![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন যেটা ভেসে আসছে সেটাকে কথা বলা যাবে না, আবার আলাদাভাবে শুধু শব্দ বলারও উপায় নেই।এটা গুঞ্জন। ছোটো বাচ্চার কান্না, মায়ের বকুনি, কারো রান্নাঘরে থালাবাটি রাখার ঝনঝন শব্দ, গলি দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষের দ্রুত কথা, গেট লাগানো অথবা খোলার শব্দ, দূরে কোনো বাড়িতে হাতুড়ি পেটাবার শব্দ, তারথেকে আরো দূরে দ্রুত ছুটে চলা বাসের ট্রাকের হর্ন, সবকিছু মিলেমিশে এই গুঞ্জন। আর এইসব গুঞ্জনের মাঝে এক নিঃশ্চুম আমি বারান্দায় বসে শীত পোহাচ্ছি। শীতের হালকা বাতাস শুধু ঠান্ডা বয়ে আনছে না, সেইসাথে বয়ে আনছে উদাসীনতাও। এই ইট কাঠের নগরীর কোনো এক দালানের ছয়তলায় বসেও চলেগেছি কোনো এক পুকুর পাড়ে। ঘাসে ছাওয়া পুকুড় পাড়টা। তারমাঝে বসে আছি। খুবই হালকা ধোঁয়ার মত কুয়াশা দূরের প্রান্তরকে ছেয়ে রেখেছে। রাতজাগা ফুলগুলো আস্তে আস্তে তাদের পাপড়ি মেলে ধরছে সঙ্গ দেবে বলে। আর মাত্র কিছুক্ষন আগেই ঐ দৃষ্টির সীমা ভেদ করে উঠে এসেছে চাঁদ। বিশাল হলদেটে চাঁদ। পুকুরের পানিতে চাঁদের প্রতিচ্ছবিটা একটু একটু দুলছে ঢেউয়ের দোলায়। যেন একসাথে দুইটা চাঁদ। একটা আকাশে, অন্যটা পানিতে, একটা স্থির, অন্যটা ঢেউয়ের দোলায় অস্থির।
আচ্ছা, কল্পনা যখন করছিই, কল্পনায় কাউকে কি পাশে আনবো? আনাই জায়। কিন্তু কাকে? এমন শীতের রাতে পুকুররে পাশে হুমায়ূনীয় কোনো মানবী ছাড়া অন্যকেউ তো আসতে চাইবে না। তেমন কাউকেই নিয়ে আসি তাহলে।
হ্যাঁ, এইতো পাশে এসে বসলো সে। সে বোধহয় হাতে কাঁচের চুড়ি পড়েছে অনেকগুলো।রিনিঝিনি শব্দতো তাই বলে। কিন্তু হঠাট করেই কুয়াশাটা অনেক ঘন হয়ে গেল। এতটাই ঘন যে পাশে বসা তাকেও দেখা যাচ্ছেনা। এই ঘন কুয়াশা কাটার অপেক্ষায়। আচ্ছা, সেও কি অপেক্ষা করছে? যদিও কল্পনাটা আমার, তাও বুঝতে পারছি না।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৭
ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: