নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শনিবার রাত ১১:৫৯ মিনিটের মধ্য প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। কাল সকাল থেকে সরকারী সম্পদ রক্ষা করে শান্তিপুর্ন অবস্থান নিন।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৪

জয় বাংলাদেশ জয় মুক্তিযুদ্ধ





সুপ্রিয় বাংলাদেশবাসী,



আসসালামু আলাইকুম।



বাংলাদেশের সন্তানেরা বিদেশে বসে, গায়ে গতরে খেটে, স্ত্রী-শিশু বাচ্চা রেখে অনেক ঠান্ডার মধ্য কষ্ট করে কিংবা মরুভুমির প্রখর রোদের মধ্যে কাজ করে দেশে টাকা পাঠায়। সেই টাকার ভাগ কারা খায়? আর বিদেশে বাংলাদেশের মুখ নাম উজ্জ্বল করা মানুষগুলো কঠোর পরিশ্রমের সাথে বোনাস হিসেবে পাচ্ছে টেনশন। ভারি যন্ত্রপাতি চালানোর সময় টেনশনের কারণে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদেশে বিশেষ করে মিডেলিস্টে বসে বাংলাদেশের কোন সন্তান মারা গেলে তার লাশ নিয়ে আসা যে কতো ঝামেলার তা আমি বুঝি। কিছুদিন আগে আমার এখানকার এক ভদ্রলোকের মেয়ে জামাই সৈদির আল তায়েফ হাসপাতালে বসে মারা গেছে।

মিডেলিষ্ট থেকে লাশ নিয়ে আসতে গিয়ে, যে সব প্রসিডিউর মেইনটেন করতে হয় তা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিদেশে বাংলাদেশের দুতাবাস সমূহে অযোগ্য লোকদের স্থান দেয়া হয়েছে।

আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই বিদেশে যে সব বাংলাদেশীরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদের সেবার জন্য মিডেলিস্ট সহ বিভিন্ন দেশ গুলোর সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে।

মানুষ বা মানুষের লাশ নিয়ে কোনো প্রকার খেলা করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের সন্তান। দেশে কিংবা বিদেশে হোক বাংলাদেশের জনগনকে বাংলাদেশের জনগনের চাকর সপোর্ট দিবেন। প্রয়োজনে বিদেশীদের সাথে চ্যালেঞ্জ করা হবে। সব মানুষের ব্যাক্তিত্ব আছে। সেই ব্যক্তিত্বকে সুন্দর ও আকর্ষনী করে গড়ে তোলার মত পরিবেশ তৈরি করা রাস্ট্রের দাঁয়িত্ব।

বাংলাদেশের আবহাওয়ার মতো সুন্দর আবহাওয়া আর কোথাও নেই। নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশ সন্তানেরা বিদেশে গিয়ে কাজ করে শুধু মাত্র টাকা কামিয়ে সচ্ছল হওয়ার আশায়।

জীবন সংগ্রামে একটু ভালো ভাবে বাঁচার জন্য কতো রকমের যে স্টাগল ও ত্যাগ করতে হয় তা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সবাই বোঝেন।



বিদেশীরা নাকি বাংলাদেশকে ব্যার্থ্য রাষ্ট্র বলে মনে করেন। এই কথাটি নিয়মিত রাজনীতিকবিদ নামের অভিনেতারা ও মিডিয়া নিয়মিত প্রচার করেন। আমার প্রশ্ন বাংলাদেশকে কি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বানিয়েছেন নাকি ঐ সব বিদেশীদের নাচের পুতুলরা তৈরি করেছে?



হায়রে বাংলাদেশী জনগনের ভাগ্য!!!



