![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গাড়িতে আগুন দিয়ে যত বেশি মানুষ পোড়ানো সম্ভব হয়, নেপথ্যের নেতারা খুশি হয়ে সেই অনুপাতে পারিশ্রমিকও বাড়িয়ে দেন- এই ভয়ংকর তথ্য জানিয়েছেন রাজধানীর শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে ১৮ জনকে দগ্ধ করার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রদলের দুই নেতা-কর্মী। ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকার ৭০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল চাঁন ওরফে মিলন ও কর্মী উজ্জল হোসেন গোয়েন্দাদের বলেছেন, রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে কমপক্ষে ১০ জন ও সর্বোচ্চ ২০ জন করে 'পিকেটিং টিম' গঠন করে নাশকতা চালানো হচ্ছে। সফলতা আর পারিশ্রমিক হিসেবে টিমের প্রতিটি সদস্য প্রতিদিন সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা করে পাচ্ছে। বিএনপি জোটের গঠন করা এসব 'পিকেটিং টিমের' পরিকল্পনা ও পরিচালনায় রয়েছে জামায়াত-শিবির। অর্থও জোগান দিচ্ছে তারা।
বাসটিতে আগুন লাগানোয় ইতিমধ্যেই এর তিন যাত্রী মারা গেছে। মানুষ পোড়াতে খারাপ লাগে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে মিলন ডিবি হেফাজতে এই প্রতিবেদককে বলেন, ''আগুন লাগানোর পরের দিন মিডিয়ায় 'মানুষ মরার' খবর জানতে পেরে কিছুটা খারাপ লেগেছিল। কিন্তু তাতে কী আসে যায়, মিশন সফল করতে পারলেই একদিকে টাকা আর অন্যদিকে দলে 'প্রমোশন' হয়।'' তিনি জানান, হরতাল-অবরোধ সফল করতে তাঁরা যেকোনো ধরনের নাশকতার জন্য প্রস্তুত। দল ক্ষমতায় যাবে কি না সেটা পরের ব্যাপার। এর আগে যতটুকু 'টাকা' কামাইয়া নেওয়া যায়। মিলন বলেন, 'আমরা জ্যেষ্ঠ (সিনিয়র) নেতাদের নির্দেশে অবরোধ কার্যক্রমকে সফল করার জন্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ককটেল ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ এবং গাড়িতে আগুন দেই।' তিনি আরো জানান, এসব নাশকতার পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থের সংস্থান করছে জামায়াত-শিবির। অন্য দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সেই টাকা পিকেটিংয়ের দায়িত্বে থাকা একজন দলনেতার মাধ্যমে বিতরণ করেন।
বিস্তারিত :http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2013/12/08/28529
গাড়ি পুড়ানোর বিষয়ে আমান উল্লাহ আমানের মোবাইল কখপকথন:
https://www.youtube.com/watch?v=cqlFKx5j3dM
©somewhere in net ltd.