নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শহিদ মিনার ছাড়বেন না :: বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষ গুলোর জন্য!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

সুচিত্রা সেন এর প্রেম সম্বন্ধে কিছু দিন আগে কোনো একটি লেখায় বলেছিলাম। মনে পড়ে? না পড়লে খুঁজে নিন। এখন তো আর আগের মতো এতো এতো আগ্রহ করে। লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম কাহিনী পরতে হয় না। হুমায়ূন আহমেদ এর মা নাকি রবীন্দনাথের “নৌকাডুবি” উপন্যস পড়ে কেদে দিয়েছিলেন। অনেক আগে পড়েছি। বইয়ের নাম “নিজেকে আমি খুঁজিয়া বেড়াই” নামক হুমায়ূন আহম্মেদ এর অটোবায়গ্রাফি নোভেল।



এক এক জন লেখক। এক এক রকম ভাইরাস ছড়ায়। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন? লেখক, গল্পকার, উপন্যাসিক, কবি, চিত্র শিল্পী, প্রাবন্ধীক, নাট্যকার, আর্টিস্ট, ভালো পাঠক ও উচু মানের পলিটিশিয়ান (এক সময় কোয়ালিটি মেজরমেন্ট এর দরকার হতো না। বর্তমানে হয়) সবাই কিন্তু এক প্লাট ফর্মে দাঁড়াতে সক্ষম। এর প্রধান কারণ ভাষা। মানুষ ভাষার সৃষ্টি করে। এই ভাষাটাকে যদি বন্দি করা যায় তাহলে একটি জাতির পুরো সমাজ ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্র করা যায়। এই কথাটিই হলো বৃটিশ পলিসির মূল।



একজন কালচারাল আর্টিষ্ট সব সময় তার ভিতরে একজন ইমোশনাল মানুষের খোঁজ পান। যখন সেই কালচারাল আর্টিষ্টকে আপনি টাকা পয়শা ও বিশেষ কিছু মিথ্যে মায়াজালে আটকাতে পারবেন। ঠিক তখন উক্ত কালচারাল আর্টিস্ট আই ওয়াশ এর স্বীকার হন। এটাই স্বাভাবিক।



কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন? একজন কালচারাল আর্টিষ্ট কে অন্য একজন আর্টিস্ট ইমোশনে হিট করে জাগাতে সম্মম। যিনি সঠিক সময়ে সঠিক মানুষটির ইমোশনে হিট করতে পারে শুধু মাত্র তারাই ভালো মানের পলিশিয়ান কৃয়েট করার যোগ্যতা রাখে। পলিটিশিয়ানের যদি সেলফ কালচারের প্রতি মায়া না থকে তাহলে সে কোনোদিন সার্থক হতে পারবে না।



বাংলা ভাষা পৃথিবীর এক মাত্র ভাষা। যা দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব। যদি আপনার মধ্যে কনফিডেন্স থাকে দেখবেন ইনভায়রনমেন্ট আপনার পক্ষে অটো ডিসকো ড্যান্সে মাতোয়ারা হবে।



বাংলা ও বাঙালীপানাকে যারা আপনার শত্রু বানিয়ে দিয়েছে তারা কারা? হু আর দে?



আই নো দেম। দেখুন আমি বাংলাশব্দের মধ্যে কিভাবে ইংলিশ ভাষাকে উপলব্ধি করতে পারছি। ভাষা শিখতে হয় না। ভাষা উপলব্ধি করতে জানতে হয়। ঠিক এখানেই আমাদের সব সমস্যা।



আপনি যদি ভালো বাংলা পারেন আপনি পৃথিবীর সব ভাষাকে একটু চেষ্টা করলেই রপ্ত করতে পারবেন। আমি তরুনদের উদ্দেশ্যে বলছি। মনে রাখবেন লাইফ ইজ বিউটিফুল। "লাইফ ইজ বিউটিফুল" সিনেমাটি দেখলে বুঝতে পাবরেন যুদ্ধ কাকে বলে?



