নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫ তারিখের নির্বাচন আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বাতিল ঘোষনা করে শনিবার রাত ১১:৫৯ মিনিটের মধ্য প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২

জয় বাংলাদেশ জয় মুক্তিযুদ্ধ





সুপ্রিয় বাংলাদেশবাসী,



আসসালামু আলাইকুম।

আমি প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার লেখায় বানান ভুল হয় বলে। দেখুন আমার একটি কথার জন্য যদি একজন সাধারণ মানুষেরও জীবন বাঁচে সেটাই হবে আমার পাওয়া। এদিকে আমার ল্যাপটপটি বেশ পুরোনো। ল্যাপটপের ডান পাশের শিফট বটনে কাজ কম করে। তাই লিখতে কিছুটা দেরী হয়।



আজ আমি বাংলাদেশের সব গর্বিত বাবাদের কাছে বলতে চাই আপনারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের প্রশংসা ঘরে বসে করবেন না।



তাতে করে বাচ্চারা নষ্ট হয়ে যাবে। চিরিয়াখানার সিংহ দেখে সিংহ দেখা হয় ঠিকই কিন্তু বাস্তবের সিংহের তেজ অনুভব করা যায় না। আবার ঐ সিংহই সারকাসের মানুষের কাছে হার মানে।



সারকাসের ঐ মানুষটি সিংহকে বশ করে কিভাবে জানেন? প্রথমত সাহস ও মেধা দিয়ে। শুধু সহস ও মেধা দিয়ে কোনো পশুকে পোষ মানানো যায় না। তারসাথে যুক্ত হয় মায়া। মায়া মমতা ও ভালোবাসা দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। বাংলাদেশের সকল গর্বিত বাবা তার হকার, কৃষক, শ্রমিক, মজুর, রিকশাওয়ালা, সাধারণ শিক্ষিত বা অশিক্ষিত, ছোট বা মাঝারী চাকুরীজিবী সন্তানদের ওই স্যার বা ওমুক তমুক মিয়ার কাহিনী শুনিয়ে নষ্ট করে দিবেন না।



যারা সিনেমার নায়ক কে দেখতে দেখতে ভুলে গেছেন তার সন্তানটিকে যারা জীবন সংগ্রামের নায়ক হতে দেয় নি। আর সেই সব ভিলেনদের গল্প সন্তানদের কাছে বললে যে বিশাল বড় প্রতারনা করা হয়।



আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি অনেক হকার হকারী করে তাদের বাবা, মা, ছেলে, সন্তানদের খাওয়াতো। তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা কিসের জন্য? গুলিস্তানের একটি ফুটপাতের চকি ভাড়া নিতে হলে টাকা দিতে হয় জানেন?



কাকে দিতে হয় জানেন? যে বিল্ডিং এর সামনে ফুটপাতের অবস্থান সেই বিল্ডিং মালিক, পজিশন মালিক, থানার পুলিশ, ফাড়ির পুলিশ, ডিবি, সিটি কর্পোরেশন, লাইনম্যান, নাইট গার্ড সহ বিভিন্ন প্রকার প্রশাসনের মালিক কে। এ কেমন কথা? একজন শুধু শুধু অবৈধ হকার হয়ে বার বার উচ্ছেদ হবে, মার খাবে, ভদ্রলোক নামের অহংকারী মানুষের তেজ সহ্য করবে- আর একদল সারাজীবন শুধু দালালী করে যাবে। আর দালালারাই ভদ্রলোক। যারা ১৯৭১ এর দালাল খোঁজেন তারা কি আজকের সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়া দালালদের দেখেন না? দেখবেন কি করে? আপনার চোখে যে সম্মান ও বুদ্ধির অহংকারের চশমা পরা! এই চশমা পড়ে অনেক বুদ্ধিজীবি সেজেছেন এবার সব দালাল ঘুষখোরদের বিচারের আওতায় এনে আমাদের বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই আমি জনগনের চাকর হয়ে কাজ করে যাবো।



আজ কোনো বাধা সাধারণ মানুষকে ডাবিয়ে রাখতে পারবে না। ঢাকা সিটিতে হকার থাকবে। কিন্তু দালালি দুর হবে। কিছু কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় বৈধ হকার থাকবে। এই হকারই কষ্ট করে একদিন দোকান নেয়ার মতো সমর্থবান হয়ে উঠবে। রাজনীতিক নেতা ও ব্যাবসায়ীর গাড়ি যদি রাস্তার মধ্যে পার্ক করা থাকতে পারে, তাহলে হকারের মা কেনো না খেয়ে থাকবে?



