নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ মানুষের কাছে যে কোরবানি চান...

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

আগামী বুধবার পবিত্র ঈদুল আযহা। এসলামে যে দুইটি বড় উৎসব আছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই ঈদুল আযহা। ঈদ অর্থ আনন্দ। এই দিনে মোসলেম জাতি জাতীয়ভাবে আনন্দ উৎসব করবে, ফুর্তি করবে। কিসের ফুতি? এ ফুর্তি হচ্ছে আল্লাহর ইচ্ছার কাছে নিজেদেরকে সমর্পন করে, নিজের প্রিয় বস্তু আল্লাহর রাহে কোরবান করতে পারার ফুর্তি। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায় বর্তমানে জাতীর কোন কোরবানই নেই। তার পরিবর্তে গরু (পশু) জবাই করাকেই মনে করা হয় কোরবান হিসেবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোরবান কি তাই? আমরা জানি, কোরবানির ঈদের গোড়াপত্তন হয়েছে শেষ এসলাম আসার বহু আগেই। অর্থাৎ এবারাহীম (আঃ) এর সময়ে। এবরাহীম (আঃ) একদা স্বপ্ন দেখেন আল্লাহ তাঁর কাছে সবচাইতে প্রিয় বস্তুর কোরবানি চাইছেন। অনেক ভেবে তিনি দেখেন তাঁর সন্তান ইসমাইল (আঃ) থেকে আর কোন প্রিয় বস্তু নেই। তাই তিনি তাঁকেই আল্লাহর জন্য কোরবান করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরের ঘটনা সবারই জানা। এবরাহীম (আঃ) এর কাজে আল্লাহ খুশি হয়ে ইসমাইলের (আঃ) পরিবর্তে পশু কোরবানি করার বিধান দিলেন। সেই থেকে পশু কোরবানির রেওয়াজ চালু হয়েছে যা আজ পর্যন্ত চোলে আসছে। কিন্তু আল্লাহ এই কোরবানি দ্বারা মূলতঃ মানুষকে পরীক্ষা করতে চান।



তিনি বলেন, কোরবানিকৃত পশুর রক্ত ও গোস্ত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে যায় না। যায় বান্দার ত্যাগ করার মানসিকতা, তাকওয়াহ (সুরা-হজ্ব-৩৭)।

তাই দেখা যাচ্ছে শুধু পশু কোরবানিই আল্লাহ মানুষের কাছে চাচ্ছেন না। তিনি দাবী করেন বান্দার পক্ষ থেকে তাঁর জন্য কোরবানি করার মানসিকতা। আসলে পশু কোরবানি হচ্ছে একটি প্রতীকী কোরবানি, অর্থাৎ আল্লাহর রাজী-খুশি এবং তাঁর দীনের জন্য, খেলাফত কায়েম করার জন্য যে আত্মত্যাগ করা প্রয়োজন তার মহড়া মাত্র। প্রকৃত কোরবান হলো স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে দুনিয়ার বুকে দায়িত্ব পালনার্থে নিজের পার্থিব সব কিছু উৎসর্গীকৃত করার মানসিকতা সৃষ্টি। এই দৃষ্টিতে বিবেচনা করলে দেখা যায়- আজ আমাদের কোরবানি শুধু পশু কোরবানির মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরা বড় কোরবানি অর্থাৎ দীনের জন্য সহায়-সম্পদ এবং আত্মত্যাগ বাদ দিয়েছি।



অর্থাৎ প্রতি বছরই মহড়া দিচ্ছি কিন্তু আসল কাজ করছি না। আমাদের মানসিকতা এবং এ কোরবান যে অর্থহীন তা পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়। তিনি তাঁর ‘শহীদী ঈদ’ কবিতায় লিখেছেন,

“চাহি না ক’ গাভী দুম্বা উট,

কতটুকু দান? ও দান ঝুট।

চাই কোরবানি, চাই না দান।

রাখিতে ইজ্জত্ ইসলামের

শির চাই তোর, তোর ছেলের,

দেবে কি? কে আছ মুসলমান?”





আবার তিনি আরো বলছেন,





“ওরে ফাঁকিবাজ, ফেরেব-বাজ,

আপনারে আর দিস্নে লাজ,-

গরু ঘুষ দিয়ে চাস্ সওয়াব?

যদিই রে তুই গরুর সাথ

পার হয়ে যাস পুল্সেরাত,

কি দিবি মোহাম্মদে জওয়াব?”

এ ছাড়াও আমরা ঈদকে যদি নিছক আনন্দ ফুর্তির দিন হিসেবেও দেখি তাহলেও দেখতে পাব বর্তমান সময়ে এই দিনে আমাদের আনন্দ করার কিছু নেই। কারণ সারা পৃথিবীতে বর্তমানে চোলছে অন্যায়, অবিচার আর অরাজকতার জয়-জয়কার। বিশেষ কোরে মোসলেম জাতি আজ পৃথিবীতে চরম নিগৃহের শিকার। অন্য জাতির হাতে তো লাঞ্ছনা, মার খাওয়া আছেই আবার তারা নিজেরা নিজেরা অনৈক্য, বিভেদ-বিভক্তিতে শতধা বিচ্ছিন্ন। যে জাতি একজন নেতার অধীনে, একটি কেন্দ্রীয় কমান্ডের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কথা সেখানে হাল ছাড়া নৌকার মত এরা দিক হারিয়ে মাঝ দরিয়ায় এলোমেলো ঘুরছে।



মোসলেম জাতি হবে এক জাতি। কিন্তু তারা নানা দেশে নানা মতে ভাগ হয়ে শত্র“র সহজ শিকারে পরিণত হচ্ছে। বাতাসে ভাসছে তাদের ক্রন্দন রোল। প্রায় সারা ‘মোসলেম’ জাহানে আগুনের লেলিহান শিখা। অন্যদিকে তেল সম্পদের বিনিময়ে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা ধনী দেশগুলো নিজেদেরকে বিকিয়ে দিয়েছে দুনিয়াবী রাজা-বাদশাহীতে। পাশ্চাত্যের গোলামীকে গ্রহণ করে নিয়েছে আদর্শ হিসেবে। আল্লাহর ভাষায় যারা আল্লাহর শত্র“, মোমেনদের শত্র“, তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে নিয়েছে। এ জাতীর সদস্যরা আজ পৃথিবীতে সবচাইতে বড় উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। উদ্বাস্তু শিবিরে গেলেও অভিশাপ তাদের পিছু ছাড়েনা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, যে জাতি হওয়ার কথা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ, তারা এখন পৃথিবীর বুকে উদ্বাস্তু! কত বড় লানৎ, কত বড় অভিশাপ হলে তাদের একটা বিশাল সংখ্যা ভূমিহীন হতে পারে! তারা সমুদ্রে ভেসে বেড়ায়, সমুদ্রও তাদের ঠাই দেয় না। তাই যদি বলি, এ জাতি আজ ঈদের নামে আল্লাহর সাথে জঘন্য তামাশায় লিপ্ত হয়েছে তাহলে কী খুব বেশি অতুক্তি হবে?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
ভাল লাগল। আল্লাহ আপনার কোরবানি কবুল করুক।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

উড়োজাহাজ বলেছেন: আমি তো কোন কোরবানিই দিতে পারলাম না।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: অনুগ্রহ করে এসলাম (হবে ইসলাম), মোসলেম (হবে মুসলিম), এবরাহিম (হবে ইবরাহিম) এই বিকৃত বানানগুলো ঠিক করে লিখবেন?!!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:১২

উড়োজাহাজ বলেছেন: আর বাকী কথাগুলোর সাথে একমত আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.