![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্যারঃ এই তোমরা কেমন আছো ?
ছাত্র-ছাত্রীঃ জি স্যার, আমরা ভালো আছি? আপনি কেমন আছেন?
স্যারঃ নির্বাচনের রসায়নে আমি তো ভালোই আছি।
ফজলেঃ স্যার আপনি নির্বাচনেও রসায়ন খুঁজে পেয়েছেন?
স্যারঃ থাকবে না কেন? জীবনের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে রসায়ন আছে। আর নির্বাচন তো সামান্য একটা ব্যাপার।
মিলাঃ স্যার এই সকালে একটা ভোট পড়েনি দুপুরে হাজার হাজার এর ভিতরে কি রসায়ন?
স্যারঃ হায়রে গাধী,এখানে রসায়ন কি বুঝো না? তুমি জানো না বিক্রিয়ার গতি তাপের উপর নির্ভরশীল। নির্বাচনে তাই ঘটেছে। প্রতি ডিগ্রি সেন্ত্রিগ্রেড তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ভোটের বেগ বেড়ে গেছে।
তিসমাঃ স্যার, তাহলে বিকালে যে দশ মিনিটে দশ হাজার থেকে ১ লক্ষ ভোট বেড়ে গেল কিভাবে?
স্যারঃ তুমি এটাও বুঝ না? আমি তো ফাস্ট ইয়েয়ারে পড়িয়েছি। এটা নিউক্লিয়ার ফিসন বিক্রিয়া। দশ মিনিটে যে ১৬ কোটি মানুষের ভোট পড়েনি এটাই ঐ বিক্রিয়ার সীমাবদ্ধতা।
তিসমাঃ স্যার আরেকটা প্রশ্ন করি ?
স্যারঃ তোমার কি মনে হয় আমি তোমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না ? দ্রুত প্রশ্ন কর।
তিসমাঃ স্যার , এই সীমাবদ্ধতা কিসের জন্য?
স্যারঃ এই সীমাবদ্ধতা বিরোধীদলের জন্য। তারা প্রভাবক বিষ খাটিয়েছে।
শাকিলঃ স্যার,আমার প্রশ্ন হোল যে আমি ভোট দিলাম না কিন্তু আমার ভোট কাস্ট হোল । এর ভিতর রসায়ন কি ?
স্যারঃ যেহেতু আমাদের ডিপার্টমেন্ট এর সাথে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ এর সাথে একটু জামাই-বউ সম্পর্ক আছে তাই এখানে পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র কাজে লেগেছে। এখানে আবেশ প্রক্রিয়ায় তোমার ভোট কাস্ট হয়েছে।
মোকছেদঃ স্যার,দেখলাম যে ১০-১২ বছরের পোলারা ভোট দিচ্ছে। এখানে কি রসায়ন ?
স্যারঃ দেখো ১৮ বছর কে ধরে নেওয়া হয়েছে আমাদের সক্রিওন শক্তির মত। সাধারণ ১৮ বছরেই ঐ শক্তি অর্জন করে মানুষ তখন ভোট দিতে পারে। ঐ বাচ্চা ছেলেদের সক্রিওন শক্তি দেওয়া হয়েছে বিশেষ মহল হতে তাই তারা ভোট দিতে পেরেছে।
মন্টুঃ স্যার, চারিদিকে আগুণ বাসে আগুণ, ট্রেনে আগুণ, আগুণ আর আগুণ এর সাথে কি কোন রসায়ন আছে ?
স্যারঃ হ্যাঁ অবশ্যই আছে । নির্বাচন হোল তাপ উৎপাদী বিক্রিয়া । তাই তাপ উৎপাদন হবেই।
তন্ময়ঃ স্যার,গোপালে তো অনেক ভোট পড়েছে । এখানে রসায়ন কি ?
স্যারঃ ওখানে বিরোধীদলের কোন স্টেরিয়ক ক্রাউডিং ছিল না। তাই ওখানে প্রোডাক্ট বেশী হয়েছে।
আশরাফুলঃ স্যার, অনেক গুলো কেন্দ্রে কোন ভোট পড়েনি এখানে কি রসায়ন ? আবার অনেক আসনে নির্বাচন হয় নি। এখানে কি রাসয়ন ?
স্যারঃ এতো সহজ প্রশ্ন কেন কর আমাকে ? এখানে স্টেরিয়ক স্পেসিফিক আর স্টেরিয়ক সিলেক্তিভিটি বিক্রিয়া ঘটেছে।
সবুজঃ স্যার,সরকার তো স্টেরিয়ক স্পেসিফিক আর স্টেরিয়ক সিলেক্তিভিটি নির্বাচন মাধ্যমে ৩০০ আসনে সদস্য বানাতে পারতো।
স্যারঃ হ্যাঁ, পারতো। কিন্তু, আমাদের দেশে তো নির্বাচন একটা রিভার্স রিএকশান এর মত। আগে বিরোধীদল একবার করেছিল তাই শোধ টেনে দিল।
মোকছেদঃ স্যার এখন দেশে কি হবে ? এ কি রসায়ন দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে ?
স্যারঃরিভার্স বিক্রিয়ার ফলাফল কি হয় জানোনা তুমি ?
মোকছেদঃ জি স্যার বুঝেছি। এর মানে এই সরকার আবার ভেঙ্গে যাবে আবার নতুন নির্বাচন হবে সেখানে বিরোধীদল জিতবে। তাহলে স্যার আমাদের নির্বাচনে যে কোটি কোটি টাকা খরচ হোল। এই টাকা তো ফিরে পেলাম না। এখানে ভোরের নিত্যতা সূত্র কৈ গেলো ?
স্যারঃ মোকছেদ , তুমি মোকছেদ থেকেই গেলে আবুল হতে পারলে না। আরে ভরের নিত্যতা সূত্রের জন্য তো ক্লোজড মিডিয়াম লাগে। এখানে,আমাদের নির্বাচনে পাত্র ক্লোজড মিডিয়াম এ হয় নি। সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে পারেনি সরকার।
আজ আর সময় নেই । নির্বাচনের গরমে থাকো সবাই ব্যারামে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
বিবিবাঁধন বলেছেন: valo