টাকাকে না মানুষ কে সম্মান দিন। আজ আমি সাধারণ মানুষের পক্ষে। শুধু আজ না যতদিন বেঁচে থাকবো মানুষের অধীকারের কথা বলে যাবো। বড় বড় নেতা অসুস্থ হলে আহারে! উহুরে!

আর একজন সাধারণ মানুষের মা মারা গেলেও সেই মায়ের লাশ যে গাড়ীতে করে গ্রামের বাড়ীতে নেয়া হয়, সেই গাড়িকে ট্রাফিক ও পুলিশ বাহিনী থামিয়ে মন্ত্রী-মিনিষ্টার-রাস্ট্রদুত দের জন্য রাস্তা সাফ করা হয়।



পৃথিবীর সব রাস্ট্রদুত, মিনিস্টার, প্রাইম মিনিস্টারদের এক সাথে করে তাদের সব টাকা একসাথে করে হলেও একজন সাধারন মানুষের মা এর জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেন? আহারে কতো অহংকার! মানুষ দুনিয়ায় বাঁচার জন্য আসে রাজনীতিকদের জন্য পূজা করার জন্য না। রাজনীতিকদের ঠেলা আছে, সময়ের দাম আছে, সাধারণ মানুষের সময়ের দাম নাই।



প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা নেত্রী, এম,পি, বা বড় বড় অফিসাররা সরকারী ভাবে বেতন পান আর সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কি পায়? দুই ঘন্টা অপিসে লেইট করে গেলে বসের বকাবকি, লাল কালির দাগ, চাকুরী হারানোর হুমকী দামকি, দুই ঘন্টা দেরী করে কাজে গেলে মজুরের সারা দিনের কাজই বাতিল হয়ে যায়। এ কেমন বিচার? এ কেমন গণতন্ত্র?



নেতাদের ছবিতে সবাই থু থু দিয়ে আজ প্রতিবাদ জানান। পোস্টারের ছবির চোখ উপরে ফেলুন তাতে কান্না যে একটুকু হলেও কমবে। মনকে আর সান্তনা দিতে পারছি না। সাধারণ নিরিহ মানুষের সন্তান আজ দুধ কেনো একটু ভালো খাবার খেতে পারছেন না। আর রাজনীতিক নামের পশুরা আজ বসে বসে ঘরের ফার্নিচারের স্টাইলের কথা চিন্তা করছেন। এ কেমন গনতন্ত্র।



প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বলছি আপনি শনিবার রাত ১২টার মধ্যে পদত্যাগ করবেন। তারপর বিদেশে পালানোর চেষ্টা করবেন না। পদত্যাগের সাথে সাথেই আপনাকে বন্দি করে রাখা হবে। তারপর সব নেতাদের বিচার হবে। এই সাধারণ মানুষের মৃত্যু, সুন্দর সুন্দর গাছের মৃত্যু, সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা সহ সব কিছুর কৈফিয়ত আদায় করা হবে।



জনগনের জন্য চাকর হতে পারলেও জীবন ধন্য। পরপারে আল্লাহ্’র কাছে জবাব দিতে পারবো। হায়রে ডাইনি ও লুচ্চা রাজনীতিবিদ আখেরাতের কথা একবার ভাবুন। কি জবাব দিবেন আল্লাহ্’র কাছে? জনগনের রক্তকে মদ বানিয়ে খেয়েছেন। আজ জনগন বলবে আপনারা শুনবেন।



রাজণীতির নামে কলঙ্ক, চুরি, লুটপাট আর চলবে না। পুলিশ যদি দেশের জন্য কাজ করতে ভয় পান তাহলে দেশের জনগণ পুলিশ হয়ে রাজপথে এসে আপনাদের বাড়ী দখল করবে না।