আমার আওয়াজ যদি আপনি মন থেকে টের পান তাহলে আপনি এই মূহুর্তে ঠিক এক মিনিটের মধ্যে ২টি পথের মধ্যে একটি পথ বেছে নিন।



১। দেশে চাকরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একবার আমার নেত্রীত্বে একটি ছোট্ট কাজ করে দেখাবেন? আমি আবারও বিনয়ের সাথে বলছি যে, আমার গাইড লাইন মোতাবেক আপনারা রাষ্ট্রয় সম্পদের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি না করে চির শান্তির দেশ রূপে বাংলাদেশকে আমাদের এই নেতাবিহীন চাকরের পাহারায় অবস্থান নিন। আপনারা না নামলে যে এই সুন্দর বাংলাদেশের সম্পদ ও বাংলাদেশের মানুষ তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবে। জীবনের এই একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থানই আপনাদের চিরকালের জন্য হরতাল অবরোধ নামক যন্ত্রনার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।



২। ঘরে বসে থেকে জীবনের বেশীরভাগ দিনের মতো শুধু টাইম পাস করে কাটাবেন। ঘরে বসে বাবা বলবে “আমার ছেলেটা যে এতো অসভ্য হবে জীবনেও ভাবি নি”। মা বলবে “আমি আর বাঁচতে চাই না, কবে যে বিশ খেয়ে মরি ঠিক নেই। আর ঘানি টানতে পারি না। এই সংসারের জন্য অনেক করেছি। আমি মরার পর তোরা সব ঠিক হয়ে যাবি”। বড় ভাই বলবে- “আমার একটা চাকুরী হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু আর কতোকাল কষ্ট করবো” ছোট ভাই বলবে- “আর ভালো লাগে না। ভাবির যে ত্যারাব্যাকা কথা ভালো লাগে না। আব্বায় যদি অন্য আব্বাদের মতো একটি বাড়ী রেখে যেতো বসে বসে খেতে পারতান, সবাই পেরেছে আর আমার বাবা পরে নি। সৎ মানুষ কিছু করতে পারে না। কবে যে আত্মহত্যা করি ঠিক নাই” বউ বলবে- “তোমার মতো বোকা মানুষ এই দুনিয়ায় নেই। কতো মানুষ তার বউ কে কত কিছু কিনে দেয় আর তুমি আমাকে খায়িয়ে পরিয়েই রাখতে পারছো না”। স্বামী বলবে-“শোন ছেমরী তোর বাবা তোর বড় বোনের স্বামীকে সব দিয়েছে। আমাকে বিশ হাজার টাকা দিলে কি হবে। মনে করেছো বুঝি না। বিয়ের আগে কয়টি প্রেম করেছো বলো”। মামা বলেন- “বোন যখন মারা গেলো তখন তোদের যে খাবার দাবার খায়িয়েছি, তার চেয়ে তোরা যে জায়গা জমি দাবি করিস- জায়গা চাইতে লজ্জা করে না। এই জমির জন্য তোর মা আমার কাছ থেকে ঋণ সরূপ টাকা নিয়েছিলো”, চাচা বলে- “তোরা আর কোনো সম্পত্তি পাবি না। যা মামলা কর। যা করতে পারিস কর”, ফুফা বলে- “তোর দাদায় যদি জায়গাটা ঠিকঠাক করে রেখে যেতো তাহলে এই মামলা করে এতো টাকা খরচ করার দরকার হতো না। এখন জায়গাও গেলো টাকাও গেলো। বুঝলাম না শাহজাহানের এতো টাকা হলো কি করে?” বস বলে- “তোমরা যে কি লেখা পড়া করেছো বুঝি না। সকাল ৮টার মধ্যে আসবে রাত ১০টার সময় যাবে। আমি দেখে তোদের রেখেছি অন্যকেউ হলে কবে বিদায় করে দিতো। যদি কাজ করার ইচ্ছে থাকে এই লাস্ট চান্স আর যদি অন্যের রিজিক নষ্ট করতে না চাও চলে যাও”, প্রতিবেশী বলে- “আপনি কোন সহোসে আমার কাপড়ের উপর কাপড় শুকা দিলেন?”





আরও অনেক কিছু বলা যেতো। আর বলতে ইচ্ছে হয় না। যে দেশের বাসাবাড়ীতে ঠিক মতো গ্যাস সাপ্লাই দেয়া যায় না কিন্তু তিতাস গ্যাসের একজন পিয়নেরও প্রাইভেট কার থাকে। যে দেশে বিদ্যুৎ এর কারনে অনেক কষ্টে কেনা ফ্রিজ টি বার বার নষ্ট হলে শুধু টাকা গুনতে হয়। টাকা তেজপাতার মতো মোবাইলে ঢুকানো আর শেষ হয়ে যাওয়া আবার ফ্লেক্সি লোডের জন্য দৌড়াতে হয়। সন্তানের কানে হেডফোন বাবার লঙ্গি একটা। হায়রে কষ্ট!!!



