাশ করেছিলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেকে উৎসর্গ করে বাংলাদেশের সকল শ্রণী পেশার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৩০লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে, প্রায় ২লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত লুট হওয়ার বিনিময়ে, লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবার বিনিময়ে, ও বহুদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষের ত্যাগের সবুজ ফসল আজকের এই বাংলাদেশ। মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে এতো রক্ত বিশ্বের আর কোনো দেশের মানুষকে দিতে হয়নি। এতো অল্প সময়ে এতো ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বের ইতিহাসে শুধু বাংলাদেশীদেরই আছে।
আজ ৪৩ বছর পরে নানান প্রতিকুলতা ও বিশ্বের বড় বড় শক্তিধর দেশের বিরোধীতা সত্তেও বাংলাদেশের মাটিতেই সাংবিধানিক, সুষ্ঠ ও ন্যয় সঙ্গত ভাবে ১৯৭১ সালের যুদ্ধ অপরাধীর শাস্তি বাংলাদেশের মানুষ করে দেখিয়েছে। এই রকম মানবিকতার মাধ্যমে অমানবতা বিরোধী, খুনি, নিষ্ঠুর ও ধর্ষক বিচার এর আওতায় এনে বিচারকার্য চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের আদালত যে কত শক্তিশালী তা শাহবাগ সহ বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ১৯৭১ এর শহীদ পরিবারের স্বজন হারা সদস্য, সধারন মুক্তিকামি মানুষ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রেরনা থেকে শিক্ষা নেয়া তরুন সমাজের জাগরণের মাধ্যমে বিশ্বকে জানান দিয়েছে।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সর্বভৌম দেশ। বাংলাদেশ আজ লাখো শহিদ পরিবারের ত্যাগ, গনমানুষের পরিশ্রম ও তরুন সমাজের দেশপ্রেমের মহিমায় উজ্জিবিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। একটি কিশোর জখন যৌবনে প্রবেশ করে নিজের শক্তিকে প্রকাশ করতে গিয়ে বার বার বাধার সম্মুখিন হয়। ঠিক তেমন করে বাংলাদেশেও আজ বিশ্বের বুকে এক একটি বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের মানুষ আজ উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
বিশ্ব রাজণীতিতে বাংলাদেশ এক নতুন ভাবনা হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ আজ উন্নতশীল দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রমাণ করেছে। আজ বাংলাদেশের যে উন্নতি হয়েছে তার জন্য একক ভাবে কৃত্তিত্ব পাবে বাংলাদেশের সকল সাধারণ মানুষ।
রাজনৈতিক দলগুলো দেশের অগ্রগতির দোহাই দিয়ে ও সাধারণ খেটে খাওয়া মনুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশের মুল্যবান সম্পদগুলো রক্ষা করার নামে বিনষ্ট করে কিছু রাজনীতিক নামের ব্যবসায়ী বাংলাদেশকে এতো দিন লুটেপুটে খেয়েছে। আজ বাংলাদেশের জনগনকে আর বোকা বানিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ সমাজের সবরকম দূর্ণীতি থেকে মুক্তি চায়।
বাংলাদেশের মানুষ আগামী ৫তারিখের নির্বাচন চায় না। বাংলাদেশের মানুষ আজ ঐ সব রাজনীতিবিদ নামের দূর্নীতিবাজদের চায় না। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মের নাম করে রাজনীতি ও লুটপাটের পক্ষে না। বাংলাদেশের মাটি আজ সাধারণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। কার জন্য? কিসের জন্য এই অবস্থা?
