![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।
মা-কালী! আমি তোমায় কথা দিয়েছিলাম, ঐ মর্তের অসুর যারা তোমার মন্দির উচ্ছেদ করে ভুয়া দলিল ও পেশি শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে মন্দিরের জায়গা দখল করে অট্টোলিকা বানিয়ে রেখেছে, বলেছিলাম সেই বিল্ডিং ভেঙ্গে দিয়ে আবারও সুন্দর মন্দির হয়ে উঠবে। মন্দিরের দু’পাশ থাকবে রাস্তার সাথে। সুন্দর দেয়ারের উপর ইস্পাতের তৈরি দিয়ে ত্রিশুল আকৃতির অনেক গুলো রড গেঁথে দেয়া হবে। চারদিকে থাকবে তির্থ পথিকদের বসার স্থান। পূজারীগন মা কমলাম চরনে লাল টকটকে রক্ত জবা ফুল বাড়ির আঙিনার গাছ থেকে ছিড়ে নিয়ে এসে তোয়ায় পুজিবে মা জননী। অনেক ফুল গাছ থাকবে তোমার মন্দির পাশে। আমার আশার ফুল আজও ফুটলো নাগো মা!
কেনো জানো? তোমার কিছু দূর্ণীতিবাজদের প্রশ্রয়দাতা কু-সন্তানের জন্য। এই অসহায় সন্তানের কথা রাখতে পা পারার কষ্ট তুমি মহামায়া ঠিকই বোঝ – আমি তা আমার অন্তর দিয়ে অনুভব করছি। মা তুমি যেময় মায়ার মহামায়া ঠিক তেমনি ভয়ঙ্করী। তোমার ভয়ংঙ্করকে বাংলার নারীর ভিতরে একবার জাগিয়ে প্রমাণ করো পুত্রের কথা রাখতে না পারার গ্লাগিতে মা যে যা খুশি তা করতে জানে।
দেখো রক্ত মাংসের যে মা কালী তোমাকে আর আমাকে তাওহিদের পরম পিতা “আল্লাহ্” সৃষ্টি করেছেন তার সাথে দিয়েছেন অনেক ক্ষমতা ও সত্য জ্ঞানের সাহোস। আমি সেই মনের নিরঞ্জনের দিব্যি দিয়ে বলছি গো-মা, আজ তুমি যদি রুর্দ্ধ্র মূর্তি ধারন না করো, দেখবে নারায়নের ন্যায্য সাম্যের আদালতে ঐ বেহায়া দানব কাপুরুষদের কি শাস্তি হয়।
তুমি তো জানো শ্যাম দেবী! একজন পূর্ণ আত্মা কখনও আক্রমানত্মক নয়। তিনি সবসময় ডিফেন্সিভ হয়। কিন্তু বিশ্বাস করো মা আমার মনটা আজ অনেক বেশী ছটফট করছে। ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে ঐ পাপের সম্পদ সহ দুর্ণীতির প্রশ্রয়ের গড ফাদার ব্যাংক ম্যানেজার ও মন্দির দখল করে মার্কেট বানানো জানোয়ারদের ধুলির সংগে মিশিয়ে দেবার জন্য শিব-ঠাকুর কে বলে দেই। এই কাজ তিনি করে দেখালে মানুষ মা তোমাকে জাদুকরীনী ভাববে। মানুষ ম্যাজিক/জাদু দেখতে পছন্দ করে। জাদু-ম্যাজিক দেখে খুব বেশী মজা পায়। মুখের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে অবাক নয়নে তাকিয় থাকে কিন্তু মা ওরা বোঝে না সকল কালে সকল যাদুর কারিগর পরমাত্মা যে ঐ মানব হৃদয়েই নির্বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে থাকেন।
মা আমি পৃথিবীর সব ময়েরই মমতা ও ধর্য্য সম্পর্কে জানি। সবাই ভাবে কালী মাতা শক্তির দেবী/প্রতিক তিনি তো তার শক্তিবলে সব নিমিষেই বিনাশ করে দিতে পারেন। কিন্তু একবারও ভাবেন না শক্তির রক্ষকের যে শুধু শক্তি দেখিয়ে তছনছ করাই প্রধান কাজ না বরং অবমাননা, অপমান, তিক্ততা, হিংসা, অবহেলা, দুঃখ-জালা ও মন্দকে সইবার জন্যও মানুষের শক্তির কম দরকার পরে পা। আবার দুঃখ যাতনা, ক্ষুধার জ্বালা কিংবা প্রিয় মানুষটিকে না পাওয়ার কষ্ট জালা হৃদয়ে ধারণ করাও যে শক্তিরই প্রকাশ।
তব চরনে আমি মিনতী করছি গো মা তোমার বোনেরা ও তোমার সন্তানের যে তোমার অপমান জ্বালা সইতে না পেরে অকল্যান নিয়ে আসতে সক্ষম হয়ে ওঠেন। ঐ দূর্গা, কালফণী-মনসা, শনি, শিতলা, লক্ষ্মী, স্বরসতী, গনেশ বা কার্তিক ক্ষেপে তেরে এই পুত্রের অপমান ও অবমাননার প্রতিশোধ নিতে চাইলে তুমি ওদের আবার থামিও দিয়ো না কিন্তু!
