![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুদ্র গ্রহের ক্ষুদ্র এক মানব...কিন্তু বুকে নিয়ে বেঁচে আছি এক বিশাল স্বপ্ন...
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারী, বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেকটি রক্তাক্ত দিন।বিনম্র শ্রদ্ধা বিডিআর বিদ্রোহের সকল শহীদ আত্ত্বার প্রতি। আধুনিক মিডিয়ার কল্যানে আমাদের জেনেরেশনের দেখা প্রত্যক্ষ এক রক্তাক্ত অধ্যায়।বাংলাদেশের ইতিহাসে বাঁকে বাঁকে এমন অসংখ্য অধ্যায়ের দেখা মিলে, যার কোনটিই ২৫ ফেব্রুয়ারীর মত জন সম্মুখে উন্মোচিত হয়নি। তেমনি একটি অধ্যায় ১৯৭৭ সালের জাপানিস রেড আর্মির বিমান হাইজাক ও বাংলাদেশ বিমান বাহীনির রক্তাক্ত অভুত্থান।
জাপানী রেড আর্মির বিমান হাইজাকঃ বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র বিমান হাইজাকের ঘটনা এটি। মুলত JRA ছিল কমুনিষ্ট মিলিটেন্ট গ্রুপ, ১৯৭৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তারা জাপানী এয়ার লাইন্সের ডি-৮ বহরের একটি বিমান হাইজাক করে, যেটি প্যারিস থেকে টোকিও যাবার পথে ছিল। ৫ সদস্যের হাইজাকার দলটি ১৫৬ জন যাত্রী ও ক্রু কে জিম্মি করে বিমানটিকে জোর করে অবতরন করায় ঢাকার পুরাতন তেজগাঁও এর বিমান বন্দরে।মুক্তিপন হিসাবে তারা জাপান সরকার কাছে ৬ মিলিয়ন ডলার ও তাদের আটক ৯ সদস্যদের মুক্তি দাবি করে।
টানা ৪ দিন তারা হাইজাক করা বিমান নিয়ে ঢাকা অবস্থান করে।বাংলাদেশ বিমান বাহীনি,সরকার এর মধ্যস্ততায় জাপান সরকারের বিমান মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অবশেষে ২ অক্টোবর তাদের দাবি মেনে নেয়া সাপেক্ষে সেই হাইজাক নাটকের অবসান হয়। সকল যাত্রী মুক্তি পায়, আর বিমানটি আলজিরিয়ার পথ ধরে উড়ে যায়।
এখনকার মত মিডিয়া না থাকায় সেই দুর্লভ সময়ের তেমন কোন রেকর্ডই এখন সংরক্ষিত নেই। একমাত্র বিটিভিই সেটি আংশিক সমপ্রচার করে যার আর্কাইভ জানামতে এখন নেই।২০১২ সালের দিকে নাঈম মাহমুদ একটি সর্ট ফিল্ম করে রাডার ট্রান্সমিশন ও স্থির চিত্র দিয়ে। হাইজাক বিমানের একটি ছোট ক্লিপ আছে এই ইউটিব লিংকেঃ
বিমান বাহীনির বিদ্রোহঃ এই হাইজাক নাটকের সাথে সাথে চলতে থাকে বিমান বাহীনির বিদ্রোহের ডামাঢোল।২৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাহীনি দিবসেই ছিল মুল বিদ্রোহের পরিকল্পনা, কিন্তু সেদিন বিচ্ছিন্ন ও ব্যার্থ একটি বিদ্রোহ হয় জিয়াউর রহমানের হোম টাউন বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে।
এদিকে হাইজাক নাটকের অবসানের কয়েক মুহুর্তের মাঝেই ২ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হয় বিদ্রোহ, বিদ্রোহী বিমান বাহীনির জোয়ানরা রেডিও দখলে নেয়, হামলা চালায় জিয়াউর রহমানের বাসভবনে। এদিকে তেজগাও বিমান বন্দরে লাইন ধরে ব্রাশ ফাইয়ারে হত্যা করা হয় বিমান বাহীনির সিনিয়ন অফিসার দের।
এর মাঝে জিয়ার অনুগত একদল জোয়ান কাউন্টার অ্যাটাকে যায়, পুনঃ দখল করে বিমান বন্দরের টাওয়ার, আর বীমান বাহীনির প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ কোন ক্রমে প্রানে বাঁচেন। ব্যার্থ হয় অভুত্থ্যান। বিভিন্ন সুত্র মতে দু পক্ষে নিহত হয় কমকরে ২৩০ জন।
বিদ্রোহের প্রকৃত কারন ও নেত্রিত্ব আজো আস্পষ্ট। তবে এই বিদ্রোহের পর জিয়াউর রহমান জাসদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেন।
