নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন ঠিকানা-http://www.somewhereinblog.net/blog/ochenahappy

আবদুস সবুর খান

http://www.facebook.com/AskSumon -https://asksumon.wordpress.com/main-page/

আবদুস সবুর খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে দাড়ির অবস্থান...........

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৪৩

প্রশ্ন :

আপনাদের উপর শান্তি বর্শিত হউক আল্লাহর পক্ষ থেকে।

দাড়ি রাখা ইসলামে কতটা গুরুত্বপুর্ন? কেউ যদি দাড়ি না রাখে, তাহলে ইসলামে তার শাস্তি কি?

আল-কুরান এবং সহিহ হাদিসের আলোকে উত্তর দেবেন বলে আশা রাখি। ধন্যবাদ।

অগাস্ট. ২৩, ২০১০ by fahad



উত্তর :

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের সকল ইমাম গণের সর্বসম্মতি ক্রমে দাড়ি লম্বা রাখা ওয়াজিব এবং তা কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমান হতে হবে । এ ব্যাপারে চার মাযহাবের সকল ইমাম গণের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।



ইসলামে দাড়ির প্রমান



কোরআনের আলোকেঃ-



কোরআন শরীফে সরাসরি দাড়ি রাখার কথা বলা হয়নি তবে হারুন আঃ এর ঘটনায় দাড়ির কথা উল্লেখ রয়েছে । যথাঃ আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেনঃ- (হারূন আঃ তাঁর ভাই মূসা আঃ কে বললেন ) আপনি আমার দাড়ি ও মাথা ধরবেন না।



হাদীসের আলোকেঃ-

১/ ইবনে উমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, রাসূল ( সাঃ ) ইরশাদ করেনঃ- তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর, আর দাড়ি লম্বা রাখো এবং গোঁফ খাটো কর।



(সহীহ মুসলিম হাঃ নং ৬০২ , সহীহুল বুখারী হাঃ নং ৫৮৯২ )



ইবনে উমর ( রাঃ) সূত্রে অন্য হাদীসে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ-তোমরা গোঁফ ছোট কর এবং দাড়ি লম্বা রাখো। (সহীহুল বুখারীঃ হাঃ নং ৫৮৯৩ , সহীহ মুসলিমঃ হাঃ নং ৬০০)



এছাড়া বিভিন্ন শব্দে হাদীসে দাড়ি লম্বা রাখার প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দাড়ি লম্বা করা সম্পর্কে হাদীস সমূহে ছয়টি শব্দ বর্ণিত হয়েছে । সে গুলো হল- আরবী শব্দ [ আমাদের আপাতত আরবী লেখার সুবিধা না থাকার কারণে পরবর্তিতে আরবী শব্দ সংযোজন করা হবে ] উপরোক্ত সব কয়টি বাক্যের মর্মাথ্য একই , অর্থাৎ তোমরা দাড়ি লম্বা কর।

এ বিষয়টি লক্ষ্যণীয় যে, কোন হাদীসেই সরাসরি দাড়ি এক মুষ্ঠি পরিমাণ রাখার কথা উল্লেখ নেই , শুধুমাত্র লম্বা করার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে সাহাবায়ে কেরাম থেকে এক মুষ্ঠি পরিমাণ দাড়ি রাখা প্রামাণিত আছে । দাড়ি সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনাকারী সাহাবী আবু হুরাইরা, ইবনে উমর (রাঃ) প্রমুখ গণ দাড়ি এক মুষ্ঠি পরিমাণ রাখতেন । তাই এ ব্যাপারে তাঁদের আমল আমাদের জন্য দলীল । এর কারণ হল - যে বিষয়ে হাদীসে সরাসরি পাওয়া যায় না সে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরামের আমল শরীয়তের প্রমাণ হিসেবে সাব্যস্ত হয়। কেননা তারা হলেন হাদীসে রাসূলের (সাঃ) আমলী নমুনা।

সুতরাং দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্ঠি পরিমাণ হওয়া প্রত্যক্ষভাবে সাহাবায়ে কেরাম থেকে প্রমাণিত হলেও পরোক্ষভাবে তা রাসূল (সাঃ) থেকেই প্রমাণিত ।



বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে-···ইবনে উমর (রাঃ) যখন হজ্ব অথবা উমরা করতেন,তখন তিনি দাড়ি মুঠ করে ধরে মুঠের বেশী অংশটুকু কেটে ফেলতেন। ( সহীহুল বুখারী হাঃ ৫৮৯২)

এখানে যদিও হজ্ব ও উমরার সময়ের কথা বলা হয়েছে ,কিন্তু মুহাদ্দিসীনরা বলেন তিনি তা সব সময়ই করতেন । এ ছাড়াও আবু দাউদ ও নাসাঈর বর্ণনায় ইবনে উমরের (রাঃ) হজ্ব ও উমরা ছাড়া অন্য সময়েও দাড়ি এক মুঠের বেশীটুকু কেটে ফেলার কথা রয়েছে।

(ফাতহুল বারীঃ খন্ড-১০ পৃঃ ৩৬২)



হযরত উমর (রাঃ) তো নিজেই এক ব্যক্তির দাড়ি ধরে এক মুঠের অতিরিক্ত অংশটুকু নিজেই কেটে দিয়েছিলেন । (প্রাগুক্ত) ইবনে উমর (রাঃ) ছিলেন রাসূলের (সাঃ) আদর্শের পুঙ্খনুভাবে এবং পূর্ণ অনুসারী । তাই তিনি যা করেছেন তা রাসূল (সাঃ) থেকেই জেনে-শুনে করেছেন ।



উপরোক্ত দু’জন মহান সাহাবী ব্যতীত আবু হুরাইরা ,জাবির (রাঃ) পমুখ সাহাবী থেকে ও দাড়ির এক মুঠের অতিরিক্ত অংশটুকু কেটে ফেলার কথা পাওয়া যায় । এ থেকে দাড়ি কমপক্ষে এক মুঠ পরিমাণ রাখার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।



দাড়ি না রাখা , মুন্ডিয়ে ফেলা বা এক মুষ্ঠির কম রাখা হারাম ও কবীরা গুনাহ। যে দাড়ি মুন্ডায় বা এক মুঠের চেয়েও ছোট করে ফেলে তার আমল নামায় পুনরায় দাড়ি এক মুঠ পরিমাণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গুনাহ লিখা হতে থাকে। কেননা শরীয়তের হুকুম হল-দাড়ি কমপক্ষে এক মুঠ পরিমাণ রাখা। তাই এর চেয়ে দাড়ি ছোট করে ফেললে বা মুন্ডিয়ে ফেললে যতক্ষন পর্যন্ত দাড়ি এক মুঠ পরিমাণ না হবে ততক্ষন পর্যন্ত সে শরীয়তের হুকুম অমান্যকারী সাব্যস্ত হবে এবং তার নামে গুনাহ লিখা হতে থাকবে । অন্যান্য গুনাহ সাময়িক ও অস্থায়ী, কিন্তু দাড়ি ছোট করা বা মুন্ডানোর গুনাহ দীর্ঘস্থায়ী ,যে ব্যক্তি দাড়ি মুন্ডায় বা ছোট করে (এক মুঠের চেয়ে ) সে ফাসিক।



উত্তর দিয়েছেন:

মুফতী রফিকুল ইসলাম

হাদিস এবং তফসীর বিভাগের প্রধান

ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার

বসুন্ধরা , ঢাকা - ১২১২

বাংলাদেশ ।



প্রসঙ্গ : দাড়ি রাখার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে..........

