নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্

সকল পরিবর্তনের সাথে আমি ছিলাম। আবারও এসেছি সেই পরম সত্য নিয়ে। তোমাদের মনের মাঝেই লুকিয়ে আছে সেই মহাকালের শক্তি। আজ তাকে জাগাবার দিন এসেছে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ

আমি তোমার ভিতরের শক্তি কে জাগতে এসেছি বন্ধু। একবার চোখ মেলে দেখো নতুন এক সূর্য উদয় হয়েছে বাংলার আকাশে। কোনো মৃত্যু, কোনো বাধা, কোনো প্রতিকুলতা এই হৃয়য়ের পরম শক্তি ও সত্য সুন্দরকে বিনষ্ট করতে পারবে না। আমি যুগে যুগে আসি আজও এসেছি শুধু তোমাদের ভিতরের শক্তিকে জাগাতে। আমার এই পথ চলা থামবে না। তোমাদের বাঁচার মাঝে আমি বেঁচে আছি। বেঁচে থাকবো তা যদি কোনো করুন মৃত্যুর মধ্য দিয়েও হয়। আমার বাংলাদেশে নতুন এক গণতন্ত্র এসেছে। যা এই পরিবারতন্ত্রকে ভেঙে সত্যের ভিতরের সত্যকে তুলে এনেছে। আজ আমরা বিশ্বের বড় শক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছি। তোমাদের ভালোবাসাই আমাকে তোমাদের মাঝে বাঁচিয়ে রাখবে।

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম ও ধর্ম-শান্তি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৭

বোম্বে ইন্ডাস্টিতে কাজ করা মানুষ গুলো কে পুরো বিশ্বই কম বেশী চেনে। আরব বিশ্বে আজ তাদের অনেক ইমেজ ক্ষতি তারা যদি একটু সত্যের দিকে নিজেদের ইউনিট সহ কিছুদিনের জন্য হলেও দাঁড়ায় আর তাঁ দ্বারা যদি কমপক্ষে একজন মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যু ও জ্বালা থেকে সুস্থ্য জীবন ফিরিয়ে দেয়া যায় তেমন করে এগোলে অসুবিধা কি? সালমান এর কষ্ট আমি বুঝি। তা সালমান বা শাহরুখ বা অজয় ভালো করেই জানেন। ভয় নেই সুনিল শেঠি, সঞ্জয়, শ্রীশ্রান, অমিতাভ, বাংলাদেশ এর বরিশালের সন্তান মিঠুন দাদা সহ আরো যারা আছে সবাই আপনার আমার মতোই মানুষ। আমি সবাই কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জান্নাচ্ছি। মানুষের দুঃসময় যারা সঙ্গ দেয় তারাই তো মানুষ। আপনারা আমাকে প্রথম থেকে অন্তত একজন মানুষ ও বন্ধু ভেবে কাছে তুলে নিতে কার্পন্য করেন নি। এজন্যই তো আমরা সবাই সবার। আসুন আর মিথ্যের পথ নয়। আমাদের অনেক কিছু করার আছে। অনেক কিছু দেবার আছে। মানুষের জন্য মানুষের প্রয়োজন কখনও ফুরায় না। সালমান আপনি যে প্রেমের আগুনে নিজেকে জ্বলিয়ে ভুল পথই বেছেনিয়েছিলেন।



