![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
প্রিয় বিশ্ব নাগরিক আপনাকে বলছি!
আমার বাংলাদেশের আজকের বসন্ত দেখুন। হাজার বছরের সহস্র-কোটি দুঃখ, লাঞ্চনা, বন্দি জীবন ও মিথ্যে কুসংস্কারের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা বাংলাদেশের আজকের দিনগুলো যেনো আমাদের নিয়ে যাচ্ছে চীর বসন্তের উৎসবে। যে চীর বসন্তের কথা শুধু বাংঙালীই নয় সারা বিশ্বের সকল শান্তপ্রিয় ভালোমানুষই তাঁদের হৃদয় দাঁড়া উপলব্ধি করে বসন্তের নাম না জানা কোনো অচিন পাখির মতো চীরান্দের গান শুনিয়েছিলেন।
আনন্দময়ীর আনন্দ ভুবন এই বাংলায় তার আগমন ধ্বনির শ্রুতিমধুর শব্দ সুর দিয়ে বিশ্ব ইতিহাসেও যে চীর শান্তিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আজ হয়তো বাংলার কোনো সূদুর চেনা গায়ের দীঘির ঘাটলায় তার প্রেয়সীকে পাশে নিয়ে কোনো ২১ বছরের দুরন্ত সুন্দর বালক ২১ বছর বয়সেই অনেক সুন্দর স্বপ্নদেখিয়ে মরার মাঝে বেঁচে থাকা জন কিটসের সেই সুন্দরের আগমনকেই জানান দিচ্ছে।
জগতের সব সত্য ও সুন্দর কোনো দিন নির্দিষ্ট একটি রাষ্টের একক সম্পতি হতে পারে নি কোনোদিন পারবেও না। যা সার্বজনীন মঙ্গলের জন্য আসে তা সবখানেই সমান শক্তিতে বিরাজ করে চলে। আর যা আমাদের মিথ্যে দাঁরা অর্জিত সামান্য ধন সম্পদ নামের মিথ্যে মায়া, আমাদের সুন্দর মনকে পশু করে দেয়, বরং সেই পশুদের জন্য কোনো একটি রাষ্ট্রেই বদনাম হয়। সেই দূর্ঘন্ধ ভরা পচা জিনিস মানুষের সামনে আসলেও তা মানুষ লাথি দিয়ে হোক আর নাক চেপে ধরেই হোক এক সরিয়ে দেয় নতুবা নিতে চায় না।
এই সুন্দর উপলব্ধির জন্যই তো আজও একজন জন কিটস বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন না বলেও বাঙালীর হৃদয়কে স্বপ্ন দিয়ে রাঙিয়ে দিতে পেরেছেন। এর নাম এক মানুষের সুন্দর মনের সাথে অন্য মানুষের মন মিশে শুধুই জীবনের স্বাধ অনুভব করে যাওয়া।
বাংলাদেশের এই যে প্রকৃতি। এই যে উত্তাল, উচ্ছাস, মায়াময়ী, শিশুর মতো নির্ভয় প্রকৃতি তাতো শুধু বাংলাদেশের মানুষই উপভোগ করবে এমন কোনো কথা নেই।
আপনারা দের মাস আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের মধ্যে কি পার্থক্য দেখতে পারছেন না। যে দেশে সুন্দর মনমানুষিকতা নিয়ে শাসক বা প্রশাসক হয়ে নয় প্রকৃত বন্ধু হয়ে সরকার আসে সে দেশ এমনিতেই সবার মন ভালো হবার মতো উপলক্ষ্য তৈরি হতে সময় লাগে না। প্রকৃতিই আপনার দায়িত্ব আপনি নিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠান করে দেয়। মানুষ এতো ফুল কিনে অনুষ্ঠান করতে পারতো বলেন? আর এই বাংলাদেশের প্রকৃতি আমাদের কতো কতো বাহানায়, কতো শতো ছলে, কতো রকম স্টাইলে যে আমাদেরকে প্রেমের পথে নিয়ে যায় তাকে আপনারা কখনও কম আশির্বাদ ভাববেন না যেনো।
দেখুন আজ বাংলাদেশের সংসদ কতো প্রাণবন্ত ও সত্য কথা দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। আজ যদি এমেরিকান লুই কান সাহেব বেঁচে থেকে আমাদের এই অবস্থা দেখতে আসতে পারতেন। তাহলে বুঝতে পারতেন কোন শান্তির দেশের সংসদের সুন্দর সংসদ ভবনের নকশা তিনি করেছিলেন। লুই কান সাহেব পিছনের রাগ অভিমানে তার স্বজাতীকেই কান ধরে উঠবস করার জন্য বলতেন।
আজ সব রাজতীতিক নেতাদের দেখলে মনে হচ্ছে তারা তাদের বার্ধক্যকে জয় করে তরুন হয়েই আমাদের পাশে আমাদের এই জাতির উন্নতির কথাই শুধু ভাবছেন। এমন এক পরিস্থিতিতে এমন এক দেশে অবস্থান করতে পেরে আমি গর্বীত। তাই তো এই বাঁধন হারার সকল বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে আপনাদের হৃদয়ের আনন্দকে অনুভব করে নিচ্ছি।
আপনারা মনে রাখবেন, আমাদের যখন একটু সুখের দিন আসে আমরা তখন ভুলে যাই যে আমাদের আশে পাশেও আমাদের সাথে মিলেমিশে কিছু কুটিল লোক সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। এজন্যই তো আমাদের সব পেয়েও সব হারাতে হয়। যেমনি করে হারিয়েছিলাম আমাদের দেবতা সম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে।
বঙ্গবন্ধুর রঙিন কোনো ছবির দিকে তাকিয়ে দেখুন। তিনিও যেনো বসন্তের মতো করেই আরো রঙিন আরও প্রানবন্ত হয়ে ছল ছল নয়নে আন্দন্দের কান্না কেঁদে আমাদের দিকে তাকিয়ে বলছে, “বলেছিলাম না এই বাংলাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না, কৈ কেউ কি পেরেছে?”
