নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমজনতা যেমন নেতা চায় - দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদকীয় থেকে

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঈদের আগে ও পরে মিলিয়ে বেশ কয়েকদিন দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা বন্ধ ছিল। কিন্তু দৈনিক দেশেরপত্র বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ঐ দিনগুলোতেও প্রকাশনা অব্যাহত রেখে দেশের আপামর মানুষের সংবাদ চাহিদা পূরণ করে যায়। এ জন্য দেশেরপত্রের বার্তাকক্ষ এবং প্রতিনিধিগণও ছিলেন যথারীতি কর্মচঞ্চল। পাশাপাশি বিক্রয়কর্মীগণ অব্যাহত রাখেন তাদের সংবাদপত্র বিক্রয় কার্যক্রম। সেই সূত্রে প্রতিনিধিগণ আমাদের কাছে সংবাদ পাঠানো অব্যাহত রাখেন।



সাধারণতঃ ঈদ এবং অন্যান্য জাতীয় উৎসবগুলোতে প্রতিবছরই রাজনৈতিক উৎকণ্ঠা এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার কিছুটা প্রশমন ঘটে। মানুষ ‘কৃত্রিম’ভাবে হলেও পারস্পরিক সৌহার্দ দেখিয়ে আপাতত বিরোধকে পকেটে ঢুকিয়ে রাখেন। ‘কৃত্রিম’ শব্দটা আমি ইচ্ছাকৃতভাবেই যোগ করেছি। এর পেছনে আমার যুক্তি হচ্ছে ঈদ কিংবা এ জাতীয় উৎসবের আগে আমরা প্রায়ই দেখি দা-কুমড়ার মত সম্পর্কিত সরকারী দল ও বিরোধী দল একে অপরকে লোক দেখানো কার্ড পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকেন। ঈদগাহে প্রতিপক্ষের সাথে মুসাফা এবং কোলাকুলি করতেও দেখা যায়। কিন্তু এসব উৎসব অতিবাহিত হওয়ার অবব্যহিত পরই যথারীতি তারা আবার একে অপরকে ধরাশায়ী করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।





কিন্তু এবারের ঈদুল আযহা এবং গত ঈদুল ফেতর মানুষ খুবই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পার করেছে। দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। আগে অন্যান্য বার এ সময়ে গ্রামীণ পরিবেশ ছিল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। কিন্তু এবারে আমাদের সংবাদপত্র খোলা থাকায় গ্রামীণ জনপদ থেকে সাধারণ ঈদ উৎসবের পাশাপাশি অধিকাংশ খবরই এসেছে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, হতাহত, ভাংচুর ইত্যাদির। এই সংবাদগুলো আমরা কাগজের একটি নির্ধারিত অংশে পাশাপাশি ছাপিয়েছি। এর কারণ হচ্ছে বিষয়টি এবারে আমাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে এবং আমরা চেয়েছি মানুষের বিশেষভাবে দৃষ্টিগোচর হোক যে উৎসবের দিনে বাদ যায় নি সংঘাত, সংঘর্ষ।





ইতোপূর্বেই আমরা বার বার বলে আসছিলাম আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কথিত গণতন্ত্রের নামে যে সমস্ত কর্মকাণ্ড করছে, নৈরাজ্যের চর্চা করছে তার ফল শুধুমাত্র এই রকমই নয়, আরো ভয়াবহ হতে বাধ্য। অন্যদিকে জাতীয় রাজনীতি তার গতিপথ যে দিকে নির্ধারণ করেছে তাতে দিব্য চোখে বলা যায় গ্রামীণ জনপদের মারামারি, দাঙ্গা-হাঙ্গামার এখানেই শেষ নয়, এটি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং ছড়িয়ে পড়বে শহর থেকে শহরে। এটি বোঝার জন্য বিশেষ পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন নেই এবং তার গোড়াপত্তন এখনই শুরু হয়ে গেছে।





এমতবস্থায় এই পরিস্থিতির ক্রমধারা যদি অব্যাহত থাকে এবং রাজনীতিবিদগণ তাদের চলমান কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন তবে এদেশের ভিত্তি টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়বে। পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষপীড়িত, গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশগুলোর চিত্র আমরা সব সময়ই দেখে থাকি। হাজার হাজার মৃত্যুর খবর আমরা নিয়মিত পড়ে থাকি।