প্রেম কে প্রকাশ করতে হয় না হয় নিজের মনে শ্রদ্ধা ভরে পুজা করতে হয়। তাতে প্রেম মরে না। বরং আরও প্রবল রূপে আত্নপ্রকাশের সুযোগ পায়। আমি তা আমার অন্তর থেকে সব সময়, সব কালে, সব মানুষের হৃদয়ে অনুভব করতে পারি। এর নাম প্রেম। প্রেমের সম্বল আল্লাহ্ কাছে আমানত হিসেবে থাকে। তিনি সময় হলে দিয়ে দেন ও ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। আজ মানুষের প্রেমের নামে যে নষ্টামি, ভন্ডতা, কাপুরুষতা, চুরি করা, ডাকাতি করা, নিরিহ অবুঝ মানুষদের ডেকে নিয়ে এসে যুগের পর যুগ ব্লাক মেইলিং করা ও হাসির পাত্র বানিয়ে রাখা এর বিরুদ্ধে আমরা যদি কথা না বলি তাহলে কে বলবে। বাস্তব জীবনে সিনামার নায়কদের কে নিজের আইডল বা ফেবারেট এক্টর বানাতে নাই। আমার বুঝ হবার পর থেকে আমি কোনো দিন অন্য কোনো নায়ক কে ফেবারেট এক্টর মনে করতে পারি নি। এ আমার যদি ব্যার্থতাও হয় তার পরও এই ভাবে ব্যার্থ হওয়া সবার উচিত। নিজের জীবনের নায়ক মানুষটি নিজে। আপনারা সিনেমার নায়ক জনম ভর সিনেমাই থাকতে চেয়েছেন। আজ না হয় একটু নিজের মনের মানুষটিকে নায়ক ভাবে মেনে নেই। নিজের আত্মার সাথে প্রেম না করতে জানলে অন্য আত্মাকে কিভাবে পাবেন বলুন। যখন কাছে পেলেন তখন আনন্দ ভাগাভাগি করতে গিয়ে দেখবেন আত্না এসে আপনাকে বাঁধা দেবে না। মনে হবে আমরা মিলে আমি। আমি মিলে আমরা। এই প্রেম কে শ্রদ্ধা করতে হয়। জোড় করলে সেটা জোড় প্রেম না। আজ দেখুন কত শত হাজার কোটি মানুষ তার নিজের জীবনের প্রেম কে দিবানিশি তারিয়ে দিতে চাচ্ছেন। প্রতিদিন মনে মনে বলে,"যা ব্যাটা! ফালতু চিন্তা, বাজে মন". না ভাই নিজের মনের প্রেমকেই যদি চিরদিন তাড়িয়ে বেড়াবেন তাহলে আপনারা আপনাদের প্রেম কে অর্জন করবেন কি করে। ঈশ্বর এক মাত্র মনুষকে স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন। আমরা যদি নিজের মনের যোক্তিক ইচ্ছাকেই সারা জীবন ধরে চাপিয়ে রাখি বা ঘৃনা করে ভুল করি সেখানে আপন শক্তি কিভাবে আসবে। আর স্রষ্টাও কিভাবে সহায় হবে? দেবতারা প্রেমের টানের কাছে অসহায় হয়ে পরে। সব দেবতাই প্রেমের ব্যাপারে সমান সহানুভতিশীল হয়। আল্লাহ প্রেম ছাড়া ধরা দেন না, শক্তি দেন না। এই সমস্যা গুলো আমাদের সমাজের। যে মেচিউর মেয়েটি তার পরিবারের কাছে ধন চায়না, সাহায্য চায় না শুধু প্রেমিকের সাথ যাবার বা বাস করার অনুভুতি ভিক্ষা চায়। সেই অনুমুতি পেতে গিয়ে প্রতারিত হয়। আজকে যে সন্তান সহায় সম্বলহীন কাল সে অনেক ধনসম্পতির মালিক যে হতে পারবে না তার গ্যারান্ট কি ঐ গার্ডিয়ান দিতে পারবে? না পারবে না। অন্তত একটু যদি সবাই সবাই কে ছাড় দিতে জানতো তা হলেও এই দশা হতো না। দুই প্রতিবেশীর সাথে সহায় সম্বল জমি নিয়ে বিরোধ থাকা অস্বাভাবিক না। যদি দুদলই নিজের জায়গাকে বড় করতে গিয়ে দেয়াল কোন খানে বসবে তা ঠিক করতে চায়। তাদে দেয়াল হয় এরং শত্রুতা ও বৈরিতাও বাড়ে। আর যদি দু'দলই চায় প্রতিবেশী একটু বেশী জায়গা নিয়ে থাক। দুজনই যদি এক হাত জায়গা প্রতিবেশীকে বেশী দিতে চায় বা সাধাসাধি