জীবন অনেক সুন্দর একটি জিনিস। জীবনে ত্যাগ না জানলে আপনি কোনোদিন শিখতে পারবেন না। ইদানিং কিছু কিছু ছোট বাচ্চা তাকে স্মার্ট করার জন্য ইংরেজী ও হিন্দি ছবির স্টাইলকে তার মধ্যে রিফেল্ট করে চলেন। এটা ভালো না। এটা ভুল। তারপরও জায়েজ। কারন আমরা মানুষ। আমাদের স্কোপ করে নিতে হবে। আপনারা হয়তো আমাকে অনেক সাহসী বা পাগোল ভাবেন তাই না?



আমি এই দুটোর কোনোটিই না। আমি এক প্রেমিক। আমি আমার প্রেম দিয়ে সারা বিশ্বকে দেখতে পাই। আপনিও পাবেন। যদি আপনি প্রেম করতে জানেন।



তবে এটুকু খেয়াল রাখবেন জীবনের পিউববারটি টাইমটা খুব ব্যাড। পিউবারটি টাইম হ্যাভ গিভেন ইউ এ লট অব ইমোশন। ইউ ক্যান ইউজ ইট কনস্ট্রাকটিভ মাইন্ড অর ডিসট্রাকটিভ মাইন্ড। বাট ইউ আর ইন নিড অব স্টান্ডান্ড এন্ড মাদার কালচারাল ইনভায়রনমেন্ট।



যাই হোক, আমি আপনাদের নিজের ভিতর থেকে উপলব্ধি করতে জানি বলেই আপনারা সবাই আমার পরম আপন জন। যারা পৃথিবীতে সব কিছু টাকা পয়সা দিয়ে কেনা যায় বলে মনে করেন আমি তাদের সাথে একমত পোষন করি না। টাকা পয়শার চিন্তায় আপনার মেধা, মানবতা ও সংস্কৃতি যদি অপচয় করে ফেলেন তাহলে আপনি ভুল পথে হাটবেন।



আমি বিজ্ঞ মা বাবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি। আপনারা যেমন আপনার সন্তানেরা তেমনই। আপনি যদি আপনার বাচ্চার মনটাকে টেনে হিচরে সাইজ করতে না জানেন তাহলে আপনি কোনো প্রকার অভিভাবকই না। আমি আমার সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলার চিন্তা করেছি। আমি সার্টিফিকেটের জন্য দুনিয়ায় আসি নি। আমি এসেছি জীবনকে উপভোগ করার জন্য।



আজ যে গার্ডিয়ান তার অসৎ ইনকামের টাকা তার সন্তানকে ভালো স্কুলে ও ডোনেশন আছে বলে ফাস্ট বানিয়ে দিলেন। বা আপনার এট্রাটিভ ইমেজ দেখে টিচার আপনার চামচামি করে ফাস্ট করে দিলো। এটা লাইফ না। যখন আপনি নিজে প্লাস্টিক হয়ে যাবেন তখন আপনার সন্তানও প্লাস্টিক হয়ে যাবে। এটাই স্বাভাবিক ও চির সত্য।



সুচিত্রা সেনের কথা বলছিলাম। তিনি আমার খুব প্রিয় একজন অভিনেত্রী। আপনারা যা ওল্ড ভেবে ইনজয় করেন আমি তা মর্ডান ভাবে ইনজয় করতে জানি। ভাষা ও একটি জাতির সাস্কৃতি কোনো দিন কারও মর্ডান করার দরকার পরে না। কারণ এটা একজন থেকে অন্যজনের মাধ্যমে পুরো সোসাইটিতে রিফ্লেক্ট করে।



উত্তম কুমার কেনো এতো পপুলার জানেন? ঠিক সময়ে, ঠিক স্টাইলে, একাগ্র চিত্তে অবিরাম কাজের মাধ্যমে নিজেকে গুরুত্বের সাথে নিজে বাঙালীপানকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন বলে।