যারা যনম ভরে ক্রিমিনালি করে আমাদের মধ্যে জেনারেশন গ্যাপের মতো চরম এক শত্রু তৈরী করে দিয়েছে। তারা যে মানুষ না, তারা নিজেদের দেবোতা মনে করেন। তারা থাকে স্বর্গে আর জাহান্নামের আগুনে জলে নিরিহ শ্রমিকরা।



আমাকে কি কোনো ব্যাক্তি প্রমান করে দেখাতে পারবেন। বাংলাদেশের একটি গার্মেন্ট এর আগুন শ্রমিকরা লাগিয়েছে। বাংলাদেশী মানুষ তার কর্মস্থলকে সম্মান করতে জানে। তাদের এই সম্মানকে যারা অসম্মান করেন। তাদের কে আজ আমি যখন চিনেছি। দেখি এই চাকরের সামনে ওরা কি বলে?



সম্মানিত গার্মেন্ট শ্রমিক!!! আপনি আমার দেশের জনগন। আপনারা না থাকলে বাংলাদেশের অনেক মেয়ের বিয়ে হতো না। অনেক বাবার যৌতুকের টাকা যোগার করতে করতে জীবনের অর্ধেক সময় চলে যেতো। আর সেই গার্মেন্ট শ্রমিকের রিজিক যারা কেড়ে নেয়। তাদের এই চাকরের হাতে ছেড়ে দিন। দেখবেন আমি আপনার চাকর হয়ে বডিগার্ডের দাঁয়িত্ব পালন করবো।



বাংলাদেশের সব ঝুকিপূর্ণ বিল্ডি ভেঙে দিন। পৃথিবীর সব বিল্ডিং বিক্রি করেও একটা মানুষ কে জীবিত করা যায় না। সেখানে এই পরিকল্পিত ভাবে এতো রক্ত ঝরবে কেনো? সেখানে গাড়ী করে কারা আসে? তারা তো ফেরেশতা।



বাংলাদেশী মানুষ যেমন ভালোবাসতে জানে। আদর সোহাগ করতে জানে। আবার জুতার বাড়ীও দিতে জানে। সব গার্মেন্টস শ্রমিক পায়ের স্যান্ডেল হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আসো। রানা প্লাজা কে যারা আল্লাহর গজব বা দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়েছে তারাও স্বাস্তি পাবে। যে গার্মেন্স কর্মীরা জীবন ভরে খেটে যায় সেই গার্মেন্ট কর্মীরা মরবে আল্লাহর আজাবে? না। এই অন্যায় সিস্টেম মেনে চললে যে ন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়। আজ শ্রমীকরা যা বলবে মালিক তা শুনবে। নইলে ঐ শ্রমিকের চাকর ঐ মালিকদের আল্লাহর কুতুব শাহজালালালের নামে করণ করা বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালাতে দেবে না। ওপেন মিডিয়ার সামনে ঐ পশুদের সাস্ত দেয়া হবে। বাংলাদেশ কে যারা চরম উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন তারা আজ অপমানিত হবে কেনো? তারা বস্তিতে থাকবে কেনো?

আমাদের সাথে সবাই অভিনয় করে। বিদেশী বায়াররা নাকি জানে না যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের এতো কম বেতন দেয়া হয়। ডক্টর ইউনুস যখন ঐ গার্মেন্স শ্রমিকদের স্বার্থে কথা বলেন প্রস্তাব রাখেন- তাকেও লাঞ্চনা সইতে হয়?