করেন। তখন দেয়ালও হয় না আবার আত্মার সম্পর্কই বাড়ে। এই কাজগুলো নিজেদের করতে হয়। কোনো সমাজ সংস্কারক করে দেন না। কোনোদিন দেবেনও না। আমাদের সমাজ ব্যাবস্থায় সন্ত্রাসীরা জেল থেকে ফিরে আরো বড় সন্ত্রাসী হয়। কেনো জানেন? তার সাজার মেয়াদ থাকে। সে কষ্ট হলেও অপেক্ষ করে ক্ষোভ নিয়ে বসে থাকেন। কবে আসবে দিন। আমরা যারা সমাজে প্রেম হারিয়ে কুকুরের মতো হয় গেছি তারা নিজেরা ভাবতেও পারি না যে আমাদের মুক্তি আসতে পারে। এখানেই সব জ্বালা। এ দোশ আমাদের মতো ভারতীয় দের না। যে ভরতের হাতে পিতৃ প্রাপ্ত অধীকার রাজা না হয়ে রাম তার সীতাকে নিয়ে বনবাসে গিয়েছিল। সেই রাম তার সীতর জন্য রাবনের মতো শক্তিশালি ভয়কর আক্রমানত্নক শয়তানকেও পরাজিত করেছিলেন। তাতে তিনি কিন্ত তার রাজ পরিবার বাবা মা ভরত বা নিজের কোনো সৈন্য সাম্তর হেল্প নেবার ইচ্ছে পোষন করেন নি। শুধু আমার মতো এক ছোট ভাই লক্ষণকে সাথে নিয়েছেন মাত্র। তাই তো সব দেবতারা এক জোট হয়ে হলেও রাম কে সাহায্য করে দেবতা বানিয়ে রেখেছেন। সযং ভগবান তার অগ্নমূরতী মানুষ কে নয় তখন পশু সমাজের মধ্য থেকে একজন হনুমাকে দেবতার বর শক্তি দিয়ে হলেও তার প্রেম কে রক্ষা করেছেন। আমরা সবসময় রামায়ন কে পবিত্র পুস্তক ভেবেই পুজো করেছি। আর তাদের নিয়ে ঝগরা বিবাদ পাকাচ্ছি। বুঝতে চাই নি বলে পারি নি। এজন্য হনুমান নামের পশুকে পুজা করছি। আর এই হনুমান বা বন্দর দিয়ে বিবর্তন বাদ চালু করলেন ফালতু গবেষক। এখানেই আমাদের বোঝার ভুল। আমাদের পাবনার সন্তান সূচিত্রা সেনের প্রেমিক জীবনের কাছে হার মানেন নি। সুচিত্রা জন্য মঙ্গল কামনাই করে গেছেন সারা জীবন। সুচিত্রাও রামকৃষ্ণ-বিবেকান্দদের চরনে তার প্রেমের পুর্ণতাই চেয়ে কেঁদেছেন সারা জীবন। আজ তারা পূর্ণ ও মুক্ত। তারা বাধাহীন। তারা সব প্রেমের মাঝেই থাকেন ও থাকবেন। তারা ইচ্ছেধারী মানুষ। সুচিত্রাকে কোনো দিন সাধারণ ভাববেন না। তিনি পুরে পুরে তারপর এমন হয়েছেন। আজ একজন সুন্দর নায়ক এলেই নাইকারা একদম পাগল হয়ে যান সাথে আরো করতো জ্বালা। উত্তমের মতো একজন কে যিনি বন্ধু ভেবে তার অন্তরের প্রেমেরই আরা ধনা করেছেন তিনি কি আপনাদের মিডিয়ায় কিছু দেন নি? প্রস্থানের সময় সবার সম্মান ও শ্রদ্ধা নিয়ে গেছেন। আমি সুচিত্রার জন্য অনেক চোখের পানি ফেঁলেছিলাম। মানুষের জন্য মানুষের প্রেমের চোখের জল দেবতারা নিয়ে নেন তার প্রতিদানও দেন। আমরা যেমন আমাদের আগের প্রজন্মের মনের জ্বালা বুঝতে চাই নি তারার আমাদের না বুঝে নিজেদের মুর্খতারই পরিচয় দেন। এজন্যই তো বাঙালী মা-মাসীর মধ্যে বিবাদ হয়ে আছে গলার সীতাহার। এই গলার হার অলংকার আমাদের অহংকারী বানিয়ে রক্তের বাঁধনও কেড়ে নিতে চায়। আরে বন্ধু সীতাহার কে রক্ষা করার বাসনা ছিলো শিতাকের রাম প্রান দিয়ে ভালোবাসতে জানতেন বলে। আসল মুল্য মানুষের। আসুন আমরা আমাদের সেই মুল্যবানের পথে নিয়ে যাই। কৃষ্ণ, ইউসুফ, মুসা, মোহাম্মদ, লোকনাথ, যিশু সহ কোনো মহামাবই লিলা খেলা করতে আসেন না। মানুষের জয়গানের মধ্যে ইশ্বরে জয়গান গেয়ে জান।