তার চেয়েও বড় কথা তিনি সুচিত্রা সেনের মতো একজন আর্টিষ্ট পেয়েছিলেন বলে। সুচিত্রা উত্তম এর মধ্যে আন্ডার স্টাডিং ভালো ছিলো। আজ সুচিত্রা মৃত্য সজ্জায়। সুচিত্রার একদম মনের গভীরে একজন বাংলাদেশী মানুষের বাস। আমি সে মানুষটিকে দেখি নি। কিন্তু তাকে দিয়ে আমাকে উপলব্ধি করতে পারি বলেই আমি বাঙালী।



একজন প্রকৃত বঙালী সারা পৃথিবি ঘোরার সুযোগ পেলে তিনি তার মেধা দাড়া আন্যকেও বাঙালীর প্রেমের কাঙ্গাল করে দিতে পারেন।



এর ভুরি ভুরি উদাহরন দিয়ে আমি আপনার সম্পদকে আপনার মাঝে বন্টন করে দিতে জানি। আর এই অজানাকে জানার নামই বাঙালী। এর দুটি উদাহরণ আপনাদের উদ্দেশ্য তুলে ধরছি। একজন হলেন বরীন্দ্রনাথ বিলেতে গিয়ে এক বিদেশীর কাছে প্রেমিক হয়ে এসেছিলেন। কেনো?



রবিন্দ্রনাথ তো বলেন নি আমাকে ভালোবাসো। আই লাভ ইউ। হায় ডার্লি। ওয়াও। উহ্ শিট, শিট শিট শিট। এগুলো ভালো না বলেই এখন আমাদের এই করুন পরিনতি। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যাক্তিত্ববোধ তাকে অমর করে রেখেছে। তিনি কোনো দিনও হাল ছাড়েন নি। রবিন্দ্রনাথদের কোনো দিন মর্ডান হতে হয় না বরং রবিন্দ্রনাথ কে সবাই তার নিজের করে পেতে চায়। কেনো পেতে চায়?



শুধুমাত্র তার সহজ. সরল, সত্য ও সুন্দরকে দেখার সাহোস ছিলো বলে। রবিন্দ্রনাথরা কোনো দিন বিশ্ব ভারতী বা শান্তিনিকেতনে আবদ্ধ থাকতে পারেন না।

উত্তম কুমার সাহিত্যানুরাগী একটি তরুন। আমি যখনই উত্তম কুমার কে দেখি। আমার মনে হয় তিনি তো জলজ্যান্ত একটি মানুষ। এর আবার মৃত্যু কিসের?



ঠিক তাই। ভারতে যখন প্রচন্ড বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি হলো। উত্তম কুমার রাস্তায় বেড়িয়ে পড়লেন। বাড়ী, বাড়ী, ঘরে, ঘরে গিয়ে হাত পেতে ভিক্ষা চাইলেন। ঘরের গৃহিনীরা তার কানের ঝুমতা ও গলার হার দিয়েও বনার্ত মানুষকে সাহায্য করেছেন। ঘরে এসে সেই গৃহিনীর স্বামী স্ত্রীকে পিটিয়েছে। মন্দ বলেছে। কিন্তু তারপরও বাংলার মেয়েরা তার মমতার সাথে আপোষ করে নি।



আমাদের মা-খালা-মামা-মাসী আছে বলেই আমরা এতো ভালো। আজ মমতা ব্যানার্জি আমাদের ঠিক মত পানি দেন নি। তাই বলে কি আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আমরা জুলুম সহ্য করেও বাঁচতে জানি। কিন্তু আজ দেখুন বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পাণী ইন্ডিয়ার মিরাক্কেল স্পন্সর করছেন। কার জন্য? একজন মিরের জন্য। মিরের প্রধান শক্তি কি?



মির আফসার আলী মির ভাইয়ের প্রধান শক্তি তিনি সাহোসী বাঙালী। এরই নাম সাস্কৃতির ধারাবাহিকতা।



আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে উত্তম কুমার কে সাহায্য দেয়ার জন্য তৎকালীন স্বামীরা কেনো স্ত্রীকে মেনে নেয় নি? এর মুল কারণ বৃটিশ পলিসি। উত্তম কুমার কে বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে কমিউনিষ্ট বলে প্রচার করা হয়েছিলো। যার ফলে জীবিত অবস্থায় উত্তম কুমারের ভাগ্যে তেমন কোনো পুরষ্কারই জোটে নি। এই সব মানুষদের পুরষ্কার দিলেও যা তিরষ্কার দিলেও তা। এমনকি উত্তম কুমারের শেষ ছবি “ওগো বধু সুন্দরী” সিনেমা বা তার সমসাময়িক সিনেমার সুটিং এর সময় মেকাপ রুম থেকে জোড় করে বেড় করে দেয়া হয়েছিলো। কারা করেছেন এই অপমান?

আমার কথা বিশ্বাস না হলে মমতা ব্যানার্জি আজ এক্ষুনি উত্তম কুমারের স্ত্রীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে জিজ্ঞেস করে দেখুন? আমার উত্তর বলে দিতে হবে না। আপনি উত্তর পেয়ে জাবেন। ঐ পুজিবাদি সমাজ।

ঐ মিথ্যে গনতন্ত্রের নামে সম্রাজ্য বাদ। মমতা ব্যানার্জিকে আপনারা যতোখানী দেশ প্রেমীক মনে করেছেন তিনি ততোখানি দেশ প্রেমিক না। তিনি একজন সামান্য কৌশলী মাত্র। আজ সুমন চ্যাটার্জি একজন সত্যিকারের বাঙালী। সুমন চ্যাটার্জি পলিটিশিয়ান না। তাই তিনি তার ব্যাক্তিত্বের সাথে মানায় না বলেই সরে গেছেন। এমন আরও অনেকে আছে।

তিনি যে আইডায়ালিটি ও ইমেজ নিয়ে এসেছিলের তার মতো বাংলাদেশে আর একজন আছেন আমাদের বরিশালের সন্তার মতিয়া চৌধুরী। কিন্তু দু’জনেই জীবনের চরম সফলতার সময়ও একজন সত্যিকারের বাঙালী হতে পারলেন না।



যিনি বাঙালী তিনি শুধু খাদ্য তালিকা ও পোষা আশাকের মধ্যে বন্দি রাখলে পাবলিক সেন্টিমেন্ট ইউজ করে ভোট পাবে হয়তো। কিন্তু তাদের কন্ট্রিবিউশন মহাকাল মনে রাখবে না। দিস ইস নো ওয়ারেন্টি ইটস গ্যারান্টি।



মমতা ব্যানার্জি তার প্রোদেশকে কর্পোরেট বানিয়ে ফেলেছে। তার দলিও লোকরাই তাকে একজন শেখ হাসিনা বানানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত।



মমতা ব্যানার্জি একজন উত্তম কুমার না আসলে একজন দেব আসতো না। এমন কি কারীনা কাপুরে শাস্বুরী শর্মিলা ঠাকুরও বরীন্দনাথ ঠাকুরের আত্নিয়। রবিন্দ্রনাথ চিরকাল সবাই কে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে। সেই প্রভাব দিয়েই বোম্বে ইন্ডাস্টি চলে।



আর আজ আমরা বাংলাদেশী মানুষ আপনাদের থেকে অনেক বেশী সুস্থ্য ও সাভাভিক। আমাদের টিভি চ্যানেল গুলোকে আপনাদের তুলে ধরতে ভয় কেনো?



