নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালালারা ধন্য হয়, আদুরীরা লুটায় অনাদরে...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬





জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের আলোচিত কন্যা মালালা ইউসুফজাইয়ের কপালে চুম্বন এঁকে দিলেন। বয়সের ব্যবধান অনেক হলেও একই অধিবেশনে মালালা বক্তব্য রেখেছে নামীদামি অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের পাশাপাশি। মালালা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে জানায় সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকে। কিশোরী মালালা ইউসুফজাই বর্তমানে পশ্চিমাদের কল্যাণে পৃথিবীতে বিখ্যাত এক স্বল্প বয়সী নারী। তার কাহিনী হচ্ছে সে পিছিয়ে পড়া পাকিস্তানী তথা সারা বিশ্বের নারীদেরকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বিদেশী ব্লগে লেখালেখি করতো। অভিযোগ রয়েছে যে নারী শিক্ষার বিরোধী তালেবানরা তার লেখালেখি পছন্দ করতো না। লেখালেখি বন্ধ করার জন্য তালেবানরা বেশ কয়েকবার তাকে হুঁশিয়ার করে দেয়, কিন্তু সিদ্ধান্তে অটল থাকায় তালেবানরা স্কুল থেকে ফেরার পথে তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি করে। পরে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিসার জন্য যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়। এসময় তাকে নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়া ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যাপক হৈ চৈ শুরু করে দেয়। পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যাণে মালালা হয়ে উঠে নারী শিক্ষার পক্ষে একজন জীবন্ত কিংবদন্তী।



তবে তালেবানরা তাকে গুলি করার ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছে যে তার নারী শিক্ষা নিয়ে লেখালেখি নয়, বরং তালেবান আদর্শের বিরোধীতা করা হতো বলেই তাকে হত্যা করতে চেয়েছিল তারা। ঘটনা যাই হোক, অল্প বয়সী এই মেয়েটি হয়ে উঠে পশ্চিমা মিডিয়ার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার থেকে শুরু করে আরো বহু পুরস্কার দেওয়া হয়। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠে ইউরোপ- আমেরিকার প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টসহ উচ্চ পদস্থ রাষ্ট্রীয় ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ।



আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সভা-সেমিনারে তাকে দিয়ে বক্তব্য বিবৃতি দেওয়ানো হয়। এ ধারা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে মালালাকে নিয়ে কেন পশ্চিমা বিশ্বের এত আগ্রহ? কী এমন তার কৃতিত্ব? নাকি সহানুভূতি থেকে তাকে এই সম্মাননা? না, আসল কারণ তা নয়। আসল কারণ পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের কাছে যা চায় এই মালালা তাদের জন্য তাই করে দিয়েছে। এখন তাকে আদর্শ হিসেবে দাঁড় করিয়ে তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদ কায়েম করার পক্ষে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।



যদি শুধু সহানুভূতি থেকেই মালালাকে নিয়ে এত হৈ চৈ করতো তাহলে তার চেয়ে বেশি সহানুভূতি পাওয়ার কথা ছিল আমাদের দেশের ফেলানীর, হৈ চৈ হওয়ার যোগ্য আমাদের দেশের আদুরীর ঘটনাও। কিন্তু তারা কি বিচার না পাওয়া সীমান্তে ফেলানী হত্যা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেছে? কিংবা ভারতকে এ ব্যাপারে সামান্য চাপও প্রয়োগ করেছে? ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ হত্যার কোন সমালোচনা করেছে? কিংবা ময়লার ভাগারে মৃতপ্রায় আদুরীকে নিয়ে কোন বাক্যব্যয় করবে, তাকেও কি ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হবে উন্নত চিকিৎসার জন্য? বেঁচে গেলে তাকে কি জাতিসংঘের কোন সংস্থা কোনরূপ সহযোগিতা করবে? তাকে কি কোন পুরস্কার দেওয়া হবে? সবগুলো প্রশ্নের উত্তর হবে, না, মোটেই তা হবে না। কারণ তাকে নিয়ে ঐসব সাম্রাজ্যবাদীদের কোন ব্যবসা হবে না। সে তাদের আদর্শের পক্ষে কোন উপকারিতা বয়ে আনবে না। সে তাদের কথিত অহঙ্কারের বাতাসে ফুলানো বেলুন ‘সভ্যতা’র গায়ে একটি সুঁচের খোঁচা। সুতরাং তাকে নিয়ে তারা মাতামাতি করবে না। বরং তাকে চাইবে সব খবর থেকে আড়াল করতে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীও তার কপালে চুম্বন এঁকে দিবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।



