নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইংরেজী ভাষা সংস্কার জরুরী

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

আমরা সবাই কমবেশী অবগত যে, ইংরেজী ভাষা অনেকটা ছন্দহীন, অল্প শ্রতিমধুর, কাঠখোট্টা ও তুলনামুলকভাবে রসকষহীন একটি অসম্পূর্ণ ভাষা। ইংরেজী ভাষা শুধু মাত্র একটি কাজের জন্য সুবিধাজনক হয়ে সন্তুষ্ট বলা গেগে তা হবে বনিক কাজে ব্যবহারের উপযোগীতার ক্ষেত্রে।



২১শে ফেব্রুয়ারী বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আমি আমার সকল ইংরেজী মাতৃভাষার সন্তানদের মানব ভাষার সর্বউৎকৃষ্ট বিনম্র শ্রদ্ধা ফুলের সৌরভ দিয়ে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি ইংরেজী ভাষা নিয়মিত ব্যবহার করেন সেই ইংরেজীর ভাষাভাষী বন্ধুদের ভাষার প্রতি তির্জক মন্তব্য করার জন্য আপনাদের ভাব নিবেদনের স্বাধীনতার কথা মাথায় রেখে, প্রথমেই ক্ষমা প্রার্থনা করে নিচ্ছি। দয়াকরে আমাকে ভুল বুঝবেন না। মনে মনে অন্ততপক্ষে আমার উপর এটুক ভরসা রাখতে পারেন যে, ভুল বা অসুন্দরকে পূর্ণ ও সুন্দরের বলয়ের মধ্যে যিনি তুলে নিয়ে গিয়ে পরিপূর্ণ ফুলের মতো পবিত্র রূপ দিতে চেষ্টার ত্রুটি করেন না, তাদের একটু-আধটু সমালোচলা মাথা পেতে নিতে জানাই শ্রেয়।



দেখুন মানব মনের চিরন্তন যে ভাব খেলা করে, সেই প্রবাহমান নদীর ঢেউসম ভাব কে শুধুমাত্র ভাষা দিয়েই প্রকাশ করা সম্ভব হয়। এই ভাব হলো ঈশ্বর প্রদত্ত অনির্বান-আশির্বাদ। এই মনের ভাষাকে লিখিত রূপ তৈরি করে নেন মানুষ তার জ্ঞানের মাধ্যমেই, আর এই লিখিত রূপ ধীরে ধীরে মানুষের অগ্রগতির রঙ দাঁড়া, আরও সুন্দর হয়ে মানুষের মনরাজ্যের রত্ন, যতরত, প্রাচুর্যদিয়ে মানবতা ও শুদ্ধ সভ্যতার কল্যানের দিকে নিয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে মানুষের গবেষনা, চিত্তবিনোদন, শ্রদ্ধাবোধ ও বিনয় সত্য সুন্দর হয়ে মানুষ প্রজাতির মধ্য চমৎকার লিংক তৈরি করে দেয়। সমাজের এই অগ্রগতি সাধনের পিছনে ভাষার কাছে আমরা সবথেকে বেশী ঋণী হয়ে আছি। কিন্তু একটি পরিপূর্ণ ভাষা বিহনে হৃদয়ের পুরো ভাব অর্থাৎ “মন থেকে যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হুবুহু ভাবে প্রকাশ করা” বিনিময় করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেন না।



দয়া করে কেউ ভেবে বসবেন না যে, আমি ইংরেজী নামক ভাষার মাধ্যমে মানব আত্মার ভাব প্রকাশের বিরোধী হয়ে আছি। আমি অনেক বেশী ইংরেজীর পক্ষেই আছি বলেই আজ ইংরেজী ভাষার কিছু মারাত্নক অসুবিধা পদে পদে অনুভব করছি।



প্রিয় বন্ধুসকল!!! আজ মানব সভ্যতার শুভ টার্নি পয়েন্টে মুভমেন্ট করার সময়েও যদি এই উপলব্ধি বোধটুকুও আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেও ভিরু ভিতু হয়ে উঠি তাহলে এক চমৎকার অগ্রগতির রূপরেখা কিভাবে প্রকাশ করে- আমারা সফলতার দিকে এগিয়ে যাবো বলুন?



ইংরেজী আন্তর্জাতিক ভাষা আর আমিও একজন আন্তর্জাতিক নাগরিক। আমরা সব মানুষই বিশ্বনাগরিক। সকল মানুষের সুবিধার জন্য ইংরেজী যে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ তা যে স্থানের মানুষই চালু করুক না কেনো- এই ইংলিশকে ইন্টান্যাশনাল ভাষা হিসেবে স্বীকার করতে আমি মোটেও কার্পন্য কখনও করিনি। এজন্যই আমার চাওয়া এই খোড়া ইংরেজী ভাষাটার অবস্থার ভিত মজবুত করে এর অবস্থান আরও সুদৃঢ় হোক তাতে করে মঙ্গল বৈকি অমঙ্গলের কোনো প্রকাশ সম্ভাবনা সৃষ্টি হবার আশংকা নেই।