বিদ্রোহ ব্যার্থ হবার সাথে সাথে গঠিত হয় বিশেষ ট্রাইবুনাল।তাতে অসং্খ্য বিমান, সেনা সদস্য ও নন কমিশন্ড কর্মকর্তা,অফিসার ও সাধারন সৈনিকদের ফাঁসি ও ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানোর আদেশ হয়। বিদ্রোহের ৭ দিনের মাথায় শুরু হয় ফাঁসির কার্য্যক্রম,যা চলে প্রায় ৩ মাস ধরে।জিয়া সে সময় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের অপসারন সহ ৩ চিফ অফ দ্যা জেনারেল স্টাফ কে বদলি করেন। ৮১ সালে জিয়া আরেকটি ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহে নিহত হন।
৭৫ থেকে ৮১ পর্যন্ত এমন প্রায় ১৯ টি বিদ্রোহ হয় সামরীক বাহীনিতে, যার কোনটিই ২৫ ফেরব্রুয়ারীর বিডিআর বিদ্রোহের মত জনসম্মুখে আসেনি। মিডিয়ার কাভারেজ না থাকায় সেই সব ঘটনার তথ্য উপাত্ত্ব অনেকটাই দুর্লভ।কিছু ছবি লেখার সাথে সংযোজিত করলাম।
২০০৯ সালে ব্লগে ১৯৭৭ এর বিদ্রোহ নিয়ে প্রথম লিখি, আজকের দিনে কিছুটা প্রসঙ্গিক বলে শেয়ার করলাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০০
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: ২০০৯ সালে আমি প্রথম এই তথ্য জানিতে পাই, এর পর সং্খেপে পোস্টাই। আজকের পোস্টে কিছু নতুন উপাত্ত ও ছবি যোগ হলো।
ধন্যবাদ
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি হলের টি ভির সামনে সরাসরি প্রচারিত তেজগা এয়ারপোর্ট দৃশ্য দেখছিলাম। রাত ১১ তার পরে হটাৎ ভাষ্যকার নিশ্চুপ এবং ক্যামেরা চালু অবস্থায় একটু কাঁত হয়ে রেলিঙ্গের দিকে স্থির হয়ে রইল। ৩ জন মাত্র আমরা। হটাত বি দি আর গেটের দিকে দু রাউন্দ গুলির আওয়াজ পেলাম । কিন্তু তখন কেউই ঘুনাক্ষরে টের পাইনি এর মধ্যে একটি ক্যু হয়ে গেছে। পরদিন সকালে সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ল ক্যু এর কথা। কিছু জানা গেল বাকিটা অস্পষ্ট রইল । হ্যাঁ অনেক সৈনিক কে ফায়ারিং স্কোয়াডে মর্তে হয়েছিল পরবর্তী রাতেই, একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমায় প্রবাসে এর নিখুত বর্ণনা দিয়েছিলেন । এটি ছিল স্বরনকালের সবচে বড় হত্যাকাণ্ড ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৪
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: যাক একজন পেলায় যিনি অন্তত টিভি তে দেখেছেন। যদি আরো বিস্তারিত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতেন তবে খুশি হতাম
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৭
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ এমন একটি পোস্টের জন্য।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: ব্লগে এখন চেনা জানা কেউ নেই, তাই অনেক দিন পর আবার লিখতে এসে কেমন জানি লাগছে। আশা করি বর্তমান ব্লগারদের সাথেও আবার আন্তরিকতা হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আগ্রহের জন্য
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
নিষ্কর্মা বলেছেন: টিভির পর্দায় বার বার দেখা যাচ্ছিল এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতানের ঘামে ভেজা চকচকে টাক। তিনি ছিনতাইকারীদের থাকে কথোপকথন (এখনকার ভাষায় সংলাপ) চাআলিয়ে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনার কয়েকদিন পরে শুনি জিয়ার বিরুদ্ধে একটা ক্যু হয়েছিল!! পরে জানলাম আমার এক বন্ধুর পিতাকে কোর্ট মার্শাল করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাইরের সবাই সব কিছু জানত না। এটাও সত্য কথা যে স্বাধীনতার পরে গোপনীয়তার যে পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল, তা জিয়া ভাঙ্গেন নাই নিজের প্রয়োজনেই।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৫