এর প্রধান কারণ আমাদের কালচার। আপনারা আমাদের মিডিয়াকে উম্মুক্ত না করে দিয়ে বাংলাদেশের নয় বরং ইন্ডিয়ার মধ্যে সংকটের সৃষ্টি করছেন। এই ওপেন মিডিয়ার যুগে হিন্দুরা বুঝতে শিখবে মুসলমারাও তাদের মতো করে মাসি কে শ্রদ্ধা করতে জানে। কিন্ত ভায়ায় বলে খালাম্মা। আজ যদি পশ্চিম বাংলার সুসিল সমাজদের জ্ঞান বলে কিছু থাকতো তারাও এতো বড় জেনারেশন গ্যাপ করে রাখতো না।



ইন্ডিয়ার ইন্ডিপেন্ডসি সংক্রান্ত আমি কোনো কথা বলতে চাই না। কারন এটা বলা একটি রাষ্টের আইন ও পার্লামেন্টকে অপমান করা



এই মুক্তচিন্তা প্রকাশের দারুন সুযোগের যুগেও কি আমরা হিন্দু আর মোসলমানের মধ্যে ঘৃনা পোষন করে রাখবো? বোম্বে ইন্ডাসট্রিতে যদি এতো এতো হিন্দু মুসলিম বিয়ে হয় তাহলে আপনাদের দেশের মুসলিম ছেলেরা হিন্দু মেয়েকে ভালোবাসলে তার উপর এতো অত্যাচার আসে কেনো?



শুধুমাত্র অপেন মিডিয়ার মাধ্যমেই এর সমাধান করা সম্ভব। এর জন্য আপনাদের মিডিয়া আপনাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিতএর ভাব দেখান। এই ভাবের নামই অন্যায়। একজন ডক্টর মোহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা আপনারা ভয় পান। কেনো? তিনি কি চোর না ডাকাত? তিনি চোরও না ডাকাতও না তিনি একজন ট্যাকনেশিয়ান। তাকে আপনারা ভালোভাবে গ্রহন করলে আপনাদের জন্যই ভালো।



কেনো যুগের পর যুগ আপনারা ভুলে যান যে আমরা সবাই বাঙালী। আলাদা রাস্ট্র তাতে তো কোন প্রকার অসুবিধা নেই। শুধু মাত্র ট্রেডের মাধ্যমে আপনারা যে একটা সুন্দর ভবিষ্যত কে সুন্দর করতে পেরেছেন তা না। বরং দিবানিশী নষ্ট করে চলছেন।

প্রাউড অব ইন্ডিয়ান এক কথা আর বাঙালী ভিন্ন কথা। বাঙালী থাকে হৃদয়ে প্রাউড অব ইন্ডিয়ান থাকে পাসপোর্টে। অনুপ জোলেটার ঐ ভজনটি নিশ্চই শুনেছেন।



“মাত কার তু আভিমাররে বান্দে

ঝুটে তেরী শান রে...মাতকার তু আভিমান”



তেরে জ্যায়সে লাখো আয়ে।

লাখো ইস মাটিপার খায়ে

রাহানা নাম নিষানরে বান্দে

মাতকার তু আভিমান।।



ঝুটি ছায়া ঝুটি কায়া

বো কোন হো যো হারি গুন গায়া

জপলে হারি কা নাম রে বান্দে

মাতকার তু আভিমান।।



মায়া কা আন্ধকার নিরালা,

বাহার উজলা ভিতর কালা,

ইসকো তু পেহেচান রে বান্দে

মাতকার তু আভিমান।



এই গানের একটি অন্তরা বুঝলেই আপনি নিজেই আপনাদের প্রাউড অব ইন্ডিয়ানের উত্তর নিজে নিজে বেড় করতে পারবেন।



“তেরে পাস হে হিরে মতি

মেরে মান মন্দির মে জতি

কোন হুয়া ধনবান রে বান্দে

মাতকার তু আভিমান”



আমি জানিনা এই ভজনটি কার লেখা। যদি জানতাম তাহলে নাম দিয়ে দিতাম। তাই সেই লিরিক কৃয়েটরকে আমার প্রাণ ভরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।