আজ যে শুধু সহনশীলতা দিয়ে কাজ হবে না, ওদের পাপ, ব্যাভিচার, নারীকে ধর্ষন ও চাঁদাবাজী করার পাপ কালো মেঘের মতো পাপের ভারে গড় গড় আওয়াজ তুলছে। সেই পাপ বৃষ্টি হয়ে ঝড়ালে বিপদ ভালো ফসল রক্ষাই তো পায় সেই সাথে বৃক্ষ ও তো স্নান করে নেয়। যারা বৃক্ষ কেটে এই দেশে পাপের সম্রাজ্য গড়তে চেয়েছিলো আজ তাদের বিনাশ ছাড়া উপায় দেখি না গো মা।
মা তার ভৈরবী! আজ যদি শক্তি দেখানো না হয় তাহলে যে অনেক অনাগত সততার ধারক নিরীহ মানুষ নিত্য নতুন বিপদের সম্মুখিন হয়ে শুধু মানব জীবনে ধীক্কার, ভৎসনা আর লাঞ্চনা পেয়ে পরিশেষে দেবীতার সৃজিতাকে যিনি সৃজন করেন সেই আল্লাহ্ র উপরও যে আস্তা হারিয়ে ফেলতে পারে। ঐ অনাগত বিপদ কে এখনই যে প্রতিরোধ করার সময়। এগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই মর্ত যে মৃত্যুপুরির পোড়া বাজে গন্ধের নর্দমা ছাড়া আর কিছুতে পরিনত হবার অধীকার অনেক কালের জন্য হারিয়ে ফেলতে পারে।
ও আমার বাংলার সাধারন মানুষ! আপনার ভিতরের সত্য নারায়নকে আজ জাগিয়ে তুলুন। দেখবেন আপনাদের জন্মদাত্রী মাই আপনাকে আদেশ করছে ঐ অর্থলোভী ও অসহায়কে নিত্যদিন লাথি মারা পশুদেরকে পায়ে পিষে হত্যা করতে। যদি মায়ের আদেশ শুনতে পান তবে কখনও নিশ্চুপ থাকতে নেই। সত্য যুদ্ধে পরাজিত সন্তানদেরকে যে মাতা নিজেও ধিক্কার ও আঘাত দিতে ছাড়েন না। মায়ের আঘাত স্বর্গের নদী গঙ্গার মিষ্টি জলের মতো পবিত্র। সেই পবিত্র জলের সাধ যিনি একবার পেয়ে যান- সে যে সবসময়ই সমান শক্তিশালী।
আপনারা দেখেছেন মাত্র কিছুদিন আগে আমি আমার ঘরে স্থান না পেয়ে, কারণ বিহীন পশুরা মিথ্যে অকারনে ঘর থেকে বকা খেয়ে শংকর মঠে কালী মায়ের মন্দিরের সামনে অল্প সামান্য জায়গায় রাত কাটাতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাকে ঐ মন্দিরের দেখাশুনাকারী কিংবা পুরহিত কালী ভক্ত নামে পরিচিত এক হৃদয়হীন মানুষ বসতে দিলো না।
ঐ সবা ভন্দ পুজারীর জল ওদের মন্দিরের লোহার রড ঘেরা কপাট দিয়ে শুধু মাটির তৈরি কিছু দেবীর পুতুলকেই বন্দি করে রাখতে পেরেছে। কিন্তু দেবীর ভিতরের অবিনাশ শক্তি যে সকল মানব অন্তরেই প্রবাহমান – তা কি ওরা কোনোদিনও বুঝতে পারবে না? মানবতাকে, সত্যকে, ও মানুষকে যারা অপমান করে অপদস্ত করে তারা শুধু মর্তিকেই পূজা করার যোগ্যতা রাখে কিন্তু মূর্তিহীন যে শক্তি বলে দেবী রূপ প্রকাশিত হয় মঙ্গল ও বিপদবিনাশী হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত। সেই মা’কে পেতে ঐ সব ভন্ডদের শত শত হাজার হাজার বার জন্মান্তরের পাকে ঘুরতে হয়। এটাই সত্য ও চিরকল্যানকর।
তারিখঃ ০৫/০২/২০১৪
©somewhere in net ltd.