নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্তবাবা আইসা পরছে

আমি উদাসী ফাহিম, সামুর সরকারের প্রতি দালালির জন্য এখন তেমন আসিনা। ফেবুতেই ব্যস্থ আছি, ভাল আছি। মাঝে মাঝে কেউ লিঙ্ক শেয়ার করলে ঢুকে কমেন্টস করি মাত্র

আস্তবাবা

সে ডাকে আমাকে ... টিপ পড়ে ....

আস্তবাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যবাবা বঙ্গে এলেন

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫০

অবশেষে মিঃ সত্য বাংলায় এলেন। বহুদিন নীরব থাকার পর তাহার সরব হওয়া দেইখা মনে মনে আশঙ্কা অনুভব করেতেছি। তিনি যখনই সরব হন তখনি জাতির উপর আযাব নাজিল হয় বা তিনিই আযাব তৈরী করিয়া থাকেন।

বহু আগে তাহার মনে স্বাধ হইয়াছিল কলাম লিখিবেন, কিন্তু কলাম লিখিতে যাইয়া বুঝিলেন ইহা তাহার কম্মো নহে। মুখস্থ করিয়া পাশ লওয়া গেলেও লিখিতে গেলে মাথা কিছু থাকিতে হয় । তাই তিনি সাহায্য লইলেন তাহার ও তাহার পরিবারের চির বন্ধুর। তাহারা দিয়ে দিল একজন ইয়ার মিলিয়ে। তারপর দুইজনের মিলিত ফল প্রশব করিল। আমরা জানিলাম লাঠিয়াল বাহিনীতে জঙ্গীতে ভরপুর। এই গজব ফরমানোর পর বিশ্বের মোড়ল লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে চিন্তিত হইয়া টিকটীকিতে ভরপুর কইরা দিল। এই সুযোগে বিশ্ব মোড়লের চামচাটাও তার কামলাদের ঢুকিয়ে দিল। ইহার ফল আমরা হাতেনাতেই পাইলাম, সাহসী লাঠিয়াল নেতাদেরকে স্বর্গে পাঠানো দেখে। বুঝিলাম, বড় কষ্টে বুঝিলাম মিঃ সত্য বড়ই কঠিন এক জিনিষ। মনে পড়িয়া গেল সেই মিঃ সত্যের নানার কাহিনী। তখনও লাঠিয়াল বাহিনীকে অনাদরে রাখা হইয়াছিল । কিন্তু এইবার দেখিলাম অনাদর করে দূরে নয় লাঠিয়াল বাহিনির দুষ্ট গুলোকে সরিয়ে দেওয়া(অনেককেই স্বর্গে আর অনেককে পরিবারের কাছে) হইল । যাহাতে তাহারা মিঃসত্যের মাতা জননীর সেবা করিয়া যাইতে পারে। লাঠি তুলিবার শক্তি আর রহিল না তাহাদের ।

বোরকা নিয়ে তাহার বড়ই কষ্ট। মাইয়াদের প্রতি তাহার খানিকটা দূর্বলা আছে বৈকি। মাইয়া দেখলেই তাহার চাহিতে মন চায়,নয়নের খাদ্য হিসেবে মাইয়াদের বুক পাছা মুখ কান, পিঠ সবই তাহার পছন্দ। কিন্তু মৌলবাদী বোরকা ইহাতে সমস্যা করে। তাই রাগে দুঃখে বোরকার বিরুদ্ধেই মিঃ সত্য কলাম লিখিয়াছিলেন। আমরা বুঝিলাম বোরকার বড়ই খাপ জিনিষ।

মি সত্য প্রবাসে চাকরী করেন। কিন্তু চাকুরীর জাদু বলে মি সত্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের সওদাগরি খুলিয়া বসিয়াছিলেন। জাতি দেখিল চাকরী করেই কেমন ডলারে মিলিওনার হওয়া যায়! কিন্তু জাতি ইহার কৌশল জানিতে পারিল না (জানিলে জাতি মিলিওনারে চরিয়া যাইত) যেহেতু তিনি মিঃ সত্য , তাই কেহই এই ব্যপারে প্রশ্ন তুলিল না। প্রজারা অবাক হইলেও কী হইবে মিঃ সত্য মিলিওনার হয়েও তৃপ্ত হইলেননা। হইবেনই বা কেমনে, তাহারই এক আত্নীয় কুশা বিন তমসের নাকি বিলিওনার হইয়াছে অস্ত্র ব্যবসা করিয়া, তাহারও খায়েশ তিনিও বিলিওনার হইবেন। তাই শুরু করিলেন ভাগ বাণিজ্য, কারন ততদিনে তাহার মাতা বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের রাজা হয়ে গেছেন। তিনি বিনা বাধায় কামাই করতেছিলেন। কারণ যাহারা প্রশ্ন করিবার কথা সেই সাংঘাতিকরা তাহার মাতার পোষ্য এক শ্রেনীর ইতর প্রানী হয়ে গেছিল ততদিনে।