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: প্রকৃত পক্ষে মিডিয়ার অপ্রতুলতার কারনে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা গুলি লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকত। যা এখন খুব সহজ না।
তাই বলে বলছিনা মিডিয়া সঠিক কারন বের করে আনতে পারছে
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১২
অথৈ সাগর বলেছেন: অনেক আগে একটা বই এ পড়েছিলাম । আপনার লেখা ভাল লাগল ।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: সুন্দর তথ্যভিত্তিক পোস্ট। লেখনি চলতে থাক অবিরত।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৬
প্রামানিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। বিষয়টি রক্তের ঋণ বইয়ে পড়েছিলাম। আজকে আরো ভাল ভাবে জানলাম।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২৮
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: বইটি পড়া হয়নি।পেলে পড়ব
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১৪
অপ্রস্তুত সন্ন্যাসী বলেছেন: নতুন কিছু তথ্য জানলাম । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৬
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমি তখন ঐ এলাকার (আদমজিক্যান্ট স্কুল) ছাত্র।
ঐ দিনের পর কেন্টনমেন্ট এলাকায় সব স্কুল বন্ধ ছিল।
সেদিন বিমানবন্দরের রাস্তায় প্রায় ৫০-৬০টি এম্বুলেন্স রেডি দেখেছিলাম। টিভিতে দেখাচ্ছিল বিমানটি।
বিদ্রোহের প্রকৃত কারন ও নেত্রিত্ব আজো অস্পষ্ট।
বিদ্রোহ ব্যার্থ হবার সাথে সাথে গঠিত হয় বিশেষ ট্রাইবুনাল। বিদ্রোহের ৭ দিনের মাথায় শুরু হয় ফাঁসির কার্য্যক্রম, তাতে প্রায় ১৪শ বিমান, সেনা সদস্য, অফিসার ও সাধারন সৈনিকদের ফাঁসি ও ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানোর আদেশ হয়। জিয়া সে সময়ের কিছু আগে অস্পষ্ট কুয়ের অজুহাতে শতাধিক সেনা অফিসারকে ফাসিতে ঝুলিয়েছিলেন।
১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৭
মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: আমি বিমানটি দেখার জন্য খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম।বিজয় সরণী দিকটায় বিমানটি রাখা ছিল ।
১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৮
চলো পালাই বলেছেন: একদম অজানা একটা ইতিহাস জানলাম । ভালোলাগা রইলো ।
১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৯
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আগে জানতাম না।
শুভেচ্ছা।
১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৪
প্রেতরাজ বলেছেন: সত্যিই জানা ছিল না এরকম একটি বিদ্রোহের কথা।
ধন্যবাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য।
১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৯
জুন বলেছেন: এই ঘটনায় বাংলাদেশের ভুমিকার জন্য জাপান সব সময় বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে রেখেছে ।
ছবিগুলো খুবই দুর্লভ ।
+
১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দূর্দান্ত শেয়ার। এই বিষয়ে নতুন প্রজন্মের কেউই তেমন জানে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই বিষয়ে লেখার জন্য।
১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭
পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: নিহতদের একটা তালিকা ভোরের কাগজ এর সোমবার এর সাময়িকী "অবসর" এ প্রকাশিত হয়েছিল, ১৯৯৭ এর দিকে, তারও আগে মেবি বিচিত্রায়। দুর্লভ তথ্যসমৃদ্ধ এই কপিগুলো সংগত কারনেই আর কোন রেকর্ডেই নাই
১৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫২
রমিত বলেছেন: জাপানী বিমান হাইজ্যাক ঘটনাটি আমি সেসময় বিটিভিতে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছিলাম। ঘটনাটি সেই সময় সাড়া জাগিয়েছিলো। এই বিষয়ে আমি একটি লেখা ফেসবুকে দিয়েছিলাম অনেক আগে। // ঐ হাইজ্যাক নাটকের পাশাপাশি বিমান সেনাদের একটি অভ্যুত্থানও হয়েছিলো, সেই উদ্দেশ্যহীন ব্যর্থ অভ্যুত্থানে আমার ঘনিষ্ট সহপাঠীর পিতা গ্রুপ ক্যাপ্টেন আনসার চৌধুরী শহীদ হয়েছিলেন।
আপনার লেখাটিতে তথ্য বিভ্রাট রয়েছে। দুয়েকটি বিভ্রাট এখানে তুলে ধরছি, বাকীগুলো সময় সুযোগ হলে কোন লেখায় দেব।
১৯৭৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, প্যারিসের অর্লি বিমানবন্দর থেকে টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ১৪২ জন আরোহী নিয়ে যাত্রা করে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি ডগলাস ডিসি ৮ উড়োজাহাজ। মাঝখানে বোম্বাইয়ের সান্তাক্রুজ বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি শেষে উড্ডয়নের পরপরই ফুসাকো শিগেনোবু নাম্নী এক দুর্ধর্ষ তন্বীর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র কমিউনিস্ট সংগঠন জাপানি রেড আর্মি উড়োজাহাজটি কব্জা করে। ওসামু মারুয়াকার নেতৃত্বে জাপান রেড আর্মির পাঁচ অস্ত্রধারী সদস্য ডিসি ৮ এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে প্রথমে নামানোর চেষ্টা করে কোলকাতা দমদম বিমানবন্দরে। কিন্তু তারা কোন অনুমতি দেয়নি। ফলে তারা চলে আসে ঢাকায়। ঢাকা বিমান বন্দরও তাদেরকে ল্যান্ডিং-এর অনুমতি দেয়নি। বারবার রিফিউজ সত্বেও জোড়পূর্বক তারা বিমানটি ল্যান্ড করায় তেজগাঁও বিমানবন্দরে। তবে অন্যান্য বিমান চলাচলে যেন অসুবিধা না হয় তাই তারা একপাশে সরে দাঁড়িয়ে অবস্থান নেয়। তেজগাঁওয়ের বিমানবন্দর, তখন ঢাকার প্রধান বেসামরিক বিমানবন্দর হিসেবে চালু ছিলো। রেড আর্মি মুক্তিপণ হিসেবে ৬ মিলিয়ন ডলার ও নয়জন কারাবন্দী রেড আর্মি সদস্যের মুক্তি দাবী করে।
তারপরে জাপান থেকে সরকারী প্রতিনিধিদল নিয়ে বিমান এসে বিমানবন্দরে নামলে (আমরা টিভিতে ঘটনাটি সরাসরি প্রত্যক্ষ করছিলাম) ছিনতাইকৃত বিমানটি চালু হয়ে রানওয়েতে চলতে শুরু করে। একটু পর দুটি জাপানী বিমান মুখোমুখী হয়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: যেহেতু এই বিষয়ে তেমন তথ্য সহজলভ্য নয় তাই কোন কারেকশান থাকলে জানাবেন।
কিন্তু আপনার উপরের তথ্যের সাথে আমি কোন তথ্য অমিল পাচ্ছি না।
১) যাত্রী ও ক্রু মিলে মোট জিম্মি সং্খ্যা ১৫৬ এটি ১০০ ভাগ সঠিক।
২) ফ্লাইটি প্যারিস থেকে টোকিও যাবার কথা ছিল, মুম্বাই এ যাত্রা বিরোতির সময় ৫ জন হাইজাকার উঠে যায়। কলকাতায় নামাতে চাওয়ার কোন তথ্য আমি কোথাও পাই নি। যেহেতু পোস্ট সংক্্ষিপ্ত করার প্রয়াশ থাকে তাই সং্খেপে সরাসরি ঢাকার কথায় চলে এসেছি। সং্যুক্তির জন্য ধন্যবাদ
আর সব তথ্যে নতুন/অমিল পাই নি।
অপেক্ষায় রইলাম
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: তারিখ নিয়ে.. ফ্লাইট ২৭ সেপ্টেম্বরের হলেও হাইজাক হয় ২৮ তারিখ, ঢাকায় ল্যান্ড ও করে একই দিনে
১৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া যদিও পোস্ট পড়ে আমার মাথা ঘুরাচ্ছে তবুও তোমার পোস্ট কি আমি না পড়ে পারি?