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০০

বিভ্রান্ত নাবিক বলেছেন: দাড়ি একটা খুবই তুচ্ছ একটা জিনিষ। কিছু চুল , এই চুল লনা রাখলে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা আমাদের শাস্তি দিবেন ?? যদিও তিনি আমাদের প্রচন্ড ভালবাসেন। খুবই হাস্যকর হয়ে গেলোনা

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: বিভ্রান্ত নাবিক ভাই
আপনি বিভ্রান্তিতে আছেন।

হায়রে যুক্তি!
কোন অর্ডার কি জন্যে আসছে এটা নিয়া যুক্তি খুজে মানুষ, এক্কেবারে ঠিক শয়তান যেভাবে যুক্তি দিয়েছিল আল্লাহ তা’য়ালা আদম আ.-কে সিজদা করার কথা বলায়। এটা হারাম কেন, ঐটা হালাল কেন, মদ পরিমিত খাইলে ত স্বাস্থ্য ভাল হয়। গরুর গোশ্ত খাইলে ক্ষতি হয় তাইলে এটাও হারাম!!!! স্বর্ন পড়লে কি ক্ষতি, নামাজ না পড়লে কি ভালো মানুষ হওয়া যায় না!!!


আল্লাহর অর্ডার নিয়ে কোনো যুক্তি খাটে না, কারন টোটাল সাবমিশন করি বলেই আমরা মুসলিম।


আমরা শুনি এবং মান্য করি"


দাড়ি হতে পারে তুচ্ছ.........................

কিন্তু যিনি অর্ডার দিয়েছেন তিনি তুচ্ছ নন। তার অর্ডারের কারনেই তুচ্ছ জিনিষ বড় হয়ে গেল.......................

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:১৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি এখনও দাড়ি নিয়েই আছেন??
আশ্চর্য, ইসলাম কি শুধুই দাড়ি টুপি জায়নামাজ তছবিহ মেসওয়াকের ধর্ম নাকি?

আর একটু বাস্তববাদী কি হওয়া যায় না? - মহান আল্লাহ এই বিশ্বজগতের মালিক ও পরিচালক যে জীবন বিধান দিয়েছেন তাকে এইরকম হাস্যকর পর্যায়ে নামিয়ে না আনলেই কি নয়?

মানুষের জীবনের সাফল্য-ব্যার্থতা তথা পরকালীন স্বাস্তি-পুরোষ্কারেরমত বড় বিষয় দাড়ি-টুপি বা অন্য কোন ক্ষুদ্র বিষয়ের উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। তা বরং পুরো জীবনের বিশ্বাস ও সকল কর্মকান্ডের উপর নির্ভরশীল।

মানুষের সামগ্রিক জীবন ও কর্ম যদি ভাল না হয় তাহলে যেমন দাড়ি-টুপি পোশাক পরিচ্ছদ এমনি নামাজ রোজা হজ্জেরমত বড় বড় ইবাদতও তাকে বাঁচাতে পারবেন না ( কেননা মদিনার মুনাফিকরাও রাসুলের ইমামতিতে নামাজ পড়েছিলেন, রোজা রেখেছিলেন, হজ্জও করতেন ) তেমনি বিশ্বাস জীবন ও কর্ম যদি ভাল হয় তাহলে শুধুমাত্র দিড়ি-টুপি বা অন্যকোন তুচ্ছ বিষয়ের কারণে কাউকে স্বাস্তিও দেয়া হবে না।

আল্লাহরমত মহান সর্বজ্ঞ বিচারক এতবড় অবিচার কখনই করবেন না - আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৯

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
আপনি এখনও দাড়ি নিয়েই আছেন??

আমি ইসলামের একটি হুকুম নিয়ে কথা বলায় আপনার কোথায় সমস্যা হয়েছে ভাই ???

আপনি বলেছেন,
আশ্চর্য, ইসলাম কি শুধুই দাড়ি টুপি জায়নামাজ তছবিহ মেসওয়াকের ধর্ম
নাকি?

এগুলো কি ইসলামের বাহিরের অংশ ??

আমি কি শুধু এগুলো নিয়েই কথা বলেছি ? এই ব্লগে কি আমার অন্য কোন বিষয় নিয়ে লেখা নেই ???

আপনি বলেছেন,
আর একটু বাস্তববাদী কি হওয়া যায় না?

বাস্তববাদী ঠিকই আছি। শুধু ধর্মকে কেটে-ছেটে মডারেট না বানানোর পক্ষপাতি।

আপনি বলেছেন,
মানুষের জীবনের সাফল্য-ব্যার্থতা তথা পরকালীন স্বাস্তি-পুরোষ্কারেরমত বড় বিষয় দাড়ি-টুপি বা অন্য কোন ক্ষুদ্র বিষয়ের উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। তা বরং পুরো জীবনের বিশ্বাস ও সকল কর্মকান্ডের উপর নির্ভরশীল।

--- দাড়ি-টুপি বা অন্য কোন ক্ষুদ্র বিষয়ের উপর নির্ভরশীল হতে পারে না----

দাড়ি-টুপি আপনারদের কাছে ক্ষুদ্র বিষয় হতে পারে আমার কাছে নয়।
কারন,
হুজুর স. বলেছেন,
যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বত করল। আর যে আমাকে মুহাব্বত করল সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।
(তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)


আপনি বলেছেন,
তেমনি বিশ্বাস জীবন ও কর্ম যদি ভাল হয় তাহলে শুধুমাত্র দিড়ি-টুপি বা অন্যকোন তুচ্ছ বিষয়ের কারণে কাউকে স্বাস্তিও দেয়া হবে না।


যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয়ই কান, চোখ ও হৃদয় প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (সূরা ইসরা : ৩৬)

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২১

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: খুবই হাস্যকর হয়ে গেলোনা...........
Plz don't laugh about any Sunnat .Allah order follow ur Rasul (sww) completely.

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:২৯

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খাইর.........

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯

মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: দাড়ি হতে পারে তুচ্ছ..................

