নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তোমাদেরই

আশমএরশাদ

শিশিরের শব্দের মত

আশমএরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলের শীর্ষ নেতাদের ফুটেজ পাঠানোর জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান ছাত্রদলের আশরাফুল ও শাখাওয়াত

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

আজ সকালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিজি প্রেসের গলির ভেতরের সড়কে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান আশরাফুল। ক্যামেরা নিয়ে এ দৃশ্য ধারণ করছিলেন শাখাওয়াত হোসেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করেন শাখাওয়াত ও আশরাফুলকে। প্রায় এক কিলোমিটার দৌড়ে তেজগাঁও রেলগেটের সামনে থেকে এ দুজনকে আটক করা হয়।



শাখাওয়াত তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ছাত্রদলের সভাপতি ও আশরাফুল সাংগঠনিক সম্পাদক। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির একটি সূত্র আটক এই দুজনের দলীয় পরিচয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।



তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ধরা পড়ার পর শাখাওয়াত ও আশরাফুল জানান, দলের শীর্ষ নেতাদের ফুটেজ পাঠানোর জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান এই দুজন। অনেক সময় টিভি চ্যানেলগুলোর পক্ষেও এ ধরনের দৃশ্য ধারণ করা সম্ভব হয় না। তাই ক্যামেরা ও ককটেল নিয়ে রাস্তায় নামেন ছাত্রদলের এই দুই নেতা।’



সকাল নয়টার দিকে শেরেবাংলা নগরে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান সুমন নামের আরেক যুবক। সাদা পোশাকধারী পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই সুমনকে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন পুলিশকে জানান, নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সঙ্গে তিন হাজার টাকার চুক্তি হয় তাঁর।



পুলিশের হাতে ধরা পড়া উত্তরার দুই যুবক আল আমিন ও শিহাবের ভাষ্য, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ২০০ টাকা পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু উত্তরার হাউস বিল্ডিং ও আবদুল্লাহপুরের মধ্যবর্তী সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর পর ধরা পড়েন তাঁরা।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে ধরা পড়েন আল আমিন। ধরা পড়ার পর আল আমিন বলেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা বিল্লাল তাঁদের ২০০ টাকার বিনিময়ে এ কাজ করতে বলেন।



হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে সহিংসতা ঘটানো ও আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে দলের হয়ে ককটেল ফাটান তাঁরা। তবে এ কাজেই তাঁরা শুধু তৃপ্ত নন, ককটেল বিস্ফোরণের দৃশ্য বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখান তাঁরা। দেখান দলের নেতাদেরও। এতে তাঁদের বীরত্ব প্রদর্শিত হয়।



আজ বুধবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এমন বক্তব্য দেন শাখাওয়াত হোসেন ও আশরাফুল নামের দুই যুবক। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ১৮-দলীয় জোটের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ধরা পড়েন তাঁরা



নিউজ লিংক-http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/84007/ককটেল_শুধু_ফাটান_না_দেখানও

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

হ্যারিয়ার-৩ বলেছেন: সুধু দলের শীর্ষ নেতাদের ফুটেজ পাঠানোর জন্য না, সংবাদমাধ্যমের নিকটও পাঠানো হয়।

আগে মিডিয়াম্যানদের ডেকে এনে এসব করা হত। এরপর ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পর এসব বন্ধ হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.