আমি এমন এক নির্লজ্জ চাকর যে, আমাকে আপনারা যদি ক্ষমতার জোড় মনে করে মানবতাকে অসম্মান করে পানি বা আপনাদের জল না দেন তাহলেও আমার কোনো ক্ষোভ নেই।



আমি বাংলাদেশের সৌভাগ্য দেখি কিন্তু অসহায় পশ্চিম বাংলাকে দেখে কষ্ট লাগে। সচিন একজন লিজেন্ট। ষ্টার। আমার দেখা অত্যান্ত বিনয় ভরা, নিরিহ চিত্ত, কঠিন অধ্যাবাশাই আরো অনেক কিছু বলা যায়। তাই দয়া করে শচিন টেন্টুলকার কে অসম্মান করা হলে আমার নিজের সাথেই নিজেকে প্রতারনা করা হয়। তাই দয়া করে ভুল বুঝবেন না।

দেখুন আপনারা কর্পোরেট আই ওয়াশের আড়ালে পশ্চিম বাংলার ন্যায্য দাবি আদায় করতে অক্ষম।

তাই আমি বিনীত চিত্তে মমতা ব্যানার্জিকে বলছি। আপনি অহংকার ছাড়ুন। বিক্রি না হয়ে সাংস্কৃতির প্রতি নজর দিন। দেখবেন বাংলাদেশীদের কষ্ট দিয়ে হলেও আপনারা একদিন সব বাঙালীকে সমান ভাবে মেজরমেন্ট করতে পারবেন। আপনাদের ছেলেপানদের ট্যালেন্সী আপনারা শিখাতে পারছেন না। রবিন্দ্রনাথের আদর্শের মধ্যে এ্যামিরিকান গুপ্তচর ঢুকিয়ে দিচ্ছেন।



আমার পশ্চিম বাংলায় যারার মতো কোনোদিনো সামর্থ ছিলো না। আপনাদের পরিবেশ কেমন তা আমি আপনাদের মাধ্যমেই দেখতে পেয়েছি। কিভাবে জানেন? আপনাদের লেখক সমাজকে একটি নির্দিষ্ট পরিমন্ডলে বেঁধে রাখতে চাচ্ছেন।



আচ্ছা যখন এতো ব্যবসা বোঝেন তাই বলছি। আমাদের মিডিয়া আপনারা প্রকাশ করতে পারেন না। কিন্তু আপনাদের মিডিয়ায় ইসলামের মূল বানী ত্যাগকে প্রতিষ্ঠিত করুন।



আমাদের দেশে অনেক মন্দিরে মন্দিরে আমি আমার ব্যাক্তিগত রূচি দিয়ে ঘুরে দেখেছি। কিন্তু আপনাদের সন্তানেরা মুসলিম ধর্ম প্রচারের জন্য না কিংবা মুসলিম ধর্মের হাদিস শিক্ষার জন্য না। বরং বাঙালী কালচারকে বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করার জন্য এখনই আপনাদের সচেতন হওয়া দরকার।



যে বাঙালীর মধ্য থেকে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দ, বাবা লোকনাথের মতো বড় বড় দার্শনীক জন্মায় সেই বাঙানীপানাই যে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেরা সম্পদ।



আপনারা সুন্দর সুন্দর কিছু মসজিদ নির্মান করলেও কিছুটা ভালো হতো। আপনারা নজরুলের মুসলীম গান বলে এরিয়ে যান কেনো? আপনারা জানেন না নজরুলের আদর্শের রক্ষক রা কত প্রচন্ড শক্তি নিয়ে এই ধরায় আবির্ভুত হয়।



একটি ছোট্ট তুলনা দিয়ে আপনাদের দেখাই- শুধু একটি গান দিয়েই। এমন অজস্য উপলব্ধি নজরুল দেখিয়েগেছেনঃ

“তোরা দেখে যা আমিনা মায়ের কোলে

মধু পূর্ণিমারো সেথা চাঁদ দোল....

......................

