নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘরকুনো ভবঘুরে। পথের প্রতি কি এক ভীষণ আকর্ষন অনুভব করি। অজানা অচেনা পথের ডাক শুনতে পাই। কিন্তু, সে ডাকে সাড়া দায়ে হয়না, দিতে পারিনা।

আতিক ইশরাক ইমন

প্রলাপ বক্তা

আতিক ইশরাক ইমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্থিব- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের এক অমর সৃষ্টি

১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫



এখন পর্যন্ত যত বই পড়েছি, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম অসাধারন একটা বই। পার্থিব। পার্থিব জীবনের গল্প। আমাদের আর আমাদের আশপাশের চেনা অথবা অচেনা মানুষের গল্প।
গল্পের শুরু হয় বিষ্ণুপদকে দিয়ে। তার সামনে মেজ ছেলের অর্ধসমাপ্ত বাড়ী, মাথায় কালঘড়ির চিন্তা। কালঘড়ি, যে ঘড়ি স্বপ্নে মৃত্যুর বার্তা দিয়ে যায়। সে কি পারবে ছেলের বাড়ি দেখে যেতে?
এর পর এসেছে চয়ন, আক্ষরিক অর্থেই যে জীবনযুদ্ধের বিদ্ধস্ত এক সৈনিক। যার যুদ্ধ একটু সুস্থ আর ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য, কারন সে মৃগীরোগে আক্রান্ত, তার উপর মায়ের অসুখ, বড় ভাইয়ের চোখ রাঙ্গানি। সে কি পারবে এই অসম যুদ্ধে জয়ী হতে?
অথবা বীণাপানি আর তার ধার্মিক স্বামী নিমাই? যখন অসুস্থ নিমাইয়ের টাকার অভাবে মরতে বসার দশা, তখন বাধ্য হয়ে বীণাপানিকে যাত্রাপালায় নামতে হয়। তাদের ই বা কি হবে?
আর হেমাঙ্গ, কিছুটা অদ্ভূত বাতিক আছে যার, যে নতুন কোনো ইলেক্ট্রনিক্সের জিনিস দেখলেই কিনে এনে ঘর ভর্তি করে, আবার শহুরে জীবন থেকে মুক্তি পেতে গ্রামে অডিটে জায়। এবং এমন এক গ্রামেই ইংল্যন্ড ফেরত শিক্ষিকাকে ভালো লেগে যায়, সেটা কি ভালোবাসা?
অথবা ঝুমকি? সেই যে রোগা লিকলিকে মেয়েটা, যার বাবা হার্ট এটাক করে। গল্পটা তো তাদের পরিবারেরও। চাকরির জন্য হুট করে যার সাথে হেমাঙ্গের দেখা হয়ে জায়।
আর হ্যাঁ, বিষ্ণুপদের বড় ছেলে কৃষ্ণজীবন, যে চরম দারিদ্র্যের মদ্ধে বেড়ে উঠে একসময় সমাজের শীর্ষে উঠে, যার একমাত্র চিন্তা পরিবেশ আর পৃথিবীকে নিয়ে, জীবনের গল্পে তারও একটা বড়সড় অবদান আছে।
কিংবা অমিতব্যয়ী চারুশীলা, স্বামীর অঢেল টাকা উড়িয়ে জীবনটাকে আনন্দে কাটিয়ে দেয়াই যার লক্ষ।
এ ছাড়াও আরো অনেক চরিত্র আছে, অনু, মনীশ, অপর্না, অনীশ, আপা, ঝুমাদি। অসংখ্য মানুষ, তবে সবাই আলাদা। এই যে এত মানুষ, এদের জীবনের লক্ষ কি? তারা কি জানে? নাকি শুধুই ভ্রান্ত কিছু স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলে? অথবা লক্ষটা জানা থাকলেই বা কি সেখানে পোঁছানো জায়? অনেক অনেক প্রশ্ন। সেসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে ফিরেছেন লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তার এ বিশাল গল্পে।উত্তর কি পেয়েছেন লেখক? জানতে হলে তো পড়তে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৭

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

সুমন কর বলেছেন: আসলেই চমৎকার একটি বই।

টাইপে সচেতন হতে হবে।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: সাজেশনটা মাথায় রাখবো, ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

রক বেনন বলেছেন: প্রত্যেকটি চরিত্রই ভিন্ন ভিন্ন আবার প্রত্যেকই একে অপরের সাথে এক অভিন্ন সুতায় যুক্ত। অসাধারন একটি বই।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

আতিক ইশরাক ইমন বলেছেন: এটাই তো বইটার বিশেষত্ব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.