নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা মায়ের আচঁল আমরা সবাই মিলে রাঙাবো!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৪

সেই বাল্যবেলায় আমার মা আমাকে এমনি কোনো শীতের রোদ ভরা সকালে নতুন ঝকঝকে “আমার বই” নামক বাংলা বই নিয়ে শিক্ষা জীবনের শুরু করেছিলেন। তখন এইচ. এম. এরশাদ এর শাসন আমল ছিলো। আমি জানতাম না কে দেশ শসন বা কে দেশ শোষন করছেন।



জানতে ইচ্ছেও হয় নি! কেনো জানেন?

কারণ আমার মা ও ষড়ঋতুর মহামায়ার মোহ ছিলো। বাবা, ছোট্ট বোন, ১৯৭১ এ বিধবা হওয়া নানু। বোন আমার ভাইয়া ভাইয়া করে আশেপাশে ঘুরে বেড়াতো।



আমার স্কুল জীবন শুরু হয় একটু কম বয়সে আম্মু প্রার্থমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বলে, তিনি তার সাথে করে স্কুলে নিয়ে যেতেন।



আমার মা যে বিদ্যালয়ে এখনও চাকুরী করেন। তৎকালীন সময়ে ঐ বিদ্যালয়টিই ছিলো ঝালকাঠীর সবচেয়ে অবোহেলিত বিদ্যালয়।

বাংলাদেশে প্রায় সব বিদ্যালয় সরকারী করণ করা হল, কিন্তু মায়ের স্কুলটি হলো না। এলাকার সবাই এই বিদ্যালয়টিকে “ভাঙ্গা মাডাম” বলে তুচ্ছ করতো। তারপরও আমার মা পেটের তাগিদে তার কর্মে ফাঁকি দিতেন না।



কাঠ ও টিনের একটি বিদ্যালয়। বড় একটি পুকুর পাড়ে শীতে কাঁপা উত্তর অঞ্চলের কোনো বুড়ীর মতো করে নড়বড়ে ভাবে কোনোরকমের দাঁড়ানো। আমার মা সারাজীবন শুধু স্কুল সরকারী হওয়ার আশায় থেকেছেন। বঙ্গবন্ধুর বেটি মায়ের হৃদয়ে আর একবার স্বপ্ন দেখিয়েছেন গত বছর। আবারও মায়ের মুখে হাসি অনুভব করেছি। কিন্তু ঐ স্বাধীনতা যে বাংলাদেশের মতোই অবলা করে রাখা হয়ে আজও স্বপ্ন দেখিয়ে চলছে কিন্তু বাস্তবায়ন হয় নি। তাতে কি হয়েছে?



আমরা নিম্নবিত্ত পরিবারের বড় স্বপ্ন ঐ স্বপ্ন দেখা। ঐ স্বপ্নটুকুও যখন দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে ঠিক তখনই এই বাংলামায়ের দামাল সন্তানেরা তুর্কীর সেরা সন্তান কামাল আতাতুর্কের মতো তাদের হৃদয় উজার করে মা, বাবা, বোনের মুক্ত স্বাধীন পরিবারের জন্য, বাংলায় স্বপ্ন দেখার অধীকার আদায়ের জন্য তার শরীরের শেষ রক্তবিন্দুটি দিতেও কার্পন্য করেন না।

ভাই মা, মাটি, বাংলার সাথে কোনোদিন বেঈমানী করবেন না। মিথ্যে বলবেন না। বাংলা মা ও বাংলা ভাষা সত্য দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। আমরা আমার শারীর আঁচলের মতো করে এই বাংলাদেশ কে আমাদের মনের রং দ্বারা কালারফুল করে সাঁজাবো।



এই হোক আমাদের অঙ্গীকার, এই হোক আমাদের সাধনা, এই হোক আমাদের জ্ঞাণ আহরনের স্পৃহা, এই হোক আমাদের মনের সুরের মৌজ, এই হোক আমাদের সত্যের ফুলের প্রস্ফুটিত আদরের মধ্যে শান্তির বিণ্যাস।



কোনো শ্রেণী কক্ষে পার্টশন করা ছিলো না। শিক্ষক-পন্ডত-হেড স্যার-মৌলভী-মায়ের খুব কষ্ট হতো ক্লাস নিতে। মায়ের বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কোলাহলে কলরবে গুন গুন কল কল করে উঠতো। এই কোলাহলের সুর আর আজ কোনো ণীরব বনের বুলবুলের আকুল করা সুর যে একই রাগ ভৈরবীর সুরে হৃদয়কে শুদ্ধ ও সুন্দর করে।



আমি বিনয় চিত্তে ও নিজ মনের প্রাণ ভরা শ্রদ্ধা প্রদর্শণ করছি আমার জীবনের সকল শিক্ষাগুরুর চরনে।



একজন ভালো মা, পরিকল্পিত পরিবার ও ষড়ঋতুর প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্য নগরায়নের মধ্যে কোনো শিশু সন্তান বাস করলে, সেই সন্তান সাময়ীক ভাবে দুনিয়ার মিথ্যে মায়ায় মনকে কুলশিত করে আবারও নিজেকে রামধণুর মতো আকাশে উড়ে বেড়াতে পারে। এ আমার বিশ্বাস। এ আমার অভিযান। তাইতো আমাকেই বার বার ক্ষদিরাম, সুর্যসেন, তিতুমির, রবীন্দ্র-নজরুল-লালন-বিবেকানন্দ কিংবা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মিডিয়াকে স্বাধীন জ্ঞানে কল্পনা করে জিয়ার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র দখল করে মানুষকে উজ্জীবিত করার আকাঙ্কায় বার বার আসতে হয়।



বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যকে আজিবন কৌশলে পশ্চিমা অসুন্দরের পূজারীরা তাদের কৃমিনালী দারা নিয়ন্ত্রন করতে চেয়েছে। কিন্তু অসুন্দরের মধ্যে যে ফোর এই বাংলায় আজিবন ফুঁটে তার রঙ রূপে প্রভাকরকে কাছে টানে নিয়ে আসবেই। ঐ ঐশ্ব্যরিক ঐশ্বর্যকে তারা কি করে অসম্ভব হয়ে আগমনকে রুখবে বলুন? সকল অসম্ভব কে সম্ভব করা তো একজন বাঙালীর পক্ষেই সম্ভব।



আমরা চিনতে শিখেছি প্যারিসের মোনালিসা কে। সেই মোনালিসার স্রষ্টা লেফ হ্যান্ডার লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চিকেও আমরা যে জানি। লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি ছিলেন প্রথমত একজন শিল্পী। একজন শিল্পী যেমন করে তার কাজকে উজাড় করে দিয়ে যান তেমনি শিল্পকেও চিনাতেও রূপক হয়ে সামনে আবিষ্ট হতে জানেন। বাংলাদেশের নদী ও খালগুলো যে আজও অবহেলীত। আমরা যদি লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির নদী গবেষনা সম্পর্কে জেনে ফেলী তাই ওরা আমাদের কাছ থেকে শিল্পীর শিল্পকে ক্ষুদ্র ভাবে তুলে দিতে চেয়েছিলো। সর্বকালের সেরা নদী গবেষক হিসেবে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চিকেই ভাবা হয়। তিনি এসেছিলেন বলেই যে ইমপ্রেসিনেষ্টের রংঙের ছোয়ায় ফ্রান্সের সপ্তদশ লুইও যে আবুজাহেল-রাবনের মতো ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিলো।

“জানে সুর্যেরে পাবে না,

তবু অবুঝ সূর্যমুখী,

চেয়ে চেয়ে দেখে তার

দেবতারে দেখিয়াই যে

সে সুখি,



হেরিতে তোমার রূপ মনোহন,

পেয়েছি ও আখি

ওগো সুন্দর

মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর

নয়নেরো সেই স্বাধ।।”

(নজরুল)



এই অসম্ভব সুরের প্রকাশ যে বাঙালী পায় তাকে আর ভ্যানগগের “দ্যা সান ফ্লোয়ার” ছবিটিকে নতুন করে শিখানোর আর কি এমন আছে বলুন?



বাংলার স্বাধীতনা বার্তার আগমন হলো বিশ্বের সেরা ইতিহাস। পৃথিবীর সব শিল্প জেনে কেউ যদি এই বাংলাদেশে আসে তারপরও সেই ফরেনারের কাছে নিজেকে একজন অবুঝ শিশু মনে হবে।



শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ বাচ্চাদের হাতে কোমল জবার সাথে হাসনাহেনার গন্ধ ছড়ানো নতুন বই তুলে দেবার জন্য।



আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে এবার বিরোধী দল সত্যিকারে বিরোধের একটি সুযোগ পেলো। আর তা হলোঃ

“এই বাচ্চারা যদি বইয়ের সাথে বাংলার ঐতিজ্য সম্পন্ন কালারফুল ব্যাগ পাবে না, এ কেমন কথা?”



বইয়ের ভার হাতে নয় পিঠে সয়ে দু’হাত প্রসারিত করে নিজেকে সব্যসাচী প্রমান করতে হয়।



আমাদের সব্যসাচী বাঙালীপান নিয়ে পশ্চমাদের আর একটি বড় উদাহরণ আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। তা হলো আমাদের সমাজ কাঠামোতে কেই বাঁ’হাতি বলে জন্মালে তাকে যে বাম হাত দিয়ে ভালো কাজ করার সুযোগ দেয়া হয় না। কারণঃ

লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি, নিউটন, আইনস্টাইন, বীল ক্লিনটন, ব্রান লাড়া সহ বিশ্বের অনেক অবাক ব্রেন যে বাহাতি ছিলেন।



আরে বোকা ভগবানের দেয়া সব হ্যান্ডই সমান। সেই হাত আজ সাকিব-আল-হাসান হয়ে তোদের বউন্ডারী হাকাচ্ছে। সেই হাতের প্রকাশ রানাতুঙ্গা-জয়সুরিয়া ঘটিয়ে নিজেদের প্রকাশ দেখিয়েছেন।



আমাদের বাংলা ভাষার সম্পদ সৌরভ গাঙ্গুলী ডান হাতে শক্তি বেশী তারপরও তিনি ভারতে একজন ভালো লেফট হ্যান্ডার ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন বোধ করে নিজের কঠোর পরিশ্রম ও শত বাধা অতিক্রম করেও লেফট হ্যান্ডার হয়ে খেলা দেখিয়ে বিশ্বের সম্পদ করে নিজেকে প্রমান করেছেন।



বাংলাদেশী মাটির সন্তানেরা যা চায়, তা অর্জন করে নেয়।

আমি লেফহ্যান্ডার বলেও ডান হাত দিয়ে লিখতে জানি এবং খুব বেশী প্রয়োজন হলে বা হাত দিয়েও ভাত খেতে জানি। আমি দু,হাত দিয়েই লিখতে জানি। তাই তো আমাদের যদি হাত কেটে বা বেঁধে দেওয়াও হয় তারপরও আমরা সোলে সিনেমার ঠাকুর মশাইয়ের মতো করে সকল বাঁধ ভেঙে নিজের সত্য সাধনার রঙা ব্লাডিং দ্বড়া অর্জিত ইন্ডডেপেন্ডসি ও সেলফ ডিফেন্সী বিশ্বের বুক ছেড়ে মাহাকাশের ঊর্ধে উঠেও নিয়ে আসতে পারি।



বিশ্বের ম্যাপ দেখুন। নেক্সটে পশ্চিমা বিশেষ করে এই.এস.এ যদি বাঙালী মায়ের সাথ কোনো প্রকার বেয়াদবী করে তাহলে আমাদের পাতাল লোক সোজা ভাবে ভেদিয়া হলেও ওদের মোকাবেলা করতে জানি।



আমার সোনার বাংলা,

আমি তোমায় ভালো বাসী,



বাঙালা এভারগ্রীন রবীর নামের ট্যারর না লাগিয়ে আজ থেকে অক্সফোর্ড অভিধান সহ সব টাইপের অভিধানে “ঠাকুর” “Thakur” লেখতে হবে।

আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তোদের বিকৃত রুচি দিয়ে কি করে বুঝবি বল? তিনি যে পরম হিয়া।

“আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে......”(রবী)

ইন্ডিয়ান সরকার কে আমি বিশেষ ভাবে রিকোয়েস্টের সুরে জানাতে চাই। আপনারা পহেলা বৈশাখ ১৪ না ১৫ এপ্রিল হবে তা নিয়ে আর পশ্চিমা ভেদাভেদের কৃমিনালী হাত থেকে মুক্ত হতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই। প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পছন্দ মতো তারিখ মেনে নিবো। কিন্তু আলোচনার জন্য আপনাদের আগে এগিয়ে আসতে হবে। নইলে আমরা বাঙালীরা নিজেরা বসে ১টি ডেট ফিক্সড করে নিতে বাধ্য হবো। তবুও বাংলার নববর্ষ ও হালখাতার উৎসব কে আর কোনো বোমাবাজী দাঁরা জঙ্গীবাদ চলবে না।





আপনাদের শ্রদ্ধা জ্ঞানে

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উদ্ভাসিত

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.