এলো ধরায় ধরা দিতে সেই সে নবী

ব্যাথিত মানবের ধ্যানের ছবি...............”

(উল্লেখ্যঃ আমার প্রিয় রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সঃ) মায়ের নাম আমনা, দুধ মা হালিমা )



আবার

“এলো নন্দের নন্দন নব ঘন শ্যাম,

যেনো যশোধা নয়ন মনি নয়নাভিরাম,

.........................

..............

কৃষ্ণজী কৃষ্ণজী





হে বিরাট তব মঙ্গল আঁখি পাতে

.........................

...................

অরবিন্দ শাখে আর কিছু না চাহি

যেনো গোপন প্রেমে মন রহে মজি।

(কৃষ্ণের মায়ের নাম দেবকী, পালক মা যষোধা)

এই গান দুইটি পুরো লিরিক লিখতে গিয়ে দু’একটি শব্দ ভুল হতে পারে। তাই অন্য কোনো সময় দিয়ে দেবো।



দেখুন এমন সাম্যের চোখ আর কিভাবে তৈরি করা যয় বলুন।



দেখুন টাকা দিয়ে বাড়ী, গাড়ী চাকর-বাকর কিনতে পারবেন। বিরিয়ানী খেতে পারবেন।

এর নাম বিলাশিতা। কিন্তু নিজের মনের কাছে বিলাসিতা ও সম্পৃতির জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও এক সাথে বাঙালী বাঙালী না হতে পারলে।



আপনাদের জন্ম অবুঝ বাচ্চাদের সম্ভাবনাকে ও মেধাকে নষ্ট করে দেয়া হবে।



আমি রজণীকান্তের একজন ভক্ত। সেই ১০-১২ বছর আগে থেকেই---

রজণীকান্ত এমন এক দূরদর্শী এক্টর,

ইদানিং কালের তার সব ছবিগুলো

চেন্নাই সহ অন্য প্রদেশের মধ্যে শিক্ষা, সচেতনতা ও সাংস্কৃতির জন্য উদাহরণ হতে পারে।



এটা তামিল তেলেগুরা শুধুমাত্র তামিল ভাষার প্রতি মায়া, তামিল মাটির প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা, মেধার সমন্নয়, দেশপ্রেম ও আত্নবিশ্বাসের জন্যই অর্জন করেছেন।



যেমন একবার রজণীকান্তের “শিবাজী দ্যা বস” দেখুন আর এখনকার নতুন ক্যাবিনেটের দিকে তাকান। স্পষ্ট হয়ে যাবে।



আবার রজণীকান্তের “রোবট” সিনেমাটি হিট হবার আগে ও পরে-

তাদের মাল্টিমিডিয়া সেক্টর, থ্রিডী এ্যানিমেশনের মাধ্যমে আয়ের পার্থক্যটা দেখুন।



আমরা বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়া নামক দুটি রাস্ট্রের জন্য নয়। বরং বাংলা সাংস্কৃতিকে আলাদা করে সত্যিকারের সুবাস চন্দ্র বসুর মতো বাঙালী তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছি না।



আমাদের মধ্যে বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কৌশলে ছরিয়েছে হিন্দু খারাপ, রবীন্দনাথ ঠাকুর হিন্দু বলেই তাকে গ্রহন করা যাবে না।



আবার আপনাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে মুসলিমরা খারাপ, নজরুল মুসলিম তবে কৃত্তণ বা রাধা-কৃষ্ণের প্রতি ভালোবাসার জন্যই, ভজন, কৃত্তন, শ্যামা সংগীত লিখেছেন।

এই দুটো বিভ্রান্তির ফলেই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশী করুন অবস্থায় আছে পশ্চিম বাংলা।

যদি নজরুলের “বর্তমানের কবি আমি ভাই ভবিষ্যতের নই নবী”

এই গানটি সত্যিকার অর্থে কেউ উপলবন্ধী করতে পারেন তাহলে অন্তত বুজতে পারবেন তিনি আসলে কে?



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.