শুধুমাত্র কিছু সুবিধাভুগী মানুষের জন্য। আজ তাদের আর নতুন করে চিনিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই। এক এক জন দূর্নীতির পাহাড়ে চড়ে তাল বাহানা করে। অভিনয় করে সকল মানুষের জীবনে হতাশা নিয়ে এসেছে। এই অভিনয় বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না। বাংলাদেশের মানুষ আজ বাঁচতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ খাওয়া পড়ার অধিকার চায়।
হরতাল অবরোধ আইন করে বন্ধ করতে হবে। পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে দন্দ কিসের জন্য থাকবে? সমাজের বিবেক বলে বিবেচিত আইনজিবি জজ ব্যারিষ্টাররা আজ কেনো জাতির সামনে মারামারি করবে? সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের সুশিল সমাজ বলে কিছু নাই কিন্তু অধীকার বঞ্চিত জনগন আছে। এই শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষই বাংলাদেশের প্রাণ।
দুই মাস ধরে ইনকাম নাই। কাজ নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রাজণীতি করে বড়লোক হতে চায় না বরং স্বাধীন ভাবে কাজ করে দু’বেলা খাবার খেতে চায়। গণতন্ত্র যদি সাধারন মানুষকে মেরে ফেলার কৌশল হয়। সে কৌশল বাংলাদেশের মানুষ চায় না। বাংলাদেশের মানুষ সুপ্রিম কোর্টে কি হলো না হলো জানতে চায় না তারা মানুষের খেয়ে পরে বাঁচার অধীকার নিয়ে বাঁচতে চায়। জন নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। নইলে যে বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক ভাবে মরার অধীকার নিয়েও রাজনীতিক নাটক হবে।
বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ কে রক্ষা করার জন্য আইনের সাশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য আইন কানুন জরুরী। কিন্তু সে আইনের দোহাই দিয়ে জনগণকে মারার কৌশল ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াই সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ দেখতে চায় না।
বিশ্বের কোনো শক্তিই বাংলাদেশের অগ্রগতিকে রুখতে পারবে না। আমাদের দেশে প্রতিটা রাজনীতিক দলের মধ্যই জঙ্গী সংগঠন আছে। সেই জঙ্গী গুলোকে বাংলাদেশের মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করা হবে। জঙ্গী জনগনের শত্রু, দেশের শত্রু, উন্নয়নের শত্রু, অগ্রগতির শত্রু।
এই কিছুদিন যারা দেশকে এই নৈরাজ্য উপহার দিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বিচার বাংলাদেশের জনতার আদালতেই নিস্পত্তি হবে। বাংলাদেশের কোনো মানুষই আইনের বাইড়ে না। আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন গড়ে তুলি। আমি প্রসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। আমি এই দেশের মানুষের অধীকার ফিরিয়ে দিতে চাই। আসুন আজ থেকে আমরা সবাই নতুন উদ্দমে বাংলাদেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে চাই।
এই সংগ্রাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অবৈধ ভাবে চেয়ার দখল করে রেখেছেন। আমি বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে ৭২ঘন্টার মধ্য প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করার জন্য নম্র ও ভদ্র ভাষায় বলছি। আমার নেত্রীতে সব ভালো মানুষের সমন্বয়ে দল গঠন করে বাংলাদেশকে সুন্দর ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে আপনারা বাংলাদেশের মুল্যবান সম্পদ নষ্ট না করে আমার সাথে একাত্মতা প্রাকাশ করার জন্য তিব্র ভাবে আহব্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে আজ থেকে স্বাধীন বলে ঘোষনা করছি। বাংলাদেশে কে আমাদের বাপ দাদারা যখন স্বাধীন করতে পেরেছেন। যে সব মায়েরা ইজ্জত দিয়ে বাংলাদেশকে অর্জন করেছে। সেই শহীদের ও রক্ত মায়ের ইজ্জত বৃথা যেতে দেবো না। বাংলাদেশকে কলঙ্ক মুক্ত করবোই ইনশাআল্লাহ্। বাংলাদেশকে বাংলাদেশের আদর্শেই বড় করবো। আমার ব্যাক্তিগত জায়গা জমি ও ব্যাবসা বানিজ্য সব রাষ্ট্রকে দান করে দেবো। আমি জনগনের মালিক না। জনগনের চাকর হয়ে নিজেকে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করলাম। এর পর থেকে যারা শাসন চালাবে তাদের কোনো প্রকার নিজস্ব সম্পত্তি কিংবা নগদ অর্থ থাকতে পারবে না। আশাকরি সকল বাংলাদেশী বিবেক আমাকে সমর্থন দিবেন।
সবাই মিলে বাংলাদেশকে একটি বিশ্বের মডেল রাস্ট্রে পরিনত করবো। সব হত্যা অন্যায় ও দূর্নীতির বিচার এই বাংলাদেশের সংবিধানকে আধুনিক করে ও আইনের ফাঁক বন্ধ করে করা হবে। সংবিধানের জন্য জনগন না। জনগনের জন্য সংবিধান আধুনিকায়ন করা হবে। এখন থেকে বাংলাদেশে কোনো প্রকার গণতন্ত্র বা প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। বাংলাদেশ হবে চাকরতন্ত্র। আর বাংলাদেশের জনগনের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধীর নাম হবে চাকর। আর কেন্দ্রীয় শাসন ক্ষমতা যার হাতে থাকবে তার পদের নাম হবে প্রধানচাকর।
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
০১৭১৭-০৪৪৯১৯