কিন্তু যিনি অর্ডার দিয়েছেন তিনি তুচ্ছ নন।

- ভাইসাহেব দাড়ির ব্যপারেতো কোন অর্ডার সেই মহাস্রস্টার কাছ থেকে দেখলাম না। শুধু শুধুই বেশি কথা বলা হচ্ছে না কি? তার চেয়ে ঈমান নিয়ে কয়টা কথা বলাই তো বেশি নেকদারী কাজ হবে!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

আবদুস সবুর খান বলেছেন: প্রত্যক্ষ নেই কিন্তু পরোক্ষ আছে............

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের।
(সুরা নিসা : ৫৯)

রাসূলের নির্দেশ মান্য করার কথা কি আল্লাহ তায়ালা বলেছেন ???

এবং
ধর্মের কথা বলাই নেকদারীর কাজ।

এবং ঈমান.............
যে ব্যাক্তির ঈমান যত শক্ত সে ব্যক্তি তত বেশি সে তত নবীর আদর্শের অনুসারী হবে।

এবং আমি বুঝলাম না দাড়ি নিয়ে কথা বলার কারনে কেন আপনাদের এত গাত্রদাহ হচ্ছে।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বত করল। "

নিশ্চয়ই - যে রাসুল(স.) এর সুন্নতের প্রতি মুহাব্বত করবে সে রাসুল(স.) এর প্রতিই মুহব্বত করবে - এত কোনই সন্দেহ নাই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাসুল(স.) এর সুন্নত বলতে দাড়ি-টুপি কেন আসবে? আর কোন সুন্নত চোখে পড়ে না?

অন্য বহু সুন্নতের কথা বাদ দিলেও সবচেয়ে বড় যে সুন্নতের নিদর্শন তিনি রেখে গেছেন তা হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করে অসহায় মানুষের কল্যানে নিজের সবকিছু দান করে দেয়া। যে মুহাম্মদ(স.) নবুয়ত প্রাপ্তির আগে সফল ব্যাবসায়ী এবং বিবি খাদিজার স্বামী হিসেবে যথেস্ট সম্পদশালী ছিলেন সেই মুহাম্মদ(স.) নবুয়ত প্রাপ্তির কয়েক বছরের মধ্যে নি:স্ব দরিদ্র হয়ে গিয়েছিলেন কেন? তাঁর নিজের ও সাহাবী(রা.)গনের সকল সম্পদ কোথায় গেল?

একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন তাদের সেই সম্পদ ব্যায় হয়েছিল দাসমুক্তির কাজে। সমাজের সহায় সম্পদহীন মানুষের কল্যানের জন্যই অকাতরে বিলান হয়েছিল সকল সম্পদ। এবং এই সম্পদ বিলাতে গিয়ে তিনি এতটাই দরিদ্র হয়েছিলেন যে খেজুরের বিনিময়ে কুয়ার পানি তুলে দেয়ারমত পরিশ্রমের কাজও ওনাকে করতে হয়েছে। - সেই সুন্নতের প্রতি মুহাব্বত নাই? পারবেন রাসুল(স.) এর সুন্নতের মুহাব্বতে সকল সঞ্চিত সম্পদ দরিদ্র মানুষের কল্যানে বিলিয়ে দিয়ে কায়িক শ্রমিকের জীবন বেছে নিতে??

জানি পারবেন না। আর পারবেন না বলেই ঐসব দাড়ি-টুপির আড়ালে আশ্রয় খুঁজছেন। ভাবছেন ঐ সবের প্রতি মুহাব্বত দেখিয়ে দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারবেন - কিন্তু বাস্তবে তা কখনই সম্ভব নয়। আপনার পোশাক, চেহারা, বংশ কোন কিছুই বিবেচ্য নয় -বিচারের বিষয় এটাই যে আপনি মানুষের কল্যানে কী করলেন। দেখুন কোরআনে কত চমৎকার বলা হয়েছে -

"নিশ্চয় আমি মানুষকে শ্রমনির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি। (৯০:০৪)"

"বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। অতঃপর সে ধর্মের ঘাঁটিতে প্রবেশ করেনি। আপনি জানেন, সে ঘাঁটি কি? তা হচ্ছে দাসমুক্তি। অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে অন্নদান। এতীম আত্বীয়কে । অথবা ধুলি-ধুসরিত মিসকীনকে (৯০: ১০-১৬)"

আত্মপ্রতারণা বাদ দিয়ে ধর্মের ঘাটিতে প্রবেশ করুন। যে দেশের রাস্তায় মানুষ ঘুমায়, খাবার খোঁজে ডাস্টবিনে, রেল লাইনের ধারে শত শত নগ্নপদ উদোম গায়ের শিশু ঘুরে বেড়ায় - সেই দেশে দাড়ি যত সুন্নতি নিয়মেই রাখুন আর টুপি যত সুন্দর করেই পরুন - তাতে মুক্তির সম্ভাবনা খুবই কম।

জীবনের সঠিক পথ অন্মেষণে আল্লাহ আমাদের সহায় হোন - আমীন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৪৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে রাসুল(স.) এর সুন্নত বলতে দাড়ি-টুপি কেন আসবে? আর কোন সুন্নত চোখে পড়ে না?

আমার যতটুকু সম্ভব আমি এই সুন্নত নিয়ে কথা বলেছি.........

আপনার চোখে যেগুলো সুন্নত হিসেবে চিহ্নিত তা নিয়ে আপনি কি কি পোষ্ট দিয়েছেন তার লিঙ্কগুলো একটু শেয়ার করবেন কি ..............

আপনি বলেছেন,
অন্য বহু সুন্নতের কথা বাদ দিলেও সবচেয়ে বড় যে সুন্নতের নিদর্শন তিনি রেখে গেছেন তা হচ্ছে আল্লাহর উপর ভরসা করে অসহায় মানুষের কল্যানে নিজের সবকিছু দান করে দেয়া। যে মুহাম্মদ(স.) নবুয়ত প্রাপ্তির আগে সফল ব্যাবসায়ী এবং বিবি খাদিজার স্বামী হিসেবে যথেস্ট সম্পদশালী ছিলেন সেই মুহাম্মদ(স.) নবুয়ত প্রাপ্তির কয়েক বছরের মধ্যে নি:স্ব দরিদ্র হয়ে গিয়েছিলেন কেন? তাঁর নিজের ও সাহাবী(রা.)গনের সকল সম্পদ কোথায় গেল?