আসুন আমরা আমাদের নীতিতে অটল থেকে এই অগ্রযাত্রাকে আরো সুদুরে ধুলিলোক থেকে উর্ধলোকের স্বর্গালোকে নিয়ে গিয়ে বিশ্বের সব অসহায় অত্যাচারিত মানুষগুকেও সাথে করে মুক্ত করে নিয়ে আসি।
সিরিয়া বাসী, থাইল্যান্ড বাসী, আফগান, ইউক্রেন সহ যেসব দেশে ছাড় না দেয়া মিথ্যে মায়ার নেত্রীত্রের লড়াই চলছে তারাও যেনো আগে তাদের দেশের জন্য দেশপ্রেম অনুভব করতে পেরে অন্য শক্তি দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে আমাদেরই মতো শান্তি খুঁজে পায়।
আপনারা সমবসময় ভাববেন “আমিই বাংলাদেশ” । আপনি নিজে আগে বাংলাদেশ হতে না পারলে অন্যরা কি করে হবে বলুন? আমরা সবাই সবার সমালোচনা করবো অবশ্যই তা বিভেদ-বৈশম্য দুর করার জন্য। নিজেদের দাবি নিজেরা অর্জন করার জন্য। এই চাওয়া অবশ্যই যুক্তিক। দেখবেন আমরা সবাই শাসক হয়ে গিয়ে তারপরও কতো শান্ত ভাবে শান্তিতে পারবো।
মনের শান্তি শাসকের জন্যও যেমন সাধারণের জন্যও একই। অনেকে সাধারণ মানুষ হয়েও অন্যের জন্য যন্ত্রনা দায়ক। আবার অনেকে শাসক হয়েও সাধারণ মানুষ হিসেবেই নিজেকে সবার মাঝে বিলীয়ে সবার মাঝে চীর অমর হয়ে থাকেন।
আমাদের এই শুভদিনগুলোকে কাজে লাগিয়ে শুধু সামনের দিকেই এগোতে হবে। কোনো কুপরামর্শ আমরা গ্রহন করবো না। ইচ্ছে করে কারও ক্ষতি করবো না।
আমরা যদি এক একটি গ্রামে নিজেদের ইচ্ছে শক্তি দ্বারা কিছু সংক্ষক তরুন-যুবক-বয়জেষ্ঠ্য-নারী মিলে দু-একটি টিম করে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি ছাড়া। নিজেদের সামান্য সম্বল দিয়ে হলেও নিজেদের গ্রাম, এলাকা, মহল্লায় যারা এখনও নিরক্ষর হয়ে আছেন তাদের যদি অক্ষর জ্ঞান শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষর মুক্ত করাজ জন্য আগ্রহি হই, দেখবেন অল্প কয়েকদিনে কতো বড় একটি রেজাল্ট আসে। আর সেই নিরক্ষর দুরকরণের জন্য সরকার কোনো প্রকার বাহাবাও নিতে পারবে না। আমরাই সরকারকে বলতে শুনবো- জনগণই পারে। এই পেরে ওঠার মধ্য থেকেই অন্য এক সাফল্যকেও নিয়ে আসতে পারবো। আগে নিজে শুরু করতে জানতে শিখতে হয়। তারপরে সব পথ সহয হয়ে যাবেই।
অনেক স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী যে দেশে থাকে সে দেশে অশিক্ষিত থাকে কি করে বলুন? আমরাই আমাদের বাংলাদেশকে সাজাতে পারি।
আপনার যদি আগ্রহ থাকে দেখবেন টাকা-পয়সার স্বল্পতা উন্নয়নে বাঁধা হবে না। আর যদি টাকা পাবার আশায়ই নিজেকে সারাজীবন বসিয়ে রাখেন তাহলে তো জীবন ক্ষয় হবে শিক্ষাকে জয় করা আর হবে না।
আমাদের বাংলাদেশ কে আর কোনো দিন কোনো অপশক্তি, জঙ্গী, বেঈমান, রাজাকার, প্রতারক, ভন্ড ও সন্ত্রাসীরা গ্রাস করে নিতে পারবে না। দেখবেন আমরা যখন জাগতে শিখেছিই এখন সবাইকে জাগিয়ে ঘুমের ঘোরে দেখা সুন্দর সপ্নকেও বাস্তবায়ন করবো। জয়তু বাংলাদেশ।
সবদেশের সব নাগরিকদের আমাদের দেশে আত্নীয়র মতো করে বাচ্চা ও পরিবার সহ নিমন্ত্রন জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.