আজ দেখুন ডা. জাকির নায়েক (আমার আর ওনার জন্ম তারিখ ১৮-১০,) তিনি তার পিস টিভিতে কথাবার্তা বা মত প্রকাশ করেন মানবতার কথা বলে। তার যেটুকু ইচ্ছে ছিলো তাতে আমি সন্তুষ্টই বলা চলে। কিন্তু বেচার বলতে গিয়ে বার বার গোলক ধাঁধায় পরে যেতেন। তিনি আজও বোঝেন না যে শুধু ইসলাম কেনো পৃথিবীর সব প্রধান ও উপপ্রধান ধর্ম শান্তির কথাই বলেছেন। আমরা বুঝতে ভুল করলে ধর্ম কে নিয় টানা হেচরা করতে গিয়ে অনেক ভুল করেছি বলেই এই সব বাজে বাজে দশা দেখতে হয়।



আমি দেখলাম ডা. জাকির আর জাবেরী (জৈন) ওনারা লেকচার দিচ্ছেন। একজন বলছেন শাকসবজি খাবার কথা আর ডা. জাকির বলছেন শাকসবজির সাথে গরু সব সবকিছু খেতে। যেখানে শাকসবজি আর গরু নিয়ে ঝগরা হয়। এবং এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক গন্থ গুলো ঘেটে ঘেটে কালির দাগের মতো অন্তরেও দাগ পড়ে গেছে। তাই আজ শান্তির ধর্ম কে নিয়ে খাওয়া নিয়ে মাতামাতি। আবার ডা. জাকির আর রবী সংকর সাহেব দু’জনে জমিয়ে মত প্রকাশ করে যাচ্ছেন। কিন্তু বেজারা রবী সংকর আস্তে ধীরে কথা বলেন ডা. জাকিরের মতো ইনস্টান্ট রেফারেন্স দিতে জানেন না। তাই ডা. জাকির কে পোশাকধারী মোসলমাদের কাছে লেগেছে আর শ্রী শ্রী রবীশংকর জী কে পোষাকধারী সনাতনদের কাছে লেগেছে যে উনি ঠান্ডা মানুষ বলে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যায্য আচরন করা হয়েছে। এখানেই আমাদের সমস্যা। তারপরও ঐ ত্রি-রত্নই তো আমাদের মতো মানুষই। তবুও তো তারা কিছু একটা করতে চেয়েছেন। এটা বা কম কিসে। পথ খুঁজতে গেলে কোনো না কোনো ভাবে পাওয়া যাবেই। কিন্তু যারা অহেতুক রাস্তা ঘাটে, সংসারে মিথ্যে কে ভাইরাসের মতো ছড়ায় তারা শান্তির পথ খোঁজার মতো যোগ্যতাও যে হারাবার যোগ্য হয়ে ওঠেন।