আত্মপ্রতারণা বাদ দিয়ে ধর্মের ঘাটিতে প্রবেশ করুন। যে দেশের রাস্তায় মানুষ ঘুমায়, খাবার খোঁজে ডাস্টবিনে, রেল লাইনের ধারে শত শত নগ্নপদ উদোম গায়ের শিশু ঘুরে বেড়ায় - সেই দেশে দাড়ি যত সুন্নতি নিয়মেই রাখুন আর টুপি যত সুন্দর করেই পরুন - তাতে মুক্তির সম্ভাবনা খুবই কম।


ধন্যবাদ। দান করা অবশ্যই একটি বড় সওয়াবের কাজ।

কিন্তু আমার এই পোষ্টের সাথে কিভাবে আপনার এই কথা সম্পর্কযুক্ত তা বুঝলাম না।

অবশ্য আপনার এই কথা

-----দিড়ি-টুপি বা অন্যকোন তুচ্ছ বিষয়ের কারণে কাউকে স্বাস্তিও দেয়া হবে না। -----------

দিকে তাকালে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপারে একটা পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যায়।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:২৮

পুংটা বলেছেন: মাম্মা... গুপ্তকেশের বিষয়ে কিছু একটা বলেন। B-))

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ কাঙাল মুরশিদের ৫ নং কমেন্টে জাঝাকাল্লাহ খাইরান।

পুরাই পুরা সহমত।

তারা সুরা মাউন দিয়ে নামজ পড়ে! অথচ অর্থ বলতে গেলে বা জানতে চাইলে মূখ গোমড়া করে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

বেদ্বীন এবং ওয়াইল দোযখের অধীকারীরা তো গা বাঁচানো সুন্নতের নামের আড়ালে লুকাতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।

আর একদল পেয়েছি- তারা মোরাকাবা মোশাহেদার নাম শুণলে ভিমরি খায়!
তাকে যখন বলি রাসূল সা: তো ২৫-৪০ দীর্ঘ ১৫ বছর হেরায় এতে মগ্ন ছিলেন... এই সুন্নতটা আসেন ধরি!!
অমনি মূখ ফিরিয়ে বলৈ তিনিতো আমাদের সত্য এনে দিয়ে গেছেন! (আমরা ললিপপ চুষে ছুষে খাই) আমাদের আর কিছূ করার দরকার নেই!!!!!
শূধু মিষ্টি খাব, এক মুষ্ঠী স্কেল দিয়ে মেপে ;) দাড়ি রাখব ব্যাস!!!!!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: পোষ্টের সাথে দারুন সামঞ্জস্যপূণ্য কমেন্ট।

অভিনন্দন।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

আমিই আজাদ বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ ভাই
........
.............
,,,,,,,,,,,,,,,,
...................
...................... স্যালুট!!!!

৯| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:০৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "দান করা অবশ্যই একটি বড় সওয়াবের কাজ।"

শুধুই একটা বড় সওয়াবের কাজ? বাধ্যতামুলক নয়? এমনকি দাড়ির চেয়ে গুরুত্বপুর্ণ সুন্নতও নয়??

যে কাজটা রাসুল(স.) নিজ জীবনে বাস্তবায়িত করে দেখিয়ে গেলেন, হাজার হাজার সাহাবী যার বাস্তব অনুসরণ করল, কোরআনে যার জন্য শত শত আয়াতে নির্দেশ দেয়া হল - সেটা একটা সাধারণ সওয়াবের কাজ হয়ে গেল - আর যে দাড়ির বিষয়ে কোরআনে কোন আয়াতই নাই, রাসুল(স.)ও খুব গুরুত্ব দিয়ে যেটা বাস্তবায়নের চেস্টা করেছেন বলেও কোন প্রমান নাই সেটাকেই আপনার কাছে এত গুরুত্বপুর্ণ মনে হচ্ছে যে একাধিক পোস্ট দিয়ে তার প্রচারণায় নেমে গেছেন!!

কেন? কারণ আমরা আসলে সহজে সর্ট-কাট পথে জান্নাত পেতে চাই - সে জন্যই এই আত্মপ্রতারণা। বিশ্বাস করুন, বাস্তবে এর কোন মুল্যই নাই।

তাও ভাল যে আপনি বিষয়টাকে "বড় সওয়াবের কাজ" বলে স্বীকার করেছেন, অনেকে তো দান করা বা পরিশ্রমের কাজ করার কথা চিন্তাও করতে পারে না। মানুষের দান খয়রাত নিয়ে আরাম আয়েশে থাকাও বৈধ মনে করে। আপনি অন্তত তাদেরমত নন - এ'জন্য আল্লাহর শুকরিয়া।

আশা করি কোরআনের বাংলা অনুবাদ মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনিও বুঝতে পারবেন ইসলামের আসল আবেদন কোথায়। একবার সাহস করে বাংলায় পুরো কোরআনটা পড়ে দেখবেন নাকি? বেশী না, মাত্র ৪০০ পাতার একটা বই। পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়তে এক মাসের বেশী সময় লাগার কোনই কারণ নাই। পড়ে দেখুন - লাভ কিছু না হোক, লোকসান হবে না - ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দিন - আমীন।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৩১

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আমি কি নিয়া পোষ্ট দিলাম আর আপনি কি নিয়া লিখা শুরু করলেন.........

বেশ..........

আপনার কি মওদুদী সাহেবের এই ফতোয়ার কারনে উপরের কথাগুলো মানতে কষ্ট হচ্ছে...........???

দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়। (রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)

যদি তাই হয় তবে আপনাকে একটি প্রশ্ন করি......

মি. মউদুদী সাহেবের হিসেবে বর্তমান পৃথিবীতে কোন আসলে কোন ইসলাম নেই। যা আছে তা বিকৃত একটা ধর্ম।

কিভাবে..........

মওদুদী সাহেব বলেছেন,

“আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিম্বা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন।” [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খন্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনে ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং; কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা(বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী:জুন ২০০২]
“মহানবী (স.) মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।” [তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ.]
“মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষন করেছেন।” [তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী]

তাহলে উনার কথা দ্বারা বুঝা যায় হুজুর স. দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে পৃথিবীতে পৌছাতে সক্ষম হননি (মওদুদী সাহেবের ভাষায়) (নাউযুবিল্লাহ)

যা অল্প পৌছিয়েছেন তা আবার সাহাবিরা ধ্বংস করে গেছেন
(মওদুদী সাহেবের ভাষায়)

হযরত আবু বকর (রাঃ) দুর্বলমনা ও খেলাফতের দায়িত্ব বহনে আযোগ্য ছিলেন (তাজদিদ ও ইহয়ায়ে দ্বীন পৃষ্ঠা ২২)
#নবী করীম (সঃ) এর ওফাতের সময় ব্যাক্তি সম্মানের কু-মনোবৃত্তি হযরত উমর (রঃ)কে পরাভূত করেছিল (তরজুমানুল কুরআন রবিউস সানি ৩৫৭ হিজরী)
# হযরত উসমান (রাঃ) এর মাঝে সজন-প্রীতি বদগুন বিদ্যমান ছিল।(খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ৯৯)
# হযরত আলী (রাঃ) আপন খেলাফত জামানায় এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নেই। (খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৪৬)
# হযরত মুয়াবিয়া (রঃ) স্বার্থবাদী, গনিমতের মাল আত্মসাদকারী, মিথ্যাসাক্ষী সংগ্রহকারী ও অত্যাচারী ছিলেন। (খেলাফত ও মুলকিয়াত, পৃষ্ঠা ১৭৩)

তাহলে বুঝা যায় যে বর্তমান পৃথিবীতে যে ইসলাম আছে তা হল মওদুদী সাহেবের ইসলাম
এবং যারা জামাত ইসলাম করে তারা তারাই একমাত্র সঠিক ইসলামের উপর আছে।

বাকিরা বিকৃত ইসলাম নিয়ে আছে।

আপনি কি বলেন ???