কিন্তু বেশিদিন চালিয়ে যাওয়ারপূর্বেই প্রশ্ন উঠিল, যখন জাতির এক বিতলা, ফারুক তাহার নাম, তিনি কহিলেন রাজসভায় , মিঃ সত্য ও তাহার আত্নীয়রা নাকি মাসে ১৫০০ কোটী টাকা মাসে অন্তর্জাল কারসাজির মাধ্যমে লোপাট করেন। ইহা বলিয়া বেচারা ফারুক কে অনেক দিন কাজির দরবারে ঘুরিতে হইয়াছিল। শুধু ইহাই নহে , মিঃ সত্যের উপর এত বড় (সত্যি) অপবাদের কারনে চৌকিদারকে দিয়ে ধোলাই দেওয়া হইয়াছিল। ইহাতে সবাই ভয় পাহিয়া মুখ বন্ধ করিল। তাহার পর অনেকদিন জাতিকে বাঁশ মেরেও মিঃ সত্য নিরাপদেই ছিলেন।

এরই ফাকে নিরাপদে কালো গায়ের সাদা লেবাশ পরিহিত “গেলমান’ এর সাথে মিলিয়া জাতিকে বাঁশ দিয়ে মুহুর্তেই লক্ষকোটী টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন ফটকা বাজার থেকে। এখন আর উনাকে ডলারে মিলিওনার নহে বিলিওনার বলিতে হইবে।

কিন্তু সময় যতই যায় তাহার মাতার রাজদন্ড ততই দূর্বল হইতে থাকে।এরই এক ফাকে প্রকাশ হইয়া পড়ে সাঁকো কেলেঙ্কারি। নদীর উপর সাঁকো করিতে গিয়ে লুটপাটে ধরা পইড়া যায় মিঃ সত্য এর সহকারী ও কমিশন এজেন্ট বাবুল। অনেক তদবির করে মিঃ সত্য নিজে বাচলেও বেচারা বাবুল কে আবুল বানিয়ে বলি দেওয়া হয়।

তাহার পর মাতার নির্দেশে অনেকদিন নীরন থাকিবার পর আবার দেশে আসিয়াছেন জনাব সত্য। আসিয়াই কহিলেন তিনি জানিতে পারিয়াছেন তাহার মাতাই নাকি আবার রাজদণ্ড হাতেপাইবেন। আমি ইহার মাজেজা বুঝিলাম না। তিনি আসিয়াছেন প্রবাস থেকে, আমরা দেশের থাকিয়া জনগনের সাথে কথা বলিয়া জানিলাম না তাহার মাতা কেমনে ক্ষমতায় আসিতেছে, তিনি ক্যামনে জানলেন?

তাইলে কি আমরা বুঝিব তাহার মাতা প্রজাদের ভোটে নহে প্রভুদের(তাহাদের) ষড়যন্ত্রেই বারবার ক্ষমতায় আসেন! এবং আগামীবার ক্ষমতায় আসিবার ব্যবস্থা করিয়া তিনি দেশে আসিয়াছেন?

মিঃ সত্য এর কথাই যদি ধ্রুব সত্য হয় তাইলে আর ভোট নামের তামাশা করে হাজার কোটী খরচ করিবার দরকার কি? টাকশাল তো খালি করিয়াছ, টাকা নাই। বাকশালকে জাগ্রত করলেই হয়।



(ইহা একটী কাল্পনিক লিখা, ইহার সাথে কাউকে মিলাইয়া আমারে বিপদে ফেলিবেন না। আমি নদীর মধ্যে ভেসে থাকা লাশ কিংবা নদীর তলে পিঠে বস্থা সহ চীর নিদ্রায় সমাহিত চাইনা)



‪a.s.fahim

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.