তার উপর নির্মমভাবে নির্যাতনকারী নওরীন আক্তার নদীরা হয়তো সময়ের ব্যবধানে পার পেয়ে যাবে অর্থের বিনিময়ে কিংবা আইনের মারপ্যাঁচে। অতীতে অন্তত: তাই হয়েছে। ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে তের বছরে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে ৫৬৭ জন গৃহকর্মী। এছাড়াও আরো বহু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা হলেও অধিকাংশই অর্থ কিংবা পেশী শক্তির জোরে থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

আদুরী নামে আদুরী হলেও কিংবা মানুষের আদর প্রার্থী হলেও আদুরীরা সব সময় অনাদরই পেয়ে থাকে। আদুরীদের কপালে আদর জোটে না। আদুরীদের কপালে জোটে গরম ইস্ত্রীর ছেঁকা, গরম খুন্তির আঘাত, গৃহকর্ত্রী কর্তৃক ব্লেড দিয়ে গায়ের চামড়া কেটে ফেলা। দিনে এক বেলা খেতে পাওয়াটাই তাদের মহাসৌভাগ্য। এমন আদুরীরা মরে গেলে পশ্চিমাদের কিছু যায় আসে না। যেখানে আফ্রিকায় দুর্ভিক্ষপীড়িত শত শত কালো মানুষ না খেয়ে কঙ্কালসার হয়ে গেলেও যেমন তাদের কিছু যায় আসে না, সেখানে বাংলাদেশে আর একজন হাভাতে প্রতিনিধি উপস্থিত হলে তাতে তাদের কী আসে যায়?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

উযায়র বলেছেন: শুধু সহানুভূতি থেকেই মালালাকে নিয়ে এত হৈ চৈ করতো তাহলে তার চেয়ে বেশি সহানুভূতি পাওয়ার কথা ছিল আমাদের দেশের ফেলানীর, হৈ চৈ হওয়ার যোগ্য আমাদের দেশের আদুরীর ঘটনাও।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

উড়োজাহাজ বলেছেন: তাই নয় কি?

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: এই বৈঠকের আর একটা দিক হলো পাকিস্থানের সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের।

একটি রিপোর্ট

রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে নওয়াজ শরিফের মুখোমুখি হতে আর ২৪ ঘণ্টা৷ এমন পরিস্থিতিতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইদানীংকালে তাঁর সবচেয়ে কঠোর বক্তব্যটা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ভরকেন্দ্র বলে যে পাকিস্তানকেই মনে করে ভারত, তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মনমোহন৷ একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আসন্ন বৈঠকে সুর নরম করার কোনও সম্ভাবনাই নেই ভারতের৷ তাঁর সাবধানবাণী, 'এই বৈঠক থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা না করাই ভালো৷'

এ দিন তাঁর ভাষণে রাষ্ট্রীয়-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় সমস্যা হিসেবে তুলে ধরেছেন মনমোহন৷ বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে এ ধরনের কার্যকলাপ তাঁর মতে ভীতিপ্রদ মাত্রা নিয়েছে৷ আর এই সূত্রেই পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন মনমোহন৷ সরাসরিই বলেছেন, 'ভারতীয় উপমহাদেশে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের ভরকেন্দ্র আমাদের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে অবস্থিত৷' আর এই বক্তব্যের মধ্যেই ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তাঁর সরকারের অবস্থান৷ জানিয়েছেন, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে মদত দেওয়া যত দিন না বন্ধ করছে পাকিস্তান, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কোনও রকম আলোচনার পথে যাবে না ভারত৷ কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দাবি করে তাঁর বক্তব্য, 'পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সব ধরনের সমস্যা মিটিয়ে নিতে আমি উত্‍সুক, এমনকী কাশ্মীর সমস্যাও৷ কিন্ত্ত আলোচনা শুরু হওয়ার আগে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলতে দেওয়া এবং অনেকাংশে সক্রিয় মদত দেওয়া বন্ধ হওয়া প্রয়োজন৷'

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৫

উড়োজাহাজ বলেছেন: খুবই স্বাভাবিক। লানতপ্রা্প্ত এই জাতির কপালে এর চাইতে বড় কিছুই পাওনা আছে। অথচ ১৯৬৫'র যুদ্ধের আগে পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের প্রতি সীমাহীন সমীহ পোষণ করতো। কিন্তু সেই জাতিটি এখন তাদের শক্তিমত্তা হারিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নাস্তানাবুদ হচ্ছে। শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে শক্তিহীন করে ফেলেছে। ১৯৭১ সালে তাদেরই স্বগোত্রীয় ততকালীন পূর্ব বাংলার মানুষের উপর অবিচার করেছে। এখন সময় এসেছে তার প্রতিফল হাতেনাতে গ্রহণ করে নেওয়ার।