১০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

বিমর্ষ আমি বলেছেন: হায়রে ধর্ম!!! ধর্ম মানুষের চিন্তার স্বাধীনতা হরণ করে-তার উত্তম উদাহারন দাড়ি নিয়ে বিতর্ক.....

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি বার বার অভিযোগ করছিলেন আমি পোস্টের মুল বিষয়ের বাইরে গিয়ে কথা বলছি বলে - কিন্তু এবার নিজেই মওদুদী এবং জামাতকে টেনে এনে কি বুঝাতে চাইলেন?

আমি এ'যাবত দাড়ি সম্পর্কিত কোন বিধানের কথা বলিনি - এবং বলা উচিতও মনে করি না - এ'জন্যই কিছুটা ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। মুলত দাড়ির ব্যাপারে কে কি ফতোয়া দিয়েছে তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নাই। কারণ আমি কখনই এটা বিশ্বাস করি না যে দাড়িরমত একটা বিষয়ের উপর মানুষের জীবনের সাফল্য ব্যার্থতা তথা বেহেস্ত দোজখ নির্ভরশীল হতে পারে। তাই এ'রকম বিষয়ের প্রচার/আলোচনা / যুক্তি-তর্কে সময় নস্ট করাও নিতান্তই বাহুল্য।

আমি আপনাকে সেটাই বুঝাতে চাইছি। দয়া করে কে কোথায় কবে কি বলেছে সেই অনুসন্ধান বাদ দিয়ে মহান আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন পবিত্র কোরআনে কী বলেছেন সেটা জানার চেস্টা করুন।

আপনি এত এত বই পড়তে পারলেন, এমনকি সমর্থন না করার পরও সমালোচনার জন্য মওদুদীর বইও পড়তে পারলেন - আর কোরআন পড়তে এত অনিহা কেন? মাত্র ৪০০ পাতার একটা বই, পড়তে কত সময় লাগবে?

একবার মনযোগ দিয়ে বুঝে বুঝে পড়ুন - দেখবেন সেখানে দাড়ি-টুপির চেয়ে বহু গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে বহু গুরুত্বপুর্ণ দিক নির্দেশনা আছে। সেগুলি নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করলে দাড়ি নিয়ে এত গবেষণা করার সময়ই পাবেন না।

আর আমরা মুসলমানরা যখন সামগ্রিক ভাবে দাড়ি-টুপি-মেসওয়াক-তসবিহ-পাগড়ী-পাঞ্জাবী . . . এ'সবের বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে বাস্তব জীবনের ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হব - জীবনের গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলিতে ইসলামের বিধান অনুসরণের ব্যাপারে সচেস্ট হতে পারব তখনই দেখতে পাব ইসলাম আসলেই কতটা বাস্তবমুখী, জীবনঘনিষ্ট, যৌক্তিক ও কল্যানকর বিধান।

আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দিন - আমীন।

০৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৫২

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জনাব আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম.............
...........................................................................................

আমার যতটুকু সম্ভব আমি এই সুন্নত নিয়ে কথা বলেছি.........

আপনার চোখে যেগুলো সুন্নত হিসেবে চিহ্নিত তা নিয়ে আপনি কি কি পোষ্ট দিয়েছেন তার লিঙ্কগুলো একটু শেয়ার করবেন কি ..............
...........................................................................................


যদি তাই হয় তবে আপনাকে একটি প্রশ্ন করি......

----------------------------
-----------------------------
আপনি কি বলেন ???

...........................................................................................

আপনি বলেছেন,
আপনি এখনও দাড়ি নিয়েই আছেন??

আমি ইসলামের একটি হুকুম নিয়ে কথা বলায় আপনার কোথায় সমস্যা হয়েছে ভাই ???

আপনি বলেছেন,
আশ্চর্য, ইসলাম কি শুধুই দাড়ি টুপি জায়নামাজ তছবিহ মেসওয়াকের ধর্ম
নাকি?

এগুলো কি ইসলামের বাহিরের অংশ ??

আমি কি শুধু এগুলো নিয়েই কথা বলেছি ? এই ব্লগে কি আমার অন্য কোন বিষয় নিয়ে লেখা নেই ???

...........................................................................................

আপনার কি মওদুদী সাহেবের এই ফতোয়ার কারনে উপরের কথাগুলো মানতে কষ্ট হচ্ছে...........???

...........................................................................................

আশা করি জবাবগুলো দিয়ে বাধিত করবেন।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৫

বিভ্রান্ত নাবিক বলেছেন: হাজার হাজার শিশু অনাহারে মারা যায় , প্রতিদিন ছোট বাচ্চা মেয়েরা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে। আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং পরম করুনাময় । কেন তাদের বাচাচ্ছে না??? উনি সবই দেখেন, দেখেও কেনো চুপ থাকেন বুঝলামনা। তাহলে কি উনি পরমকরুনাময় নয়?? আপনার ক্ষমতা আছে অপকর্ম ঠেকানোর তবুও আপনার সামনে কেউ বিশাল অপকর্ম করলে আপনি তাকে বাধা না দিলেতো অন্যায় হয়ে যায় তাইনা???????

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫

বুড়া মানব বলেছেন: বুখারী শরীফে বর্ণিত হয়েছে-···ইবনে উমর (রাঃ) যখন হজ্ব অথবা উমরা করতেন,তখন তিনি দাড়ি মুঠ করে ধরে মুঠের বেশী অংশটুকু কেটে ফেলতেন। ( সহীহুল বুখারী হাঃ ৫৮৯২)

এ ছাড়াও আবু দাউদ ও নাসাঈর বর্ণনায় ইবনে উমরের (রাঃ) হজ্ব ও উমরা ছাড়া অন্য সময়েও দাড়ি এক মুঠের বেশীটুকু কেটে ফেলার কথা রয়েছে।
(ফাতহুল বারীঃ খন্ড-১০ পৃঃ ৩৬২)


হযরত উমর (রাঃ) তো নিজেই এক ব্যক্তির দাড়ি ধরে এক মুঠের অতিরিক্ত অংশটুকু নিজেই কেটে দিয়েছিলেন



আপনার লেখা পড়ে তো মনে হচ্ছে দাড়ি ১ মুষ্টির বেশি রাখাই কবিরা গুনাহ।

০৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৫৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: প্রসঙ্গ : দাড়ি রাখার ব্যাপারে ইসলাম কি বলে..........