বরং ঐ বাড়ি যাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কিনেছেন তারা আপনাদের উৎছেদ করবে। গুলশানে বড় লোকের ছেলেপানদের ফ্লাটের জানালা দিয়ে গরীব দেখে ঘৃনা লাগে বলে বস্তি ভেঙে দিয়েছেন। বস্তিতে মাদক বিক্রি হয়- এই সব ফালতু কথা রটাবেন না। মাদকের গডফাদার কারা? তা সব মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী জানে। জনগনও জানে।



বস্তির মানুষদের জন্য টিনের ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়া হলেও হবে। সরকারী জায়গায় জনগনের অধীকার আছে। জনগনকে ঘৃনা করে সালাম পাওয়া যায় সম্মান পাওয়া যায় না। আমরা যদি আমার মা, ভাই, বোনদের বলি যে আপনারা সুন্দর পরিবেশে থাকবেন, তারা ঠিকই থাকবে। কিন্তু অন্যের জায়গার জন্য মায়া থাকে না। বস্তিতে আগুন লাগায় কারা?



সরকারী অনেক খাস জমি আছে সেই জমিতে যদি একটি পরিবারের জন্য যদি একটি ছোট ঘর বা সামান্য একটি রুমও করে দেয়া যায় আর তা যদি মাসিক কিস্তির মাধ্যমে কিনতে পারেন তাহলে অসুবিধা কোথায়? তাহলে পরিবারের অর্ধেক টেনশন কমে যাবে। আর ছোট ছোট বাচ্চারা স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের বলতে পারবে “আমাদের বাড়ীতে একটি গোলাপের চাড়া আছে”। বস্তির সন্তান বলে ওই অবুঝ বাচ্চাটাকে ঘৃনা করেন কেনো?



ঐ রকম কোটি কোটি বাচ্চা আজ খেটে খায়। আর আপনাদের সন্তানরা গুলশান-বনানী ধানমন্ডিতে থেকে নেশা করে, আর বাবা মায়ের অবুঝ সন্তান হয়ে কাজের মেয়েদের রেপ করে। বাবাকে জিজ্ঞেস করে “বাবা সুইডেন কবে স্বাধীন হয়েছিলো?”



পাপ কাউকে ছাড়ে না। এমন এক সময় আসবে যেদিন ইউরোপ এমিরিকার মানুষ বাংলাদেশে এসে আশ্রয় চাইবে। সন্তান যখন বাবা মাকে সম্মান করতে জানে না তখন মানুষকে সম্মান করবে কি করে?



আমার প্রান প্রিয় বাংলাদেশবাসী! অনেক দিন অপেক্ষা করেছেন। আর অপেক্ষা নয়। এবার বাঁচার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রিয় সম্পদ ও গাছের উপর আক্রমন চালাবেন না।



গ্রামের মানুষের কাছে কুকুর আসলে তারা লাথি দিয়ে কুকুর তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু মিথ্যে কথা বলা ও চুরি করা ভদ্রলোকরা কুকুরকে ভয় পায়। কারন ওদের যে কুকুরও আদব কায়দা শিখাতে চায় না। কুকুরের প্রভু হলো যারা কুকুর পালেন। আর নেতাদের মালিক জনগন। জনগনের আদালত তৈরি করুন।



বাংলাদেশ এই সাধারণ মানুষদের কর্মের ফল দিয়েই বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আল্লাহ্ কোনোদিনও জুলুমকারীকে সহ্য করে না।



আজ থেকে বাংলাদেশের জনগন আর কোনো লঞ্চ টার্মিনালের ভিতর প্রবেশ করার জন্য টাকা দেবে না। খেয়াঘাটে ঘাটের পয়সা দেবে না। বাস টর্মিনাল থেকে এমপি-মিনিষ্টারদের চন্দা দেয়া বন্ধ করে ভাড়া কমাবেন।



আমাদের দাবি আমরাই মিটাবো। সবাই যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাবেন। আল্লাহ্ সবসময় মজলুমের পক্ষে।



মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

০১৭১৭-০৪৪৯১৯

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.