এমনি করে ইরাক নিয়েছে, লিবিয়া নিয়েছে, ইরান নেবে, সিরিয়া নিচ্ছে, সৌদি আর নেবে। এটা যার যার কর্মফল। বাংলাদশ্ওে বাদ যাবে না। যে যার কর্মফল হাতে পাবে । এখন অপেক্ষা শুধু সময়ের।

আসলে বিজাতীয়দের দোষ দিয়ে তেমন লাভ নেই। এজাতির মানুষই ক্ষ্রেত্র সৃষ্টি করে দিচ্ছে অন্য জাতিদের। জাতির ঐক্য থাকলে, শুধুমা্ত্র প্রস্রাব করে দিলে শত্রুরা স্রোতের বাণে ভেসে যেত। কিন্তু আফসোস এ জাতি সব কিছু হারিয়ে বসেছে। ৫৫টির মত ভৌগোলিক রাস্ট্রে বিভক্ত হয়ে আজ সীমানা নিয়ে কামড়াকামড়িতে ব্যস্ত আছে। আর ধর্মজীবী পুরোহিত আলেম ওলামারা, অতি সওয়াবের আশাবাদীরা ইসলামের অতি বিশ্লেষণ করে জাতির বাকী ঐক্যটুকুও নষ্ট করে দিচ্ছে।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

বেকার যুবক বলেছেন: অন্যধারায়, অন্যপথে চলতে হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: হুম! সিস্টেম পাল্টাতে হবে।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২০

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: তালিবান কম্যাণ্ডার আদনান রাশিদ একটা চিঠি লিখেছেন মালালাকে। চিঠির ভাষা আকর্ষনীয় সুন্দর, উপস্থাপিত বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল। যদিও চিঠিতে মাঝে মাঝে মহান আল্লার বিচারের ওপর অনেক কিছু ছেড়ে দেবার কথা আছে, কিন্তু পত্রলেখক তার নিজস্ব বিচারধারা প্রয়োগ করে যুক্তি দিয়েছেন, যুক্তির আলোয় অনেক কিছু ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। শুধুই আল্লার ওপর সবটা ছেড়ে দিলে অবশ্যই প্রত্যুত্তরের জায়গা থাকত না, কারণ সেই সর্বশক্তিমান এর প্রসঙ্গ উঠে পড়লে ও তাতেই আবদ্ধ থাকলে বিশ্বাসীর সাথে আর কথা বলা যায় না, বলতে গেলে বিশ্বাসীকে আঘাত করা হয়, যুক্তিবাদী তার্কিকেরও সময় নষ্ট হয়। এই লেখা তাদের জন্য যারা আল্লার সর্বশক্তিমানতায় পরম আস্থাশীল হয়েও জাগতিক বিভিন্ন বিষয়, যেমন একটি পনেরো বছরের মেয়েকে গুলি চালানোর পার্থিব যুক্তিগুলি নিয়ে কথাবার্তায় আগ্রহী। প্রথমে যারা এখনো পড়েন নি, তাদের জন্য চিঠির পুরো বয়ানটি একেবারে শেষে দেওয়া রইলো, দেখে নেবেন