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৬

মাহমুদডবি বলেছেন: ইনশাআল্লাহ দাড়ি আর কাটবো না দোয়া করবেন , আল্লাহ যেন দাড়ি রাখার তৌফিক দান করেন।

০৫ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৩৫

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আমিন.........

১৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১:২৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমি ইসলামের একটি হুকুম নিয়ে কথা বলায় আপনার কোথায় সমস্যা হয়েছে ভাই ???"

সমস্যাটা হচ্ছে এ'খানেই যে আমরা যারা নিজেদের সচেতন মুসলমান মনে করি, ইসলামী বিধান/হুকুম প্রচারের দ্বায়িত্ব অনুভব করি তারা এমন সব বিষয়কে প্রাধান্য দেই যা আসলেই প্রাধান্য বা গুরুত্ব পাওয়ারমত নয়।

আপনি ব্লগে ইসলাম বিষয়ে কথা বলেন - যার অর্থ হচ্ছে ইসলামের ব্যাপারে আপনার যথেস্ট আগ্রহ আছে। কিন্তু আপনি এমন বিষয়ে একাধিক পোস্ট দিচ্ছেন যা আসলেই কোন গুরুত্বপুর্ণ হুকুম নয়। আমি সেটাই বুঝাতে চাচ্ছি। এ'ধরনের কমগুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়েই মানুষ মতবিরোধ করে এবং তার পরিনতিতেই মুসলিম উম্মাহ আজ শতধারায় বিভক্ত হয়ে গেছে।

যাই হোক, আপনার অবস্থান চিন্তা-চেতনা যে আমি একেবারে বুঝি না তা কিন্তু নয়, কেন না আমিও এই সমাজেরই একজন এবং সমাজে ইসলাম সম্পর্কে যে ধরনের দৃস্টিভঙ্গি প্রচলিত আছে - আমিও তার মধ্য থেকেই এসেছি। এ'জন্য অবশ্ব আমরা এই প্রজন্মের মানুষেরাই সরাসরি দ্বায়ী নই - এটা বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ধীরে ধীরে ঘটেছে। রাসুল(স.) থেকে আমাদের সময় পর্যন্ত ১৪০০ বছরে অতিক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৫০টি প্রজন্ম। প্রতি প্রজন্মে যদি ১-২% পরিবর্তনও হয়ে থাকে তহলে মুল শিক্ষার অধিকাংশ বদলে যাওয়াই স্বাভাবিক। আমরা কেবলমাত্র এই বদলে যাওয়ার ধারাবাহীকতার স্বীকার।

ঠিক এ'ভাবেই বদলে গেছে পৃথিবীর প্রতিটি ধর্ম। অন্যসকল দর্মের মুল গ্রন্থই বদলে গেছে তাই তাদের আর আসল শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার কোনই সুযোগ নাই। একমাত্র ব্যাতিক্রম ইসলাম যার মুল গ্রন্থ কোরআন সংরক্ষিত আছে অবিকৃত ভাবে। তাই আমাদের সকলের উচিত এই গ্রন্থের প্রতি ফিরে যাওয়া - একমাত্র এ'ভাবেই আমরা আল্লাহর দেয়া বিধানের মৌলিক শিক্ষাগুলি ফিরে পেতে পারি।

যারা ধর্ম নিয়ে চিন্তিত নয়, বা ধর্ম চর্চা ও প্রচারকে গুরুত্বপুর্ণ মনে করে না তাদের ব্যাপার একরকম। কিন্তু আপনারমত যারা ধর্মীয় বিধান অনুসরণ ও প্রচারের প্রেরনা অনুভব করেন তারা যখন কম গুরুত্বপুর্ণ ছোট খাট বিষয়ের সুক্ষ্ম হিসেব নিয়ে সময় নস্ট করেন তখন সেটা দেখলে দু:খ লাগে বৈকি।

যাই হোক আপনার কাছে যদি দাড়ি রাখা, পরিমানমত রাখা, দাড়িতে মেহেদী লাগান ইত্যাদি খুবই গুরুত্বপুর্ণ, অবশ্বপালনীয় এবং সাফল্য-ব্যার্থতার মান দন্ড বলে মনে হয় - তাহলে নিশ্চিত বিশ্বাসের সাথেই তা পালন করুন - আশা করা যায় বিশ্বাসের দৃঢ়তার কারণে এটা আপনার জন্য কল্যানকর হলেও হতে পারে।

তবে অনুরোধ থাকবে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের দিকে ফিরে আসার। কোন ইমাম কবে কোন প্রক্ষাপটে কাদের উদ্যেশ্যে কী কথা বলে গেছেন তা সেইভাবে সংরক্ষিত নাই যেভাবে কোরআন সংরক্ষিত আছে। তাই কোরআনের বিপরীতে বা কোরআনের অতিরিক্ত কোন মানুষের বক্তব্য অত গুরুত্বের সাথে নেয়ার প্রয়োজন নাই - যদি থাকত তাহলে আল্লাহ নিজেই ঐসব ব্যাক্তির বক্তব্য কোরআনেরমতই সন্দেহাতীত ভাবে সংরক্ষনের ব্যাবস্থা করতেন। কিন্তু আমরা জানি তিনি তা করেন নি। আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন।

আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকটি কল্যানকর প্রচেস্টা কবুল করুন - আমীন।

০৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:০৮

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি বলেছেন,
কিন্তু আপনি এমন বিষয়ে একাধিক পোস্ট দিচ্ছেন যা আসলেই কোন গুরুত্বপুর্ণ হুকুম নয়

ভাই আপনার কাছে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ।
কারন
হুজুর স. বলেছেন,
যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বত করল। আর যে আমাকে মুহাব্বত করল সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।
(তিরমিযী শরীফ, মেশকাত- পৃ: ৩০)

এবং এটি একটি কপি-পেষ্ট পোষ্ট।

আপনি বলেছেন,
কোন ইমাম কবে কোন প্রক্ষাপটে কাদের উদ্যেশ্যে কী কথা বলে গেছেন তা সেইভাবে সংরক্ষিত নাই যেভাবে কোরআন সংরক্ষিত আছে।

এটা আপনার ভুল ধারনা। আরো পড়াশুনা করুন, আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন।


এবং আপনার এই কথা দ্বারা কিন্তু হাদীসও বাতিল হয়ে যাচ্ছে.............
চিন্তা করে দেখেছেন..........

এবং আমি আপনাকে আরো কিছূ প্রশ্ন করেছিলাম.................