অহংকারের শাস্তি আল্লাপাক দেয় শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া দুই অহংকারী শয়তান আমাদের শ্রমিকদের মৃত্যু দেখেও একবার মন থেকে মৃত্যুর ভয় আসে না। আরে রাক্ষসী তোদেরও মরতে হবে? এবার দেখবি ঐ সব অত্যাচারিত মানুষের চাকর তোদের তিলে তিলে মারবে।



যারা আমার সাথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামতে চান সবাই কাল সকালে বেড় হবেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অপেক্ষা করবো। আর যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে তাকে জনগনের চাকরের পাহারায় জনগন ক্ষমতা থেকে নামাবে।



এ এক বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া, প্রিয়তমাকে হারানো প্রেমীকের চ্যালেঞ্জ।



যাদের কম্পিউটার আছে কিংবা সাউন্ড রেকর্ড করতে জানেন। তারা আমার বক্তিতা গুলো এমপি-থ্রী ফরমেটে রুপান্তর করে বড় স্পিকারে শুনাতে থাকুন। এক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশের সব মিডিয়া কর্মিদের ও সাউন্ড রেকডিং এ অভিজ্ঞ মানুষদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।



কে বললো তা বড় কথা না। কে স্বাধীনতার ঘোষক বা কে জাতির জনক তা বাংলার সাধরণ মানুষ জানতে চায় না। আমি মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্ আমার নাম ইতিহাস বইয়ে থাকবে এই আশা নিয়ে জনগনের চাকর হই নি।



আমি আমার বিবেকের তারনায় ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমাকে উৎসর্গ করছি। আমার নাম ব্যবহার করে যদি অন্য কেউ কোনো প্রকার ফায়দা নিতে চায় আর সে যদি আমার জন্মদাতা বাপও হয় তাকেও আইনের আওয়ায় নিয়ে আসা হবে।

এই গরিব অসহায় ছেলটি যদি তোমাদের চাকর বলে মেনে নাও।

আল্লাহর কসম!!! আমার মা যদি কোনোদিন কোনো প্রকার দূর্ণীতি করে তাকেও আইনের আওতয় নিয়ে আসা হবে। আইন মানতে হবে। আর সেই আইন হবে সবার জন্য সমান।



যারা ইসলামী দল বলে নিজেদের প্রকাশ করে থাকেন। তারা কি ভুলে গেছেন। আপনাদের মতো গদীতে বসে হযরত ওমর (রাঃ) তার প্রজাদের শাসন করেন নি। হযরত ওমর (রাঃ) এর বিচারের কথা শুনিয়ে মানুষকে কাঁদিয়ে টাকা ইনকাম করতে আপনাদের ব্যক্তিত্বে বাজে না। আর নিজেদের ধুলোর মধ্যে নিয়ে আসতে এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো? হযরত বেল্লাল (রাঃ) দাস ছিলেন। তাকে আমার প্রাণের রসুল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তার হৃদয়ে স্থান দিয়ে মুক্ত করে এনেছিলেন। আর সেই বেল্লাল (রাঃ) কে গরম বালির উপর ফেলে শুধু ইসলামকে অস্বীকার করতে বলা হয়েছিলো কিন্ত হযরত বেল্লাল আজাব সহ্য করেও ইসলামের সাথে বেইমানী করে নি। কোনো মোমিন মুসলমান ইসলামের সাথে বেইমানী করতে পারেন না।



আজ আপনারা সমাজের আল্লার অলী সেজে নেতামী নামের চাঁদাবাজি করেন? এই চাঁদাবাজদের দমন করতে আজ আপনাদেরও বেল্লাল (রাঃ) মতো পরীক্ষা দেবার সময় এসেছে। বাংলাদেশ মুসলিম রাস্ট্র। মুলমানরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে পারে কিন্ত অসহায় মানুষকে মেরে ফেলতে পারে না। আজ আমি বাংলাদেরের সব মুসলিম দলগুলোকে তাদের কাতারের পিছনে আমাকে স্থান দিলেই হবে। আমি বড় চেয়ার চাই না। বড় মন চাই। ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বকে শান্তি উপহার দিতে চাই। মায়া, মমতা, ভালোবাসার সামনে পৃথিবীর সব ক্ষেপনঅস্ত্র খেলনার মতো। আসুন আমরা সবাই মিলে নিজেদের ব্যাক্তিত্বের বিকাশ ঘটাই।