আমরা সুশীলতার ভারিক্কি ভাব নিয়ে তাদেরকে উপদেশ বিলাই কিংবা তাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাই। কিন্তু আমাদের দেশের রাজনীতিকগণ ও নীতি-নির্ধারকদের বুঝতে হবে যে, আপনারা যে গতি নির্ধারণ করেছেন তাতে কয়েকদিন পর আমরা ঐ করুণাপ্রার্থীদের কাতারে দাঁড়াতে যাচ্ছি। আপনারা ক্ষমতা নিয়ে কাড়াকাড়ি করবেন আর আমরা পতঙ্গের মত আপনাদের পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে আপনাদের জ্বালানো আগুনে ঝাপ দিব। কিন্তু মাত্রা যখন ছাড়িয়ে যাবে তখন যদি আপনাদের জ্বালানো আগুনে আপনাদেরকেই পুড়তে হয়, সে দিন অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।





আপনাদের জেনে রাখা উচিত জনগণ আপনাদেরকে এ জন্য ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠায়না যে, আপনারা সেখানে গিয়ে মানুষের স্বার্থ-বিরোধী সিদ্ধান্ত নেবেন, মানুষের জান-মাল ও তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন, তাদের অধিকারকে দাবিয়ে রেখে আপনাদের বিলাসী ও নিরাপদ জীবন অব্যাহত রাখবেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে জনতার সুখের সাথে আপনাদের সুখ জড়িত। আপনারা তাদেরকে সুখে থাকতে দিচ্ছেন না। জানি, জনতাকে সুখী করার ইচ্ছা আপনাদের আছে। আপনারা চেষ্টাও করে থাকেন। কিন্তু আপনারা যে সিস্টেম ধরে এগোচ্ছেন তার গোড়ায়ই গলদ রয়েছে।



এই সিস্টেম শান্তি দিতে পারবে না। পরস্পর বিরোধী সরকারী দল ও বিরোধী দলের অস্তিত্ব রেখে, জাতিকে দুইটি দলে ভাগ করে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাবই আনতে পারবেন, কিছুতেই শান্তি আনতে পারবেন না। এর জন্য জাতির এখন দরকার বৃহত্তর ঐক্য। অন্যদিকে সেবা করার মানসে ক্ষমতায় এসে, মানুষের পবিত্র আমানত গ্রহণ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ কৌশলে ভোগ করার স্প্তু ইচ্ছাও ত্যাগ করতে হবে। তাহলেই সম্ভব আপনাদের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব মেটানো। কারণ শুধুমাত্র এই লালসার কারণেই আপনাদের মাঝে ক্ষমতায় যাওয়ার অনৈতিক ও কঠিন প্রতিযোগিতা চলছে। যে নেতা সত্যিকারেই দেশের কল্যাণকামী- জনগণ তাঁর মাথায় রাজটীকা পড়িয়ে দিতে চাইবে, কিন্তু সে নেতা এই দায়ভার থেকে শুধু পালাতেই চাইবে। আপনাদের মধ্যে আমরা এই সদগুণটুকু আশা করছি। ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে চিন্তা করুন অর্পিত দায়িত্ব কতটুকু পালন করতে পারবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

রাজ্জাক রাজ বলেছেন: আবছা আবছা বুঝলাম। ধন্যবাদ

Typed with Panini Keypad

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০২

উড়োজাহাজ বলেছেন: আবছা আবছা বুঝতে বুঝতে ধীরে ধীরে পুরো বিষয়টা বুঝে যাবেন আশা করি। আপনাকেও ধন্যবাদ।

Typed with Panini Keypad -এটা লেখার মানে কী? বিজ্ঞাপন না কি?

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৫

রাজ্জাক রাজ বলেছেন: :D বীনা পয়সার বিজ্ঞাপন।

Typed with Panini Keypad

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫২

উড়োজাহাজ বলেছেন: একটু ব্যখ্যা করবেন?

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

অস্পিসাস প্রেইস বলেছেন:
ভালো লাগলো

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

উড়োজাহাজ বলেছেন: ভালো লাগলো বলে আমারও ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.