১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৪১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "এটা আপনার ভুল ধারনা। আরো পড়াশুনা করুন, আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন। "

আপনি কি সত্যিই বিশ্বাস করেন ইমামদের বক্তব্য কোরআনেরমত ( বা হাদীসেরমত ) সংরক্ষিত আছে? আচ্ছা বলুনতো ইমাম আবু হানিফা কাজ করেছেন কবে আর তাঁর বক্তব্য লিখিত হয়েছে কবে? কবে থেকে হানাফী মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে? একই কথা প্রায় সকল ইমামের ব্যাপারে প্রযোজ্য।

আর একটা বিষয় - কোন বক্তা যখন কোন বিষয়ে বক্তব্য/ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন তখন তা পরিবেশ পরিস্থিতি বাচন ভঙ্গী ও উপস্থিত ব্যাক্তিদের দ্বারা বহুলাংশে প্রভাবিত হয়। বলা হয়ে থাকে বক্তব্যের মাত্র ৩০% প্রকাশিত হয় কথায় - বাকি ৭০% ই থাকে ব্যাক্তির ব্যাক্তিত্ব বা শারিরিক ভাষা। লেখার আকারে সংরক্ষিত হয় ঐ ৩০% এবং তার পরও যখন তা সংকলিত হয়, অনুদিত হয় ভিন্ন ভাষায় তখন তাতে আরো প্রচুর পরিবর্তন স্বাধীত হয়।

আজকে যদি আপনি ইমাম আবু হানিফা(র.)র বক্তব্যগুলির ভিডিও সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে আমি নিশ্চিত যে হানাফী মাযহাবের নামে যা প্রচলিত আছে তার বহুলাংশই সেই ভিডিওর বক্তব্যের সাথে মিলবে না। এটাই স্বাভাবিক - এটাই হয়েছে পৃথিবীর সকল ধর্মের ক্ষেত্রে।

আজকে হযরত শাহজালাল(র.) এর মাজারে যা কিছু হয়, বা খাজা মইনুদ্দীন চিশতি(র.) এর নামে মানুষ যাকিছু করে - তা কি ওনাদের প্রচারিত শিক্ষা? নিশ্চয়ই নয় - বরং তা সময়ের সাথে সাথে বদলে গিয়ে এই চেহারা ধারণ করেছে।

"এবং আপনার এই কথা দ্বারা কিন্তু হাদীসও বাতিল হয়ে যাচ্ছে............."

হাদীস বাতিল হচ্ছে না - কারণ হাদীসও অনেক সতর্কতার সাথে সংরক্ষিত হয়েছে ( অন্তত ইমামদের বক্তব্যের চেয়ে বেশীতো বটেই ) - তবে অবশ্বই কোরআনের অনুরুপ নয়। সেজন্যই হাদীসের মধ্যে জাল হাদীস দুর্বল হাদীস ইত্যাদি পাওয়া যায় কিন্তু কোরআনের মধ্যে সেরকম কিছু নাই।

সবার উপরে কোরআন, সবচেয়ে সঠিক ও অবিকৃত ভাবে টিকে আছে কোরআন তাই সবার আগে পড়তে হবে বুঝতে হবে কোরআন। কোরআন থেকে যা সহজে বুঝা যায় তা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়িত করতে হবে - তার পর চিন্তা করতে হবে হাদীসের শিক্ষার ব্যাপারে। কোরআনের কোন কিছু না বুঝলে শুধুমাত্র তখন দেখতে হবে সেই ব্যাপারে হাদীসে কি আছে। সকল ইমাম ও ইসলামী ব্যাক্তিত্বের বক্তব্য আসবে আরো পরে।

আমরা সবাই ইসলামী শিক্ষার উৎসের এই ধারাবাহীকতার কথা জানি, বিশ্বাস করি, প্রচার করি - কিন্তু কাজের সময় করি ঠিক উল্টো। কোরআন বুঝে পড়ি সবচেয়ে কম আর কোরআনে নাই এমন বিষয় নিয়ে ব্যাতিব্যাস্ত হই সবচেয়ে বেশী। ভাবখানা এমন যেন কোরআনের সকল শিক্ষা বাস্তবায়িত হয়ে গেছে এখন অন্যসব বিষয়ের খুটি নাটি নিয়ে কাজ করা খুবই জরুরী। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে কোরআনে অত্যন্ত সহজভাবে যে নির্দেশনা দেয়া তাই মানতে পারলে জীবনে যে উৎকর্ষ সাধিত হবে তার পর আর অন্য কিছুর প্রয়োজন অনুভব করার সুযোগই থাকবে না। মুসলমানদের চারিত্র এতটাই উন্নত হবে যে সমাজ সংস্কারের নেতৃত্ব মানুষ সেচ্ছায় তাদের হাতে তুলে দেবে - ঠিক যেমনটা দিয়েছিল ইসলামের প্রাথমিক যুগে। আফসুস এটাই যে কোরআনেরমত মহাগ্রন্থের উত্তরসুরী হয়েও আমরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছি।

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন - আমীন।

০৬ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:৫১

আবদুস সবুর খান বলেছেন: আপনি কি সত্যিই বিশ্বাস করেন ইমামদের বক্তব্য কোরআনেরমত ( বা হাদীসেরমত ) সংরক্ষিত আছে?আচ্ছা বলুনতো ইমাম আবু হানিফা কাজ করেছেন কবে আর তাঁর বক্তব্য লিখিত হয়েছে কবে? কবে থেকে হানাফী মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে?

এই জন্যই বলেছিলাম আরো পড়াশুনা করুন..............

আপনি বলেছেন,
আপনি কি সত্যিই বিশ্বাস করেন ইমামদের বক্তব্য কোরআনেরমত ( বা হাদীসেরমত ) সংরক্ষিত আছে? আচ্ছা বলুনতো ইমাম আবু হানিফা কাজ করেছেন কবে আর তাঁর বক্তব্য লিখিত হয়েছে কবে?

ইমাম আবু হানিফার ছাত্র ইমাম মোহাম্মদ নিজেও অনেক কিতাব লিখেছেন। ১। সিয়র কবীর, ২। সিয়রে সগীর, ৩। কুতুবুস্ সুন্নাহ (জাহেরুর রেওয়ায়াত) ৪। জিয়াদাত ৫। জামে কবীর ৬। জামে সগীর। সবচেয়ে বড় কথা হল ইমাম শাফী রা: ও ইমাম মোহাম্মদ থেকে হাদীস রেওয়ায়ত করেছেন।

ওনার ছত্ররা ওনার রেওয়ায়ত সমুহ একত্রিক করেছেন।
যেমন
1। الفقه الأكبر، برواية حماد بن أبي حنيفة
لفقه الأكبر، برواية أبي مطيع البلخي(2)
العالم والمتعلم، برواية أبي مقاتل السمرقندي(3)
رسالة الإمام أبي حنيفة إلى عثمان البتي(4)
الوصية، برواية أبي يوسف(5)


আপনি বলেছেন,
কবে থেকে হানাফী মাযহাবের উদ্ভব হয়েছে?

আগে জানুন মাযহাব কাকে বলে ???
আগে জানুন মাযহাব কাকে বলে ???