এবার মূল আলোচনায় আসি, বৃটেন নামক দেশের কৌশলী বৃটিশ জাতি যখন তাদের বুদ্ধি ও কৌশল দিয়ে প্রায় পুরো বিশ্বের উপর কর্তৃত্ব করতে সক্ষমতা অর্জন করেছিলো ঠিক সেই মূহুর্ত থেকেই সবার সাথে সবার ভাব বিনিময়ের জন্য সবাই চেনে এমন একটি মঞ্চের ন্যায় ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজের প্রয়োজন হয়ে উঠেছিল অপরিসীমভাবে। সেই গুরুত্ব আর কখনও ফুরাবে না বরং ভাবের এই আদান প্রদানের শক্তিশালী প্রকাশরূপ আরও বাড়বে বৈকি কমবে না।



বৃটেনের ব্রিটিশ জাতির একটি গুন কে অস্বীকার করা কোনো জাতির পক্ষেই সম্ভব না আর তা হলো তাদের সাংস্কৃতি ও নিজ ভাষার প্রতি চরম ও পূর্ণ বিশ্বাস গুনে সদা শ্রদ্ধা আরাধোনার সমর্পন। এ যে ইংরেজদের স্বদেশপ্রেম। শত খারাপের মধ্যেও এই স্বদেশপ্রেম ইংরেজদের শাসক ও বড় রাজ্য গড়ে তুলতে অন্যান্য প্রতিকুলতার মধ্যেও যাদুর কাঠির মতো কাজ করেছে। এই তাদের দেশের প্রতি তাদের দেশপ্রেম বৃটিশদের অবশ্যই সম্মান ও শ্রদ্ধার দাবিদার করে রেখেছে।



ইংরেজরা তাদের পূর্বপুরুষ ব্যবসায়ী-বনিক, কবি, লেখক, বিজ্ঞানী, শিল্পী, গবেষক সহ নিজ জাতির গুনিজনদের প্রভুজ্ঞানে শ্রদ্ধা করে ও সেই শ্রদ্ধাবোধ থেকেই গুনিদের বিশ্বব্যাপি পরিচয় করিয়ে দিতে কোনোদিন, কোনোকালে মোটেও কার্পন্য করেন নি। এই স্বদেশপ্রেম ও প্রভাবশালী পূর্বপুরুষদের প্রতি যথাযথ সম্মান সকল জাতির মধ্যে থাকা একদম ফরজের ফরজ হওয়া উচিৎ বলে আমি ব্যাক্তিগত ও সমষ্টিগত ভাবে মনে করি।



কিন্তু সমস্যা হলো, ইংরেজরা তাদের সাংস্কৃতি, ব্যাবসায়িক যোগাযোগ পলিসি কিংবা নিত্য নতুন আবিষ্কার এর জন্য যতটা না উদার হয়েছেন ঠিন তাদের মহামূল্যবান ইংরেজী ভাষার ব্যাপারে অনেক বেশী রক্ষনশীল থেকে গেছেন। এতে করে ইংরেজরা তাদের ইংরেজী দাঁড়া নিজেদেরই অজান্তে অনেকের ক্ষতি করেছেন তো বটেই তার উপরে আজও ইংরেজদের মধ্যেই অনেক অনেক বেশী পরিমান আনব্যালেন্সড ব্রেন জন্ম নিচ্ছে। অনেক অনেক ডিফেকটিভ ও ডিসট্রাকটিভ তাদের এই ভাষা ও বাজে জীবন ব্যবস্থার জন্য প্রকাশিত হয়ে সভ্যতার নানাভাবে ক্ষতি সাধন করে যাচ্ছে।



এই যে ইংরেজী ভাষার প্রতি ইংরেজদের রক্ষনশিল মনোভাব কারণ বিশ্লেষন করে দেখলে তা কিন্তু ইংরেজদের ভুলের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে অসুবিধার সৃষ্টি করা হয়েছে – ঠিক তা কিন্তু না। ইংরেজী ভাষার প্রতি তাদের এই রক্ষনশীল মনোভাব এসেছে তাদের স্বদেশের পূর্বপুরুষদের প্রতি মাত্রারিকিক্ত সম্মান, শ্রদ্ধা, নিজেদের প্রভুসম ভাবার অহংকার, অন্য জাতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধের অভাব ও সর্বপরি ঐ ইংরেজী ভাষার লিমিটেশন দাঁড়াই নিজেদের চিন্তা চেতনার বিকাশ ঘটাতে চাওয়ার মাধ্যমেই।



ভালোমত লক্ষ্য করে দেখবেন ইংরেজী ভাষার গভীর রাজ্যে নিজেকে ডুবিযে অনুভব করলে দেখতে পাবেন ইংরেজী ভাষায় দ্বারা কোনো বড় সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হলে বা ভালো কিছু করতে গেলেও ইয়েস, নো, ভেরিগুড টাইপের সমাধানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। এখানেই সমস্যা। ইয়েস, নো, ভেরিগুড দ্বারা ব্যাবসায়ীক সমাধান সম্ভব কিন্তু মানবতা ও অন্যান্য অগ্রগতির সমাধানের জন্য এই ৩টি সমাধান দ্বারাই যে সব পথ পাওয়া সম্ভব তা আমাকে কেউ স্পষ্ট করে বোঝাতে পারবেন না- তা আমি কেনো সামান্য জ্ঞাণী মানুষের পক্ষেও বোঝা অসম্ভব নয়।