ডা. জাকির সাহেব কে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করবো আপনি আপনার প্রচার মাধ্যম পিস টিভিতে সব ধর্মের শান্তির প্রকাশ ঘটান। আলাদা আলাদা ভাবে সব ধর্মের মতো পরিবেশ তৈরি করে। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃষ্টান-ইহুদী সহ যা যা আছে। এমনকি আমাদের উপজাতির ধর্ম গুলোকেও। প্রতিধর্মের জন্য আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান। তাতে কিন্তু ধর্মকে আলাদা বা তাওহিদকে আলাদা করতে পারবেন না। আর যেখানে তাওহিদই থাকে না সেখানে সত্যিকারের নিখিল জাহানের চির অবিনশ্বর প্রতিপাপল একাত্ববাদরে আল্লাহ্ কে কিভাবে পাবেন বলুন।



আমরা সবাই মহাবিশ্বের অংশ। আমাদের অধীকার কারও চেয়ে কম না। আমারা আমাদের আইডিয়া, মেধা, শ্রদ্ধা, ত্যাগ, শুভ ইচ্ছা দিয়ে পিছনের সব ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সবাই সবার হয়ে মানব জ্ঞানে সাম্য-প্রেম কে সত্য সাধনা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করি।



যে কাফের তিনিই তো মানুষ? তাকে হেদায়েতের পথে আপনাদের দাঁড়াই নিয়ে যাবেন। আপনারা আল্লাহ্ সৃষ্টি কোনো আত্নাকে অমর্জাদা করার অধীকার-ক্ষমতা রাখেন না। কাফের যদি এগ্রোসিভ হয় মানুষ তখন ডিফেন্সীভ হবে। যখন আর ধর্য্য নামক চেষ্টার মাধ্যমে পারবে না। তখন ভিন্ন কোনো পথে যাওয়া যেতে পারে তবে সেটা রাস্ট্রিয় সঠিক আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীর নায়ে কোনোভাবেই নয়।



মুসলিম ধর্মে মোহাম্মদ থাকা অবস্থায় যত গুলো যুদ্ধ হয়েছে তাতে মারা গেছে ক’জন? তিনি তো ডিফেন্সিভ ছিলেন। মানুষকে ডিফেন্সিভ হওয়ার শিক্ষা তারা দিয়ে যান যদি কেউ তাকে ভুল বুঝে বা ইচ্ছে করে খারাপের দিকে নিয়ে যান তার দাঁয় ভার কার?



আজ যে সীয়া-সুন্নী বা অন্য মতালম্বী নামক মূলত মুসলিম ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে ভেদাভেদের কারন মানুষরাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে তৈরি করেছেন।



এর প্রমাণও আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন হেফাজাত করে রাখেন।



মাওলা আলী, হাসান, হোসাইন যুদ্ধের পথ বেছে না নিয়ে আত্ন বলীর পথ বেছে নিলেন কেনো? তাদের কি আপনারা শক্তিহীন ভেবেছেন?



আমি বংলাদেশের সীয়াদের সাথে একবার ১০ই মহাররম হোসনী দালানে সারা রাত থেকে তারপর সকালে খালি পায়ে হেটে নাখালপাড়ার সিয়া মাজারের (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালযের পিছনে) গিয়ে নিজ চোখে দেখতে গিয়েছি। তাদের গায়ে তারা চাবুক মেরে নিজেদের দুঃখের মধ্যে হোসাইন, হাসান, আলী, ফাতেমার হত্যাকারীদের যাহেলতির জন্য আফসোস করছে। এটা শিয়াদের বোঝার ভুল হয়তো হতে পারে কিন্তু কোনো ভাবেই তাদের অমর্জাদা করা না। তাঁরা এই রকম শোকে মানুষের পাশে দাঁড়ান না ঠিকই কিন্তু এই শোকের মাঝে যে প্রেম থাকে তাতে তারা না জেগে থাকতে পারেন না।



