নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা কতটুকু?

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৫৩



প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে ১৯২০ সালে জন্ম হলো লিগ অব নেশনস বা জাতিপুঞ্জের। উদ্দেশ্য মানবজাতিকে বিভীষিকাময় যুদ্ধ থেকে রক্ষা করা। কিন্তু বিশ্ব নেতারা এই সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়ে এলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তত দিনে যুদ্ধাস্ত্রের সাথে যোগ হয়েছে পারমাণবিক বোমা, যা প্রায় হেরে যাওয়া দেশ জাপানের দু’টি শহরের উপর ফেলা হলো। উদ্দেশ্য ছিলো বোমার ধ্বংস ক্ষমতা সরেজমিনে পরীক্ষা করে দেখা। মানবজাতি ভয় আর বিষ্ময় নিয়ে প্রত্যক্ষ করলো, মাত্র একটি বোমা কীভাবে চোখের পলকে লক্ষ লক্ষ মানুষের একটি জনপদ মুহূর্তেই মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে পারে। মানুষ প্রত্যক্ষ করলো মানুষ কতটা নিষ্ঠুর আর নির্দয় হতে পারে। অবাক বিষ্ময়ে মানুষ আরো প্রত্যক্ষ করলো এই সভ্যতা তার সকল মানবিকতা হারিয়ে কেমন দানবে রূপান্তরিত হলো। অতপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছু পরেই জাতিপুঞ্জের মৃতদেহের উপর ১৯৪৫ গঠন করা হল জাতিসংঘ । এবারেও উদ্দেশ্য একই অর্থাৎ যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ করে বিশ্বজাতিক শান্তি ও সমৃদ্ধি সৃষ্টি করা। কিন্তু ১৯৪৫ পরবর্তী সময়ে কী প্রত্যক্ষ করলাম?

আমরা প্রত্যক্ষ করলাম একদিনের জন্যও পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয় নি। প্রতিদিনই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও যুদ্ধ চলেছেই, নির্বিচারে মানুষ হত্যা অব্যাহত আছে। এত সংখ্যক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে আর এত মানুষ হতাহত হয়েছে, উদ্বাস্তু হয়েছে যে এর তালিকা তুলে ধরা কষ্টসাধ্য গবেষণার বিষয়। আমরা মোটা দাগে যদি উল্লেখ করি তাহলে দেখতে পাব ’৪৭ সালে আরব ভূ-খণ্ডে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের জন্ম, বিভক্ত দুই কোরিয়ার যুদ্ধ, বলকান, বসনিয়া-চেচনিয়া, ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান ও সুদানের গৃহযুদ্ধসহ আফ্রিকা মহাদেশের বহু দেশের গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়েছে জাতিসংঘকে সাক্ষী রেখেই। এসব যুদ্ধের বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে মোসলেম দেশগুলোতে এবং ভোগান্তি ও ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তারাই বেশি। এ যুদ্ধ এখনো থামে নি। সমানতালে অদম্য গতিতে বেড়ে চলছে যুদ্ধের দামামা। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের হাতে অন্যান্য মারনাস্ত্রের সাথে যুক্ত হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদ, যা দিয়ে পুরো পৃথিবীটাকেই মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক সংগঠনকে সাক্ষী রেখেই যদি মানব জাতির এই করুণ আত্মহত্যার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে জাতিসংঘের প্রয়োজন কী, এর সফলতাই বা কী?

প্রশ্ন হলো জাতিসংঘ কেন এমনভাবে ব্যর্থ? এই প্রশ্নের জবাব খুুুঁজতে গেলে আমরা দেখতে পাব জাতিসংঘ নামের এই সংস্থাটির জন্মদাতা এবং নিয়ন্ত্রকরা নিজেদের স্বার্থেই একে ব্যবহার করছে। কয়েকটি শক্তিশালী দেশের হাতে অসীম ক্ষমতা কুক্ষিগত করা হয়েছে আর বাকীরা শুধু তাদের সাথে সায় দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। বাস্তবে এটি আগে নির্দিষ্ট ক্ষুদ্রগণ্ডির সিন্ডিকেটকে আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেটে রূপ দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব মোড়লরা এর দাবীকৃত সম্মান ও ‘অসীম’ শক্তিকে কাজে লাগিয়েছে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। তাই জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়ে পৃথিবীতে সংঘটিত এসব অন্যায় যুদ্ধ শুধু বৈধতাই পেয়েছে- শান্তি দিতে পারে নি। নানা ধরনের আনুষ্ঠানিক অঙ্গ-সংগঠন শুধু এর সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করেছে। এর মাধ্যমে এটি বর্তমান দুনিয়ার বুকে সাক্ষাত একটি ধনীদের ‘এলিটক্লাব’, যুদ্ধবাজদের হাতের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে। সুতরাং এর কাছে চাক-চিক্যতার মাধ্যমে আইওয়াশ ছাড়া বেশি কিছু আশা করা বৃথা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা নয়, শান্তিরক্ষার অভিনয় করার জন্য সৃষ্ট।

জাতিসংঘ সৃষ্টি করেছে, নেপথ্যে থেকে, বিশ্ব পাওয়ার এলিট। চূড়ান্ত লক্ষ্য "ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডার" সৃষ্টি করা। এক কেন্দ্রিক বিশ্ব নির্মাণ।

আরেকটি সমাজতান্ত্রিক এক বিশ্ব তৈরী করা। এ্যা প্রিজন প্ল্যানেট তৈরী করা। ইউ এন এজেন্ডা ২১ পড়ুন। জানতে পারবেন।

নিচের পোষ্টে আমার একটি মন্তব্য আছে। দেখতে পারেন।

Click This Link

ধন্যবাদ।




আর হ্যাঁ, জাতিসংঘ সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে G. Edward Griffin এর কয়েকটি ইউটিউব ভিডিউ পাওয়া যায়। আমি দেখেছি। আপনি দেখতে পারেন। পরিষ্কার হয়ে যাবে। কারা ও কেন জাতিসংঘ সৃষ্টি করেছে। না-পেলে আমাকে জানাবেন। নাম সহ দিয়ে দেবো।

ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপাতত হাতে সময় নেই। পরে দেখে নেব। না পেলে আপনাকে নক করবো। আর লিংক ভিজিট করছি।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
হ্যাঁ, অনলাইনে আবার আসলাম। আগে মন্তব্য করতে এসে একটু তাড়া ছিল বলে নামগুলো দিতে পারিনি।

নিচের ভিডিউগুলো ডাউনলোড করে দেখুনঃ

1. The United Nations Exposed by G. Edward Griffin.

2. The Collectivists Conspiracy by G. Edward Griffin.

3. The Capitalists' Conspiracy by G. Edward Griffin.

4. Road to Word Government by G. Edward Griffin.

=============================

1. Breaking!! Australian Politician Ann Bressington Exposes Agenda 21 and New World Order!

=============================


সবগুলো ভিডিউ ইউটিউবে পাবেন। নামিয়ে দেখুন। ভয়াবহ সব তথ্য। আ্যনি ব্রেসিংটন এর রেফারেন্স আমি পেয়েছি ফেবু থেকে। ঐ রেফারেন্স ধরে ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করি।

ফেবুতে দেখতে হলে আমার ফেবু এড্রেসে যান। সেখানে আমার নামে ক্লিক করুন যেখানে আমার শেয়ার করা আইটেমগুলো রয়েছে।

আমার ফেবু এড্রেসঃ

https://www.facebook.com/ashraf.mahmud3

ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.