অন্যান্য ধনী ও ঐষর্য্যমন্ডিত ভাষা যেমন বাংলা, চাইনিজ, হিন্দি, প্রাচীন আরবী (বর্তমান আরবী নয়), হিব্রু, পারসী ইত্যাদি ভাষায় দিকে গভীর আলোকপাত করলে দেখা যায়, সর্বপ্রকার মানব ভাব প্রকাশের সুযোগ থাকার পাশাপাশি হ্যা, না, সমঝোতা, আপোষ, সন্ধি, বন্ধন, ত্যাগ ও উদারতা পরিলক্ষিত হয়। এই কারণে এই সব বড় মন রাজ্য গড়লে হৃদয় মাঝে সমঝোতা, মায়া, মমতা, দ্রুত জ্ঞান আহরন, দ্রুত অন্য ভাষা আয়ত্ব করা, নিরাপক্ষতা, সুষম ভাগাভাগি, অসাম্য ভেদজ্ঞান, উদারতা ও সব মানুষের জন্য সমৃদ্ধর পথে যাবার জন্য তৈরী হতে সুবিধা হয়। এই যে নিরাপক্ষতা ইংরেজীতে যাকে বলে নিউট্রালাইজেশন তা কখনও সমঝোতা, আপোস ও মনে সত্য সুন্দরকে প্রতিষ্ঠার তিব্র প্রত্যয়ের ভাবনাকে খোরা করে দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়।



আমাদের বুঝতে হবে নিরাপক্ষতা ও সাম্যবাদ এক কথা নয়। নিরাপক্ষতা আসে বাহ্যিক সম্পদ ভাগাভাগির ক্ষেত্রে আর সাম্যবাদ আসে নিজের অন্যর থেকে জান-মাল-জ্ঞানের সমবন্টনের চেষ্টার পথে মানব আত্মাকে প্রসমিত করার জন্য। সাম্যবাদ হলো হৃদয়ের অসীম শক্তি কে মানবতার কল্যানের পথে নিয়ে যাওয়ার সত্য আশা ও এক্সিকিউশনের চরম আপোষহীন চেষ্টা।



তবে ইংরেজী যে বর্ণমালা আছে তা কিন্তু কিছু বর্নের অভাব থাকলেও সুন্দর ও সাবলিলই বলা চলে। ইংরেজীর লেখ্যরূপ দিয়ে খুব দ্রত বেগে মনের ভাব লিখে ফেলা সম্ভব। ইংরেজীর এই দ্রততার বেগকে চীরকাল জোড় করে ধীর করে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র বানানে বিশাল বিশাল পাগলামি মার্কা জট, বানানে সমন্বয় না থাকা এবং বানানের অনেক বেশী খুঁত খুঁতে হবার কারণে।



ইংরেজরা তাদের ইংরেজী ভাষাকে আজ পর্যন্ত তাদের বিশ্বশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানের কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মতো করেই ভাবতে শিখেছে। যেমন লন্ডনের অনেক প্রসাদকে এমন ভাবে রক্ষা করা হয়েছে যাতে করে সেই আগের মতোই থাকে। প্রসাদ, প্রাত্নতত্ব সম্পদ নিয়ে এরকম কাজ কারবার অবশ্যই যৌক্তিক ও জাতির জন্য অহংকার, গর্ব ও মঙ্গলের প্রতিক সরূপ। কিন্তু ভাষা তো মানুষের মনের প্রসাদ না বরং মনের প্রসাদ তৈরীর উপাদান। নিত্য নতুন প্রসাদ তৈরী করতে নিত্য নতুন আধুনি সুন্দর রত্ন দিয়ে গড়লেই ভালো লাগবে। ভাষা যে হৃদয নদির জোয়ার ভাটার নাম তাই যে কোনো ভাষাকে যতো বেশী নিয়মিত স্বাধীন ভাবে সুন্দর সুন্দর মুক্তো, মনি, কাঞ্চন, হিরে, জহরত ও অন্য মনের সম্পদ এনে ভাষার উপরে লেপ্টে দিবেন ভাষা ততো সমৃদ্ধ হবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই।



বিশ্বাস করুন আজ এই একাবিংশ শতাব্দির চরম সম্ভাবনার যুগেও ইংরেজী ভাষার এই জড়াজির্ন চেহারা দেখলে বিশ্বমায়ের সন্তান হিসেবে আমার খুব বেশী দুঃখবোধ হয়।



আমি ইংরেজী ভাষার সুন্দর কিছু সষ্কার করার যোগ্যতা রাখি। সেখেত্রে আমি ইংরেজ বাসীর সহযোগতা কামনা করছি। মনে রাখবেন আমি আপনাদের সহ সকল জাতির কল্যানের জন্যই আবির্ভুত হয়েছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.