বাংলাদেশের সন্তানেরা বিদেশে বসে, গায়ে গতরে খেটে, স্ত্রী-শিশু বাচ্চা রেখে অনেক ঠান্ডার মধ্য কষ্ট করে কিংবা মরুভুমির প্রখর রোদের মধ্যে কাজ করে দেশে টাকা পাঠায়। সেই টাকার ভাগ কারা খায়? আর বিদেশে বাংলাদেশের মুখ নাম উজ্জ্বল করা মানুষগুলো কঠোর পরিশ্রমের সাথে বোনাস হিসেবে পাচ্ছে টেনশন। ভারি যন্ত্রপাতি চালানোর সময় টেনশনের কারণে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদেশে বিশেষ করে মিডেলিস্টে বসে বাংলাদেশের কোন সন্তান মারা গেলে তার লাশ নিয়ে আসা যে কতো ঝামেলার তা আমি বুঝি। কিছুদিন আগে আমার এখানকার এক ভদ্রলোকের মেয়ে জামাই সৈদির আল তায়েফ হাসপাতালে বসে মারা গেছে।



মিডেলিষ্ট থেকে লাশ নিয়ে আসতে গিয়ে, যে সব প্রসিডিউর মেইনটেন করতে হয় তা অত্যান্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিদেশে বাংলাদেশের দুতাবাস সমূহে অযোগ্য লোকদের স্থান দেয়া হয়েছে।



আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই বিদেশে যে সব বাংলাদেশীরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে তাদের সেবার জন্য মিডেলিস্ট সহ বিভিন্ন দেশ গুলোর সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে।

মানুষ বা মানুষের লাশ নিয়ে কোনো প্রকার খেলা করা যাবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের সন্তান। দেশে কিংবা বিদেশে হোক বাংলাদেশের জনগনকে বাংলাদেশের জনগনের চাকর সপোর্ট দিবেন। প্রয়োজনে বিদেশীদের সাথে চ্যালেঞ্জ করা হবে। সব মানুষের ব্যাক্তিত্ব আছে। সেই ব্যক্তিত্বকে সুন্দর ও আকর্ষনী করে গড়ে তোলার মত পরিবেশ তৈরি করা রাস্ট্রের দাঁয়িত্ব।



বাংলাদেশের আবহাওয়ার মতো সুন্দর আবহাওয়া আর কোথাও নেই। নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশ সন্তানেরা বিদেশে গিয়ে কাজ করে শুধু মাত্র টাকা কামিয়ে সচ্ছল হওয়ার আশায়।



জীবন সংগ্রামে একটু ভালো ভাবে বাঁচার জন্য কতো রকমের যে স্টাগল ও ত্যাগ করতে হয় তা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সবাই বোঝেন।



বিদেশীরা নাকি বাংলাদেশকে ব্যার্থ্য রাষ্ট্র বলে মনে করেন। এই কথাটি নিয়মিত রাজনীতিকবিদ নামের অভিনেতারা ও মিডিয়া নিয়মিত প্রচার করেন। আমার প্রশ্ন বাংলাদেশকে কি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বানিয়েছেন নাকি ঐ সব বিদেশীদের নাচের পুতুলরা তৈরি করেছে?



হায়রে বাংলাদেশী জনগনের ভাগ্য!!!



আমার আওয়াজ যদি আপনি মন থেকে টের পান তাহলে আপনি এই মূহুর্তে ঠিক এক মিনিটের মধ্যে ২টি পথের মধ্যে একটি পথ বেছে নিন।



১। দেশে চাকরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য একবার আমার নেত্রীত্বে একটি ছোট্ট কাজ করে দেখাবেন? আমি আবারও বিনয়ের সাথে বলছি যে, আমার গাইড লাইন মোতাবেক আপনারা রাষ্ট্রয় সম্পদের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি না করে চির শান্তির দেশ রূপে বাংলাদেশকে আমাদের এই নেতাবিহীন চাকরের পাহারায় অবস্থান নিন। আপনারা না নামলে যে এই সুন্দর বাংলাদেশের সম্পদ ও বাংলাদেশের মানুষ তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবে। জীবনের এই একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থানই আপনাদের চিরকালের জন্য হরতাল অবরোধ নামক যন্ত্রনার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।



