নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গৃহত্যাগী জোছনা

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩৫



বোধহয় এমন জোছনাকেই বলে গৃহত্যাগী জোছনা। যেই জোছনা দেখে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পরতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। কিন্তু সেটা যে সম্ভব না। সবাই যে সিদ্ধার্থ হতে পারে না। পারলে তো কবেই বেরিয়ে পরতাম। আচ্ছা, চাঁদটাকে এতটা সুন্দর হতে হবে কেন বলতে পারেন? আরেকটু কম সুন্দর হলে কি হত? হ্যাঁ জানি, চাঁদে কলঙ্কের দাগ আছে। কিন্তু তাতে যে চাঁদের সৌন্দর্জ কমেনি, বরংচ চোখ ধাধানো রূপ আরো বেড়েছে।
খাচায় আবদ্ধ পাখির কষ্টটা বোধহয় এখন বুঝতে পারছি। খাচার পাখি শুধুই ঐ মুক্ত আকাশটা দেখতে পারে। কিন্তু কখনো ডানা মেলে সেই আকাশের বিশালতায় হারিয়ে যেতে পারে না। তেমনি আমিও এই ছোট্টো বারান্দা থেকেই ঐ চাঁদের পানে চেয়ে আছি। বুভক্ষের মত চেয়ে আছি। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে সেই আলোয় স্নান যে করতে পারছি না।
হায় চাঁদ! জোছনার আলোয় ভিজিয়ে দিচ্ছ এই ইট কাঠের নগরীকে। সঙ্গে আছে ফিরফিরে হালকা বাতাস। এই বাতাসে প্রেয়সির শাড়ির আচল ওড়েনা হয়ত, কিন্তু মনে দোলা লাগে ঠিকই। আর আছে ধোয়ার মত মেঘ। যেই মেঘ চাঁদটাকে ছুয়ে দিয়ে যাচ্ছে বারবার। সেই মেঘের মত করে যদি আমিও চাঁদটাকে একবার ছুয়ে দিতে পারতাম!
বোধহয় এমন জোছনাকেই বলে গৃহত্যাগী জোছনা।
এমন রাতে মৃত্যুকে আসলেই খুব পাশবিক মনেহয়। মৃত্যু, যে কিনা এই নিঃসঙ্গ রাত আর ঐ চাঁদের আলোটাকে কেড়ে নিবে চিরদিনের জন্য। যেই মৃত্যুর সাথে দেখা হলে আর কখনোই ফিরে পাবোনা এমন রাতকে।
বোধহয় এমন রাতেই মানুষ অমরত্বের খোজ করে। যেন সে মৃত্যুকে ফিরিয়ে দিতে পারে। যেন পারে আরো হাজারো জোছনাভেজা রাত ঐ চাঁদের পানে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে।

[ছবি- সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এত সুন্দর রাতে মরতে চায় কে?

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: সেটাই ভাই। মরতে তো কেউই চায় না, আর এমন সুন্দর রাতে তো অবশ্যই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.