![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কিছু লেখার চেষ্টা করছি, বাংলাদেশের সবচাইতে সুন্দর জায়গা চট্টগ্রাম। ঐখানে আমার জন্ম। ১৯৮০ সালের ২৮ অক্টবোর। তারপর অনেক চরাই উতরাই পার হয়ে জীবিকার তাগিদে ঢাকাতে। মাঝমাঝে ছবি তুলি। চাকুরির পাশাপাশি মনের চাহিদা মেটানোর জন্য ছবি তোলা। মনের কিছু কথা আছে যা বলতে গেলে বলা হয় না। তাই এইখানে আসা। আমার তোলা কিছু ছবি নিচের লিংকে গেলে দখতে পাবেন- http://www.flickr.com/photos/atikullah/ http://atikullah.blogspot.com/
গিনিস বুকে নাম উঠাইলে দেশপ্রেম হয় না, মনে এবং কাজে হইতে হয়।
দুর্নীতিতেও আমাদের নাম ঐ বইয়ে আছে। সবাই মিলে বিশ্বের সবচাইতে মানব পতাকা, জাতীয় সঙ্গীতের গিনিসরেকর্ড ভাঙ্গা ভাঙ্গি না কইরা একটা জিনিস করেন - যে যে যার যার জায়গা থেকে মাসে অন্তত একটা দিন সবাই মিলে ভাল কাজ করি যাতে দেশের উপকার হয়। মন্ত্রী এমপি নেতা সরকারী আমলা সবই মিলে মাসে একদিন (হয়ত মাসের প্রথম রবি বা সোম বার) ঘুষ/চুরি/ বাটপারি/লোভ/ নিজস্বার্থ বাদ দিয়ে দেশের জন্য কিছু করেন, দেখবেন দেশের উচ্চতা কোথায় উঠে। আর আমরা সাধারন জনগন সবাই মিলে একটা করে গাছ লাগাই।
যদিও উনাদের (সরকার থেকে শুরু করে সবাই যারা দেশের জন্য কাজ করেন বলে মনে করেন) সাথে আমরাও সব সময় দেশের জন্য কাজ করা উচিৎ, যেটা উনারা করেন না। তাই মাসে একদিন বলা হইল। অভ্যাস হয়ে গেলে দেখবেন সব সময় করছে ... দিনে একটা ...দুইটা ... দশটা...গোটা মাস...গোটা বছর... সারাজীবন...
কারণ আমারা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে...
(এটা আমার একান্তই নিজের মনে কথা, সাজেশান দিন হয়ত আরও ভাল কিছু বের হবে)
২| ১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
আদম_ বলেছেন: ঠিই্ইইইইইইইক!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমরা ফরজ কাজগুলো করিনা কিন্তু নফল নিয়ে বেশী টানাটানি করি।
কিছুদিন আগে অবরোধের সময় ২৩ছাত্র ছাত্রী মিলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা বানিয়ে গিনেজ বুকে নাম ওঠালো অথচ সেই সময় দেশের কি খারাপ অবস্থা। জ্বালাও পোড়াও ককটেল বোমা মানুষ পোড়ানো চলছে আর আমরা এদিকে গিনিস বুকে নাম ওঠানোর চেষ্টা করছি।
এই ২৩হাজার মানুষের মধ্যে অর্ধেক খালেদা জিয়ার বাড়ীর সামনে আর অর্ধেক মানুষ শেখ হাসিনার অফিসের সামনে যে জড় হয়ে যদি বলতাম যে আপনারা জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করুন,দেশে ফেয়ার ইলেকশন দিন আর আমাদেরকে শান্তিতে থাকতে দিন তাহলে কি এতগুলো সাধারণ মানুষের বা ছাত্র ছাত্রীদের দাবি উপেক্ষা করার ক্ষমতা শেখ হাসিনা কিংবা খালেদা জিয়ার ছিল? কিন্তু আমরা সেটা করিনি।
এখন আবার নতুন রব উঠেছে জাতীয় সঙ্গীতের গিনিসরেকর্ড ভাঙ্গা এবং এর জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ হবে অথচ দেশে মাত্র একটা পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট।এই টাকা দিয়ে কি আরেকটা বার্ন ইউনিট করা যেতনা?আমাদের মতন গরীব দেশে কি এটা মানায়? আমাদের কাছে ফরজ কাজ কোনটা?
দেশপ্রেম মনের ব্যাপার। এদিকে আমরা জাতীয় সঙ্গীতের গিনিসরেকর্ড ভাঙ্গবো আর অন্য দিকে ভারত পাকিস্তান খেলার সময় আমরা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে উল্লাস করবো।জাতীয় সঙ্গীতের গিনিস রেকর্ড ভাঙ্গবো আর সারাদিন ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়াল দেখবো আর হিন্দিতে কথা বলবো।
আইন করে পতাকা উড়ানো নিষিদ্ধ করে যেমন দেশ প্রেম আনানো যায়না তেমনি গিনিস বুকে নাম উঠিয়েও মানুষের মনে দেশ প্রেম আনানো যাবে না।বরং আমাদের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে হবে।দেশের যেকোন কাজে আমাদের কে এক হতে হবে। শুধু পতাকা বানানো আর জাতীয় সঙ্গীত গাইতে এক হলে চলবেনা।