মালালার প্রতি অভিযোগগুলি সূত্রবদ্ধ করা যাক
১) মালালাকে শুধু স্কুলে যাবার জন্য/পড়াশুনো করার জন্য গুলি করা হয় নি। আরো হাজার হাজার মেয়ে এখানে স্কুলে যাচ্ছে, পড়াশুনো করছে। স্কুলও তালিবানরা একারণে উড়িয়ে দেয় নি, যে তারা মেয়েদের পড়াশুনোর বিরোধী। গোটা বিষয়টিকে দেখতে হবে একটি সমর কৌশলের অঙ্গ হিসেবে। আদনান রশিদ এর মতে স্কুল পাকিস্থানের আর্মিও উড়িয়ে দেয়, তালিবানিরাও ওড়ায়। গোটা ব্যাপারটা শিক্ষার বিরোধ সমর্থনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আসলে স্কুলগুলি যুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বিপক্ষ যাতে এই চলমান যুদ্ধে এই ঘাটির দখল নিতে না পারে, তাই স্কুল ওড়াতে হয়। মালালা এই বিষয়টি বোঝেন নি।
২) এই সমর কৌশলের বিষয়টি না বুঝে মালালা যে প্রচারে সামিল হয়েছেন তা তালিবানদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। ইউরো আমেরিকানদের সাথে ইসলামিক দুনিয়ার যে যুদ্ধ (তালিবান/ইসলামিক জেহাদীদের হাত ধরে) চলছে তাতে মালালার অভিমত আরো বেশি বেশি করে কালো/বাদামী চামড়া আর ইউরোপীয় মননের মানুষের জন্ম দিচ্ছে। (আর তাতে ইউরোপ আমেরিকার সুবিধা হয়ে যাচ্ছে)।
৩) কালো/বাদামী চামড়া আর ইউরোপীয় মননের মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলার জন্যই ইউরোপীয়/ আমেরিকান মিডিয়া এইসব কাজ করছে। জাতিসঙ্ঘ মালালাকে সামনে রেখে প্রচারে সামিল হয়েছে।
৪) তালিবান আর ইউরো আমেরিকানদের লড়াইটা ঠিক কোথায়, সেটা পত্রলেখকের স্পষ্ট ভাষাতেই উল্লেখ করে দেওয়া প্রয়োজন, অনুবাদের প্রয়োজন নেই।"The Taliban Want To Implement What Is In The Book Of ALLAH And UNO Want[s] To Implement What They Have In Man-Made Books; We Want To Connect The World To Its Creator Through The Book Of Allah And UNO Want[s] To Enslave The World"
৫) পত্রলেখকের জবানীতে পরিষ্কার কিরকম শিক্ষা তালিবানরা চান ও বিশ্বজুড়ে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষাকে তারা কি চোখে দেখেন।
"You say a teacher, a pen, and a book can change the world; yes I agree with [this], but which teacher, which pen, and which book? It is to be specified [that] Prophet Muhammad, peace be upon him, said: I am sent as a teacher, and the book He sent to teach is the Quran. So a noble and pious teacher with prophetic curriculum can change the world, not with satanic or secular curriculum."
৬) ফলে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় মালালার প্রতি তালিবান পত্রলেখকের কিরকম আহ্বান থাকে। মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ, মুসলিম উম্মার প্রতিষ্ঠার জন্য কলমকে ব্যবহার করা।
I advise you to come back home, to adopt the Islamic and Pushtoon culture, to join any female Islamic madrassa near your home town, to study and learn the book of Allah; to use your pen for Islam and [for the] plight of the Muslim Ummah, and to reveal the conspiracy of [the] tiny elite who want to enslave the whole of humanity for their evil agendas in the name of a new world order.
এই লেখায় আমেরিকি ইজরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলা, পাকিস্থানী বাহিনীর নিজেদের ধর্মের মানুষের হাতে নিরীহ মুসলিমদের হত্যা নিয়ে মনস্তাপের সঙ্গী হবেন সবাই। পাশাপাশি সবারই মনে থাকার কথা আফগানিস্থান বা ইরাক যুদ্ধের সময় গোটা বিশ্ব জুড়ে কিরকম প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। সিরিয়া আগ্রাসনের সম্ভাবনাকে কীভাবে গোটা বিশ্ব বাধা দিল। যাইহোক এটা কেই বা অস্বীকার করবে মুসলিম বিশ্বের বেশীরভাগ রাষ্ট্রনেতাই আমেরিকার অনুচর।
এইবার যদি কয়েকটি বিনীত প্রশ্ন রাখা যায় মুসলিম সমাজকে
১) আপনারা কি তালিবানি ভাবনা মেনে মনে করেন বুক অব আল্লা বা কোরাণের নিয়ম মতে গোটা দুনিয়াকে চলতে হবে ? অন্তত মুসলিম প্রধান দেশগুলিকে কোরাণের নির্দেশিকা, হাদিসের নির্দেশিকা মেনে শরিয়তি আইন মেনে চলতে হবে ? ধর্ম ব্যক্তিগত আচার পালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করবে ?
২) গোটা বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মা স্থাপনের জন্য লড়াই জারী রাখতে হবে? ধর্মান্তরীতকরণের প্রক্রিয়াকে জোরদার করে সারা বিশ্বকে মুসলিম বিশ্ব বানাতে হবে আর এভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে মুসলিম উম্মা ?
৩) কোরাণের শিক্ষা, ইসলামিক শিক্ষা ব্যতীত যে শিক্ষা, সেক্যুলার শিক্ষা তা নাকি শয়তানের শিক্ষা ? শুধুই কোরাণের বা তার অনুমোদিত শিক্ষাই থাকবে বাকি সব কোতল ?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর অমুসলিম বিশ্বের কাছে একভাবে আছে আমরা জানি। মুসলিম বিশ্ব সেই উত্তরগুলি অনুমান করতে পারেন আশা করি। মুসলিম বিশ্বের উত্তরগুলি কি সেটাই প্রশ্ন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.