নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আতাহার হোসাইন

উড়োজাহাজ

ফেসবুক প্রোফাইল-https://www.facebook.com/ataharh

উড়োজাহাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কীভাবে লিখিত হবে আজকের ইতিহাস?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৮

আজ ২৫ শে অক্টোবর। তত্ত্বাবধায়ক কিংবা ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন ব্যতীত বিকল্প কোন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা প্রণয়নে বিরোধী দলের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার শেষ দিন। অন্য দিকে দাবী আদায়ের জন্য আজ বিএনপি নেতৃত্বাধীন আঠারো দলীয় জোটের সমাবেশের কথা রয়েছে। কিন্তু এর আগে ঘটে গেছে বেশ নাটকীয় পরিবেশ। বিরোধী দলের সমাবেশের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয়। অতপর সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কায় সমাবেশের বেশ কয়েকদিন আগে অর্থাৎ রবিবার থেকেই ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সকল প্রকার রাজনৈতিক সমাবেশ, মিছিল, ঘরোয়া আলোচনা, সেমিনার নিষিদ্ধ করা হয়। এরই রেশ ধরে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সর্বশেষ খুলনা মহানগরীতে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি ভেঙ্গে জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। কিন্তু সর্বশেষ সমাবেশের ঠিক আগের দিন শর্তসাপেক্ষে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে ১৩দফা শর্তের বিনিময়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার বিকেলে ওই সমাবেশ ডেকেছে বিরোধী দলীয় জোট। ডিএমপির পক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় এ অনুমতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে রাজি নয়। তারা নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।



অনুমতি প্রদান এবং যথাস্থানে করতে না দেওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কা মূলত আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ সমাবেশে অনুমতি দেওয়া হলেও বিরোধীদলের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলে রাখার হুকুম দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এ লক্ষ্যে শুক্রবার থেকে রাজধানীর মসজিদগুলোতে অবস্থান গ্রহণের পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় অপরিচিত কাউকে দেখামাত্র পুলিশের হাতে তুলে দিতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ধিত সভা থেকে বলা হয়, যে কোনো নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে রাজপথে নৈরাজ্য করার কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। রাজপথসহ গোটা রাজধানী আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে বিরোধীপক্ষকে মোকাবেলা করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন মহানগর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, রাজপথে যে কোনো অরাজকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখে দেওয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এ পবিত্র দায়িত্ব পালন করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকবে। তিনি বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় চর দখলের মতো দা-কুড়াল, বল্লম নিয়ে বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের রাজপথে নামতে বলেছে। এটা কোন ধরনের গণতন্ত্র? বাংলার জনগণ আপনাদের দা-কুড়াল নিয়ে নৈরাজ্য করার সুযোগ দেবে না।

বিপরীত দিকে বিএনপি নেতাদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে কোন মূল্যেই তারা এ সমাবেশ সফল করবেনই। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সমাবেশে বলেছেন, আজকের পর থেকে বর্তমান সরকার অবৈধ। এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নিউইয়র্কে কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও জামাতের শতাধিক নেতা কর্মী। ২৪ অক্টোবরের পর দেশে আর শেখ হাসিনার সরকার থাকছে না, তাই ২৫ তারিখে কন্স্যুলেট কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনার ছবি নামিয়ে ফেলার এবং হাসিনা সরকারের কোন নির্দেশ না মানার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা। নিউইয়র্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলামের কাছে এই স্মারকলিপি দেয় বিএনপি-জামায়াত নেতারা।

এদিকে আজকের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজধানীসহ সারাদেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে পারে এ জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার জন্য রাজধানীতে গত সন্ধ্যায় ২০ প্লাটুন বিজিবি নামানো হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় শহরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

পরস্পরবিরোধী ত্রিমুখী এ অবস্থানে রাজধানীজুড়ে সহিংসতার আশঙ্কায় সংশ্লিষ্ট রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সমাজ বিশ্লেষক ও মিডিয়াকর্মীদের পাশাপাশি এ নিয়ে সাধারণ? মানুষের মধ্যেও নানা ভাবনা ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে অনেকেরই মত ও প্রত্যাশা হচ্ছে, আসলে ২৫ অক্টোবর কিছুই হবে না। আশঙ্কা-আতঙ্ক মিডিয়ার সৃষ্টি বলেও অভিমত কারো কারো। কিন্তু প্রকৃতপক্ষেই কি আজ কিছু হবে না? কিছুই হবে কি হবে না তার উত্তর মিলবে রাজনৈতিক দলগুলোর আজকের দিনের কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করেই। আর এর উপরই ভিত্তি করছে আজকের দিনটি ইতিহাসে কীভাবে লিখিত হবে।









দৈনিক নিউজ

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩০

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: আমিও অপেক্ষায় আছি, দেখি কি হয় । তয় একটা প্রশ্ন, বিজিবি কেন? সেনাবাহিনী বাদ দিয়া বিজিবি নামানো হইল কেন?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১২

উড়োজাহাজ বলেছেন: সেনাবাহিনী একটু পরে। কিছু মারা মারি না হলে হয়তো নামবে না। ওটা আরো পরের ঔষধ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.