আরো কিছু জানুন........
ভাল-মন্দের বোধ ও আমাদের সীমাবদ্ধতা-ভাল-মন্দের বোধ ও আমাদের সীমাবদ্ধতা-


..................................................................................

এবং আমি আপনাকে আরো কিছূ প্রশ্ন করেছিলাম.................


১৭| ১৬ ই জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৯

মাসুদ মারুফ বলেছেন: *সবার আগে বলি, মুহম্মদ [স] এর সময়ে কাফির মুশরিক সবারই দাড়ি থাকত, পুরুষমাত্রই দাড়ি থাকবে, যা তার প্রাপ্ত বয়স্কের প্রমান করবে, এটাই ছিল স্বাভাবিক। দাড়িবিহীন মুখকামান সম্প্রদায়ের উদ্ভব বহু পরে। বড় বিজাঞানীর কাছে যদি অক্সিজেন কি জিনিস জানতে চাওয়া হয় তা বিরক্তী ও অপ্রত্যাশিতই বটে। তদ্রুপ, তখনকার সময়ে পুরুষ মাত্রই দাড়ি থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে,অগ্নি উপাসকরা গোফবড় রাখত, তাই ইসলামে দাড়ি রেখে গোফ কমাতে বলা হল। পাথক্য ছিল এটুকুই। একজন মুসলমান আর বিধর্মীর সিম্বল ছিল এটাই।

*সম্ভবত, বিট্রিশদের সময় থেকে দাড়ি কামানোটা ট্রেন্ড হওয়া শুরু করে মুসলিমদের মাঝে। খ্রিষ্টানদের দাড়ি রাখার কোন বিধান নেই, তাই তারা রাখত না, তবে মডারেট দাবিদার মুসলমানরাও তাতে ভক্ত হতে শুরু করে। দাড়ি কামানো মুখকে এখন স্মার্টনেস ভাবা হয়, যদিও একটা বালক আর প্রাপ্ত বয়স্কের মাঝে তখন কোন পার্থক্য থাকেনা, একজন ছোট বাবু, আরেকজন বুড়ো বাবু। বুড়া কালেও জোয়ান সাজার জন্যে তখনও দাড়ি কামিয়ে অল্প বয়স্ক সাজার চেষ্টা করা হয়। যে দাড়ি বড় হতে চায়, তাকে প্রতিদিন অফিসে যাবার আগে ফোম দিয়ে কতইনা কষ্ট করে চামড়াকে নরম করে সেভ করতে হয়। এবার চামড়ায় এন্টিসেপটিক লাগাতে হয়। মুটামুটি একটা ক্লিনিক্যাল অপারেশনই করা হয় মুখের উপর প্রতিনিয়ত। ভুলবশত কেটে গেলে তার আর লজ্জার সীমা নেই, মানুষ কি বলবে? অথচ, প্রতিটা দিন সেভ করে আর এন্টিসেপটিক লাগিয়ে চামড়ার জীবানু প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে করে তুলছেন দুর্বল। পাশাপাশি সেই ক্লিনিকাল অপারেশন করা জায়গায় রাস্তাঘাটে ধুলাবালি, লবনাক্ত ময়লা ঘাম লাগছে। এ থেকে আপনার লাভটা কি হল? পুরুষত্বের সিম্বল হারিয়ে আপনি চামড়ার উপর প্রতিটা দিন কষ্ট দিচ্ছেন, করছেন।

* আশ্চর্যের বিষয় হল, আমরা দাড়ি রাখাকে মনে করি যে, হুজুর হুজুর লাগবে। আর যারা নামাজ পড়ে তাদের ভাবি যে, লোকটা নামাজী, ভাল লোক। আর টিশার্ট জিন্স পরিহিত কামান মুখ না হলে হুজুর ভাবি,ভঅবি ননস্মার্ট। এখানেই আমাদের ভ্রান্ত ট্রেন্ড। শিখদের সবার মুখে দাড়ি থাকে,কই তাদেরতো দাড়ি নিয়ে মাইকিং করতে হয়না, বরং তারা তাদের সিম্বল নিয়ে গর্বিত। তাদের মাঝে চোর গুন্ডা বদমাশ থাকে, কই তাদের দেখে তো কেউ বলেননা, দাড়িওয়ালা শিখগুলো খারাপ। অথচ যখন, নিজেদের সিম্বলের কথা আসে তখণ আধূনিকবাদী হয়ে যান। আপনার যেন অতি আধূনিক হয়ে গেছেন। শিখরা সব ব্যাকডেটেড হয়ে গেছে। মূলত, যারা নিজেদের নিয়েই অতৃপ্ত, তাদের কোন কিছূই তৃপ্ত করতে পারেনা।

* আসলে আমাদের সমস্যা হয়েছে, আমরা নিজেদের নিয়েই লজ্জিত, তাই অন্যের ভাব নকল করি। আপনি যদি আর্মিতে যোগ দেন, আর আর্মির ক্যাপ মাথায় না দিয়ে নেভির ক্যাপ চড়ান কোন আক্কেলে নিজেকে আর্মির অর্ন্তভুক্ত ভাবতে পারেন? ধরা যাক সরকার সেটাকে কিছু মনে করবেনা, কিন্তু সাধারন আক্কেলেও সেটা সমীচিন নয়,আপনাকে এর সুযোগ দিলেও আপনি সেটা অবশ্যই করবেন না। আর্মির ক্যাপ মাথায় দিয়ে নিজেকে দলের সামিল করবেন। আর আর্মির বাকি সব দায়িত্বও পালন করবেন। একটা লেবেল লাগানো বোতলেই মানুষ সেই জিনিস আশা করে, লেবেলহীন বোতলে অতটা সহজে নয়। এখন লেবেলহীন বোতলে কাজ করতে ইচ্ছা হলে সেটা আপনার ব্যাপার, বহু যুক্তি দাড় করাতে পারবেন, বলবেন লেবেলিং এরচেয়ে কত বড় বড় কাজ পড়ে আছে সেটা করব। সেটা আপনার ব্যাপার। পদ্ধতির বাইরেও কাজ করা যায়, তবে সেটা পদ্ধতি বিরুদ্ধ।
*স্কুল, অফিসের ড্রেসকোড থাকে, আল্লাহ আমাদের মুসলিমদের ধর্মীয় ড্রেস দিয়েছেন, পুরুষেরা দাড়ি রাখবে, টাখনুর উপরে কাপড় পরবে, মাথাকে ঢাকবে, মেয়েরা হিজাব পালন করবে, যা তাদের অন্য ধর্ম থেকে আলাদা করবে। এগুলো মুসলমানদের লেবেল, এখন কেউ যদি লেবেল ছাড়া চলে সেটা তার ব্যাপার। ইসলামে দান সদকা ইবাদত এগুলো তো মুমিন ব্যক্তিকে করতেই হবে। একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা কেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.