২। ঘরে বসে থেকে জীবনের বেশীরভাগ দিনের মতো শুধু টাইম পাস করে কাটাবেন। ঘরে বসে বাবা বলবে “আমার ছেলেটা যে এতো অসভ্য হবে জীবনেও ভাবি নি”। মা বলবে “আমি আর বাঁচতে চাই না, কবে যে বিশ খেয়ে মরি ঠিক নেই। আর ঘানি টানতে পারি না। এই সংসারের জন্য অনেক করেছি। আমি মরার পর তোরা সব ঠিক হয়ে যাবি”। বড় ভাই বলবে- “আমার একটা চাকুরী হলেই সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু আর কতোকাল কষ্ট করবো” ছোট ভাই বলবে- “আর ভালো লাগে না। ভাবির যে ত্যারাব্যাকা কথা ভালো লাগে না। আব্বায় যদি অন্য আব্বাদের মতো একটি বাড়ী রেখে যেতো বসে বসে খেতে পারতান, সবাই পেরেছে আর আমার বাবা পরে নি। সৎ মানুষ কিছু করতে পারে না। কবে যে আত্মহত্যা করি ঠিক নাই” বউ বলবে- “তোমার মতো বোকা মানুষ এই দুনিয়ায় নেই। কতো মানুষ তার বউ কে কত কিছু কিনে দেয় আর তুমি আমাকে খায়িয়ে পরিয়েই রাখতে পারছো না”। স্বামী বলবে-“শোন ছেমরী তোর বাবা তোর বড় বোনের স্বামীকে সব দিয়েছে। আমাকে বিশ হাজার টাকা দিলে কি হবে। মনে করেছো বুঝি না। বিয়ের আগে কয়টি প্রেম করেছো বলো”। মামা বলেন- “বোন যখন মারা গেলো তখন তোদের যে খাবার দাবার খায়িয়েছি, তার চেয়ে তোরা যে জায়গা জমি দাবি করিস- জায়গা চাইতে লজ্জা করে না। এই জমির জন্য তোর মা আমার কাছ থেকে ঋণ সরূপ টাকা নিয়েছিলো”, চাচা বলে- “তোরা আর কোনো সম্পত্তি পাবি না। যা মামলা কর। যা করতে পারিস কর”, ফুফা বলে- “তোর দাদায় যদি জায়গাটা ঠিকঠাক করে রেখে যেতো তাহলে এই মামলা করে এতো টাকা খরচ করার দরকার হতো না। এখন জায়গাও গেলো টাকাও গেলো। বুঝলাম না শাহজাহানের এতো টাকা হলো কি করে?” বস বলে- “তোমরা যে কি লেখা পড়া করেছো বুঝি না। সকাল ৮টার মধ্যে আসবে রাত ১০টার সময় যাবে। আমি দেখে তোদের রেখেছি অন্যকেউ হলে কবে বিদায় করে দিতো। যদি কাজ করার ইচ্ছে থাকে এই লাস্ট চান্স আর যদি অন্যের রিজিক নষ্ট করতে না চাও চলে যাও”, প্রতিবেশী বলে- “আপনি কোন সহোসে আমার কাপড়ের উপর কাপড় শুকা দিলেন?”



আরও অনেক কিছু বলা যেতো। আর বলতে ইচ্ছে হয় না। যে দেশের বাসাবাড়ীতে ঠিক মতো গ্যাস সাপ্লাই দেয়া যায় না কিন্তু তিতাস গ্যাসের একজন পিয়নেরও প্রাইভেট কার থাকে। যে দেশে বিদ্যুৎ এর কারনে অনেক কষ্টে কেনা ফ্রিজ টি বার বার নষ্ট হলে শুধু টাকা গুনতে হয়। টাকা তেজপাতার মতো মোবাইলে ঢুকানো আর শেষ হয়ে যাওয়া আবার ফ্লেক্সি লোডের জন্য দৌড়াতে হয়। সন্তানের কানে হেডফোন বাবার লঙ্গি একটা। হায়রে কষ্ট!!!