আমি ভাবতাম তুমি একটা পিচ্চি ভাইয়া এখন তো মনে হচ্ছে অনেক বড় তুমি।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: দিদি!!
১৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: নতুন কিছু তথ্য জানলাম । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
২০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১২
ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: সামরিক অভ্যুত্থান বিষয়টি ছিল সম্পুরন সাজানো। তখন এর বিমান বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর প্রধান কে সব চেয়ে বেশি ভয় পেত জেনারেল জিয়া। এই ঘটনার কিছু দিন আগে জিয়া মিশর ভ্রমন করেন। সে সময় আনোয়ার সাদাত জিয়া কে সতর্ক করেন যে বিমান বাহিনী তাকে মেরে ফেলবে। এই ভয়ে বেশ কিছু দিন যাবত জিয়া সুযোগ খুজতেছিল কিভাবে বিমান বাহিনী কে নাজেহাল করা যায়। এবং তার ই মুখ্যম সুযোগ আসে জাপান বিমান হাইজেক কেলেংকার এর মাধ্যমে। যখন বিমান বাহিনী দিন রাত টাওয়ারে রেডিও তে হাইজেক কারীদের সাথে বুঝা পড়ায় ব্যাস্ত, তখন রাতের আধারে কালো পোশাক পড়া জিয়ার অনুসারী রা বিমান ঘাটিতে বেনামে অফিসারদের হত্যা করে। বিমান প্রধান কে মারতে না পেরে আরেকটি নাটক সাজায়। বিমান প্রধান কে বলে যে আপনার এয়ার মেন রআ এ কাজ করেছে। তখন ক্লান্ত এবং হত্যার সামনে থেকে ফিরে এসে বাহিনীর উপর অতিস্ট হয়ে যান। জিয়া কে বলেন, আপনার যা খুশি করেন। তখন জিয়া প্রায় ১৩০০ বিমান সেনা কে হত্যা করে, কাওকে ফাসি আবার কাউকে ফাইয়ারিং স্কোয়াডে।
পরে অবশ্য বিমান প্রধান বলেছিলেন যে, বিমান সেনা রা যে অভ্যুত্থান করে নাই এটা নিসচিত। কারন কোন এয়ার মেন তার পাইলট কে মারতে পারে না, এ অসম্ভব। বিমান সেনাদের পক্ষে কোন কিছু বলার জন্য কেউ ছিলোও না। ভাবতে কশট হয়, কত নিরপরাধ মানুষের বলি দিতে হয়েছে একটা সাজানো নাটকের জন্য। বিমান বাহিনীর ইতিহাসে এটি একটি কাল অধ্যায় নআমেমে পরিচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫০
মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: একদম জানা ছিল না এ ঘটনা সম্পর্কে। ধন্যবাদ আপনাকে এ ব্যাপারে পোস্ট দেওয়ার জন্য।