কারণ তারা বোঝে না দেবতোরা এই সব কাজ নিজ ইচ্ছাই করে যায় মানুষদের কল্যানের পথে এগিয়ে যাবার জন্য। তাইতো যিষু ক্রসে চলেছেন।



ইব্রহিম তার জন্মদাতা পিতার সাথে মূর্তী ভাঙার জন্য যুদ্ধ করে নি এমন কি নমরুদের সাথেও না। তিনি মরতী ভেঙে বুঝাতে চেয়েছেন যে তাওহিদের পথে আসো। এখন আমরা যদি তাদের বুঝতে ভুল করে নিজেরা হানাহানি করি সে দ্বায় কার?



আমরা আমাদের ধর্মকে শক্তিশালী করতে গিয়ে নিজে যে মানুষ তা ভুলে গিয়ে সবাই সবাইকে মুলতো শক্তিহীন ও অসহয়ই করেছি। তাছাড়া কিচ্ছু না।



ধর্ম গ্রন্থের পাশে বিজ্ঞান বই কে এনে মিলাতে চেষ্টা করি নি বরং পার্থক্য করতে চেষ্টা করেছি। তাতে গ্রন্থের ও উপকার হয় নি আবার আমাদেরও কোনো কল্যানের রাস্তা আসে নি। এ ভুলের জন্য আপনি কি আল্লাহ কে দ্বায়ী করতে পারেন?



এখানে সবথেকে বড় একটি ভুল চোখে পড়বে শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয় হিনতার।

ভাষাকে কল্পনা করেছি সেকেলে পন্ডিতের মতো চেহারার, বিজ্ঞান কে কল্পনা করেছি টকটকে লাল ইংরেজদের মতো চেহারার, আরবী কে দেখেছি মাদ্রাসার মৌলভী দের মতো, ইসলাম শিক্ষাকে নিয়ে হিন্দুরা মনে মনে হাসেন, আর হিন্দু ধর্মকে নিয়ে নামধারী মুসলমানরা বলেন ওদের ধর্ম মিথ্যা, সমাজ বিজ্ঞান কে দেখেছি আসস্ট কোৎ সাহেবের মতো রসকষ হীন, অংককে ভেবেছি আরে এই মারাত্নক জিনিষটা ভালো বুঝি না বলেই জীবনে সব হারালাম রে.....ইত্যাদি ইত্যাদি।



এইসব সাবজেক্টের সব গুলোকে ম্যানেজমেন্ট এর পার্ট বানাতে পারবেন হয়তো।



কিন্তু মহবিশ্বের সব শক্তি নিয়েও ধর্মের মুমিন দের সাথে পারবেন না। ধর্ম দ্বারাই তাওহিদের আল্লাহ পরিচয় দিয়ে দেন। সব নিদর্শন আপনাদের কাছেই আছে আপনারা যদি তা নিতে না জানেন সে দোষ কার?



বিশাল বড় সরল অংকের রেজল্ট হয় শুন্য আবার ছোট একটা অংকের রেজাল্ট হয় বিশাল বড়। এই টাকে বস্তুবাদ ভেবে তাওহিদের আল্লাহ কে ডাকতে জানে নি বলেই আজ এমন ভয়াভহ পরিস্থিতি হয়েছে। এ দ্বায় ভার কার?



আসুর আমরা নিজেদের চিনতে শিখি দেখবেন আল্লাহ্ তার তাওহিদের নুর নিয়ে আপনাকে ছায়ার মতো সাহয্যই করবেন। এটাই নিয়মের অনেক উর্দ্ধে সত্যের নিয়ম।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.