যারা যনম ভরে ক্রিমিনালি করে আমাদের মধ্যে জেনারেশন গ্যাপের মতো চরম এক শত্রু তৈরী করে দিয়েছে। তারা যে মানুষ না, তারা নিজেদের দেবোতা মনে করেন। তারা থাকে স্বর্গে আর জাহান্নামের আগুনে জলে নিরিহ শ্রমিকরা।

আমাকে কি কোনো ব্যাক্তি প্রমান করে দেখাতে পারবেন। বাংলাদেশের একটি গার্মেন্ট এর আগুন শ্রমিকরা লাগিয়েছে। বাংলাদেশী মানুষ তার কর্মস্থলকে সম্মান করতে জানে। তাদের এই সম্মানকে যারা অসম্মান করেন। তাদের কে আজ আমি যখন চিনেছি। দেখি এই চাকরের সামনে ওরা কি বলে?



সম্মানিত গার্মেন্ট শ্রমিক!!! আপনি আমার দেশের জনগন। আপনারা না থাকলে বাংলাদেশের অনেক মেয়ের বিয়ে হতো না। অনেক বাবার যৌতুকের টাকা যোগার করতে করতে জীবনের অর্ধেক সময় চলে যেতো। আর সেই গার্মেন্ট শ্রমিকের রিজিক যারা কেড়ে নেয়। তাদের এই চাকরের হাতে ছেড়ে দিন। দেখবেন আমি আপনার চাকর হয়ে বডিগার্ডের দাঁয়িত্ব পালন করবো।



বাংলাদেশের সব ঝুকিপূর্ণ বিল্ডি ভেঙে দিন। পৃথিবীর সব বিল্ডিং বিক্রি করেও একটা মানুষ কে জীবিত করা যায় না। সেখানে এই পরিকল্পিত ভাবে এতো রক্ত ঝরবে কেনো? সেখানে গাড়ী করে কারা আসে? তারা তো ফেরেশতা।



বাংলাদেশী মানুষ যেমন ভালোবাসতে জানে। আদর সোহাগ করতে জানে। আবার জুতার বাড়ীও দিতে জানে। সব গার্মেন্টস শ্রমিক পায়ের স্যান্ডেল হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে আসো। রানা প্লাজা কে যারা আল্লাহর গজব বা দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিয়েছে তারাও স্বাস্তি পাবে। যে গার্মেন্স কর্মীরা জীবন ভরে খেটে যায় সেই গার্মেন্ট কর্মীরা মরবে আল্লাহর আজাবে? না। এই অন্যায় সিস্টেম মেনে চললে যে ন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়। আজ শ্রমীকরা যা বলবে মালিক তা শুনবে। নইলে ঐ শ্রমিকের চাকর ঐ মালিকদের আল্লাহর কুতুব শাহজালালালের নামে করণ করা বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে পালাতে দেবে না। ওপেন মিডিয়ার সামনে ঐ পশুদের সাস্ত দেয়া হবে। বাংলাদেশ কে যারা চরম উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন তারা আজ অপমানিত হবে কেনো? তারা বস্তিতে থাকবে কেনো?

আমাদের সাথে সবাই অভিনয় করে। বিদেশী বায়াররা নাকি জানে না যে বাংলাদেশের শ্রমিকদের এতো কম বেতন দেয়া হয়। ডক্টর ইউনুস যখন ঐ গার্মেন্স শ্রমিকদের স্বার্থে কথা বলেন প্রস্তাব রাখেন- তাকেও লাঞ্চনা সইতে হয়?



অহংকারের শাস্তি আল্লাপাক দেয় শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া দুই অহংকারী শয়তান আমাদের শ্রমিকদের মৃত্যু দেখেও একবার মন থেকে মৃত্যুর ভয় আসে না। আরে রাক্ষসী তোদেরও মরতে হবে? এবার দেখবি ঐ সব অত্যাচারিত মানুষের চাকর তোদের তিলে তিলে মারবে।



যারা আমার সাথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামতে চান সবাই কাল সকালে বেড় হবেন। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অপেক্ষা করবো। আর যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে তাকে জনগনের চাকরের পাহারায় জনগন ক্ষমতা থেকে নামাবে।



