নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত উম্মতে মোহাম্মদী এবং পরবর্তীদের অবস্থার মধ্যে কি বিরাট একটি তফাত এসে যায়। দুটি ঘটনার মাধ্যমে আমি সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি। একটি খলিফা ওমরের (রাঃ) সময়ে অন্যটা একজন উমাইয়া খলিফার সময়ে। ওমরের (রাঃ) সময়ে মিশরের শাসনকর্তা হাইয়ান ইবনে শারিহ খলিফাকে লিখলেন- আমীরুল মোমেনীন! অমুসলিমরা স্বেচ্ছায় এত সংখ্যায় ইসলাম গ্রহণ করছে যে, জিজিয়া আদায় অনেক কমে গেছে। এখন কি করা? ওমর (রাঃ) রাগান্বিত হয়ে জবাব দিলেন- জিজিয়া আদায় কমে যাচ্ছে বোলে অভিযোগ কোরতে তোমার একজন মুসলিম হিসাবে লজ্জা করলো না? তোমার মনে রাখা উচিৎ যে, রসুলুল্লাহ (দঃ) কর আদায় করার জন্য প্রেরিত হননি (সয়ুতি, ইদ্রীস আহমদ এবং decisive moments in the History of Islam- Inan)। ঠিক এমনি অভিযোগ এসেছিল একজন গভর্নরের কাছ থেকে এক উমাইয়া খলিফার কাছে। অমুসলিমরা মুসলিম হয়ে যাচ্ছে, জিজিয়া দেয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বোলে রাজকোষে সম্পদ কমে গেছে। ঐ খলিফা আদেশ দিলেন অমুসলিমদের ইসলাম গ্রহণ বন্ধ করে দাও। একই অভিযোগের দু'টি বিপরীতমুখী উত্তর। অভিযোগ শুনে ওমর (রাঃ) খুশী হয়ে ছিলেন, যদি জিজিয়া আদায় একেবারে বন্ধ হয়ে যেতো তাহলে তিনি সবচেয়ে বেশী খুশী হোতেন, কারণ তার মানে ঐ অঞ্চলের সমস্ত অমুসলিম মুসলিম হয়ে গেছে, মুসলিম উম্মাহ উদ্দেশ্য পূরণে তাদের প্রিয় নবীর (দঃ) আরদ্ধ কাজে আরও একটু অগ্রসর হয়েছে। আর ঐ উমাইয়া খলিফার সম্মুখে তখন আর সে উদ্দেশ্য নেই। তার জাতিরও সে উদ্দেশ্য নেই। উদ্দেশ্য বদলে গিয়ে হয়ে গেছে রাজত্ব ও আনুসঙ্গিক শান-শওকত। কাজেই তখন আর ঐ জাতি উম্মতে মোহাম্মদী নেই। কারণ উম্মতে মোহাম্মদীর উদ্দেশ্য ও তার পরের ঐ জাতির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ইতিহাস দেখুন, পরিষ্কার দেখতে পাবেন যে, ঐ উদ্দেশ্যচ্যুতি বা পরিবর্তন ঘটেছে ভবিষ্যতদ্রষ্টা বিশ্বনবীর (দঃ) ৬০ থেকে ৭০ বছর পর। লক্ষ্য করলে আরও একটি ব্যাপার দেখতে পাবেন। সেটা হলো রসুলাল্লাহর (দঃ) কাছ থেকে যারা সরাসরি ইসলাম শিক্ষা করেছিলেন অর্থাৎ আসহাব তারা কখনই ঐ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। বিচ্যুতি এলো তারা সবাই পৃথিবী থেকে চলে যাবার পর। যেহেতু উদ্দেশ্যের পরিবর্তন বা চ্যুতি হলো কাজেই ঐ জাতি আর উম্মতে মোহাম্মদী রোইলনা এবং আজ পর্য্যন্তও উম্মতে মোহাম্মদী নয়। তবে একথা মনের রাখতে হবে যে, আমি জাতি হিসাবে উম্মতে মোহাম্মদী বলছি। ৬০/৭০ বছর পর থেকে এই উম্মাহ জাতি হিসাবে উম্মতে মোহাম্মদী রইলো না কিন্তু ব্যক্তি ও দলগতভাবে অনেক লোকই রইলেন যারা ইসলামের সর্বপ্রধান লক্ষ্য ও রসুলাল্লাহর (দঃ) সুন্নাহ ভুলে গেলেন না। সাধারণ মুজাহিদ ও কিছু কিছু সেনাপতির আকীদা ঠিকই ছিলো যারা উর্দ্ধতন নেতৃত্বের আকীদা বিকৃতি সত্ত্বেও নিজেদের আকীদা ঠিক রেখে জেহাদ চালিয়ে গেলেন, যার ফলে ঐ বিকৃত আকীদার খলিফাদের সময়েও ইসলাম আরো বিস্তৃত হয়েছ। সিন্ধু বিজয়, স্পেন বিজয় ইত্যাদি অনেক বিজয়ের ঘটনা অনেক পরেও ঘটেছে। কিন্তু তা আর জাতিগতভাবে নয়। সেটা ব্যাক্তি উদ্যোগে কিংবা বড় জোর কোন নিষ্ঠাবান গভর্নরের মাধ্যমে। জাতিগতভাবে বাদশাহী শুরু হওয়ার পর থেকেই জাতিগত জেহাদ বর্জন করা হয়েছিল।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯
ভারসাম্য বলেছেন: ++++++