এ এক বাংলাদেশী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া, প্রিয়তমাকে হারানো প্রেমীকের চ্যালেঞ্জ।



যাদের কম্পিউটার আছে কিংবা সাউন্ড রেকর্ড করতে জানেন। তারা আমার বক্তিতা গুলো এমপি-থ্রী ফরমেটে রুপান্তর করে বড় স্পিকারে শুনাতে থাকুন। এক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশের সব মিডিয়া কর্মিদের ও সাউন্ড রেকডিং এ অভিজ্ঞ মানুষদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।



কে বললো তা বড় কথা না। কে স্বাধীনতার ঘোষক বা কে জাতির জনক তা বাংলার সাধরণ মানুষ জানতে চায় না। আমি মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্ আমার নাম ইতিহাস বইয়ে থাকবে এই আশা নিয়ে জনগনের চাকর হই নি।



আমি আমার বিবেকের তারনায় ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমাকে উৎসর্গ করছি। আমার নাম ব্যবহার করে যদি অন্য কেউ কোনো প্রকার ফায়দা নিতে চায় আর সে যদি আমার জন্মদাতা বাপও হয় তাকেও আইনের আওয়ায় নিয়ে আসা হবে।

এই গরিব অসহায় ছেলটি যদি তোমাদের চাকর বলে মেনে নাও।



আল্লাহর কসম!!! আমার মা যদি কোনোদিন কোনো প্রকার দূর্ণীতি করে তাকেও আইনের আওতয় নিয়ে আসা হবে। আইন মানতে হবে। আর সেই আইন হবে সবার জন্য সমান।



যারা ইসলামী দল বলে নিজেদের প্রকাশ করে থাকেন। তারা কি ভুলে গেছেন। আপনাদের মতো গদীতে বসে হযরত ওমর (রাঃ) তার প্রজাদের শাসন করেন নি। হযরত ওমর (রাঃ) এর বিচারের কথা শুনিয়ে মানুষকে কাঁদিয়ে টাকা ইনকাম করতে আপনাদের ব্যক্তিত্বে বাজে না। আর নিজেদের ধুলোর মধ্যে নিয়ে আসতে এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো? হযরত বেল্লাল (রাঃ) দাস ছিলেন। তাকে আমার প্রাণের রসুল হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তার হৃদয়ে স্থান দিয়ে মুক্ত করে এনেছিলেন। আর সেই বেল্লাল (রাঃ) কে গরম বালির উপর ফেলে শুধু ইসলামকে অস্বীকার করতে বলা হয়েছিলো কিন্ত হযরত বেল্লাল আজাব সহ্য করেও ইসলামের সাথে বেইমানী করে নি। কোনো মোমিন মুসলমান ইসলামের সাথে বেইমানী করতে পারেন না।



আজ আপনারা সমাজের আল্লার অলী সেজে নেতামী নামের চাঁদাবাজি করেন? এই চাঁদাবাজদের দমন করতে আজ আপনাদেরও বেল্লাল (রাঃ) মতো পরীক্ষা দেবার সময় এসেছে। বাংলাদেশ মুসলিম রাস্ট্র। মুলমানরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে পারে কিন্ত অসহায় মানুষকে মেরে ফেলতে পারে না। আজ আমি বাংলাদেরের সব মুসলিম দলগুলোকে তাদের কাতারের পিছনে আমাকে স্থান দিলেই হবে। আমি বড় চেয়ার চাই না। বড় মন চাই। ভালোবাসা দিয়ে বিশ্বকে শান্তি উপহার দিতে চাই। মায়া, মমতা, ভালোবাসার সামনে পৃথিবীর সব ক্ষেপনঅস্ত্র খেলনার মতো। আসুন আমরা সবাই মিলে নিজেদের ব্যাক্তিত্বের বিকাশ ঘটাই।



https://www.facebook.com/asif.ud



আরও যারা সংহতি প্রকাশ করতে চান। তারা ফোন করে জানান।



বাংলাদেশের জনগনের চাকর

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

০১৭১৭০৪৪৯১৯

০১৯১৯০৪৪৯১৯

০১৬১৬০৪৪৯১৯

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.